গীতিকবিতা কাকে বলে ? | বিহারীলাল চক্রবর্তী |বাংলা গীতিকাব্যের ধারায় বিহারীলাল চক্রবর্তীর অবদান

প্রশ্ন : গীতিকবিতা কাকে বলে? এই ধারায় বিহারীলাল চক্রবর্তীর অবদান আলোচনা করো।  ২+৩ [সংসদ একাদশ বার্ষিক পরীক্ষা – ২০১৫, ২০১৮, ২০২২]

গীতিকবিতা : বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট সম্পদ তার গীতিকবিতা। ‘লিরিক’-এই ইংরেজি শব্দটির বাংলা করা হয়েছে গীতিকবিতা। কবিমনের একান্ত ভাবনা যে কবিতার মাধ্যমে ফুটে ওঠে তাকেই গীতিকবিতা বলা হয়। বঙ্কিমচন্দ্র গীতিকবিতার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন, “বক্তার ভাবোচ্ছ্বাসের পরিস্ফুটনমাত্র যাহার উদ্দেশ্য, সেই কাব্যই গীতিকাব্য।” 

কাব্যপরিচয়: বাংলা সাহিত্যের গীতিকবিতার মৌলিক সুরটি যে কবির হাতে প্রথম বেজে উঠেছিল তিনি হলেন বিহারীলাল চক্রবর্তী। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগুলি হলো ‘সংগীতশতক’, ‘বঙ্গসুন্দরী’, ‘নিসর্গসন্দর্শন’, বন্ধুবিয়োগ’, ‘প্রেমপ্রবাহিনী’,  ‘সারদামঙ্গল’ , ‘সাধের আসন’, ‘বাউল বিংশতি’।

‘বঙ্গসুন্দরী’ বিহারীলালের প্রথম সার্থক গীতিকাব্য । এই কাব্যটি দশটি সর্গে বিভক্ত। কবি এই কাব্যে বঙ্গ নারীর বন্দনা করেছেন। ‘নিসর্গ সন্দর্শন’ কাব্যের বিষয় কবির সৌন্দর্যচেতনা। বিহারীলালের শ্রেষ্ঠ কীর্তি ‘সারদামঙ্গল’ (১৮৭৯ খ্রিঃ) কাব্য। এই কাব্যে বিশুদ্ধ সৌন্দর্যের সঙ্গে কবির ভাবজগতের অনুভূতির মিশ্রণ ঘটেছে।

বিহারীলালের গীতিকবিতার প্রধান উপাদানই হলো প্রেম ও প্রকৃতি। তাঁর কবিতা শুধু পাঠককে আবিষ্ট করেনি, এক কাব্যগোষ্ঠী গঠন করতেও সক্ষম হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে গীতকবিতার জগতে ‘ভোরের পাখি’ বলে উল্লেখ করেছেন।

 

আরও  পড়ুন  👇

বাংলা গদ্যের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান 

Scroll to Top