উচ্চমাধ্যমিক বাংলা
সাজেশন 2025
MCQ
বাংলা ‘ক’ ভাষা (নতুন পাঠক্রম)
বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলী (১ নম্বরের)
১. সঠিক বিকল্পটি নির্বাচন করো : ১×১৮=১৮
কে বাঁচায়, কে বাঁচে — মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
১। আপিসে যাবার পথে মৃত্যুঞ্জয় প্রথম দেখল — অনাহারে মৃত্যু।
২। মৃত্যুঞ্জয় অফিস যায় — ট্রামে।
৩। মৃত্যুঞ্জয়ের বাজার ও কেনাকাটা করে — চাকর ও ছোটো ভাই।
৪। মনে আঘাত পেলে মৃত্যুঞ্জয়ের — শরীরে তার প্রতিক্রিয়া হয়।
৫। একটা বাড়তি দায়িত্বের জন্য মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের চেয়ে বেশি পায় — ৫০ টাকা।
৬। একটু আলসে প্রকৃতির লোক / সংসারে নাকি তার মন নেই — যার কথা বলা হয়েছে — নিখিলের।
৭। সংবাদ পত্রটি তুলে নিল — নিখিল।
৮। নিখিলকে প্রতি মাসে কত জায়গায় টাকা পাঠাতে হয় — ৩ জায়গায়
৯। মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে লোকসংখ্যা — ৯ জন।
১০। ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা — বক্তা — মৃত্যুঞ্জয়।
১১। মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীর “কেবলি মনে পড়ে” — ফুটপাতের লোকগুলোর কথা।
১২। দারুণ একটা হতাশা জেগেছে ওর মনে /একেবারে মুষড়ে যাচ্ছেন দিনকে দিন — মৃত্যুঞ্জয়।
১৩। মৃত্যুঞ্জয়ের ধূলিমলিন সিল্কের জামা — অদৃশ্য হয়ে যায়।
১৪। পরনে ধুতির বদলে আসে — ছেঁড়া ন্যাকড়া।
১৫। “গাঁ থেকে এইছি। খেতে পাইনে বাবা। আমায় খেতে দাও। ” –বক্তা — মৃত্যুঞ্জয়।
১৬। “নিখিল ধীরে ধীরে টাকাটা গুনল”– কত টাকা? — মাইনের সমস্ত টাকা।
১৭। যথেষ্ট রিলিফ ওয়ার্ক হচ্ছে না — লোকের অভাবে।
ভাত — মহাশ্বেতা দেবী
১। দূরদর্শী লোক ছিলেন — বুড়োকর্তা।
২। বুড়োকর্তা যত বছরের বয়সে মরতে বসেছিল — ৮২ ।
বেঁচে থাকার কথা — ৯৮ বছর।
৩। উচ্ছবকে বড়ো বাড়িতে নিয়ে এসেছিল — বাসিনী।
৪। বড়ো বাড়িতে তান্ত্রিক এনেছেন — ছোটো বউয়ের বাবা।
৫। কালো বিড়ালের লোম আনতে গেছে –ভজন চাকর।
৬। বড়ো বাড়িতে কনকপানি চালের ভাত রান্না হয় — বড়োবাবুর জন্য।
৭। মেজো আর ছোটো ছেলের জন্য বারোমাস রান্না হয় — পদ্মজালি।
৮। নিরামিষ ডাল তরকারির সঙ্গে রান্না হয় — ঝিঙেশাল।
৯। মাছের সঙ্গে যে চালের ভাত রান্না হয় — রামশাল।
১০। বামুন চাকর ঝি-দের জন্য রান্না হয় — মোটা সাপটা চাল।
১১। বুড়োকর্তার ক্যান্সার হয়ছিল — লিভারে।
১২। “গরিবের গতর এরা সস্তা দেকে” – বক্তা — বাসিনী।
১৩। “কপালটা মন্দ তার। বড়োই মন্দ। “- কার? — উচ্ছব নাইয়ার।
১৪। উৎসব (উচ্ছব) নাইয়ার পিতার নাম — হরিচরণ নাইয়া।
১৫। ” অ উচ্ছব, মনিবের ধান যায় তো তুই কাঁদিস কেন? “-বক্তা– সাধনবাবু।
১৬। ” এ হল ভগবানের মার। এর চোট থেকে তোকে বাঁচাতে পারি ? “-বক্তা– সতীশবাবু।
১৭। বাসিনী উচ্ছবকে লুকিয়ে খেতে দিয়েছিল — ছাতু।
১৮। উচ্ছব কাঠ কেটেছিল — আড়াই মণ।
১৯। ” রন্ন হল মা নক্কী। “- কে বলত ? — উচ্ছবের ঠাগমা।
২০। লোকজন উচ্ছবকে সেখানেই ধরে ফেলে — পেতলের ডেকচি চুরির অপরাধে।
ভারতবর্ষ — সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
১। রাঢ় বাংলার শীতকে ভদ্রলোকে বলে — পউষে বাদলা।
২। বৃষ্টির সঙ্গে জোরালো বাতাস হলে তারা বলে –ফাঁপি।
৩। বোঝা গেল বুড়ির এ অভিজ্ঞতা প্রচুর আছে — কোন অভিজ্ঞতা? — বৃক্ষবাসিনী।
৪। পউষে বাদলা সম্পর্কে গ্রামের ‘ডাকপুরুষের’ পুরোনো বচন আছে। তা হল — শনিতে সাত, মঙ্গলে পাঁচ, বুধে তিন, বাকি সব দিন দিন।
৫। সেবার বাদলা লেগেছিল — মঙ্গলে।
৬। ‘নির্ঘাত মরে গেছে বুড়িটা’ -বলেছিল — চা ওলা জগা।
৭। ‘বিজ্ঞ চৌকিদারের পরামর্শ মানা হল’ — চৌকিদার পরামর্শ দিয়েছিল — বুড়িকে নদীতে ফেলে দিয়ে আসতে।
৮। হঠাৎ বিকেলে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল — অদ্ভুত দৃশ্যটি হল — মাঠ পেরিয়ে একটা চ্যাংদোলা আসছে।
৯। ফজর কী? — ভোরের নমাজ।
১০। ওকে আমি স্পষ্ট কলমা পড়তে শুনলাম – বক্তা — মোল্লা সাহেব।
