১. অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫x১ = ৫
১.১ “এ সংসারে সব কিছুই চলে বড়ো পিসিমার নিয়মে।” – বড়ো পিসিমা কে ? গল্পে তার চরিত্রের কী পরিচয় পাওয়া যায় ? ১+৪
১.২ “সেই সময় এল এক বুড়ি।”- লেখক বুড়ির সম্পর্কে যে বর্ননা দিয়েছেন তা নিজের ভাষায় লেখো। ৫
২. অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫x১ = ৫
২.১ “আরগ্যের জন্য ঐ সবুজের ভীষণ দরকার”– ঐ সবুজ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ? সেই সবুজকে পাওয়ার জন্য কবি কী কী নির্দেশ দিয়েছেন ?
২.২ “আমি তা পারি না।” কবি কী পারেন না ? “যা পারি কেবল”- কবি কী পারেন ?
৩. অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫x১ = ৫
৩.১ “আমি রােজ লুকিয়ে লুকিয়ে গ্রিনরুমে ঘুমােই চাটুজ্জেমশাই – কেউ জানে না” – কোন্ নাটকের অংশ ? বক্তা কে ? তিনি কেন গ্রিনরুমে ঘুমােন ? ১+১+৩
৩.২ “জীবন কোথায় ?” – কে, কাকে বলেছেন ? বক্তা জীবনকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে, করেন ? ১+ ১+ ৩
৪. অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫x১ = ৫
৪.১ “অবাক-বিহ্বল বসে আছি, মুখে কথা নেই।” – মুখে কথা নেই কেন ?
৪.২ “কে আবার গড়ে তুলল এতবার ?” – কী গড়ে তােলার কথা বলা হয়েছে ? এই প্রশ্নের মাধ্যমে কবি কী বলতে চেয়েছেন ? ১+ ৪
৫. অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫x১ = ৫
৫.১ “এ-অঞ্চলের গারােদের ঘর দূর থেকে দেখলেই চেনা যায়” – কোন অঞ্চলের কথা বলা হয়েছে ? গারােদের ঘর কেমন তার বিবরণ দাও। ১ + ৪
৫.২“জেলখানাটা পাহাড়ের তিনতলা সমান একটা হাঁটুর ওপর।” – কোন্ জেলখানা? সেখানে সাধারণ কয়েদিদের ওপর কীরকম অত্যাচার করা হত ? ১ + ৪
৬. অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫x১ = ৫
৬.১ বিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে ? দুটি বিভাজ্য ধ্বনির পরিচয় দাও। ১+২+২
৬.২ ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাগুলির উল্লেখ করে যে-কোনাে একটি শাখার আলােচনা করাে। ২+৩
৭. অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫x২ = ১০
৭.১ বাঙালির বিজ্ঞান ভাবনা ও বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অবদান আলােচনা করাে।
৭.২ বাংলা ক্রিকেটের ধারায় সারদারঞ্জন রায়চৌধুরীর অবদান আলােচনা করাে।
৭.৩ চিত্রকলা-চর্চায় শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর স্থান নিরূপণ করাে।
৭.৪ বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের অবদান আলােচনা করাে।
৮. নিম্নলিখিত যে-কোনাে একটি বিষয় নির্বাচন করে, নির্দেশানুসারে কমবেশি ৪০০ শব্দে একটি প্রবন্ধ রচনা করাে :১০x১ = ১০
৮.১ নিম্নে প্রদত্ত মানস-মানচিত্র অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করাে :
৮.২ প্রদত্ত অনুচ্ছেদটিকে প্রস্তাবনা বা ভূমিকাস্বরূপ গ্রহণ করে বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করে, পরিণতি দানের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধ রচনা করাে :
নতুন মাস্টারমশাই
শ্রেণিতে যে সব বই নিয়ম করেই পড়তে হয়, মাস্টারমশাইরা যত্ন করেই তা পড়িয়ে দেবেন ; এটুকু তাে প্রত্যাশিতই। মনকে নিশ্চয় একটু একটু করে শিক্ষিত স্তরে পৌঁছে দেয় সে সব পড়াশােনা। কিন্তু ছােটদের মনকে অনেকখানি বাড়তি সজীবতা দেয় মাস্টারমশাইদের এই প্রথা ভাঙবার সাহস। পাঠ্যরেখার স্থিরতার মধ্য থেকে মাঝে মাঝে হঠাৎ যদি কোনাে কিশাের মনকে তারা চালিয়ে দেন কোনাে অভাবনীয়ের দিকে, কোনাে স্বপ্নের দিকে, কোনাে চ্যালেঞ্জের দিকে, তাহলে সে মন হয়তাে অনেকদিনের পুষ্টি পেয়ে যায়, পেয়ে যায় কোনাে নতুন জগতের আনন্দ।
