১. “… এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা।”-কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে?
▶ ছোটোমাসি আর মেসোমশাইয়ের সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে তপনদের বাড়িতে আসার কথা বলা হয়েছে।
২. “বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের।”-কেন তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে?
▶ তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা ছোটোমাসি আর মেসোমশাইয়ের কাছে সন্ধ্যাতারা পত্রিকাটি দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে, কারণ তাতেই তার গল্প প্রকাশের কথা ছিল।
৩. “পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?”-কোন্ ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে?
▶ ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত তপনের গল্প হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘুরবে, এই ঘটনাকেই অলৌকিক বলা হয়েছে।
৪. “তা ঘটেছে, সত্যিই ঘটেছে।”-কী ঘটেছে?
▶ তপনের নিজের লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপা হয়েছে এই ঘটনাই ঘটেছে।
৫. তপনের লেখা গল্পটির নাম কী?
▶ তপনের লেখা গল্পটির নাম ‘প্রথম দিন’।
৬. “সূচিপত্রেও নাম রয়েছে।”- সেখানে কী লেখা ছিল?
▶ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সূচিপত্রে লেখা ছিল-‘প্রথম দিন’ (গল্প) শ্রীতপন কুমার রায়।
৭. “সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়”-এই শোরগোলের কারণ কী ছিল?
▶ সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল কারণ সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপা হয়েছিল।
৮. “ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে।”-কোন্ কথাটা?
• তপনের গল্প কাঁচা লেখা হওয়ায় তাতে একটু-আধটু কারেকশান করতে হয়েছে-তপনের মেসোমশাইয়ের এই কথাটা সারা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।
৯. “আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম।”-কোন্ চেষ্টার কথা বলা হয়েছে?
• তপনের মেজোকাকু বলেছিলেন যে তপনের মেসোমশাইয়ের মতো কেউ থাকলে তাঁরাও গল্প লেখার চেষ্টা করতেন।
১০. “তপন আর পড়তে পারে না।”-কেন তপন আর পড়তে পারে না?
• নিজের প্রকাশিত গল্প পড়তে গিয়ে তপন যখন দেখে মেসোমশাই তার পুরোটাই কারেকশান করে দিয়েছেন, তখনই সে আর পড়তে পারে না।
১১. “আর কখনো শুনতে না হয়-” কাকে কী শুনতে না হয়?
▶ তপনকে যেন আর কখনও শুনতে না হয় যে, অন্য কেউ তপনের লেখা গল্প ছাপিয়ে দিয়েছে।
১২. “যদি কখনো লেখা ছাপতে দেয় তো, তপন নিজে গিয়ে দেবে।”-তপনের এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী?
▶ সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তার নামে প্রকাশিত গল্পটির সঙ্গে তপন নিজের মূল লেখাটির কোনো মিল পায়নি বলেই তার এমন সিদ্ধান্ত।
১৩. “গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।” -উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত হতে না পারার কারণ কী?
▶ তপনের প্রথম গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপা হলে তার মেসোমশাইয়ের কৃতিত্বের কথাই বড়ো হয়ে ওঠে। তাই তপন আহ্লাদিত হতে পারে না।
উত্তরঃ এক জায়গায় বসে তপনের একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলার প্রসঙ্গে উপরোক্ত মন্তব্যটি করা হয়েছে।
১৫. “যেন নেশায় পেয়েছে!”—এখানে কোন্ নেশার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ তপনের গল্প লেখার নিরলস চেষ্টার কথা এখানে বলা হয়েছে। হোম টাস্ক ফেলে রেখে, লুকিয়ে লুকিয়েও সে গল্প লিখে গেছে।
১৬. “শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন”—তপনের সংকল্প কী ছিল ?
উত্তরঃ তপন সংকল্প করেছিল যে, যদি কখনো লেখা ছাপাতে হয়, তাহলে তপন নিজে গিয়ে তা পত্রিকার অফিসে জমা দেবে।
১৭. কেন তপন হঠাৎ একটা ভয়ানক উত্তেজনা অনুভব করেছিল ?
