মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্নোত্তর
2019
HISTORY
(নতুন পাঠক্রম)
বিভাগ – ‘ক’
১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো : ২০ x ১ = ২০
১.১ মোহনবাগান ক্লাব আই.এফ.এ. শিল্ড জয় করেছিল —
উত্তরঃ (গ) ১৯১১ খ্রিঃ
১.২ দাদাসাহেব ফালকে যুক্ত ছিলেন —
উত্তরঃ (ক) চলচ্চিত্রের সঙ্গে
১.৩ ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ প্রকাশিত হত —
উত্তরঃ (গ) কুষ্ঠিয়া থেকে
১.৪ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বি.এ. পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় —
উত্তরঃ (ঘ) ১৮৬০ খ্রিঃ
১.৫ কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন —
উত্তরঃ (ক) ড. এম. জে. ব্রামলি
১.৬ তিতুমিরের প্রকৃত নাম ছিল —
উত্তরঃ (গ) মির নিসার আলি
১.৭ সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের অন্যতম নেতা ছিলেন —
উত্তরঃ (গ) দেবী চৌধুরানী
১.৮ “বন্দেমাতরম” সংগীতটি রচিত হয় —
উত্তরঃ (গ) ১৮৭৫ খ্রিঃ
১.৯ ‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থটি রচনা করেন —
উত্তরঃ (গ) স্বামী বিবেকানন্দ
১.১০ গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন —
উত্তরঃ (ঘ) ব্যঙ্গ চিত্রশিল্পী
১.১১ ‘বর্ণপরিচয়’ প্রকাশিত হয়েছিল —
উত্তরঃ (গ) ১৮৫৫ খ্রিঃ
১.১২ বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয় —
উত্তরঃ (খ) ১৯০৬ খ্রিঃ
১.১৩ সর্বভারতীয় কিষাণ সভার প্রথম সভাপতি ছিলেন —
উত্তরঃ (খ) স্বামী সহজানন্দ
১.১৪ কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল —
উত্তরঃ (ঘ) মাদ্রাজে
১.১৫ ‘ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি’ যুক্ত ছিল —
উত্তরঃ (গ) বারদৌলি সত্যাগ্রহে
১.১৬ বাংলার গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসনকে হত্যা করার চেষ্টা করেন —
উত্তরঃ (ক) বীণা দাস
১.১৭ অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটির সম্পাদক ছিলেন —
উত্তরঃ (ক) শচীন্দ্র প্রসাদ বসু
১.১৮ ভাইকম সত্যাগ্রহ অনুষ্ঠিত হয়েছিল —
উত্তর: (ঘ) গোদাবরী উপত্যকায়
১.১৯ যে দেশীয় রাজ্যটি গণভোটের মাধ্যমে ভারতীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হয় —
উত্তরঃ (গ) জুনাগড়
১.২০ ভাষাভিত্তিক গুজরাট রাজ্যটি গঠিত হয় —
উত্তরঃ (গ) ১৯৬০ খ্রিঃ
বিভাগ – ‘খ’
২। যে-কোনো ষোলোটি প্রশ্নের উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে) : ১৬ x ১ = ১৬
উপবিভাগ – ২.১
একটি বাক্যে উত্তর দাও:
(২.১.১) ‘গোরা’ উপন্যাসটি কে রচনা করেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(২.১.২) বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম চিত্রিত গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তরঃ অন্নদামঙ্গল
(২.১.৩) কোন বছর শ্রীরামপুর মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে
(২.১.৪) ঊষা মেহতা কোন আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উত্তরঃ ভারত ছাড় আন্দোলনের সাথে
উপবিভাগ – ২.২
ঠিক বা ভুল নির্ণয় করো :
(২.২.১) ‘সোমপ্রকাশ’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ।
উত্তরঃ ঠিক
(২.২.২) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় -এর প্রথম মহিলা এম.এ. ছিলেন কাদম্বিনী বসু (গাঙ্গুলি)।
উত্তরঃ ঠিক
(২.২.৩) বাংলা সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী ছিলেন বাসন্তী দেবী।
উত্তরঃ ভুল
(২.২.৪) দীপালি সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন কল্পনা দত্ত।
উত্তরঃ ভুল
উপবিভাগ – ২.৩
‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও :
‘ক’ স্তম্ভ ‘খ’ স্তম্ভ
(২.৩.১) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(১) হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়
(২.৩.২) নবগোপাল মিত্র
(২) কৃষক আন্দোলন
(২.৩.৩) বীরেন্দ্রনাথ শাসমল
(৩) হিন্দু মেলা
(২.৩.৪) ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন
(৪) বঙ্গদর্শন
উত্তরঃ
(২.৩.১) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – (৪) বঙ্গদর্শন
