মূলগ্রন্থ — “শেষ লেখা” (১৯৪১)।
১১ সংখ্যক কবিতা।
রচনা কাল : ১৩ মে, ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দ।
রচনার স্থান : বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতন।
১) কবিতায় রূপনারান নদটি কিসের প্রতীক?
উত্তর – বিশ্বসংসারের।
২) কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের রূপ দেখেছিলেন — রক্তের অক্ষরে।
৩) মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চেয়েছেন — সকল দেনা শোধ করতে।
৪)”সে কখনো করে না বঞ্চনা।” – এখানে সে হল – –কঠিন সত্য।
৫) “চিনিলাম আপনারে” – কবি কিভাবে নিজেকে চিনলেন? উত্তর – আঘাতে আঘাতে বেদনায় বেদনায়।
৬)”রূপনারানের কূলে / জেগে উঠিলাম, / জানিলাম……..” – কবি কি জানলেন? উত্তর – এ জগৎ স্বপ্ন নয়।
৭) দুঃখের তপস্যা এ জীবন —— আমৃত্যু।
সঠিক বিকল্পটি নির্বাচন করো :
১. ‘এ জীবন’ হলো—
(ক) দুঃখের তপস্যা
(খ) আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা
(গ) আমৃত্যু তপস্যা
(ঘ) তপস্যা
উত্তর : (খ) আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা
২.‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় জীবন নিয়ে যে পঙক্তিটি আছে—
(ক) জানিলাম এ জীবন স্বপ্ন নয়
(খ) আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন
(গ) কঠিন সত্যকে জানিলাম এ জীবনে
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তর : (খ) আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন
৩. “চিনিলাম আপনারে” – রবীন্দ্রনাথ যেভাবে নিজেকে চিনেছেন—
(ক) আঘাতে ও বেদনায়
(খ) আঘাতে আঘাতে বেদনায়
(গ) আঘাত ও বেদনায়
(ঘ) আঘাতে আঘাতে বেদনায় বেদনায়
উত্তর : (ঘ) আঘাতে আঘাতে বেদনায় বেদনায়
৪. ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি ভালোবেসেছেন—
(ক) কঠিনকে (খ) সত্যকে
(গ) নিজেকে (ঘ) কঠিন সত্যকে
উত্তর : (ঘ) কঠিন সত্যকে
৫. “সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে…” তারপর কবি যা করবেন—
(ক) সকল দেনা শোধ করে দেবেন
(খ) মৃত্যুবরণ করবেন
(গ) মৃত্যুর মাধ্যমে সকল দেনা বা সত্যের দারুণ মূল্য শোধ করে দেবেন
(ঘ) নতুন করে জন্মাবেন
উত্তর : (গ) মৃত্যুর মাধ্যমে সকল দেনা বা সত্যের দারুণ মূল্য শোধ করে দেবেন
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর [মান ১]
১. “সে কখনো করে না বঞ্চনা”– এখানে ‘সে’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : ‘শেষলেখা’ কাব্যের অন্তর্গত ‘রূপনারানের কূলে’ নামাঙ্কিত কবিতায় ‘সে’ বলতে ‘কঠিন সত্যের’ কথা বলা হয়েছে।
২. “সত্য যে কঠিন”– কবি ‘সত্য’কে ‘কঠিন’ বলেছেন কেন ?
উত্তর : কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যকে উপলব্ধি করেছেন কঠিন আঘাত ও চরম বেদনার মধ্যে দিয়ে। তাই সত্যকে তিনি খুঁজেছেন কঠিনের মধ্যে।
৩. “সত্যের দারুণ মূল্য” বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : মৃত্যুপথযাত্রী কবি জগৎকে দুঃখের তপস্যায় চিনেছেন। সত্যের সাধনা যে কত কঠিন এবং তার জন্যে কতখানি ত্যাগ করতে হয় সেই উপলব্ধিকে ব্যক্ত করতে গিয়ে উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন কবি।
৫. “রক্তের অক্ষরে দেখিলাম।” – “রক্তের অক্ষরে’ কবি কী দেখেছিলেন?
উত্তর : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রক্তের অক্ষরে’ নিজের রূপ দেখেছিলেন।
৫. “চিনিলাম আপনারে” – কবি আপনাকে কীভাবে চিনেছিলেন?
উত্তর : কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, তিনি আঘাতের মধ্যে দিয়ে, বেদনার মধ্যে দিয়ে নিজের স্বরূপকে চিনতে পেরেছিলেন।
৭. “রূপনারানের কূলে জেগে উঠলাম।” — রূপনারানের কূলে জেগে উঠে কবি কী জানতে পারলেন ?
উত্তর : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রূপনারানের কূলে জেগে উঠে জানলেন ‘এ জগৎ স্বপ্ন নয়।
৮. “আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা এ জীবন।” জীবন’-কে দুঃখের তপস্যা’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জানতেন, জীবনে দুঃখের আঁধার রাত্রি বার বার ঘনিয়ে আসে। ফলে আমাদের শান্তি বিঘ্নিত হয়। এজন্যে কবি জীবনকে ‘দুঃখের তপস্যা’ বলেছেন।
৮. “জানিলাম এ জগৎ স্বপ্ন নয়” –কীভাবে কবি একথা জেনেছিলেন?
উত্তর : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রূপনারানের কূলে’ যখন জেগে উঠেছিলেন, তখনই জেনেছিলেন এ জগৎ স্বপ্ন নয়।
৯. কবি কোন সত্যকে ভালোবেসেছিলেন?
উত্তর : সে সত্য রূঢ় বাস্তব, যাকে মানুষ মেনে নিতে বাধ্য কবি একথা উপলব্ধি করে সেই সত্যকেই ভালোবেসেছিলেন।
১০. “রূপনারানের কূলে” কবিতায় মৃত্যুতে সকল দেনা’ কীভাবে শোধ করা সম্ভব বলে কবি মনে করেছিলেন?
উত্তর : জীবনের পদে পদে বিচিত্র দুঃখ-বেদনার আঘাতে আঘাতে কঠিন সত্যকে স্বীকার করে মৃত্যুকে বরণ করলেই জীবনের ঋণ শোধ করা সম্ভব।
২। অনধিক একশো পঞ্চাশ শব্দে যে- কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও । ৫x১=৫
২।১ ” সে কখনও করে না বঞ্চনা।”–কে কখনো বঞ্চনা করে না ? কবি কীভাবে এই ভাবনায় উপনীত হয়েছেন ?
২।২ ” রূপনারানের কূলে/ জেগে উঠিলাম।”–বক্তা কে ? তিনি রূপনারানের কূলে জেগে উঠে কী দেখেছিলেন ?
২।৩ ” সত্য যে কঠিন “–এই উপলব্ধিতে কবি কীভাবে পৌঁছলেন তা ‘ রূপনারানের কূলে’ কবিতা অবলম্বনে লেখো।
প্রেমের ছন্দ পড়ে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ
Sir খুব উপকার হল…. ধন্যবাদ