উত্তরঃ গ্রীষ্মের নিথর দুপুরে সিঁড়িতে নিরিবিলিতে একাসনে বসে একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে তপন। সেটা পড়ার পরে ভয়ানক উত্তেজনায় তপন লেখক হয়ে ওঠার অনুভূতি অনুভব করেছিল।
১৮. “কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল।”—কোন্ কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল?
উত্তরঃ তপনের মেসোমশাই একজন লেখক, তিনি নাকি বই লেখেন -একথা
শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল।
উত্তরঃ লেখালেখি ছাড়া তপনের নতুন মেসো কলেজের একজন অধ্যাপক।
২০. “তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন” —দিনটিতে কোন্ উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছিল?
উত্তরঃ তপনের লেখক মেসো তপনের লেখা গল্পটি সংশোধনের নামে নতুন করে লিখেছিলেন। এই ঘটনায় ব্যথিত তপনের মনে হয়েছিল, আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর : [ প্রশ্নের মান-৩]
১. “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের।”—কোন বিষয়ে কেন তপনের সন্দেহ ছিল ?
উত্তরঃ তপনের সন্দেহ নিরশন : আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু নামক গল্প থেকে অংশটি গৃহীত হয়েছে। তপন জানত না যে, লেখকরা তার বাবা, কাকা কিংবা মামার মতো একজন সাধারণ মানুষ। তার সন্দেহ দূর হয় ছোটো মেসোমশাইকে দেখে। তিনি একজন লেখক। কিন্তু অন্য সাধারণ মানুষের মতো দাড়ি কামান। সিগারেট খান, খাবার অতিরিক্ত হলে ফিরিয়ে দেন, স্নান করেন, ঘুমোন। এমনকি আর সকলের মতো খবরের কাগজের খবর নিয়ে গল্প কিংবা তর্ক করেন। অবসর সময়ে সিনেমা দেখেন কিংবা বেড়াতেও বের হন। এসব দেখে তপনের সন্দেহ দূর হয় ও সে বিশ্বাস করে লেখকরাও সাধারণ মানুষ।
২. রত্নের মূল্য জহুরির কাছে। রত্ন এবং জহুরি বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ রত্ন ও জহুরি : আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু নামাঙ্কিত গল্পে রত্ন বলতে তপনের লেখা গল্পটিকে এবং জহুরি বলতে তপনের ছোটো মেসোকে বোঝানো হয়েছে।
তপন যে গল্পটি লিখেছিল তা দেখে তার ছোটো মাসি যথেষ্ট ভালো বললেও প্রকৃত বিচারকের রায় দরকার ছিল তপনের। আর এই বিষয়ে লেখক হিসাবে পরিচিত তার ছোটোমেসো যে যোগ্য ব্যক্তি তাতে কারো সন্দেহ থাকতে পারে না। তাই রত্নের মূল্য ও গুরুত্ব যেমন একজন জহুরি সবথেকে ভালো বোঝেন। তেমনই তপনের গল্পের কদরও ছোটোমেসোই বুঝতে পারবে।
৩. তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনে সবচেয়ে দুঃখের দিন। কী কারণে তপনের এরূপ মনে হয়েছিল ?
উত্তরঃ তপনের মনে হওয়ার কারণ : তপনের প্রথম লেখা গল্পটি নতুন মেসোমশাই-এর সুপারিশে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। ছাপা গল্পটি পাঠ করে তপন। অবাক হয়ে যায়। কারণ তার নতুন মেসোমশাই গল্পটিকে ঠিকঠাক করতে গিয়ে সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছেন। ছাপানো গল্পের মধ্যে তপন নিজেকে খুঁজে পায় না। তার মনে হয় অন্য কারোর লেখা ছাপা হয়েছে। শ্রী তপন কুমার রায় নাম দিয়ে। নিজের সৃষ্টিকে পরিবর্তিত হতে দেখে তপনের মন বেদনায় ভরে ওঠে।
৪. ‘শুধু এ দুঃখের মুহর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন।” কোন দুঃখের মুহুর্তের কথা বলা হয়েছে। তপন কী সংকল্প নিয়েছিল ?