১১। আমিও তো মোল্লার সঙ্গে একই বাসে আজ শহরে গিয়েছিলুম — ভটচাজমশাই।
১২। আমি স্পষ্ট শুনেছি বুড়ি বলছিল শ্রীহরি শ্রীহরি শ্রীহরি — বক্তা — ভটচাজমশাই।
১৩। বুড়িকে স্পষ্ট হরিবোল বলতে শুনেছি — নকড়ি নাপিত।
১৪। বুড়ি লাইলাহা ইল্লাল্ল বলছে — কে শুনেছে –ফজলু সেখ।
১৫। একসময় দাগি ডাকাত ছিল — নিবারণ বাগদি।
১৬। একদা সে ছিল পেশাদার লাঠিয়াল – সে হল — করিম ফরাজি।
১৭। আরো চেঁচিয়ে বলল খবরদার — কে? — চৌকিদার।
১৮। তারপরই দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য — অদ্ভুত দৃশ্য– বুড়ির মড়াটা নড়ছে।
১৯। বুড়িমা ! তুমি মরনি — বক্তা — চৌকিদার। ২০। চাষাভুষো মানুষেরা মুণ্ডুপাত করতে থাকল — আল্লা-ভগমানের।
“রূপনারানের কূলে” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
মূলগ্রন্থ — “শেষ লেখা” (১৯৪১)
১) কবিতায় রূপনারান নদটি কিসের প্রতীক? উত্তর – বিশ্বসংসারের।
২) কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের রূপ দেখেছিলেন – রক্তের অক্ষরে।
৩) মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চেয়েছেন – সকল দেনা শোধ করতে।
৪) “রূপনারানের কূলে” কবিতাটি “শেষ লেখা” কাব্যগ্রন্থের কত সংখ্যক কবিতা? উত্তর – ১১ সংখ্যক কবিতা।
৫) “চিনিলাম আপনারে” – কবি কিভাবে নিজেকে চিনলেন? উত্তর – আঘাতে আঘাতে বেদনায় বেদনায়।
৬) “রূপনারানের কূলে” কবিতাটি কবে রচিত হয়? উত্তর – ১৩ মে, ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে।
৭) “রূপনারানের কূলে” কবিতাটি রচনা করা হয় – বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে।
৮) “রূপনারানের কূলে / জেগে উঠিলাম, / জানিলাম……..” – কবি কি জানলেন? উত্তর – এ জগৎ স্বপ্ন নয়।
৯) দুঃখের তপস্যা এ জীবন —— আমৃত্যু।
১০) “সে কখনো করে না বঞ্চনা।” – এখানে সে হল – কঠিন সত্য।
শিকার – জীবনানন্দ দাশ
মূলগ্রন্থ — বনলতা সেন
১) “শিকার” কবিতায় ভোরবেলার আকাশের রং-কে কবি যার সঙ্গে তুলনা করেছেন – ঘাসফড়িঙের দেহ।
২) “টিয়ার পালকের মতো সবুজ” ছিল – পেয়ারা ও নোনার গাছ।
৩) “….এখনও আকাশে রয়েছে” – যার কথা বলা হয়েছে – একটি তারা।
৪) “শিকার” কবিতায় যে মেয়েটিকে কবি পাড়াগাঁয়ে লক্ষ করেছিলেন সে ছিল – গোধূলিমদির।
৫) “গোধূলিমদির” মেয়েটি ছিল – পাড়াগাঁর বাসরঘরে।
৬) “….মানুষী তার বুকের থেকে যে মুক্তা আমার নীল মদের / গেলাসে রেখেছিল..” – মিশরের।
৭) “….সারারাত মাঠে / আগুন জ্বেলেছে..” — কারা আগুন জ্বেলেছে? উত্তর – দেশোয়ালিরা।
৮) সারারাত মাঠে যে আগুন জ্বলেছিল তা ছিল – –মোরগফুলের মতো।
৮) “সূর্যের আলোয় তার রং…. মতো নেই আর..।” — কুঙ্কুমের।
৯) ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছিল — চারিদিকের বন ও আকাশ।
১০) সারারাত হরিণ নিজেকে বাঁচিয়েছিল যার হাত থেকে — চিতাবাঘিনির।
১১) সারারাত হরিণটি ঘুরেছিল – –অর্জুন-সুন্দরীর বনে।
১২) সুন্দর বাদামি হরিণ যার জন্য অপেক্ষা করেছিল — ভোরের জন্য।
১৩) “শিকার” কবিতায় প্রথমবার আগুন জ্বলেছিল যে কারণে — হিমের রাতে শরীরকে উম রাখার জন্য।
১৪) “শিকার” কবিতায় দ্বিতীয়বার আগুন জ্বলেছিল যে কারণে– – হরিণের মাংস তৈরি করার জন্য।
১৫) যে মানুষগুলোকে ঘাসের বিছানায় দেখা গিয়েছিল তারা ছিল — টেরিকাটা।
১৬) “নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়” যা হয়েছিল — অনেক পুরোনো শিশিরভেজা গল্প।
১৭) “শিকার” কবিতাটি শুরু হয়েছে যে শব্দ দিয়ে — ভোর।
১৮) “হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার” সঙ্গে যার যোগ – –রোগা শালিক।
১৯) নদীর ঢেউয়ে হরিণটি নেমেছিল — স্রোতের মতো আবেশ পাওয়ার জন্য।
২০) হরিণটি জেগে উঠতে চেয়েছিল – –সূর্যের সোনার বর্শার মতো।
২১) “হরিণীর পর হরিণীকে” হরিণটি চমকে দিতে চেয়েছিল – –“সাহসে সাধে সৌন্দর্যে”।
২২) “নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামল…. ” – কে নামল?