৮.৩. প্রতিপক্ষের যুক্তির দুর্বলতা প্রমাণ করে স্বপক্ষে যুক্তিবিন্যাস করে প্রবন্ধ রচনা করাে :
বিতর্কের বিষয় : ক্লাসরুম’ শিক্ষার পরিপূরক ‘অনলাইন এডুকেশন’।
পক্ষে : দীর্ঘ বিদ্যালয় বিরতিতে ছাত্রছাত্রীদের গৃহবন্দী জীবনের একমাত্র মাধ্যম ‘অনলাইন এডুকেশন’। এই ব্যবস্থার উৎসাহদাতা বা কার্যকারিতার কৃতিত্ব কিছুটা হলেও করােনা পরিস্থিতি। নার্সারি থেকে উচ্চতর শিক্ষা কার্যত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এই সমান্তরাল শিক্ষাপদ্ধতিতে। শহর তথা উচ্চবিত্ত পরিবারের ক্ষেত্রে এই শিক্ষা মাধ্যমের উপযােগিতা অপরিসীম।
বিপক্ষে : আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের কারণে এই সমান্তরাল শিক্ষা মাধ্যম দেশের গ্রাম্যজীবনের ক্ষেত্রে পরিপূরক নয়। আচার্য বা শিক্ষকের সান্নিধ্য গ্রহণে যে অজ্ঞানের তিমির দূর হয় তার অভাব এই শিক্ষা পূরণ করতে পারে না। অনলাইন শিক্ষামাধ্যমে শিক্ষার মূলশর্ত থেকে বিদ্যার্থীরা বঞ্চিত হবে। বিকাশের পথ ও লক্ষ্য পরিপূর্ণতা পাবে না।
৮.৪ প্রদত্ত সূত্র ও তথ্য অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করাে :
সৈয়দ মুজতবা আলি (১৯০৪-১৯৭৪)
🔵 জন্ম : ১৯০৪ খ্রীঃ ১৩ সেপ্টেম্বরে অবিভক্ত ভারতবর্ষের শ্রীহট্টের অন্তর্গত করিমগঞ্জে।
🔵 পিতা : সৈয়দ সিকান্দার আলি।
🔵 শিক্ষা : সিলেট গভর্ণমেন্ট হাইস্কুলে পড়াশােনা শুরু। পরে শান্তিনিকেতনে এসে উচ্চতর বিদ্যার্জন ও রবীন্দ্রনাথের সান্নিধ্যলাভ। স্নাতকোত্তর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণা – বন বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মানী।
গবেষণার বিষয় : তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব। বাংলা, ইংরাজি, সংস্কৃত, আরবী, জার্মান, ফরাসী, পারসিক এবং হিন্দুস্তানী ভাষায় তাঁর সর্বোচ্চ স্তরের দক্ষতা ছিল। এছাড়া আরাে আটটি ভাষার সঙ্গে তার পরিচিতি ছিল।
🔵 ভ্রমণ, বাস, কর্মজীবন: কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক জীবন শুরু করে পৃথিবীর অজস্র খ্যাতনামা শিক্ষাপীঠে তিনি শিক্ষাদান করেছেন। কায়রাে, করাচি থেকে ইউরােপ যেখানেই তিনি গিয়েছেন, মাতৃভাষা বাংলাকে তিনি ভুলতে পারেন নি, চানও নি। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ আজও সক্রিয় এবং সেখানেও প্রাচীন বাংলার পুথি রক্ষিত আছে, মূলত তাঁরই উদ্যোগে।
🔵 গ্রন্থ : দেশে-বিদেশে, পঞ্চতন্ত্র (১ম ও ২য়), চাচা কাহিনী, ময়ূরকণ্ঠী, অবিশ্বাস্য, জলে-ডাঙায়, ধূপছায়া, দ্বন্দ্ব-মধুর, শবনম, ভবঘুরে ও অন্যান্য, বহু বিচিত্রা, রাজা-উজীর, কত না অশ্রুজল, গুরুদেব ও শান্তিনিকেতন।
🔵 রচনা বৈশিষ্ট্য : হাস্যরসােজ্জ্বল, ভাবগম্ভীর, পাণ্ডিত্যের স্বতঃ প্রকাশে বাংলার চিরকালের গদ্যসাহিত্যের উজ্জ্বল রত্ন। বাংলার প্রতিভাবানদের নিত্যসভায় তাঁর অমর আসন।
============
১. সঠিক বিকল্পটি নির্বাচন করো ( যে কোনো আঠারোটি প্রশ্নের উত্তর দাও ) :
১.১ ‘ভাত গল্পে বুড়ো কর্তার যা রোগ হয়েছিল –
(ক) যক্ষ্মা (খ) ম্যালেরিয়া
(গ) টাইফয়েড (ঘ) ক্যান্সার
১.২ বড়ো বাড়ির হম-যজ্ঞি করতে এসেছিল –
(ক)বেদজ্ঞ পণ্ডিত (খ) শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত
(গ) কুল-পুরোহিত (ঘ) তান্ত্রিক
১.৩ “এ গল্প গ্রামে সবাই শুনেছে”- গল্পটা হল –
(ক) বাসিনীর মনিব বাড়িতে হেলাঢেলা ভাত
(খ) বাসিনীর মনিব খুব ভালো লোক
(গ) বাসিনীর মনিব সতীশবাবুর আত্মীয়
(ঘ) বাসিনীর মনিব বাড়িতে লোকের মেলা
১.৪ কী উচ্ছবকে বড়ো উতলা করে ?
