প্রশ্ন : ধাঁধার বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। অন্তত দুটি ধাঁধার উদাহরণ দাও। (সংসদ বার্ষিক পরীক্ষা ২০১৫, ২০১৮] ৩+২=৫
অথবা, ধাঁধা বলতে কী বোঝ? ধাঁধার সঙ্গে শিক্ষা ও উপদেশ প্রদানের বিষয়টি কীভাবে জড়িত বুঝিয়ে দাও। ২+৩=৫
উত্তর: লোকসাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো ধাঁধা। যে-বাক্য দ্বারা একটিমাত্র ভাব রূপকের সাহায্যে জিজ্ঞাসার আকারে প্রকাশ করা হয়, তাকে ধাঁধা বলে। সংস্কৃতে প্রহেলিকা, হিন্দিতে পহেলি এবং বাংলায় হেঁয়ালি বলতে যা বোঝায় তাই হলো ধাঁধা।
ধাঁধার বৈশিষ্ট্য :
(১) সাধারণ শিক্ষার মাধ্যম : আপামর জনসাধারণের মনে জগৎ ও জীবনকে জানার কৌতূহল সৃষ্টি করে ধাঁধা।
(২) অনুসন্ধিৎসা : তথ্য অনুসন্ধান ধাঁধার অপর একটি বৈশিষ্ট্য।
(৩) নানান ভাবনার আধার : ধাঁধার মধ্য দিয়ে সাধারণ জ্ঞান, সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ শক্তি, চিন্তার উৎকর্ষ, মননশীলতা, কৌতুক সৃষ্টি, স্মৃতিচর্চা, ও রসবোধের পরিচয় পাওয়া যায়।
(৪) সংক্ষিপ্ততা : সংক্ষিপ্ততা ধাঁধার একটি প্রধান গুণ।
(৫) বুদ্ধিগ্রাহ্য বিষয়: ধাঁধার আবেদন মূলত বুদ্ধিগ্রাহ্য। এর মধ্য দিয়ে উপস্থিত বুদ্ধির পরীক্ষা নেওয়া হয়।
ধাঁধার উদাহরণ :
১. ছোট্ট প্রাণী হেঁটে যায়
আস্ত পা-টা গিলে খায়।
উত্তর – জুতো
২. বাড়িতে আছে কাঠের গাই
বছর বছর দুধ খাই।
উত্তর – খেজুর গাছ
১. একটু খানি গাছে
রাঙা বউটি নাচে।
উত্তর-মরিচ