উত্তর — বাদামি হরিণ।
২৩) নদীর জলে নামা হরিণের শরীর ছিল – ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল।
“মহুয়ার দেশ” – সমর সেন
মূলগ্রন্থ — “কয়েকটি কবিতা
১) অলস সূর্য ছবি আঁকে — সন্ধ্যার জলস্রোতে।
২) অলস সূর্য এঁকে দেয়— উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ।
৩) জলের অন্ধকারে ধূসর ফেনায় — আগুন লাগে। ৪) ধোঁয়ার বঙ্কিম নিশ্বাস ঘুরে-ফিরে আসে —শীতের দুঃস্বপ্নের মতো।
৫) মহুয়ার দেশ হল – –মেঘ-মদির।
৬) “….কয়লার খনির / গভীর, বিশাল শব্দ” হয় – মহুয়া বনের ধারে।
৭) “সবুজ সকাল” ছিল – শিশিরে ভেজা।
৮)অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি — ধুলোর কলঙ্ক।
৯) কয়লাখনির শব্দ কবি শুনতে পান – নিবিড় অন্ধকারে।
১০) ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন হানা দেয় – ঘুমহীন চোখে।
১১) “…অনেক দূরে আছে…” – অনেক দূরে যা আছে :- মহুয়ার দেশ।
১২) মহুয়া বনের ধারে আছে – কয়লাখনি।
১৩) “মহুয়ার দেশ” কবিতায় রাতের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে – সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস।
১৪) “ঘুরে ফিরে ঘরে আসে” কী? উত্তর – ধোঁয়ার বঙ্কিম নিশ্বাস।
১৫) “আমার ক্লান্তির উপরে ঝরুক… ” – মহুয়ার ফুল। নামক — মহুয়ার গন্ধ।
১৬) “সমস্তক্ষণ সেখানে পাথর দুধারে ছায়া ফেলে”। কী? উত্তর – দেবদারু গাছ।
১৭) “মাঝে মাঝে শুনি”। কবি মাঝে মাঝে কি শোনেন? উত্তর – কয়লাখনির শব্দ।
“আমি দেখি” – শক্তি চট্টোপাধ্যায় মূলগ্রন্থ– অঙ্গুরী তোর হিরণ্য জল
১) “…..হাঁ করে কেবল সবুজ খায়” – কে হাঁ করে সবুজ খায়? উত্তর – শহরের অসুখ।
২) “গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার।” – কেন?
উত্তর – আরোগ্যের জন্য।
৩) “গাছগুলো তুলে আনো।” – গাছগুলো তুলে আনতে বলা হয়েছে কেন? উত্তর – বাগানে বসানোর জন্য।
৪) “আমার দরকার শুধু।” – কবির শুধু কি দরকার? উত্তর – গাছ দেখে যাওয়া।
৫) “আমি দেখি” কবিতায় কবির চোখ কি চায়?
উত্তর – সবুজ।
৬) “আমি দেখি” কবিতায় কবির দেহ কি চায়?
উত্তর – সবুজ বাগান।
৭) কবি বহুদিন যাননি — জঙ্গলে।
৮) সবুজের অনটন ঘটে — শহরের অসুখ সবুজ খায় বলে।
ক্রন্দনরতা জননীর পাশে – মৃদুল দাশগুপ্ত
মূলগ্রন্থ –“ধানক্ষেত থেকে “
১) কবি যে জননীর পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন তিনি – ক্রন্দনরতা।
২) ক্রন্দনরতা জননীর পাশে না থাকলে কবির অর্থহীন মনে হয়েছে – লেখালেখিকে।
৩) নিহত ভাইয়ের শবদেহ কবির মনে জাগিয়েছিল – ক্রোধ।
৪) কবিতায় নিখোঁজ ছিন্নভিন্ন মেয়েটিকে পাওয়া গিয়েছিল – জঙ্গলে।
৫) কবিতায় কি জেগে ওঠে “বিস্ফোরণের আগে”?
উঃ কবির বিবেক
৬) কবিতায় নিজের বিবেককে কবি কার সঙ্গে তুলনা করেছেন? উত্তর – বারুদের সঙ্গে।
৭)”না-ই যদি হয় ক্রোধ।” – কবির মতে ক্রোধের জাগরণ ঘটা উচিত :- নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে।
৮) “আমি তা পারি না।” – এখানে যা না পারার কথা বলা হয়েছে, তা হল — বিধির মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা।
৯) ছিন্নভিন্ন মেয়েটিকে দেখে কবি তাকাতে চান না – আকাশের দিকে।
১০) কবিতায় বিবেক বলতে কি বোঝানে হয়েছে?
উত্তর – অন্তরাত্মাকে।
নাটক : বিভাব — শম্ভু মিত্র
১) বিভাব নাটকে প্রধান চরিত্র সংখ্যা — ৩টি। শম্ভু মিত্র, অমর গাঙ্গুলি ও তৃপ্তি মিত্র।
২) নাটকটি শুরু যার একটি লম্বা কথোপকথন দিয়ে — শম্ভু মিত্রের।
৩। পুরোনো সব নাট্যশাস্ত্র তল্লাশ করে আমাদের এই নাটকের নাম দিয়েছেন ‘বিভাব’ নাটক– এক ভদ্রলোক।
৪। আমাদের মনে হয় এর নাম হওয়া উচিত —অভাব নাটক।
৫। “রাজা রথারোহণম নাটয়তি” -কোথায় লেখা ছিল ? এর অর্থ কী ?
উ: পুরোনো বাংলা নাটকে। অর্থ – রাজা রথে আরোহণ করার ভঙ্গি করলেন।
৬। এমনি সময় হঠাৎই এক সাহেবের লেখা পড়লাম -সাহেবের নাম — আইজেনস্টাইন। (রুশ দেশীয় চিত্রপরিচালক)।
৭। বহুরূপী তখন লাটে উঠবে — বহুরূপী একটি –নাট্যগোষ্ঠী।
৮। একবার কাবুকি থিয়েটার বলে মস্কোতে গিয়েছিল –জাপানি থিয়েটার।
৯। তার নাকি দারুণ বক্স অফিস — হাসির নাটকের।
১০। হ্যাঁ বল্লভভাই বলে গেছেন– বাঙালিরা শুনি কাঁদুনে জাত।
১১। ঠিক আছে ফেলে দিন না আবার দেব– কী? — সিগারেট।
১২। এত কষ্ট করছি তবু হাসি পাচ্ছে না- বক্তা — শম্ভু মিত্র।
১৩। পৃথিবীতে সবচেয়ে পপুলার জিনিস হচ্ছে —প্রেম। বলেছে — বৌদি(তৃপ্তি মিত্র)।
১৪। নেপথ্যে যে বাদ্যযন্ত্র বেজে উঠেছিল — হারমায়োনিয়াম।
১৫। একটি মেয়ের কণ্ঠে শোনা যায়–মালতী লতা দোলে গানটি।
১৬। শম্ভু মিত্রের মতে, কত ইঞ্চি বুক হলেই পুলিশ হওয়া যায় — ৩২. অমরের ছিল –৩৩
১৭। “আর তার নিচের দিয়েই তো একটা রাস্তা আছে ?”– রাস্তাটার নাম– মনি সমাদ্দার লেন।
১৮। শেষে হাসতে গিয়ে কাঁদতে হবে –বক্তা– অমর গাঙ্গুলি।
১৯। “The night is called me” — সংলাপটি লিখেছেন- বার্নার্ড শ।
২০। “আমি তো চললাম -আবার দেখা হয় কিনা কে জানে ।”-সংলাপটি— তুলসী লাহিড়ীর পথিক নাটকের।
২১। ” মা ব্রূয়াৎ সত্যম্ অপ্রিয়ম্—কথাটির অর্থ— অপ্রিয় সত্য বলো না।
২২। অমর গাঙ্গুলি সংস্কৃতে পেয়েছিলেন —১৩.