(ক) বাদার চালের গন্ধ
(খ) যজ্ঞ শেষে ভাত পাবার আশা
(গ) বউ-ছেলেমেয়ের কথা
(ঘ) ফুটন্ত ভাতের গন্ধ
১.৫ থুত্থুড়ে ভিখিরি বুড়ির গায়ে জড়ানো-
(ক) চিটচিটে তুলোর কম্বল
(খ) ছেঁড়া কাপড়
(গ) নোংরা চাদর (ঘ) দামী শাল
১.৬ “সবাই আবিষ্কার করল”-
(ক) ভারতবর্ষ
(খ) বটতলায় বুড়ির অসাড় দেহ
(গ) শকুনের ঝাঁক
(ঘ) পড়ে থাকা পুঁটলি
১.৭ চাষাভুষো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে প্রতীক্ষা করছিল-
(ক) গরম চায়ের
(খ) রোদ-ঝলমল একটা দিনের
(গ) নীল উর্দিপরা চৌকিদারের
(ঘ) শহরে যাওয়ার বাসের
১.৮ ডাওর কথাটি বলে –
(ক) ভদ্রলোকে (খ) ছোটোলোকে
(গ) শহরের লোকে (গ) গ্রামের লোকে
১.৯ “রক্তের অক্ষরে দেখিলাম”- কী দেখলেন ?
(ক) আপনার স্বপ্ন (খ) আপনার জগৎ
(গ) আপনার বেদনা (ঘ) আপনার রূপ
১.১০ মেঘমদির মহুয়ার দেশ কোথায় আছে ?
(ক) খুব, খুব কাছে
(খ) অনেক, অনেক দূরে
(গ) নিবিড় অরণ্যে
(ঘ) প্রান্তরের শেষে
১.১১ “নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে / নাই- যদি হয়” –
(ক) রোষ (খ) ক্ষোভ (গ) রাগ (ঘ) ক্রোধ
১.১২ “তুলসী লাহিড়ীর ‘পথিক’ নাটক থেকে বলি – ( ফিল্মি ঢঙে) ‘আমি তো চললাম…” – বক্তা কে ?
(ক) বৌদি (খ) শম্ভু (গ) অমর (ঘ) সার্জেন্ট
১.১৩ ‘কাল্পনিক যুদ্ধ’- এর মৃত্যুকে নাট্যকার বলেছেন-
(ক) ইসথেটিক মরা
(খ) অস্বাভাবিক মরা
(গ) খুব রোমান্টিক
(ঘ) অদ্ভুত মরা
১.১৪ “হেড পন্ডিত ইস্কুলে আমাকে প্রমোশন দেননি।” – কারন-
(ক) সংস্কৃতে বারো পেয়েছিলাম
(খ) সংস্কৃতে ফেল করেছিলেন
(গ) সংস্কৃতে দশ পেয়েছিলাম
(ঘ) সংস্কৃতে তেরো পেয়েছিলাম
১.১৫ “উঃ কী শীত — সব আছে শুধু…”- কী নেই ?
(ক) মানুষ নেই (খ) আলো নেই
(গ) লোকজন নেই (ঘ) শীতের পোষাক নেই
১.১৬ “শাহজাদি! সম্রাটনন্দিনী ! মৃত্যু ভয় দেখাও কাহারে”— কোন্ নাটকের অংশ ?
