কারক | প্রশ্নোত্তরে কারক| ব্যাকরণ|BanglaSahayak.com

   প্রশ্নোত্তরে  কারক



১। “ক্রিয়ান্বয়ী কারকম্” কথাটি কে বলেছেন?

উত্তর: “ক্রিয়ান্বয়ী কারকম্” কথাটি বলেছেন  পাণিনি।


২। কারক কথাটির ব্যুৎপত্তি বা প্রত্যয় কী ?

উত্তর:  কারক কথাটির ব্যুৎপত্তি বা প্রত্যয় হল –  √কৃ+ণক্ (অক্)


৩। কারক কথাটির আক্ষরিক অর্থ কী ?

উত্তর: কারক কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল  ‘যে করে’ বা “যিনি করেন”।


৪। কারক কাকে বলে?

উত্তর: বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে  নামপদের সম্পর্ককে  কারক বলে ।


৫। অকারক কাকে বলে ?

উত্তর:  ক্রিয়াপদের সঙ্গে যে পদের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক থাকে না তাকে অকারক বলে।


৬। অকারক কয়টি ও কী কী ?

উত্তর : অকারক দুটি। যথা – সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ। 


৭। বিভক্তি কাকে বলে?

উত্তর: যে সব বর্ণ বা বর্ণগুচ্ছ শব্দ ও ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে  পদ গঠন করে , তাকে বিভক্তি বলে।


৮। বিভক্তি শব্দের অর্থ কী ?

উত্তর: বিভক্তি শব্দের অর্থ বিভাজন।


৯। বিভক্তি শব্দের ব্যুৎপত্তি কী ?

উত্তর :  বিভক্তি শব্দের ব্যুৎপত্তি হল-  বি-ভজ্+তি


১০।  তির্যক বিভক্তি কাকে বলে?

উত্তর: যে বিভক্তি সব কারকেই ব্যবহৃত হয়  তাকে তির্যক বিভক্তি বলে।

যেমন -এ বিভক্তি।

১১। বিভক্তি প্রধান কারক কোনগুলি?

উত্তর: কর্তৃৃকারক,  কর্ম কারক  ও অধিকরণ কারক,  এই তিনটি কারক হল বিভক্তি প্রধান কারক।


১২। শব্দ বিভক্তি কাকে বলে? উদাহরণ দাও। 

উত্তর: যে বিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয় তাকে শব্দ বিভক্তি বলে।

উদাহরণ: বনে থাকে বাঘ।


১৩। শূন্য বিভক্তি কাকে বলে ?

উত্তর: যে সব বিভক্তি শব্দকে পদে পরিণত করে নিজে অপ্রকাশিত থাকে তাকে শূন্য বিভক্তি বলে।


১৪। অনুসর্গ কাকে বলে?

উত্তর: যেসব অব্যয় বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে বসে বিভক্তির কাজ করে তাকে অনুসর্গ বলে।


১৫। বিভক্তি ও অনুসর্গের মধ্যে একটি পার্থক্য লেখো। 

উত্তর: বিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বসে।

অনুসর্গ শব্দের পরে আলাদাভাবে বসে।


১৬। বিভক্তি ও অনুসর্গের মধ্যে সাদৃশ্য কোথায়?

উত্তর: ১. বিভক্তি বহুক্ষেত্রে কারককে চিহ্নিত করে। অনুসর্গও বহুক্ষেত্রে কারককে চিহ্নিত করে।

    ২. বিভক্তি শব্দের পরেই বসে।কিছু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্র ছাড়া অনুসর্গও শব্দের পরেই বসে।


১৭। অনুসর্গ প্রধান কারক কোনগুলি?

উত্তর: করণ, নিমিত্ত ও অপাদান কারক হল অনুসর্গ প্রধান কারক।


১৮। অনুসর্গের অপর নাম কী?

