বাংলা বানান|বাংলা বানানের নিয়ম |bangla banan|BanglaSahayak.com




বাংলা বানানের নিয়ম :

★তৎসম শব্দ ★

তৎসম শব্দের বানানের অপরিবর্তনীয়তা :

এই নিয়মে বর্ণিত ব্যতিক্রম ছাড়া তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের নির্দিষ্ট বানান অপরিবর্তিত থাকবে৷


☆ই ঈ বা উ ঊ :

যে-সব তৎসম শব্দে ই ঈ বা উ ঊ উভয় শুদ্ধ কেবল সেসব শব্দে কেবল ই বা উ এবং তার কার-চিহ্ন ি ু ব্যবহৃত হবে৷ যেমন:
আরতি, কিংবদন্তি, খঞ্জনি, গণ্ডি, চিৎকার, চুল্লি, তরণি, তুহিন,  দাবি, দেরি, ধমনি, ধরণি, নাড়ি, পঞ্জি, পদবি, পল্লি, ভঙ্গি, ভিড়,  মঞ্জরি, মসি,মতি, যুবতি, রচনাবলি, লহরি, শ্রেণি, সরণি, সারথি,  সূচিপত্র;
উর্ণা, উর্বর, উষা।

রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব ●

রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না৷ যেমন:
অর্জ্জন, ঊর্দ্ধ্ব, কর্ম্ম, কার্ত্তিক, কার্য্য, বার্দ্ধক্য, মূর্চ্ছা, সূর্য্য ইত্যাদির পরিবর্তে যথাক্রমে অর্জন, ঊর্ধ্ব, কর্ম, কার্তিক, কার্য, বার্ধক্য, মূর্ছা, সূর্য ইত্যাদি হবে।


☆ ং

সন্ধির ক্ষেত্রে ক খ গ ঘ পরে থাকলে পদের অন্তস্থিত ম্ স্থানে অনুস্বার (ং) লেখা যাবে৷ যেমন:
অহম্ + কার = অহংকার
এভাবে ভয়ংকর, সংগীত, শুভংকর, হৃদয়ংগম, সংঘটন৷

সন্ধিবদ্ধ না হলে ঙ স্থানে ং হবে না৷
যেমন:
অঙ্ক, অঙ্গ, আকাঙ্ক্ষা, আতঙ্ক, কঙ্কাল, গঙ্গা, বঙ্কিম, বঙ্গ, লঙ্ঘন, শঙ্কা, শৃঙ্খলা, সঙ্গে, সঙ্গী।


☆ ইন্-প্রত্যয়ান্ত শব্দ :

সংস্কৃত ইন্-প্রত্যয়ান্ত শব্দের দীর্ঘ ঈ-কারান্তরূপ সমাসবদ্ধ হলে সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়ম-অনুযায়ী সেগুলিতে হ্রস্ব ই-কার হয়। যেমন:
গুণী → গুণিজন, প্রাণী → প্রাণিবিদ্যা, মন্ত্রী → মন্ত্রিপরিষদ
তবে এগুলোর সমাসবদ্ধ রূপে ঈ-কারের ব্যবহারও চলতে পারে। যেমন:
গুণী → গুণীজন, প্রাণী → প্রাণীবিদ্যা, মন্ত্রী → মন্ত্রীপরিষদ

☆ ইন্-প্রত্যয়ান্ত শব্দের সঙ্গে -ত্ব ও -তা প্রত্যয় যুক্ত হলে ই-কার হবে। যেমন:
কৃতী → কৃতিত্ব, দায়ী → দায়িত্ব, 
মন্ত্রী → মন্ত্রিত্ব,
প্রতিযোগী → প্রতিযোগিতা,  
সহযোগী → সহযোগিতা,
উপযোগী → উপযোগিতা,
উপকারী → উপকারিতা,
প্রতিদ্বন্দ্বী → প্রতিদ্বন্দ্বিতা


☆ বিসর্গ (ঃ)