(ক) সাজাহান (খ) মেবার পতন
(গ) রিজিয়া (ঘ) চন্দ্রগুপ্ত
১.১৭ রামব্রীজকে রজনীবাবু কত টাকা বক্শিশ দিয়েছিলেন?
(ক) এক টাকা (খ) তিন টাকা
(গ) চার টাকা (ঘ) দুই টাকা
১.১৮ “স্টেশন মাস্টারের কাছে আবেদন জানানো হল।” — কীসের আবেদন জানানো হল ?
(ক) ট্রেনটাকে চালানোর
(খ)ট্রেনটাকে থামানোর
(গ) নতুন ট্রেনের ব্যবস্থা করার
(ঘ) ট্রেনটাকে বাতিল করার
১.১৯ ‘পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন’ কবিতাটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন —
(ক) অনিন্দ্য সৌরভ
(খ) মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
(গ) শঙ্খ ঘোষ
(ঘ) উৎপলকুমার বসু
১.২০ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বিখ্যাত ছবি
(ক) টুয়েলভ ইংক স্কেচেস
(খ) হলকর্ষণ
(গ) শ্বেত অভিসারিকা
(ঘ) উন্ডস
১.২১ বাংলায় বিজ্ঞান রচনার পথিকৃৎ পত্রিকা হল —
(ক) সমাচার দর্পণ
(খ) তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা
(গ) দিগদর্শন
(ঘ) প্রাকৃতিক বিজ্ঞান
১.২২ গোবর গুহের নাম কোন্ খেলার –
(ক) কুস্তি (খ) ব্রতচারী
(গ) তিরন্দাজি (ঘ) কবাডি
১.২৩ বিভাজ্য ধ্বনির অপর নাম —-
(ক) যুক্তধ্বনি
(খ) পার্শ্বিক ধ্বনি
(গ) খণ্ড ধ্বনি
(ঘ) তাড়িত ধ্বনি
১.২৪ যে অব্যয় শব্দের শুরুতে বসে তার অর্থ পরিবর্তন করে তাকে বলা হয় —
(ক) বিভক্তি (খ) উপসর্গ
(গ) প্রত্যয় (ঘ) অনুসর্গ
২. অনধিক ২০ টি শব্দে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ( যে কোনাে বারোটি প্রশ্নের উত্তর দাও ) ১×১২ = ১২
২.১ অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে ?
উত্তর : যে ধ্বনি উপাদানগুলিকে কৃত্রিমভাবে খন্ড করা যায়না সেগুলিকে অবিভাজ্য ধ্বনি বলে । কয়েকটি অবিভাজ্য ধ্বনি হলো – শ্বাসাঘাত, দৈর্ঘ্য ,যতি,সুরতরঙ্গ।
২.২ “একজন ঠান্ডা মাথায় বলল”— কী বলেছিল ?
উত্তর : থুত্থুড়ে কুঁজো বুড়ি কোথায় থাকে – সেই কথাই অন্য লোকেরা জিজ্ঞেস করছিল ।
২.৩ সমাজ ভাষা বিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর : ভাষা কীভাবে সমাজে কাজ করে এবং সমাজ কীভাবে ভাষার ওপর প্রভাব বিস্তার করে ভাষা বিজ্ঞানের যে শাখায় এই নিয়ে চর্চা করে তাকে সমাজভাষাবিজ্ঞান বলে ।
২.৪ সংক্ষেপিত পদ বা ক্লিপিংস কী ?
উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় মূল শব্দের চেহারার পরিবর্তন ঘটে এবং শব্দটি আকারে ছোট হয়ে যায়, অথচ শব্দটির অর্থগত কোনো পরিবর্তন ঘটে না, তাকে সংক্ষেপিত পদ বা ক্লিপিংস বলে।
২.৫ ‘Dictionary’ শব্দটি কবে কোথায় পাওয়া যায় ?
উত্তর : ‘Dictionary’ কথাটির উল্লেখ প্রথম পাওয়া যায় 1538 খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত থমাস এলিয়টের ল্যাটিন-ইংরেজি অভিধানে।
২.৬ “তারা থাকত কোন্ বাসায় ?”- কাদের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর : ‘পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন’ কবিতায় সোনা ঝকঝকে লিমা যারা বানিয়েছিল তাদের কথা বলা হয়েছে।
২.৭ ” এমনি এলাম — একেবারে এমনি নয় …” — কে, কোথায় এসেছিলেন ?
