প্রশ্ন : ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিভার বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
রবীন্দ্র-শরৎ উত্তর বাংলা কথাসাহিত্যে তিন দিকপাল স্রষ্টার মধ্যে অন্যতম হলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজ্ঞান ও মার্কসীয় চেতনার প্রকাশ তাঁর রচনার বিশেষ বৈশিষ্ট্য। তাঁর লেখনীর স্পর্শে বাংলার অবহেলিত, বঞ্চিত মানুষজন প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। তাঁর সাহিত্য সাধনার মূল কথাই হলো বাস্তবতার কাছাকাছি আসা।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলি হলো ‘দিবারাত্রির কাব্য’ (১৯৩৫), ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ (১৯৩৬), ‘পদ্মানদীর মাঝি’ (১৯৩৬), ‘শহরতলী’ ‘অহিংসা’ ‘প্রতিবিম্ব’ ‘শহরবাসের ইতিকথা’, ‘চতুষ্কোণ’ (১৯৪৮), ‘স্বাধীনতার স্বাদ’, ‘হলুদ নদী সবুজ বন’ প্রভৃতি।
পুতুলনাচের ইতিকথা উপন্যাসে পল্লীজীবনের বর্ণনা ও বিশ্লেষণ আছে। গাওদিয়া গ্রামের জীবনের জটিল ও সমস্যাপূর্ণ চিত্রণ এখানে পাওয়া যায়। উপন্যাসের অন্যতম প্রধান দুটি চরিত্র শশী ও কুসুম। ‘পদ্মানদীর মাঝি’ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। পদ্মা নদীকে কেন্দ্রস্থলে স্থাপন করে পদ্মানদীর জেলেজীবনের বিচিত্র জীবনধারা এতে ধরা পড়েছে।
‘কল্লোলের কুলবর্ধন’ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বাস্তবের গভীরে ডুব দিয়ে জীবনের জটিলতাকে রূপ দিতে চেয়েছেন তাঁর সাহিত্য সম্ভারে। মার্কসবাদে বিশ্বাস, জীবনের প্রতি গভীর মমতাবোধ মানিকের রচনায় বারে বারে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি খণ্ড নয়, জীবনের পূর্ণতার ছবি এঁকেছেন তাঁর উপন্যাসগুলিতে। বাস্তব সম্পর্কে সচেতনতা, সমাজ ভাবনা, অর্থনৈতিক চেতনা তাঁর লেখার রসদ জুগিয়েছে।
ডাউনলোড করার জন্য নীচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন 👇
আরও পড়ুন —
বাংলা উপন্যাসে বিভূতিভূষণের অবদান