উত্তর- কর্মপ্রবচনীয়, পরসর্গ, সম্বন্ধীয়


১৯। ক্রিয়াজাত অনুসর্গের উদাহরণ দাও।

উত্তর- চেয়ে, থেকে, দিয়ে, দিয়া, হ‌ইতে, হতে, করে 


২০। নির্দেশক কাকে বলে? 

উত্তর: যে বর্ণ বা বর্ণগুচ্ছ শব্দ বা পদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বচন নির্দেশ করে ও নির্দিষ্টতা প্রকাশ করে তাকে নির্দেশক বলে। 


২১। নির্দেশক কয় প্রকার?

উত্তর: নির্দেশক দুই প্রকার: পদাশ্রিত নির্দেশক ও শব্দাশ্রিত নির্দেশক।


২২। বিভক্তি ও নির্দেশকের পার্থক্য কী?

উত্তর: বিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দকে পদে পরিণত করে। 

নির্দেশক শব্দ বা পদের সাথে যুক্ত হয়ে বচন নির্দেশ করে ও নির্দিষ্টতা প্রকাশ করে।


২৩। প্রযোজক কর্তা কাকে বলে ?

উত্তর — যে কর্তা নিজে কাজ না করে অন্যকে দিয়ে কাজ করায় তাকে প্রযোজক কর্তা বলে।

উদাহরণ — মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছে।

-এখানে ‘মা’ প্রযোজক কর্তা।



২৪।  প্রযোজ্য কর্তা কাকে বলে ?

উত্তর- অন্যের প্রেরণায় যে কর্তা কাজ করে তাকে প্রযোজ্য কর্তা বলে ।

উদাহরণ– মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছে। এখানে ‘ শিশু’ প্রযোজ্য কর্তা।


২৫। ব্যতিহার কর্তা কাকে বলে?

উত্তর — যখন দুটি কর্তার মাঝে পারস্পরিক ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়া বোঝায় তখন তাকে ব্যতিহার কর্তা বলে।

উদাহরণ– পণ্ডিতে পণ্ডিতে তর্ক করে।- এখানে  ‘পণ্ডিতে পণ্ডিতে’ ব্যতিহার কর্তা।


২৬।  সহযোগী কর্তা কাকে বলে ?

উত্তর– দুটি কর্তার মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ক্রিয়া সম্পাদন হলে তাকে সহযোগী কর্তা বলে।

উদাহরণ– বাঘে-গোরুতে একঘাটে জল খায়।


২৭। সহযোগী ও ব্যতিহার কর্তার মধ্যে একটি পার্থক্য লেখো। 

উত্তর: ১. দুই কর্তার মধ্যে সহযোগিতার ভাব বোঝায়। দুই কর্তার মধ্যে পারস্পরিক ভাব বোঝায়।


২৮। অনুক্ত কর্তা কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।

উত্তর: কর্মবাচ্যে ও ভাববাচ্যে কর্তার সঙ্গে ক্রিয়ার সরাসরি সম্পর্ক না থাকায় কর্তা উহ্য বা অনুক্ত হয়ে পড়ে তখন সেই কর্তাকে অনুক্ত কর্তা বলে।

উদাহরণ:  আমার যাওয়া হবে না।


২৯। সমধাতুজ কর্তা কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।

উত্তর: কর্তা এবং ক্রিয়া এক‌ই ধাতু থেকে উৎপন্ন হলে তাকে সমধাতুজ কর্তা বলে।

উদাহরণ : পড়ুয়ারা পড়ছে। খেলোয়াড় খেলছে। 


৩০। নিরপেক্ষ কর্তা কাকে বলে?  উদাহরণ দাও।

উত্তর: এক‌ই বাক্যে সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা থাকলে অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তাকে নিরপেক্ষ কর্তা বলে।

উদাহরণ : সূর্য উঠলে পদ্মফুল ফোটে।


৩১। মুখ্য কর্ম কাকে বলে?