উত্তর : শম্ভু মিত্র রচিত ‘বিভাব’ নাটকে শম্ভু মিত্র তার বন্ধু অমর গাঙ্গুলির বাড়িতে এসেছিলেন।
২.৮ “তমে ঘোড়া নেইকরি চঞ্চল খবর নেই আসিবি”— এই নির্দেশ কে, কাকে দিয়েছিল বলে ‘বিভাব’ নাটকে উল্লেখ করা হয়েছে ?
উত্তর : ‘বিভাব’ নাটকে এই নির্দেশ উড়ে দেশের যাত্রায় রাজা দূতকে দিয়েছিলেন।
২.৯ “আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন”- কবি জীবনকে ‘দুঃখের তপস্যা’ মনে করেছেন কেন ?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জানতেন, দুঃখের আঁধার রাত্রি বার বার ঘনিয়ে আসে আমাদের জীবনে। এজন্যে কবি জীবনকে ‘দুঃখের তপস্যা’ বলেছেন।
২.১০ “ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয়”— কাদের চোখে কী হানা দেয় ?
উত্তর : ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় কয়লা খনির শ্রমিকদের চোখে ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন হানা দেয়।
২.১১ বর্ধমানে কোন্ গান বেআইনি ?
উত্তর : “বাঁধ ভেঙে দাও” গানটি বর্ধমানে বেআইনি। (সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্ন) [‘আমার বাংলা’ বইয়ের ‘বন্যার সঙ্গে যুদ্ধ’ রচনার অন্তর্গত।]
২.১২ প্রত্যয় কাকে বলে ?
উত্তর : যে সব বর্ণ বা বর্ণগুচ্ছ ধাতু বা শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে প্রত্যয় বলে।
২.১৩ ” ওই পাঁচ ভাগে ভাত হয়”— পাঁচ ভাগ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
উত্তর : পাঁচ ভাগ বলতে ঝিঙেশাল, রামশাল , কনকপানি, পদ্মজালি ও মোচা সাপটা -এই পাঁচরকম চালের ভাতের কথা বলা হয়েছে।
২.১৪ শ্বাসাঘাত কাকে বলে?
উত্তর : একাধিক দলযুক্ত শব্দের কোনো একটি দলকে অপেক্ষাকৃত বেশি জোর দিয়ে উচ্চারণ করাকে শ্বাসাঘাত বলে।
২.১৫ স্যার উইলিয়াম জোন্স সংস্কৃত ভাষার সঙ্গে যেসব ভাষার প্রচুর মিল খুঁজে পেয়েছিলেন, তার মধ্যে দুটি ভাষার নাম লেখো।
উত্তর : স্যার উইলিয়াম জোন্স সংস্কৃত ভাষার সঙ্গে যেসব ভাষার প্রচুর মিল খুঁজে পেয়েছিলেন, তার মধ্যে দুটি ভাষা হল -গ্রিক ও লাতিন।
২.১৬ “রজনীবাবু ভয়ে চিৎকার করে পিছিয়ে যান।”— কাকে কী অবস্থায় দেখে রজনীবাবু ভয় পেয়েছিলেন ?
উত্তর : পরনে ময়লা পাজামা, গায়ে কালো চাদর এবং এলোমেলো চুলে বুড়ো কালীনাথ সেনকে দেখে রজনীবাবু ভয় পেয়েছিলেন।
২.১৭ “তাতে বয়েসটা ঠিক বোঝা যায় না”— কার ‘বয়েস’ কেন বোঝা যায় না ?
উত্তর : রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের বয়স বোঝা যায় না। কারণ – লম্বা লম্বা চুলে ডেইলি হাফ শিশি কলপ লাগিয়ে ইয়ার্কি মারেন।
২.১৮ “আমি কৌতুহলী হয়ে উঠি”—- কী বিষয়ে বক্তা কৌতুহলী হয়ে ওঠেন ?
উত্তর : বক্তা অর্থাৎ গল্পকথক ভয়ানক গরমে গুরু নানক হাসান আব্দালের জঙ্গলে পৌঁছানোর পর কী ঘটেছিল তা মায়ের কাছে শোনার জন্য কৌতুহলী হয়ে ওঠেন।
২.১৯ “চন্নুরী রে ! তুইও খা”—- কোন্ গল্পের অংশ ? ‘চন্নুরী’র পরিচয় দাও।
উত্তর : মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘ভাত’ গল্পের অংশ। চন্নুনী হল উচ্ছবের মেয়ে।
২.২০ “সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।”— সবাই অবাক হয়েছিল কেন ?
উত্তর : অকাল দুর্যোগের দিনে এক থুত্থুড়ে কুঁজো ভিখিরি কীভাবে বেঁচেবর্তে হেঁটে আসতে পারল — সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।