বাংলা ছাত্রছাত্রীদের পাশে সারাক্ষণ

বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান |দীনবন্ধু মিত্র |নীলদর্পণ | Dinabandhu Mitra

বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান আলোচনা করো।

 

বাংলা নাট্যসাহিত্যে মধুসূদন পরবর্তী সময়ে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আসন যিনি অধিকার করে আছেন তিনি হলেন দীনবন্ধু মিত্র। দীনবন্ধু মিত্রের নাটকগুলিকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করে আলোচনা করা যায়।

 

ক) সামাজিক নাটক : ‘কেনচিৎ পথিকেনাভি প্রণীতম’ ছদ্মনামে লেখা দীনবন্ধু মিত্রের প্রথম যুগান্তকারী নাটক ‘নীলদর্পণ’ (১৮৬০ খ্রিঃ)। নীলচাষিদের উপর নীলকর সাহেবদের অকথ্য  অত্যাচারের সার্থক প্রতিফলন ঘটেছে নাটকটিতে। নাটকটি বাংলায় অনুবাদ করেন মধুসুদন দত্ত ও প্রকাশ করেন জেমস লঙ।

 

খ) রোমান্টিক নাটকঃ- ‘নবীন তপস্বিনী’, ‘লীলাবতী’, ‘কমলে কামিনী’ নাটকগুলিতে রোমান্টিক প্রেমকাহিনী বর্ণিত হয়েছ।

 

গ) প্রহসন : দ্বীনবন্ধু মিত্রের কমেডি নাটক বা প্রহসনগুলি হলো ‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’, ‘সধবার একাদশী’, ‘জামাই বারিক’। ‘নীলদর্পণ’ নাটকের সঙ্গে সঙ্গে ‘সধবার একাদশী’ প্রহসনের জন্য তিনি বাংলা সাহিত্যে আজও স্মরণীয় হয়ে আছেন। 

 

নাট্যবৈশিষ্ট্য : 

 দীনবন্ধু মিত্র বাংলা নাট্য সাহিত্যে প্রথম বাস্তববাদী নাট্যকার। তার নাটক ও প্রহসনগুলি স্বভাবজাত পরিহাস পটুতার অবিস্মরণীয় সাক্ষ্য বহন করে। তাঁর ‘জলধর’, ‘নিমচাঁদ’, ‘রাজীব’ প্রভৃতি চরিত্র কৌতুকরসের পরিবেশনে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। তাঁর নাটকের সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে সর্বব্যাপী সামাজিক অভিজ্ঞতা ও সর্বব্যাপী সামাজিক সহানুভূতি।

Scroll to Top