শব্দের শেষে বিসর্গ (ঃ) থাকবে না। যেমন:
ইতস্তত, কার্যত, ক্রমশ, পুনঃপুন, প্রথমত, প্রধানত, প্রয়াত, প্রায়শ, ফলত, বস্তুত, মূলত।
এছাড়া নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে শব্দমধ্যস্থ বিসর্গ-বর্জিত রূপ গৃহীত হবে। যেমন:
দুস্থ, নিস্তব্ধ, নিস্পৃহ, নিশ্বাস।

অতৎসম শব্দ ★

ই, ঈ, উ, ঊ
সকল অতৎসম অর্থাৎ তদ্ভব, দেশী, বিদেশী, মিশ্র শব্দে কেবল ই এবং উ এবং এদের -কার চিহ্ন ি ু ব্যবহৃত হবে ৷ যেমন:
আরবি, আসামি, ইংরেজি, ইমান, ইরানি, উনিশ, ওকালতি, কাহিনি, কুমির, কেরামতি, খুশি, খেয়ালি, গাড়ি, গোয়ালিনি, চাচি, জমিদারি, জাপানি, জার্মানি, টুপি, তরকারি, দাড়ি, দাদি, দাবি, দিঘি, নানি, নিচু, পশমি, পাখি, পাগলামি, পাগলি, পিসি, ফরাসি, ফরিয়াদি, ফারসি, ফিরিঙ্গি, বর্ণালি, বাঁশি, বাঙালি, বাড়ি, বিবি, বুড়ি, বেআইনি, বেশি, বোমাবাজি, ভারি (অত্যন্ত অর্থে), মামি, মালি, মাসি, মাস্টারি, রানি, রুপালি, রেশমি, শাড়ি, সরকারি, সিন্ধি, সোনালি, হাতি, হিজরি, হিন্দি, হেঁয়ালি।
চুন, পুজো, পুব, মুলা, মুলো।

পদাশ্রিত নির্দেশক টি-তে ই-কার হবে৷ যেমন: ছেলেটি, লোকটি, বইটি৷


★সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া-বিশেষণ ও যোজক পদরূপে কী শব্দটি ঈ-কার লেখা হবে। যেমন:

এটা কী বই? কী আনন্দ! কী আর বলব? কী করছ? কী করে যাব? কী খেলে? কী জানি? কী দুরাশা! তোমার কী! কী বুদ্ধি নিয়ে এসেছিলে! কী পড়ো? কী যে করি! কী বাংলা কী ইংরেজি উভয় ভাষাতেই তিনি পারদর্শী।

কীভাবে, কীরকম, কীরূপে প্রভৃতি শব্দেও ঈ-কার হবে।

যেসব প্রশ্নবাচক বাক্যের উত্তর হ্যাঁ বা না হবে, সেইসব বাক্যে ব্যবহৃত ‘কি’ হ্রস্ব ই-কার দিয়ে লেখা হবে। যেমন:
তুমি কি যাবে? সে কি এসেছিল?


☆ এ, অ্যা
বাংলায় এ বর্ণ বা ে-কার দিয়ে এ এবং অ্যা এই উভয় ধ্বনি নির্দেশিত হয়৷ যেমন:
কেন, কেনো (ক্রয় করো); খেলা, খেলি; গেল, গেলে, গেছে; দেখা, দেখি; জেনো, যেন।
তবে কিছু তদ্ভব এবং বিশেষভাবে দেশী শব্দ রয়েছে যেগুলির ্যা-কার (য-ফলা + আ-কার) যুক্ত রূপ বহুল পরিচিত৷ যেমন:
ব্যাঙ, ল্যাঠা৷
এসব শব্দে ্যা (য-ফলা + আ-কার) অপরিবর্তিত থাকবে৷
বিদেশি শব্দে ক্ষেত্র-অনুযায়ী অ্যা বা ্যা-কার (য-ফলা + আ-কার) ব্যবহৃত হবে। যেমন:
অ্যাকাউন্ট, অ্যান্ড (and), অ্যাসিড, ক্যাসেট, ব্যাংক, ভ্যাট, ম্যানেজার, হ্যাট।