২৩। “এবার নিশ্চয়ই লোকের খুব হাসি পাবে”–বক্তা — শম্ভু মিত্র।
২৪। ‘বিভাব’ নাটকে লভ সিনে নায়িকা ফিরছিল — কলেজ থেকে।
২৫। শম্ভু মিত্র বিভাব নাটকে যে তামাশা দেখেছিলেন, তা হল — মারাঠি।
২৬। হঠাৎ পেছন থেকে শোভাযাত্রীদের ক্ষীণ আওয়াজ শোনা যায় — চাল চাই, কাপড় চাই।
২৭। বহুরূপী নাট্যগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠা –১৯৫০ সালে। প্রথম প্রযোজিত নাটক– উলুখাগড়া।
নানা রঙের দিন — অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়
চরিত্রলিপি : রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়- বৃদ্ধ অভিনেতা। বয়স-৬৮ কালীনাথ সেন– প্রম্পটার। বয়স-৬০
১) মঞ্চের মাঝখানে ছিল — একটি ওলটানো টুল।
২) রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় মঞ্চে প্রবেশ করেন– দিলদারের পোশাক পরে। তাঁর হাতে ছিল– জ্বলন্ত মোমবাতি।
৩) বারোটা বেজে গেছে আমার — বক্তা –রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়।
৪) রজনীকান্ত রামব্রিজকে বকশিশ দিয়েছিল– ৩ টাকা।
৫) “আমি লাস্ট সিনে প্লে করব না ভাই। “– বক্তা– রজনীকান্ত।
৬) রজনীকান্ত কত বছর ধরে থিয়েটারে রয়েছেন? — ৪৫ বছর।
৭) থিয়েটার করার আগে রজনীকান্ত কী করতেন? — পুলিশের চাকরি।
৮) “ভোরের আলোর চেয়েও সুন্দর সে”— রজনীকান্তের প্রেমিকা।
৯) রজনীকান্তের প্রেমিকা রজনীকান্তকে কার পার্ট করতে দেখেছিল — আলমগীরের।
১০) যারা বলে নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প তারা সব — গাধা।
১১) “শাহজাদি ! সম্রাটনন্দিনী ! মৃত্যুভয় দেখাও কাহারে ? “– রিজিয়া নাটকে বক্তিয়ার।
১২) “পুত্র ! রাজনীতি বড়ো কূট। “– বক্তা — ঔরঙ্গজীব।
১৩) “এর নাম যদি রাজনীতি হয়, তাহলে সে রাজনীতি আমার জন্য নয়। “– বক্তা — মহম্মদ। (সাজাহান নাটক)
১৪) “আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি কালীনাথ। “– বক্তা বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর প্রতিভা এখনও মরেনি।
১৫) “আজ তবে হাসো, কথা কও, গাও যা দিয়ে আমাকে এতদিন ছেয়ে দিতে, ঘিরে বসে থাকতে ! / তোমার বীণাটি পাড়ো ! “– সুজা পিয়ারাবানুকে বলেছে।
১৬) “তোমার প্রেমে আমাকে আবৃত করে দাও। /আজ সারারাত্রি ঘুমাব না। “— সুজা পিয়ারাবানুকে বলেছে।
১৭) শিল্পকে যে মানুষ ভালোবাসেছে —- তার বার্ধক্য নেই, একাকীত্ব নেই, রোগ নেই।
১৮) Oh, now forever/ Farewell the tranquil mind ! — শেক্সপিয়রের ওথেলো নাটক।
১৯) A horse ! A horse ! My kingdom for a horse ! — শেক্সপিয়রের রিচার্ড III
২০) অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠিত নাট্যদল — নান্দীমুখ।
ভারতীয় গল্প :
অলৌকিক — কর্তার সিং দুগগাল
ভাষান্তর– অনিন্দ্য সৌরভ
১) “এটাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলেই মেনে নাও। “–গুরু নানক শিষ্য মর্দানাকে বলেছিল।
২) পাহাড়ের চুড়োয় এক দরবেশ কুটির বেঁধে থাকে — বলী কান্ধারী।
৩) ” এ তল্লাটে ওঁর কুয়ো ছাড়া আর কোথাও জল নেই। “– বলী কান্ধারীর।
৪) আমি কাফেরের শিষ্যকে এক গণ্ডুষ জলও দেব না। “– বক্তা– বলী কান্ধারী। কাফের বলতে -গুরু নানক।
৫) মর্দানা বলী কান্ধারীর কাছে কতবার জলের জন্য গিয়েছিল? — ৩ বার।
৬) “উনি রীতিমতো হতভম্ব”– উনি কে? – বলী কান্ধারী।
৭) হাসান আব্দালের বর্তমান নাম — পাঞ্জাসাহেব।
৮) কোথাও ‘সাকা’ হলে কী হতো —- বাড়িতে অরন্ধন, রাতে মেঝেতে শুতে হতো।
৯) গুরু নানক মর্দানার তেষ্টা মিটিয়েছিলেন– পাঞ্জাসাহেবে।
১০) স্বচক্ষে দেখেছি — খালপাড়ের সেতুটির দিকে রক্তের স্রোত।
আন্তর্জাতিক কবিতা :
পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন– বের্টোল্ট ব্রেখ্ট
তরজমা- শঙ্খ ঘোষ
১) বের্টোল্ট ব্রেখ্ট ছিলেন — জার্মানির কবি, নাট্যকার।
২) থিবস্ নগরীর দরজা ছিল — ৭টি (সাতটি)।
৩) মহনীয় রোম ছিল — জয়তরণে ঠাসা।
৪) “রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে আনত?” যে প্রসঙ্গে এর উল্লেখ সেটি হল — সাত দরজাওয়ালা থিবস্।
৫) “সেখানে কি সবাই প্রাসাদেই থাকত?” যেখানকার কথা বলা হয়েছে, সেটি হল — বাইজেনটিয়াম।
৬) ব্যাবিলন হল — রাজ্যের নাম। এটি মেসোপটেমিয়ার একটি বিখ্যাত শহর।