উত্তর: এক‌ই ক্রিয়ার দুটি কর্মের মধ্যে একটি জড়বাচক ও অন্যটি প্রাণীবাচক হলে জড়াবাচক কর্মটিকে মুখ্য কর্ম বলে।


৩২। গৌণ কর্ম কাকে বলে?

উত্তর: এক‌ই ক্রিয়ার দুটি কর্মের মধ্যে একটি জড়বাচক ও অন্যটি প্রাণীবাচক হলে প্রাণীবাচক কর্মটিকে গৌণ কর্ম বলে।


৩৩। সমধাতুজ কর্ম কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।

উত্তর: ক্রিয়া এবং কর্ম এক‌ই ধাতু থেকে উৎপন্ন হলে তাকে সমধাতুজ কর্ম বলে।

উদাহরণ : বিরাট দারুণ খেলা খেলল


৩৪। করণের বীপ্সার একটি উদাহরন দাও।

উত্তর: তারায় তারায় গগণ পূর্ণ হল।


৩৫। সমধাতুজ করণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও। 

উত্তর: কোনো ক্রিয়া যে ধাতু থেকে সৃষ্ট, করণকারকটিও যদি সেই ধাতু নিষ্পন্ন হয়, তবে তাকে সমধাতুজ করণ বলে।

উদাহরণ: মায়ার বাঁধনে বেঁধেছ মোরে।

               বড়ো জ্বালায় জ্বলছি।


৩৬। লক্ষণাত্মক করণের উদাহরণ দাও।

উত্তর: শিকারী বেড়াল গোঁফে চেনা যায়।


৩৭। তুলনাবাচক অপাদানের উদাহরণ দাও।

উত্তর: রামের চেয়ে শ্যাম বড়ো।


৩৮। অপাদান কারকে ‘এ’ বিভক্তির প্রয়োগ দেখাও।

উঃ- কালো মেঘে বৃষ্টি হয়।


৩৯। অপাদান কারকে ‘য়’ বিভক্তির প্রয়োগ দেখাও।

উত্তর : রাজকন্যা সোনার থালায় খান।


৪০। তিলে তেল হয়। ‘তিলে’ কোন কারক?

উঃ – অপাদান কারক।


৪১। অধিকরণ কারক কয় প্রকার ও কী কী ?

উত্তর: অধিকরণ কারক ৩ প্রকার। যথা- স্থানাধিকরণ, কালাধিকরণ ও বিষয়াধিকরণ।


৪২। তিলে তেল আছে। ‘তিলে’ কোন কারক?

উঃ – অধিকরণ কারক।


৪৩। সম্বন্ধ পদকে  অকারক বলা হয় কেন?

উঃ- সম্বন্ধ পদের সাথে ক্রিয়া পদের সরাসরি সম্পর্ক থাকে না, তাই এদের কারক বলা যায় না।


৪৪। সম্বোধন পদ কারক নয় কেন  ?

সম্বোধন পদের সাথে ক্রিয়া পদের সরাসরি সম্পর্ক থাকে না, তাই সম্বোধন পদ কারক নয়।


৪৫। কর্মে বীপ্সার একটি উদাহরন দাও। 

উত্তর- জনে জনে ডেকে বললাম।


৪৬। টি,টা,খানা,খানি – বিভক্তির মতো কাজ করলেও এদের কী বলা হয় ?

উত্তর- নির্দেশক। 


৪৭। তুমি এলে আমি যাব – তুমি কোন কর্তার উদাহরণ?

উত্তর- নিরপেক্ষ কর্তা।


৪৮। কী ঘুমই না ঘুমালাম- ঘুম এখানে কী ?

উত্তর- সমধাতুজ কর্ম। 


৪৯। ধাতু বিভক্তির অপর নাম কী ?

উত্তর- ক্রিয়াবিভক্তি।


৫০। কোন কারকে সাধারণত অনুসর্গ ব্যবহৃত হয় না ?

উত্তর: কর্মকারক। 



Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top