বাংলা ছাত্রছাত্রীদের পাশে সারাক্ষণ

বিভূতিভূষণ |বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস |Bibhutibhusan Bandyapadhay

প্রশ্ন : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উত্তর :  রবীন্দ্রোত্তর বাংলা কথাসাহিত্যে যে ত্রয়ী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম একসঙ্গে উচ্চারিত হয় তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ঔপন্যাসিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আপন প্রতিভার স্বাতন্ত্র্যে তিনি বাংলা কথাসাহিত্যে নতুনত্ব নিয়ে এসেছিলেন।

আরও পড়ুন –

বাংলা উপন্যাসে তারাশঙ্কর

বিভূতিভূষণ যে বেশ কয়েকটি উপন্যাস রচনা করেছেন সেগুলির মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হলো ‘পথের পাঁচালী’, ‘অপরাজিত’, ‘দৃষ্টি প্রদীপ’  ‘আরণ্যক’, ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’  ‘দেবযান’ , ইছামতী প্রভৃতি।

 

বিভূতিভূষণের প্রথম উপন্যাস ‘পথের পাঁচালী’ (১৯২৯) গ্রামবাংলার প্রকৃতি, ছোটো ছোটো সুখ-দুঃখ ভরা প্রাত্যহিক জীবন আর একটি স্বপ্নময় সৌন্দর্যমুগ্ধ বালকের কথায় পরিপূর্ণ একটি আশ্চর্য শিল্পকর্ম। দেখার চোখ থাকলে অতি তুচ্ছ দৃশ্যও কীভাবে অসাধারণ হয়ে উঠতে পারে, ‘পথের পাঁচালী’র পাতায় পাতায় তার দৃষ্টান্ত ছড়িয়ে আছে। এর পরবর্তী অংশ ‘অপরাজিত’। পাঁচালী’- ‘অপরাজিত’কে মহাকাব্যধর্মী উপন্যাস বলা যেতে পারে।

বিভূতিভূষণের একটি বিস্ময়কর সৃষ্টি ‘আরণ্যক’ (১৯৩৯)। এই উপন্যাস তাঁর প্রকৃতিপ্রীতির চরম নিদর্শন। বিভূতিভূষণের আর একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস ‘ইছামতী’ (১৯৫০)। একটি বিশেষ সময়ের পটভূমিতে গ্রামীন জীবনের ইতিবৃত্ত রচিত হয়েছে এই উপন্যাসে।

 সব মিলিয়ে বিভূতিভূষণ বাংলা উপন্যাসে নিয়ে এসেছেন এক অভিনব স্বাদ।রবীন্দ্রনাথ তাঁর সাহিত্যপাঠে মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন, “তোমার সাহিত্য দাঁড়িয়ে আছে আপন সত্যের জোরে।”

আরও পড়ুন –  বাংলা উপন্যাসে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা

Scroll to Top