৭) ব্যবিলন শহরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যাবে — ইরাকের বাবিল প্রদেশে।
৮) চিনের প্রাচীর তৈরির কাজ শেষ হয়েছিল — সন্ধ্যাবেলা।
৯) “আটলান্টিস” হল — উপকথার রাজ্য।
১০) “সাত বছরের যুদ্ধ জিতেছিল” — দ্বিতীয় ফ্রেডারিক।
১০) বের্টোল্ট ব্রেখ্ট কবি ছাড়াও প্রখ্যাত হন — নাট্যকার হিসেবে।
১১) “পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন” অনুবাদ কবিতাটির অনুবাদক হলেন — কবি শঙ্খ ঘোষ।
১২) “এত যে শুনি বাইজেনটিয়াম…. “। বাইজেনটিয়াম সাম্রাজ্যের ওপর সর্বাপেক্ষা বেশি আধিপত্য ছিল — গ্রিকদের।
১৩) “যখন সমুদ্র তাকে খেল।” — সমুদ্র কাকে খেল? উত্তর — আটলান্টিসকে।
১৪) “ভারত জয় করেছিল” — কে? উত্তর — আলেকজান্ডার।
১৫) গলদের নিপাত করার সময় সিজারের সঙ্গে নিদেনপক্ষে একটা কে ছিল বলে কবি জানিয়েছেন?উত্তর — রাঁধুনি।
১৬) “বিরাট আর্মাডা যখন ডুবল।” তখন কে কেঁদেছিল? উত্তর — তৎকালীন স্পেনের রাজা ফিলিপ।
১৭) “বিরাট আর্মাডা যখন ডুবল….” আর্মাডা হল — স্পেনের রণতরীর বহর।
বাংলা শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাস :
বাংলা গানের ধারা :
১) ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’ গ্রন্থে চর্যাগানের মোট সংখ্যা –— ৫১ । বাংলা গানের আদি নিদর্শন — চর্যাপদ।
২) চর্যার যুগে সঙ্গীতে কয়টি অঙ্গ দেখা যায় ?——-৬ টি
৩) শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনে মোট কতগুলি রাগ রাগিণীর ব্যবহার দেখা যায় ? –—— ৩২ টি
৪) মঙ্গলকাব্য গুলি গাওয়া হোতো কোন লৌকিক ছন্দে ?——- লাচাড়ি ছন্দে
৫) বাংলায় সর্ব প্রথম ধ্রুপদ রচনা করেন- –রামশঙ্কর ভট্টাচার্য
৬) মনসাগীতি রাঢ় বঙ্গে কী নামে পরিচিত ? – ঝাপান
দক্ষিণবঙ্গে ——- ভাসান । পূর্ববঙ্গে ——– রয়ানী । উত্তরবঙ্গে ——–সাইটোল বিষহরীর গান
৭) ‘ঝুমুর’ কী ধরনের গান ? –লোকগীতি
৮) দাশরথি রায় যে ধারার গানের রচয়িতা – পাঁচালী
৯) ‘গম্ভীরা’ মূলত কোন জেলার গান ? – মালদহ
১০) শাক্ত সঙ্গীতের প্রথম ও প্রধান কবি কে ? ——রামপ্রসাদ (উপাধি –কবিরঞ্জন)
১১) ‘টপ্পা’ গানের প্রচলন করেন- — নিধিবাবু
১২) একজন আখড়াই গানের শিল্পী হলেন –—-রামনিধি গুপ্ত
১৩) ‘ঠুংরি’ গানের প্রবর্তক হলেন – নবাব ওয়াজেদ আলি শাহ
১৪) পাঁচালী ও কথকতারীতির সঙ্গে কীর্তন গানকে মিশিয়ে তৈরি হয়েছিল – ঢপ কীর্তন । ঢপ শব্দের অর্থ– শুদ্ধ সৌষ্ঠবসম্পন্ন।
১৫) মাঝিমল্লার গানকে কী বলা হয়– ভাটিয়ালি
১৬) পক্ষী দলের সবচেয়ে বিখ্যাত সদস্য বা গায়ক ছিলেন – রূপচাঁদ পক্ষী বা গৌরহরি দাস মহাপাত্র
১৭) সঙ্গীত শিল্পী মান্না দের প্রকৃত নাম কী ? – প্রবোধ চন্দ্র দে । ১৯৪২ সালে ” তমান্না” ছবিতে নেপথ্য শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ।
১৮) বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী কিশোর কুমারের প্রকৃত নাম কী ? – আভাস কুমার গঙ্গোপাধ্যায়
১৯) ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী’ গানটি কার লেখা? —-আব্দুল গফ্ফর চৌধুরী
২০) বাংলা তথা ভারতের প্রথম প্রাদেশিক ভাষার ব্যান্ড কোনটি ? – মহীনের ঘোড়াগুলি । দলনেতা—গৌতম চট্টোপাধ্যায়।
২১) ভাওয়াইয়া গানের বাদকদের কী নামে ডাকা হয় ? – বাউদিয়া ।
ভাওয়াইয়া গানের ভাষা—রাজবংশী।
২২) ভাটিয়ালি গানের উদ্ভব হয়েছিল – অবিভক্ত বাংলায়। জারি শব্দের অর্থ — ক্রন্দন।
২৩) বাংলা ভাষায় গজল রচনার পথিকৃত হলেন – অতুল প্রসাদ সেন
২৪) গণসংগীতের শ্রেষ্ঠ শিল্পী সলিল চৌধুরি ছিলেন একজন _ সুরকার। তিনি “কয়্যার” সঙ্গীতের প্রবর্তক। ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়ারের জয়যাত্রা শুরু হয় কার নেতৃত্বে – রুমা গুহঠাকুরতার।
২৫) অপেরা গানের প্রধান প্রচারক — মনোমোহন বসু।
২৬) ব্রতচারী গানের জনক _ গুরুসদয় দত্ত
২৭) বলো বলো বলো সবে – গানটি লিখেছেন– অতুলপ্রসাদ সেন। এছাড়াও–উঠগো ভারতলক্ষ্মী, হও ধরমেতে ধীর, মোদের গরব মোদের আশা। তুমি নির্মল কর—- রজনীকান্ত সেন।
২৮) জুড়ির গান প্রবর্তন করেন—– মদনমোহন চট্টোপাধ্যায়।