(২.৩.২) নবগোপাল মিত্র – (৩) হিন্দু মেলা
(২.৩.৩) বীরেন্দ্রনাথ শাসমল – (২) কৃষক আন্দোলন
(২.৩.৪) ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন – (১) হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়
উপবিভাগ – ২.৪
প্রদত্ত ভারতবর্ষের রেখা মানচিত্রে নিম্নলিখিত স্থানগুলি চিহ্নিত ও নামাঙ্কিত কর :
(২.৪.১) সাঁওতাল বিদ্রোহের (১৮৫৫) এলাকা।
(২.৪.২) বারাসাত বিদ্রোহের এলাকা।
(২.৪.৩) নীলবিদ্রোহের অন্যতম কেন্দ্র : যশোর।
(২.৪.৪) দেশীয় রাজ্য হায়দ্রাবাদ।
উপবিভাগ – ২.৫
নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঙ্গে সঠিক বাক্যটি নির্বাচন কর।
(২.৫.১) বিবৃতি : রামমোহন রায় লর্ড আমহার্স্টকে চিঠি লিখেছিলেন (১৮২৩ খ্রিঃ)।
উত্তর: ব্যাখ্যা ২ : ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের আবেদন জানিয়ে।
(২.৫.২) বিবৃতি : স্বামী বিবেকানন্দ ‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থটি রচনা করেন।
উত্তর: ব্যাখ্যা ৩ : তাঁর উদ্দেশ্য ছিল স্বদেশিকতা প্রচার করা।
(২.৫.৩) বিবৃতি : বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে শ্রমিক-কৃষকদের জন্য কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ৩ : বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন ছিল মূলত মধ্যবিত্ত শ্রেণির আন্দোলন।
(২.৫.৪) বিবৃতি : গান্ধিজি জমিদারদের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন সমর্থন করেননি।
উত্তর: ব্যাখ্যা ৩ : গান্ধিজি শ্রেণিসংগ্রামের পরিবর্তে শ্রেণি সমন্বয়ে বিশ্বাসী ছিলেন।
বিভাগ – ‘গ’
৩। দু’টি অথবা তিনটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে-কোনো এগারোট) : ১১ x ২ = ২২
৩.১. আঞ্চলিক ইতিহাসচর্চা গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর: ভৌগোলিক দিক থেকে নির্দিষ্ট অঞ্চলের স্থানীয় ব্যক্তি বা বিষয়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ইতিহাস, যা আঞ্চলিক ও জাতীয় ইতিহাসের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয়ে সাহায্য করে এবং আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইতিহাস রচনায় যোগসূত্র ও তথ্যসূত্রের যোগান দেয়।ইতিহাসের বৃহত্তর আলোচনার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি উপেক্ষিত থেকে যায় আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে তার সার্বিক প্রকাশ ঘটে, যার ফলে Total History জনসমক্ষে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
৩.২.’সরকারি নথিপত্র’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সরকারি নথিপত্রের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সকল উপাদান থেকে সেই সময়কার ভারতীয় সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক তথ্যসূত্র পাওয়া যায় । তৎকালীন সরকারি নথিপত্র হলো- ১)পুলিশ বিভাগের রিপোর্ট ও জরুরী চিঠিপত্র, ২)গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্ট ও বিভিন্ন তথ্য এবং ৩)সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন ও চিঠিপত্র- যা তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের সার্বিক ইতিহাস তথ্যসূত্রের যোগান দেয়। স্বাধীনতা লাভের পর ভারতের মহাফেজখানাসহ আদালতগুলিতে সংরক্ষিত রিপোর্ট এবং সরকারি আধিকারিকদের চিঠিপত্র যা থেকে ভারত-ইতিহাসের বহু তথ্য পাওয়া যায়।
৩.৩. সংবাদপত্র এবং সাময়িক-পত্রের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: 🔵রোজকার ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরণ থাকে দৈনিক সংবাদপত্রে, সংবাদপত্র মূলত প্রতিবেদনমূলক অন্যদিকে সাময়িকপত্র বিশ্লেষণধর্মী, এবং এটি সাপ্তাহিক,পাক্ষিক,মাসিক এমনকি বার্ষিক সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
🔵সংবাদপত্র সস্তা দামের কাগজে বাঁধাইহীনভাবে প্রকাশিত হয় । অন্যদিকে সাময়িকপত্র তুলনামূলক দামি কাগজে বাঁধাই আকারে প্রকাশিত হয়।
🔵দৈনিক সংবাদপত্রের উদাহরণ হল ‘সংবাদ প্রভাকর ‘ । সাময়িক পত্রের উদাহরণ হল ‘বঙ্গদর্শন’ ও ‘সোমপ্রকাশ’।
৩.৪. মধুসূদন গুপ্ত কে ছিলেন?