উত্তরঃ দুঃখের মুহূর্ত : সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় নিজের ছাপা গল্প পড়তে গিয়ে যখন তপন বুঝল গল্পটি ছোটো মেসোমশাই আগাগোড়া কারেকশান করে দিয়েছেন। নিজের গল্পে নিজেকে না পেয়ে তপন খুব দুঃখ পেয়েছিল।
তপনের সংকল্প :এই দুঃখের মুহূর্তে তপন সংকল্প করে, যদি কখনো নিজের লেখা ছাপতে দেয়, তবে কারো মাধ্যমে নয়, নিজে গিয়ে পত্রিকা অফিসে দিয়ে আসবে। যদি তাতে তার গল্প ছাপা না হয় তবুও। কারণ কেউ সুপারিশ করে তার লেখা ছেপে দিয়েছে এমন কথা যেমন অপমানের, তেমনই কষ্টের। নিজের লেখা পড়তে গিয়ে অন্যের লেখা পড়া খুবই কষ্টকর।
৫. “ক্রমশ ও কথাটা ছড়িয়ে পড়ে।”—কোন কথা, ওই কথা ছড়িয়ে পড়ায় কী ঘটেছিল?
উত্তরঃ কারেকশানের কথা : সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত তপনের গল্পটি ছোটো মেসোমশাই কারেকশান করে দিয়েছিলেন—এই কথাটা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে বাড়িতে।
মেসোর মহত্ত্বের কথা : ছোটো মেসোমশাই-এর কারেকশানের কথা বাড়ির সবাই জেনে গেলে তপনের গল্প লেখার কৃতিত্ব খানিকটা কমে যায়। তপনের বাবা, কাকা, ছোটো মেসোমশাই-এর হাতের ছোঁয়াকে বেশি গুরুত্ব দিতে চান। সেদিন পারিবারিক আলোচনায় তপনের গল্পের কথা উঠলেও নতুন মেসোর মহত্ত্বের কথাই বেশি আলোচিত হয় ।
ফলে লেখা প্রকাশের যে আনন্দ তা তপন খুঁজে পায় না।
৬. “বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের”—কখন এবং কেন তপনের এরকম অনুভূত হয়েছিল?
উত্তরঃ তপনের অনুভূতি : পুজোর ছুটির অনেকদিন পর ছোটোমাসি আর মেসোমশাই হাতে একখানা সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে তপনদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। সেই দিন তপনের এইরকম অনুভূতি হয়েছিল।
গল্প লেখা এবং প্রকাশ সম্পর্কে তপনের দারুণ কৌতুহল ছিল। তাই ছােটো মেসোমশাই তার লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপানোর জন্য যখন নিয়ে গিয়েছিলেন তখন তপন আনন্দিত হয়।শুরু হয় তপনের দিন গোনা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর গল্প প্রকাশের আশা ছেড়ে দিয়েছিল। ঠিক এই সময় ছোটো মাসি আর মেসোমশাই সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে তাদের বাড়িতে আসায় তার গল্প প্রকাশের আবেগ ও উৎকণ্ঠায় তপনের এরকম অনুভূতি হয়েছিল।
৭. পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে, কার মধ্যে কেন এমন ভাবনার উদয় হয়েছিল ?
উত্তরঃ ভাবনার উদয় : গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের মধ্যে এমন ভাবনার উদয় হয়েছিল। তপনের লেখা গল্প ছাপা হয়ে প্রকাশিত হবে। এটা ছিল তপনের কাছে কল্পনার অতীত। ফলে মেসোর হাতে সন্ধ্যাতারা পত্রিকা দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে। তবে কী সত্যিই তার গল্প ছাপা হয়েছে এবং সে লেখা হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘুরবে। তপনের কাছে এটা একটা অলৌকিক ঘটনা বলে মনে হয়।
৮. ‘যেন নেশায় পেয়েছে’-কীসের নেশা, কীভাবে তাকে নেশায় পেয়েছে?