☆ ও

বাংলা অ-ধ্বনির উচ্চারণ বহু ক্ষেত্রে ও-র মতো হয়। শব্দশেষের এসব অ-ধ্বনি ও-কার দিয়ে লেখা যেতে পারে। যেমন:
কালো, খাটো, ছোটো, ভালো;
এগারো, বারো, তেরো, পনেরো, ষোলো, সতেরো, আঠারো;
করানো, খাওয়ানো, চড়ানো, চরানো, চালানো, দেখানো, নামানো, পাঠানো, বসানো, শেখানো, শোনানো, হাসানো;
কুড়ানো, নিকানো, বাঁকানো, বাঁধানো, ঘোরালো, জোরালো, ধারালো, প্যাঁচানো;
করো, চড়ো, জেনো, ধরো, পড়ো, বলো, বসো, শেখো, করাতো, কেনো, দেবো, হতো, হবো, হলো;
কোনো, মতো।
ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞায় শব্দের আদিতেও ও-কার লেখা যেতে পারে। যেমন:
কোরো, বোলো, বোসো।


☆ ং, ঙ
শব্দের শেষে প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে সাধারণভাবে অনুস্বার (ং) ব্যবহৃত হবে। যেমন:
গাং, ঢং, পালং, রং, রাং, সং।
তবে অনুস্বারের সঙ্গে স্বর যুক্ত হলে ঙ হবে। যেমন:
বাঙালি, ভাঙা, রঙিন, রঙের
বাংলা ও বাংলাদেশ শব্দে অনুস্বার থাকবে।


☆ ক্ষ, খ

অতৎসম শব্দ খিদে, খুদ, খুর (গবাদি পশুর পায়ের শেষ প্রান্ত), খেত, খ্যাপা ইত্যাদি লেখা হবে।


☆ জ, য

বাংলায় প্রচলিত বিদেশি শব্দ সাধারণভাবে বাংলা ভাষার ধ্বনিপদ্ধতি-অনুযায়ী লিখতে হবে। যেমন:
কাগজ, জাদু, জাহাজ, জুলুম, জেব্রা, বাজার, হাজার।
ইসলাম ধর্ম-সংক্রান্ত কয়েকটি শব্দে বিকল্পে ‘য’ রেখা যেতে পারে। যেমন:
আযান, ওযু, কাযা, নামায, মুয়ায্যিন, যোহর, রমযান, হযরত।


☆ মূর্ধন্য ণ, দন্ত্য ন

অতৎসম শব্দের বানানে ণ ব্যবহার করা যাবে না। যেমন:
অঘ্রান, ইরান, কান, কোরান, গভর্নর, গুনতি, গোনা, ঝরনা, ধরন, পরান, রানি, সোনা, হর্ন।

তৎসম শব্দে ট ঠ ড ঢ-য়ের পূর্বে যুক্ত নাসিক্যবর্ণ ণ হয়। যেমন:
কণ্টক, প্রচণ্ড, লুণ্ঠন।
কিন্তু অতৎসম শব্দের ক্ষেত্রে ট ঠ ড ঢ-য়ের আগে কেবল ন হবে। যেমন:
গুন্ডা, ঝান্ডা, ঠান্ডা, ডান্ডা, লন্ঠন।


☆ শ, ষ, স

বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে ‘ষ’ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। যেমন:
কিশমিশ, নাশতা, পোশাক, বেহেশ্ত, শখ, শয়তান, শরবত, শরম, শহর, শামিয়ানা, শার্ট, শৌখিন;
আপস, জিনিস, মসলা, সন, সাদা, সাল (বৎসর), স্মার্ট, হিসাব;
স্টল, স্টাইল, স্টিমার, স্ট্রিট, স্টুডিয়ো, স্টেশন, স্টোর।
ইসলাম, তসলিম, মুসলমান, মুসলিম, সালাত, সালাম;
এশা, শাওয়াল (হিজরি মাস), শাবান (হিজরি মাস)।
ইংরেজি ও ইংরেজির মাধ্যমে আগত বিদেশি s ধ্বনির জন্য স এবং -sh, -sion, -ssion, tion প্রভৃতি বর্ণগুচ্ছ বা ধ্বনির জন্য শ ব্যবহৃত হবে। যেমন:
পাসপোর্ট, বাস; ক্যাশ; টেলিভিশন;
মিশন, সেশন; রেশন, স্টেশন।
যেখানে বাংলায় বিদেশি শব্দের বানান পরিবর্তিত হয়ে স ছ এর রূপ ধারণ করেছে সেখানে ছ-এর ব্যবহার থাকবে। যেমন:
তছনছ, পছন্দ, মিছরি, মিছিল।


