বাংলা নাট্য সাহিত্যে গিরিশচন্দ্র ঘোষের অবদান |গিরিশচন্দ্র ঘোষ |Girishchandra Ghosh

বাংলা নাট্য সাহিত্যে গিরিশচন্দ্র ঘোষের অবদান আলোচনা করো।

 

নট-নাট্যকার ও নাট্য-পরিচালক গিরিশচন্দ্র ঘোষ বাংলা নাটক ও রঙ্গমঞ্চের উজ্জ্বলতম ব্যক্তিত্ব। নাট্যকার উৎপল দত্ত যথার্থই লিখেছেন-

“ভারতের শ্রেষ্ঠ নাট্যকার তো বটেই তার যে কোনো রচনা বিশ্ব নাট্যসাহিত্যে স্থান পাওয়ার যোগ্য।” 

 

নাট্যসম্ভার :

(ক) গীতিনাট্য:- ‘অকালবোধন’, ‘আগমনী’ ইত্যাদি।

 

(খ) ঐতিহাসিক নাটক: ‘চণ্ড’, ‘কালাপাহাড়’, ‘সিরাজদ্দৌল্লা’, ‘মীরকাশিম’, ‘ছত্রপতি শিবাজী’, ‘অশোক’ ইত্যাদি।

 

(গ) পৌরাণিক ও ভক্তিমূলক নাটক:- ‘রাবণবধ’, ‘অভিমন্যু বধ’, ‘লক্ষ্মণ বর্জন’, ‘রামের বনবাস’, ‘পাণ্ডবের অজ্ঞাতবাস’, ‘চৈতন্যলীলা’, ‘বিল্বমঙ্গল’, ‘পাণ্ডব গৌরব’, ‘জনা’ ইত্যাদি।

 

(ঘ) সামাজিক নাটক:- ‘প্রফুল্ল’, ‘হারানিধি’ , ‘মায়াবসান’ , ‘বলিদান’ ইত্যাদি।

 

(ঙ) প্রহসন:- ‘ভোটমঙ্গল’, ‘হীরার ফুল’, ‘বেল্লিক বাজার’ , ‘বড়দিনের বকশিস’, ‘সভ্যতার পাণ্ডা’, ‘য্যায়সা কা ত্যায়সা’  ইত্যাদি।

 

গিরিশচন্দ্রের নাট্য-প্রতিভার বৈশিষ্ট্য :

(১) ভক্তিভাব ও পৌরাণিক আদর্শের প্রতি আনুগত্য। 

(২) নাটকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে শিক্ষাদান। 

(৩) গিরিশচন্দ্রের নাটকে দেশীয় এবং জাতীয় ভাব বেশি পরিমাণে লক্ষ করা যায়।

(৪) নাটকের পঞ্চাঙ্ক বিভাগ তিনি সর্বত্র মেনে নিয়েছেন।

 

গিরিশচন্দ্রের জনপ্রিয়তা ভক্তিরসের পৌরাণিক নাটকের জন্য। তিনি বাঙালির প্রাণ-ধর্মকে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন বলেই পৌরাণিক নাটকে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। 

Scroll to Top