২৯) ভারতীয় সঙ্গীত সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন —- জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৩০) আমরা করব জয় ( We shall overcome) গানের রচয়িতা—– শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাঙালির চিত্রকলা :
১) বাংলার প্রাচীনতম ছবির নিদর্শন —- অষ্টসহস্রিকা- প্রজ্ঞাপারমিতা। ৯৮৩ খ্রিস্টাব্দ পাল আমল।
২) নন্দলাল বসু যাঁর গ্রন্থে একেছেন , তিনি হলেন—-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (সহজপাঠ)
৩) বাংলা লোকসাহিত্যে বিশেষভাবে বিকশিত চিত্র হল – পটচিত্র
৪) অস্বচ্ছ জলরঙের আঁকা ছবিকে বলে — গুয়াশ।
৫) তেলেঙ্গানার কৃষক বিদ্রোহের ছবি এঁকেছেন—-চিওপ্রসাদ ভটাচার্য
৬) ” পট ” শব্দটির আভিধানিক অর্থ কী—– ছবি। কালীঘাট পট —উনিশ শতক।
৭) কলকাতায় প্রথম আর্ট গ্যালারি প্রতিষ্ঠিত হয় কার উদ্যোগে——হেনরিহোভার লক
৮) ” কলাভবন ” প্রতিষ্ঠাত করে কাকে রবীন্দ্রনাথ তার আর্চায করে নিয়ে আসেন— নন্দলাল বসু
৯) রবীন্দ্রনাথের ” সহজ পাঠ ” গ্রন্থের অলংকরণ করেন——নন্দলাল বসু
১০) চলমান গান্ধীজি কে লাঠি হাতে সাদা – কালোয় এঁকেছিলেন—- নন্দলাল বসু
১১) কৃষ্ণলীলা’ চিত্রকলার সিরিজ তৈরি করেন- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১২)পাশ্চাত্য রীতিতে চিত্রকলা শিক্ষার সূচনা হয়- –কলাভবনে
১৩) নন্দ লাল বসুর একজন কৃতী ছাত্র হলেন- –বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়
১৪) ভারতমাতা , অন্তিম শয্যায় শাহজাহান, কচ ও দেবযানী, অশোকের রানি, কাজরী নৃত্য–ছবিগুলি অঙ্কন করেছেন – অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।
১৫) মেকানিক্যাল ইন্সটিটিউট —- ১৮৩৯ সাল।
১৬) ব্যঙ্গচিত্র বা কার্টুন শিল্পী —– গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৭) পাণ্ডুলিপির কাটাকুটিতে খেলাচ্ছলে ছবি আঁকেন — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। (পূরবী কাব্যে)
১৮) বিশ্বভারতীর হিন্দি ভবনের দেওয়ালে আঁকা চিত্র — বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়। ছবিটি “মধ্যযুগের সন্তান” নামে পরিচিত। ৭৭ ফুট বিস্তৃত, ৮ ফুট চওড়া।
১৯) তরমুজ রসিক, বাবু, বড়ে গোলাম আলী ছবিগুলি আঁকেন — পরিতোষ সেন।
২০) “পদ্মায় সূর্যাস্ত” — গোবর্ধন আশ। “মা যশোদা”– সুনয়নী দেবী। ” হাটের পথে”— রামকিঙ্কর বেইজ।
বাংলা চলচ্চিত্রের কথা
১)সিনেমা প্রথম তৈরী হয় – ফ্রান্সে
২) বাংলায় সর্বপ্রথম নির্বাক চলচিত্র – রাজা হরিশচন্দ্র।
৩) বাংলায় সবাক ছবির যুগ শুরু হয়- —১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে।
৪) প্রথম বাংলা সবাক ছবি — জামাইষষ্ঠী। হিন্দিতে– আলম আরা।
৫) ভারতীয় চলচ্চিত্রে প্রথম তথ্যচিত্রকার — হীরালাল সেন।
৬) সত্যজিৎ রায়ের প্রথম ছবি – পথের পাঁচালি । মুক্তি পায় — ১৯৫৫ সালে।
৭)সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ চলচিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন- -পণ্ডিত রবিশঙ্কর
৮) রবীন্দ্রনাথের ‘নষ্টনীড়’ গল্প অবলম্বনে সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার নাম—-চারুলতা
৯) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে নাটকটিকে চলচ্চিত্রায়িত করেন —- নটীর পূজা।
১০) ‘ভুবনসোম’ সিনেমাটির পরিচালক হলেন- মৃণাল সেন
১১)ঋত্বিক ঘটকের প্রথম ছবি — নাগরিক। এছাড়াও মেঘে ঢাকা তারা, তিতাস একটি নদীর নাম, অযান্ত্রিক।
১২) প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যৈর সবাক বাংলা কাহিনী চিত্র– বিল্বমঙ্গল
১৩) উওম– সুচিত্রা জুটির প্রথম ছবির নাম কী– সাড়ে চুয়াত্তর। পরিচালক—- নির্মল দে।
১৪) ” উদয়ের পথে ” ‘ দো বিঘা জমিন ‘ চলচিত্র দুটির পরিচালক কে – বিমল রায়
১৫) মৃণাল সেনের প্রথম ছবি কী – রাতভোর। এছাড়া — নীল আকাশের নীচে, ভুবন সোম (হিন্দি)
১৬) ” কাবুলিওয়ালা ” ছবির পরিচালক—- তপন সিংহ। এছাড়া —হাঁসুলি বাঁকের উপকথা, সাগিনা মাহাতো, সবুজ দ্বীপের রাজা, বাঞ্ছারামের বাগান।
১৭) বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের জীবন অবলম্বনে তৈরি তথ্যচিত্র — The Inner Eye. (সত্যজিৎ রায়)
১৮) রয়্যাল বায়োস্কোপ কোম্পানি —-হীরালাল সেন ও মতিলাল সেন।