★বিদেশি শব্দ ও যুক্তবর্ণ★

বাংলায় বিদেশি শব্দের আদিতে বর্ণবিশ্লেষ সম্ভব নয়। এগুলো যুক্তবর্ণ দিয়ে লিখতে হবে। যেমন:
স্টেশন, স্ট্রিট, স্প্রিং।
তবে অন্য ক্ষেত্রে বিশ্লেষ করা যায়। যেমন:
মার্কস, শেকসপিয়র, ইসরাফিল।


☆ হস-চিহ্ন

হস-চিহ্ন যথাসম্ভব বর্জন করতে হবে। যেমন:
কলকল, করলেন, কাত, চট, চেক, জজ, ঝরঝর, টক, টন, টাক, ডিশ, তছনছ, ফটফট, বললেন, শখ, হুক।
তবে যদি অর্থবিভ্রান্তি বা ভুল উচ্চারণের আশঙ্কা থাকে তাহলে হস-চিহ্ন ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন:
উহ্, বাহ্, যাহ্।


☆ ঊর্ধ্ব-কমা

ঊর্ধ্ব-কমা যথাসম্ভব বর্জন করা হবে৷ যেমন:
বলে (বলিয়া), হয়ে (হইয়া), দুজন (দুইজন), চাল (চাউল), আল (আইল)।
বিবিধ


☆ সমাসবদ্ধ পদ

সমাসবদ্ধ পদগুলি যথাসম্ভব একসঙ্গে লিখতে হবে। যেমন:
অদৃষ্টপূর্ব, অনাস্বাদিতপূর্ব, নেশাগ্রস্ত, পিতাপুত্র, পূর্বপরিচিত, বিষাদমণ্ডিত, মঙ্গলবার, রবিবার, লক্ষ্যভ্রষ্ট, সংবাদপত্র, সংযতবাক, সমস্যাপূর্ণ, স্বভাবগতভাবে।
বিশেষ প্রয়োজনে সমাসবদ্ধ শব্দটিকে এক বা একাধিক হাইফেন (-) দিয়ে যুক্ত করা যায়৷ যেমন:
কিছু-না-কিছু, জল-স্থল-আকাশ, বাপ-বেটা, বেটা-বেটি, মা-ছেলে, মা-মেয়ে


☆ বিশেষণ পদ

বিশেষণ পদ সাধারণভাবে পরবর্তী পদের সঙ্গে যুক্ত হবে না। যেমন:
ভালো দিন, লাল গোলাপ, সুগন্ধ ফুল, সুনীল আকাশ, সুন্দরী মেয়ে, স্তব্ধ মধ্যাহ্ন।


☆ না-বাচক শব্দ

না-বাচক না এবং নি-এর প্রথমটি (না) স্বতন্ত্র পদ হিসেবে এবং দ্বিতীয়টি (নি) সমাসবদ্ধ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। যেমন:
করি না, কিন্তু করিনি।
এছাড়া শব্দের পূর্বে না-বাচক উপসর্গ ‘না’ উত্তরপদের সঙ্গে যুক্ত ধাকবে। যেমন:
নাবালাক, নারাজ, নাহক।
অর্থ পরিস্ফুট করার জন্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুভূত হলে না-এর পর হাইফেন ব্যবহার করা যায়। যেমন:
না-গোনা পাখি, না-বলা বাণী, না-শোনা কথা।