উত্তর: মধুসূদন গুপ্ত ছিলেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের একাধারে ছাত্র ও শিক্ষক। এখানে থাকাকালীন সমস্ত রকম সামাজিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে ১৮৩৬ খিষ্টাব্দের ১০ই জানুয়ারি তিনি এখানে প্রথম বাঙালি ছাত্র হিসেবে শব ব্যবচ্ছেদ করেন যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ।১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে এখান থেকে তিনি ডাক্তারি পাশ করেন । তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অনুবাদ গ্রন্থ হল বাংলায় ‘লন্ডন ফার্মাকোপিয়া’ এবং সংস্কৃতে হুপারের ‘Anatomist’s Vade Mecum’ ।
৩.৫. সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হল কেন?
উত্তর: সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ গুলি হল – (ক) ব্রিটিশ সরকারের চরম দমন-পীড়ন নীতি (খ)সাংগঠনিক দুর্বলতা (গ)সমাজের বৃহত্তর অংশের তথা সাধারণ মানুষের বিদ্রোহে সামিল না হওয়া (ঘ)পরবর্তীকালে সাম্প্রদায়িক চরিত্র এই বিদ্রোহকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করে।
৩.৬. নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারিদের ভূমিকা কিরূপ ছিল?
উত্তর: খ্রিস্টান মিশনারীরা সর্বপ্রথম নীলকরদের কার্যকলাপের প্রকাশ্য সমালোচনা করে শিক্ষিত সমাজকে জাগরিত করেছিল। উল্লেখযোগ্য যে চার্চ মিশনারিদের মধ্যে থেকে জে জে লিংকে ,ফ্রেডারিক সুর এবং বামওয়েচ নীলকরদের অত্যাচারের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছিলেন। আলেকজান্ডার ডাফ, জেমস লং প্রমুখ মিশনারিদের সমর্থন করেছিলেন। সেই সময় ‘রেভারেন্ড জেমস লং নিজনামে ‘নীলদর্পণ’ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করে ব্রিটিশ সরকারের কোপে পড়েন।
৩.৭. জমিদারসভা ও ভারতসভার মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর: ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত জমিদারদের স্বার্থে সংরক্ষিত একটি আঞ্চলিক সংগঠন। ভারতসভা হল ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষিত মধ্যবিত্তদের রাজনৈতিক সংগঠন এবং এটি আঞ্চলিক চরিত্র থেকে সর্বভারতীয় চরিত্রালাভ করে ও কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল।
৩.৮. উনিশ শতকে জাতীয়তাবাদের উন্মেষে ‘ভারতমাতা’ চিত্রটির কীরূপ ভূমিকা ছিল?