১৯) সিনেমা ও পরিচালক ——- ছিন্নমূল– নিমাই ঘোষ। সাড়ে চুয়াত্তর ——- নির্মল দে। পলাতক, বালিকা বধূ——- তরূণ মজুমদার। পরিবর্তন ——সত্যেন বসু। দেবদাস (১৯৩৫) —– প্রমথেশ বড়ুয়া।
ভুলি নাই —– হেমেন গুপ্ত। নতুন ইহুদি—- সলিল সেন
২০) প্রথম রঙিন ছবি —— পথে হল দেরি। (বিভূতি লাহা)
বাঙালির বিজ্ঞানচর্চা
১)বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন — সত্যেন্দ্রনাথ বসু।
২) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘বিশ্বপরিচয়’ গ্রন্থটি উৎসর্গ করেন– সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে।
৩) ‘বেঙ্গল ক্যামিক্যালস’ এর প্রতিষ্ঠাতা–প্রফুল্লচন্দ্র রায়
৪) ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্যা কালটিভিশন অফ সায়েন্স’ প্রতিষ্ঠা কার কীর্তি- –মহেন্দ্রলাল সরকার
৫) জগদীশচন্দ্র বসুর বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলায় বিখ্যাত গ্রন্থ হল— অব্যক্ত
৬) ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ প্রতিষ্ঠা করেন— জগদীশ চন্দ্র বসু। ১৯১৭সালে।
৭) ‘ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনসটিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করেন- –প্রশান্তচন্দ্র মহনানবিশ
৮)‘বাঙ্গালির মস্তিষ্ক ও তাহার অপব্যাবহার’ গ্রন্থের লেখক কে – প্রফুল্লচন্দ্র রায়
৯) এদেশে প্লাস্টিক সার্জারির জনক — ডা. মুরারিমোহন মুখোপাধ্যায়।
১০) রাধানাথ শিকদার ছিলেন– হিন্দু কলেজের ছাত্র
১১) আমাদের দেশে প্রথম বাস্পীয় ইঞ্জিন নিমার্ণ করেন– গলোকচন্দ্র নন্দী
১২) ” বেঙ্গল কেমিক্যালস ” –এর প্রতিষ্ঠাতা– প্রফুল্লচন্দ্র রায়
১৩) কাকে ” ভারতীয় উদ্ভিদবিদ্যার জনক ” বলা হয় – উইলিয়াম রকসবাগ
১৪) ” এশিয়াটিক সোসাইটির ” প্রাণ পুরুষ ছিলেন– উলিয়াম জোনস
১৫) সর্ব প্রথম বাংলা মুদ্রা অক্ষর খোদাই করেন– পঞ্চানন কর্মকার
১৬) The Upper Atmosphere ” গ্রন্থের লেখক– শিশির কুমার মিত্র
১৭) প্রথম ভারতীয় দূরবীন নির্মাতা – নগেন্দ্রনাথ ধর
১৮) ‘বাংলার কীটপতঙ্গ’ গ্রন্থের রচয়িতা — গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য।
১৯) Auxiliary Table গ্রন্থটি রচনা করেন- চারুচন্দ্র ভট্টাচার্য
২০) প্রথম পঞ্জিকা প্রকাশিত হয়— ১৮৮৬ সালে।
বাঙালির ক্রীড়াসংস্কৃতি
১) ‘ক্রিকেট খেলা’ বইটির লেখক — সারদারঞ্জন রায়চৌধুরী ( বাংলা ক্রিকেটের জনক) ।
২) ‘গোল’ বইটির লেখক — ধ্যানচাঁদ (হকির জাদুকর)।
৩)প্রথম বাঙালি সাঁতারু – মিহির সেন । বুলা চৌধুরী যে খেলার সাথে যুক্ত— সাঁতার
৪) ভারতবর্ষে হকি ক্লাবটি গড়ে উঠেছিল – কলকাতায়
৫) যতীন্দ্রচরণ গুহ (গোবর গুহ) কোন খেলার সঙ্গে যুক্ত –কুস্তি
৬) গোষ্ঠ পাল যে খেলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন— ফুটবল
৭) মোহনবাগান ক্লাব–১৮৮৯. ইস্টবেঙ্গল ক্লাব –১৯২০.
৮) কোন বাঙালি ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ও বিখ্যাত ক্রিকেটার – সৌরভে গঙ্গোপাধ্যায়
৯) ভারতীয় ফুটবল খেলার ইতিহাসে এক চিরস্মরনীয় ব্যক্তিত্ব হলেন – নগেন্দ্র প্রসাদ
১০) শিলিগুড়ির টেবিল টেনিসের দ্রোণাচার্য বলা হয় —- ভারতী ঘোষকে।
১১। বেঙ্গল টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশন গড়ে ওঠে-
ক)১৯৩৪ খ)১৯৪০ গ)১৯৫০ ঘ)১৯৫২
উত্তর: ক) ১৯৩৪
১২। ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস ‘ গড়ে তোলেন-
ক)প্রিয়নাথ বসু খ) মনমোহন বসু গ)লক্ষ্মীনারায়ণ সরকার ঘ)সুনীল নন্দী
উত্তর: ক) প্রিয়নাথ বসু
১৩। বাংলাদেশে আধুনিক ম্যাজিকের জনক কে ?
উত্তর: গণপতি চক্রবর্তী
১৪। বাঙালির প্রথম সার্কাসের নাম কী ?
উত্তর: ন্যাশনাল সার্কাস
১৫। পৌলমী ঘটক ও অঙ্কিতা দাস কোন খেলার সঙ্গে যুক্ত?
উত্তর: টেবিল টেনিস
১৬। দাবা খেলায় আমাদের রাজ্য থেকে প্রথম গ্র্যান্ড মাস্টার কে হন?
উত্তর: দিব্যেন্দু বড়ুয়া
১৭। দোলা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় কোন খেলার সঙ্গে যুক্ত ?
উত্তর: তিরন্দাজি
১৮। টেবিল টেনিসের অপর নাম কী?
উত্তর: পিংপং
১৯। যে স্থানে কুস্তি সংঘটিত হয় সেই স্থানকে কী বলা হয় ?
উত্তর: আখড়া
২০। বাঙালি প্রথম ফুটবল ক্লাব কোনটি ?