উত্তরঃ লেখার নেশা : আশাপূর্ণা দেবীর জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের গল্প লেখার নেশার কথা বলা হয়েছে।
লেখার প্রতি আসক্তি : তপন একজন সাহিত্য প্রেমী বালক। গল্প লেখা ও সেগুলি ছাপা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে তার প্রচণ্ড কৌতূহল ছিল। মাসির বিয়ের পর লেখক মেসোমশাইকে খুব কাছ থেকে দেখতে পায় এবং গল্প লেখার রহস্যও তার কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়। তপন একটি গল্প লিখে ছোটোমাসিকে দেখালে মাসি সেটা মেসোমশাইকে দেখায়। তখন তিন সেটা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এতে আরও উৎসাহিত হয়ে তপন একের পর এক গল্প লেখার নেশায় মগ্নহয়ে ওঠে।
৯. ‘সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়’—সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তরঃ শোরগোল পড়ে যাওয়ার কারণ : প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে তপনের লেখা গল্প। ছেপে বেরোলে সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। জ্ঞানচক্ষু গল্পে দেখা যায়—তপনের কাচা হাতের গল্পটিকে মেসো সংশোধন করে নিজের প্রভাব খাটিয়ে সন্ধ্যাতারা সম্পাদককে দিয়ে প্রকাশ করিয়েছেন। জীবনের প্রথম গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হলে অনাবিল উত্তেজনায় তপন আনন্দে মাতোয়ারা হয়। আর সেই খবরে সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়।
১০. ‘এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা।”-কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপন মাসির বিয়েতে গিয়ে একটি গল্প লিখেছিল। মাসির অনুরোধে মেসো ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেটি নিয়ে বাড়ি চলে যান। ছুটি ফুরোনোর পরে অনেক দিন কেটে গেল, তপন অপেক্ষা করতে করতে নিরাশ হয়ে বিষণ্ণ মন নিয়ে বসে আছে। সেইসময় একদিন ছোটমাসি ও মেসো ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকাটি নিয়ে আসে। এই ঘটনার কথা বলা হয়েছে।
কমবেশি ১৫০ শব্দে উত্তর দাও :
রচনাধর্মী প্রশ্ন:
উত্তর: □ আলোচ্য অংশটি কথাশিল্পী আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত তপনের প্রথম গল্পটি যেদিন তার মায়ের কথায় তপন বাড়ির সকলকে পড়ে শোনায় সেদিন তপনের মনে এমন প্রতিক্রিয়া ঘটে।
□□ নতুন মেসোমশাইকে দেখে তপন জানতে পারে লেখকরাও একেবারে সাধারণ মানুষ। তখন তপনের মনে লেখক হওয়ার সাধ জাগে এবং লিখে ফেলে তার জীবনের প্রথম গল্পটি। লেখক মেসোমশাই গল্পটিকে একটু সংশোধন করে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপানোর প্রতিশ্রুতি দেয়। শুরু হয় তপনের দিন গোনা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর একসময় গল্পটি পত্রিকায় ছাপা হয়। ছাপার অক্ষরে নিজের লেখা গল্পকে তার অলৌকিক ঘটনা বলে মনে হয়। মনে হয় – “সত্যিই তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনটি এল আজ?” কিন্তু মেসো গল্পটি কারেকশন করে দিয়েছে বলে মেসোর মহত্ত্বের কথাই আলোচিত হতে থাকে। লেখা প্রকাশের যে আনন্দ তা তপন খুঁজে পায় না। তপনের অপমান তীব্রতর হয় যখন তপন লেখাটি পড়ে। তপন দেখে – ‘প্রত্যেকটি লাইন তো নতুন আনকোরা’। সংশোধনের নামে ছোটোমেসো গল্পটি পুরোটাই বদলে দিয়েছে। একদিকে ছোটোমেসোর মহত্ত্বের প্রচার আর অন্যদিকে নিজের লেখক সত্তার অপমানবোধে তপন আঘাত পায়। তাই যে দিনটি সবচেয়ে সুখের দিন হতে পারত সেই দিনটিই যন্ত্রণাকাতর দুঃখের দিন হিসেবে তার কাছে ধরা পড়ে।
নিজরা চেষ্টা করো :
৩) ” গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না। “- কোন গল্পের কথা বলা হয়েছে? আহ্লাদ খুঁজে না পাওয়ার কারণটি ব্যক্ত করো।
৫) “তপন আর পড়তে পারে না বোবার মতো বসে থাকে।” – তপনের এরকম অবস্থার কারণ কী?