উত্তর: ওয়াশ চিত্ররীতিতে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতমাতা চিত্রটি আঁকেন, যার প্রথম নাম ছিল বঙ্গমাতা,পরে ভগিনী নিবেদিতা এর নামকরণ করেন ভারতমাতা। বঙ্কিমচন্দ্রের বিমূর্ত জাতীয়তাবাদ মূর্ত হয়ে উঠেছিল, ভারতমাতা চিত্রের মাধ্যমে। মাতৃমূর্তি বেদ, ধানের আঁটি, সাদা কাপড় এবং জপের মালা ধারণ করে আছেন যার অর্থ অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, দীক্ষা, যা সন্তানের প্রতি মায়ের দান ,যা দেশমাতার শৃঙ্খল মুক্তিতেই একমাত্র পাওয়া সম্ভব । এই চিত্রটি জাতীয়তাবোধের প্রসারে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিল।
৩.৯. চার্লস উইলকিনস কে ছিলেন?
উত্তর: বাংলা ছাপা হরফের যথার্থ পরিকল্পনা করেছিলেন চার্লস উইলকিন্স। তিনি প্রথম ছেনিকাটা বাংলা হরফের নির্মাণ করেছিলেন বলে তাকে বাংলার মুদ্রণ শিল্পের জনক বলা হয়। পরে হেস্টিংসের অনুরোধে হুগলির পঞ্চানন কর্মকারের সাহায্যে তিনি ছেনিকাটা হরফ নির্মাণ করেন ও সরকারি ছাপাখানা দায়িত্ব নেন । হ্যালহেড-এর বাংলা ব্যাকরন তাঁর দ্বারাই ছাপা হয় এবং এজন্য তাঁকে ‘বাংলার গুটেনবার্গ’ বলা হয়।
৩.১০. বাংলা লাইনোটাইপ প্রবর্তনের গুরুত্ব কী?
উত্তর: ‘লাইন অফ টাইপ’ থেকে লাইনোটাইপ কথাটি এসেছে, যেটি আদতে একটি কম্পোজিং মেশিন, যার সাহায্যে হাতের বদলে মেশিনে অত্যন্ত দ্রুত ও সুচারুরূপে চলমান ধাতব হরফ স্থাপন করা যেত । বাংলায় ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ সুরেশচন্দ্র মজুমদার, রাজশেখর বসু প্রমুখের উদ্যোগে এই প্রযুক্তিতে সংবাদপত্র ছাপা শুরু হয়।
৩.১১. কৃষক আন্দোলনের বাবা রামচন্দ্রের কীরূপ ভূমিকা ছিল?
উত্তর: যুক্তপ্রদেশের কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন বাবা রামচন্দ্র। অহিংস অসহযোগ আন্দোলনকালে বেগারশ্রম, অতিরিক্ত কর, জমি বেদখল প্রকৃতির বিরুদ্ধে কৃষকদের সংঘবদ্ধ করে তিনি খাজনা বন্ধের আন্দোলন শুরু করেন। কৃষকদের সংগঠিত করার জন্য তিনি ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে ‘অযোধ্যা কিষান সভা’ প্রতিষ্ঠা করেন।
৩.১২. মাদারি পাশি কে ছিলেন?
উত্তর: অসহযোগ আন্দোলনকালে যুক্ত দেশের বিশিষ্ট কৃষক নেতা ছিলেন মাদারি পাশি।যুক্তপ্রদেশের হরদই,বারাবাকি, সীতাপুর বারাইচ প্রভৃতি জেলার কৃষকদের সংঘবদ্ধ করে অতিরিক্ত কর আদায়ের ক্ষেত্রে অত্যাচার,বেগারশ্রম প্রভৃতির বিরুদ্ধে ‘একা বা একতা’ আন্দোলন শুরু করেন । ১৯২২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সরকার চরম দমননীতি প্রয়োগ করে এই আন্দোলন স্তব্ধ করে দেয়।
৩.১৩ মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় কেন?
উত্তর: ভারত ছাড়ো আন্দোলনকালে বাংলায় সতীশচন্দ্র সামন্তের নেতৃত্বে গঠিত তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের নারী বাহিনী গঠিত হয়। এই নারী বাহিনীর অন্যতম সদস্যা ছিলেন ৭৩ বছরের বৃদ্ধা গান্ধীবুড়ি মাতঙ্গিনী হাজরা । তাঁর নেতৃত্বে তমলুক থানা ঘেরাও কর্মসূচি গৃহীত হয় এবং পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে দুঃসাহসিক কাজের জন্য তিনি ইতিহাসে স্মরণীয়।
৩.১৪ দলিত কাদের বলা হয়?