উত্তর: শোভাবাজার ক্লাব
ভাষাবিজ্ঞান :
১। একই পদ পাশাপাশি দুবার বসার প্রক্রিয়াকে বলে — পদদ্বৈত। যেমন -চুপিচুপি।
২। গঠন অনুসারে বাক্য সাধারনত –- প্রকার উ–. তিন । সরল বাক্য, যৌগিক বাক্য ও জটিল বাক্য।
৩। ‘থিসরাস’ শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ হল — উ- রত্নাগার
৪। ‘প্রত্যয় দু প্রকার — কৃৎ প্রত্যয় ও তদ্ধিত প্রত্যয়। ভুজ+অন’= ভোজন’ এটি কৃৎ প্রত্যয়ের উদাহরণ। চালাক+ই এটি তদ্ধিত প্রত্যয়।
৫। বিলাতি>বিলিতি ধ্বনি পরিবর্তনের কোন নিয়ম কাজ করেছে – উ- স্বরসংগতি
৬। ‘Style is the man himself’ কথাটি বলেছেন- উ-আরি বুফো
৭। তুলনামুলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত করেছিলেন- উ- স্যার উইলিয়াম জোনস
৮। সংস্কৃত ভাষায় লিখিত থিসরাস হল- অমর কোষ
৯। বাংলা মৌলিক স্বরধ্বনির সংখ্যা- ৭ টি (অ, আ, ই, উ,এ, ও, অ্যা)
১০। স্বাধীন রূপমূলের উদাহরন হল- মানুষ, ফুল, গন্ধ, দেশ, ছেলে, তামা ইত্যাদি।
১১। বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান আলোচনা করে- উ- ক.সমকালীন ভাষার গঠন রীতি নিয়ে
১২। ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের কাজ— বিবর্তনের ফলে ভাষার পরিবর্তন নিয়ে অনুসন্ধান।
১৩। ঐ,‘ঔ’ বর্ণদুটি –যৌগিক স্বর, আ –কেন্দ্রীয় স্বরধ্বনি।
১৪। ‘অন্ন’ শব্দটির আদি অর্থ ‘খাদ্য’ পরিবর্তিত অর্থ ‘ভাত’- এটি শব্দার্থ পরিবর্তনের কোন নিয়ম কাজ করেছে- উ- অর্থের সংকোচ
১৫। কালি শব্দের আদি অর্থ কালো রঙের তরল বস্তু। কিন্তু বর্তমান অর্থ যেকোনো রঙের কালি। এটি শব্দার্থ পরিবর্তনের কোন ধারা — শব্দার্থের প্রসার।
১৬। এরোপ্লেন>প্লেন, মাইক্রোফোন>মাইক, টেলিফোন>ফোন, ছোটোকাকা>ছোটকা— সংক্ষেপিত পদ বা ক্লিপিংস।
১৭। “যে লঙ্কায় যায় সে রাবন হয়”-এটি কোন বাক্যের উদাহরন – .জটিল
১৮। ব্যাখ্যামূলক সমাসের উদাহরণ — মহাকবি, গায়েহলুদ, গোলাপলাল, মিশ-কালো। বর্ণনামূলক সমাস– চন্দ্রমুখী, ক্ষুরধার, হাতাহাতি।
১৯। রূপমূল বলতে বোঝায় – উ- .ভাষার ক্ষুদ্রতম অর্থপূর্ণ একক
২০। রুপিম বা রূপমূল মূলত – উ- .দুই প্রকার । স্বাধীন রূপমূল ও পরাধীন রূপমূল।
২১। সমাজভাষাবিজ্ঞানের মূলভাগ ক’টি? উ- ক.তিনটি
২২। বাগধ্বনি প্রধানত দু-ধরণের– বিভাজ্য ধ্বনি ও অবিভাজ্য ধ্বনি।
২৩। বিভাজ্য ধ্বনির দুটি ভাগ — স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি। দৈঘ্য, শ্বাসাঘাত, যতি ও সুরতরঙ্গ– অবিভাজ্য ধ্বনি।
২৪। VIP,BBC,DM শব্দগুলো হল – উ- মুণ্ডমাল শব্দ
২৫। ‘ঝি’ শব্দের আদি অর্থ ‘মেয়ে’ বর্তমান অর্থ ‘কাজের মেয়ে’। এটি কোন ধরণের পরিবর্তন- উ- অর্থের অবনতি
২৬। ‘Dictionarius’ শব্দটি প্রথম ব্যাবহার করেন- উ- জন গারল্যান্ড
২৭।খণ্ড ধ্বনির অপর নাম — বিভাজ্য ধ্বনি।
২৮। মস্তিষ্ককে ভাষা শেখার যন্ত্র বলেছেন—-নোয়াম চমস্কি
২৯। অনেক সময় ‘পদের আদিতে বসা তদ্ধিত প্রত্যয়’ বলা হয়- উ- উপসর্গকে
৩০। ভাষাজ্ঞানকে নিয়ম মেনে একটি ভাষাকৌমের প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা মানুষ যা প্রকাশ করে তাকে বলে- ল্যাড।
৩১। বাক্যের ‘অব্যবহিত উপাদান’ বিশ্লেষণের কথা প্রথম বলেন — লেওনার্দ ব্লুমফিল্ড।
৩২। খণ্ডধ্বনির অপর নাম- উ- ক.বিভাজ্য ধ্বনি
৩৩। ভাষা ও সমাজের পারম্পরিক সম্পর্কের বিষয় হল— সমাজভাষাবিজ্ঞান
৩৪। ‘লাঙ’ এবং ‘পারোল’ তত্ত্বের প্রবক্তা — স্যোসুর।
৩৫। ভাষার সঙ্গে মস্তিষ্কের সম্পর্ক এবং ভাষার ব্যবহারগত সমস্যা আলোচনা করে—-স্নায়ু ভাষাবিজ্ঞান।
৩৬। Phonology শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হল—-ধ্বনিতত্ত্ব। রূপতত্ত্ব– Morphology. বাক্যতত্ত্ব– Syntax. শব্দার্থতত্ত্ব– Semantics. ধ্বনিবিজ্ঞান — Phonetics. Allomorph– সহরূপমূল।
৩৭। মিশ্ররূপমূল– গঙ্গাফড়িং, মৃত্যুদণ্ড, শাসনকাল। ৩৮। জটিল রূপমূল — জাতীয়তাবাদ, অসহযোগিতা, কুসংস্কারগ্রস্ত।
৩৯। ‘র’ ধ্বনিটি হল—কম্পিত। ড়, ঢ়– তাড়িত। ল –পার্শ্বিক। ঊষ্মধ্বনি–শ্, ষ্।
৪০। ‘পদগুছের সংগঠন’ তত্ত্বের প্রবক্তা- নোয়াম চমস্কি।
৪১। পাশাপাশি উচ্চারিত দুটি ব্যঞ্জনধ্বনির সমাবেশকে বলে—গুছধ্বনি।
৪২। প্রত্যেকটি শব্দের শুধুমাত্র প্রথম ধ্বনিগুলির সমাবেশ যখন একটি শব্দ তৈরি হয়, তখন তাকে বলে—মুণ্ডমাল শব্দ। যেমন -VIP.
৪৩। ন্যূনতম শব্দজোড়ের শব্দদুটি হওয়া চাই — একটি ভাষার।
৪৪। ভারতে অভিধান রচনার সূত্রপাত — যাস্কের নিরুক্ত থেকে।
৪৫। অর্থের পার্থক্য সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত একক — স্বনিম।
৪৬। বাংলার যে পদের কোনো রূপবৈচিত্র্য নেই তা হল — অব্যয়।
৪৭। ভাষার শব্দ নির্মাণের শাস্ত্রকে বলে — রূপতত্ত্ব।
৪৮। বাক্যে সুরের ওঠাপড়াকে বলে — সুরতরঙ্গ।
৪৯। আলাপ, বিলাপ, প্রলাপ, সংলাপ — এই শব্দগুলির লাপ অংশটি হল — ক্যানবেরি রূপমূল।
৫০। ‘কুমোর’, ‘গাং’, ‘পরশু’— শব্দার্থের প্রসার। ‘মৃগ’, ‘প্রদীপ’— শব্দার্থের সংকোচ। ‘কলম’, ‘গবেষণা’ — শব্দার্থের রূপান্তর।