উত্তরঃ ব্যাকরণ অনুযায়ী ‘দলিত’ শব্দটি একটি বিশেষণ, যার অর্থ মাড়িয়ে যাওয়া হয়েছে এমন বা পদদলিত।১৯৩০-এর দশক থেকে অস্পৃশ্যরা নিজেদের দলিত বলে পরিচয় দিতে শুরু করে।এরা হল বর্ণ হিন্দু সমাজের মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন। এরা সমাজের উচ্চ শ্রেণীর মানুষের কাছে অত্যাচারিত হতো। ডঃ বি আর আম্বেদকরের নেতৃত্বে দলিত আন্দোলন বৃহত্তর রূপ নেয়।
৩.১৫. দার কমিশন (১৯৪৮) কেন গঠিত হয়েছিল?
উত্তর: স্বাধীনতার পর ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবি জোরালো হয়ে উঠলে এর যৌক্তিকতা বিচারের উদ্দেশ্যে ভারত সরকার এস.কে দার -এর নেতৃত্বে ‘ভাষা ভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন’ গঠন করে যা ‘দার কমিশন’ নামে পরিচিত । এই কমিশন তার রিপোর্টে ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের তীব্র আপত্তি জানায় কারণ তাঁরা মনে করতেন ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য গঠিত হলে দেশের জাতীয় ঐক্য ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিঘ্নিত হবে।
৩.১৬. পত্তি শ্রীরামুলু কে ছিলেন?
উত্তর: পত্তি শ্রীরামালু ছিলেন জনপ্রিয় স্বাধীনতা সংগ্রামী তেলেগু নেতা। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে দক্ষিণ ভারতের মাদ্রাজ প্রদেশে তেলুগু ভাষাভাষী অঞ্চলকে পৃথক করে অন্ধ্রপ্রদেশ গঠনের দাবিতে দীর্ঘ ৫৮ দিন অনশন করে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর সারা অন্ধ্রপ্রদেশ জুড়ে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। এরপর কেন্দ্রীয় সরকারের তৎপরতায় ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে আপোষ করে পৃথক ভাষাভিত্তিক অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য গঠিত হয়।
বিভাগ – ‘ঘ’
৪। সাত বা আটটি বাক্যে যে-কোনো ছ’টি
প্রশ্নের উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্তত একটি করে প্রশ্নের উত্তর দাও) : ৬ x ৪ = ২৪
উপবিভাগ : ঘ.১
৪.১ ‘নীলদর্পণ’ নাটক থেকে উনিশ শতকের বাংলার সমাজের কীরূপ প্রতিফলন পাওয়া যায়?
৪.২. উনিশ শতকে নারীশিক্ষা বিস্তারে ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন কী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন?
উপবিভাগ : ঘ.২
৪.৩ হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
৪.৪ ‘বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা’ -কে প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বলা হয় কেন?
উপবিভাগ : ঘ.৩
৪.৫ ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্পর্ক বিশ্লেষণ কর।
৪.৬ বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার বিকাশে ড.মহেন্দ্রলাল সরকারের কীরূপ অবদান ছিল?
উপবিভাগ : ঘ.৪
৪.৭ ভারত সরকার কীভাবে দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতীয় ইউনিয়নে সংযুক্ত করার প্রশ্নটি সমাধান করেছিল?
৪.৮ কীভাবে কাশ্মীর সমস্যার সৃষ্টি হয়?
বিভাগ – ‘ঙ’
৫। পনেরো বা ষোলোটি বাক্যে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ১ x ৮ = ৮
৫.১ বিদ্যাসাগরের নেতৃত্বে বিধবা বিবাহ আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। বিদ্যাসাগর কতটা সাফল্য অর্জন করেছিলেন? ৫ + ৩
৫.২ বাংলায় কারিগরি শিক্ষার বিকাশের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। ৮
৫.৩ বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে নারীসমাজ কীভাবে অংশগ্রহণ করেছিল? তাদের আন্দোলনের সীমাবদ্ধতা কী?৫ + ৩
Madhyamik question 2018