☆ অধিকন্তু অর্থে ‘ও’

অধিকন্তু অর্থে ব্যবহৃত ‘ও’ প্রত্যয় শব্দের সঙ্গে কার-চিহ্ন রূপে যুক্ত না হয়ে পূর্ণ রূপে শব্দের পরে যুক্ত হবে। যেমন:
আজও, আমারও, কালও, তোমারও।


☆ নিশ্চয়ার্থক ‘ই’

নিশ্চয়ার্থক ‘ই’ শব্দের সঙ্গে কার-চিহ্ন রূপে যুক্ত না হয়ে পূর্ণ রূপে শব্দের পরে যুক্ত হবে। যেমন : আজই, এখনই।


☆ উদ্ধৃতি

উদ্ধৃতি মূলে যেমন আছে ঠিক তেমনি লিখতে হবে। কোন পুরাতন রচনায় যদি বানান বর্তমান নিয়মের অনুরূপ না হয়, উক্ত রচনার বানানই যথাযথভাবে উদ্ধৃত করতে হবে। যদি উদ্ধৃত রচনায় বানানের ভুল বা মুদ্রণের ত্রুটি থাকে, ভুলই উদ্ধৃত করে তৃতীয় বন্ধনীর মধ্যে শুদ্ধ বানানটির উল্লেখ করতে হবে। এক বা দুই ঊর্ধ্ব-কমার দ্বারা উদ্ধৃত অংশকে চিহ্নিত করতে হবে। তবে উদ্ধৃত অংশ যদি ইনসেট করা হয় তাহলে ঊর্ধ্ব-কমার চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে না। তাছাড়া কবিতা যদি মূল চরণ-বিন্যাস অনুযায়ী উদ্ধৃত হয় এবং কবির নামের উল্লেখ থাকে সেক্ষেত্রেও উদ্ধৃতি-চিহ্ন দেয়ার প্রয়োজন নেই। ইনসেট না হলে গদ্যের উদ্ধৃতিতে প্রথমে ও শেষে উদ্ধৃতি-চিহ্ন দেওয়া ছাড়াও প্রত্যেক অনুচ্ছেদের প্রারম্ভে উদ্ধৃতি-চিহ্ন দিতে হবে। প্রথমে, মধ্যে বা শেষে উদ্ধৃত রচনার কোনো অংশ যদি বাদ দেওয়া হয় অর্থাৎ উদ্ধৃত করা না হয়, বাদ দেওয়ার স্থানগুলিকে তিনটি বিন্দু বা ডট্ (অবলোপ চিহ্ন) দ্বারা চিহ্নিত করতে হবে। গোটা অনুচ্ছেদ , স্তবক, বা একাধিক ছত্রের কোনো বৃহৎ অংশ বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি তারকার একটি ছত্র রচনা করে ফাঁকগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে।
কোনো পুরাতন অভিযোজিত বা সংক্ষেপিত পাঠে অবশ্য পুরাতন বানানকে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী পরিবর্তিত করা যেতে পারে।
ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার নাম
ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার নাম এই নিয়মের আওতাভুক্ত নয়।


★বাংলা যুক্তবর্ণের তালিকা

যুক্তবর্ণ বলতে একাধিক ব্যঞ্জনবর্ণের সমষ্টিকে বোঝানো হয়েছে। বাংলা লিখনপদ্ধতিতে যুক্তবর্ণের একটি বিশেষ স্থান আছে। এগুলি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উপাদান বর্ণগুলির চেয়ে দেখতে ভিন্ন, ফলে নতুন শিক্ষার্থীর এগুলি লেখা আয়ত্ত করতে সময়ের প্রয়োজন হয়।
যুক্তবর্ণগুলি বাংলা লিখন পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য। উচ্চারিত ধ্বনির সাথে এগুলির উপাদান ব্যঞ্জনবর্ণের নির্দেশিত ধ্বনির সবসময় সরাসরি সম্পর্ক না-ও থাকতে পারে। যেমন – পক্ব -এর উচ্চারণ পক্কো ; বানানে ব-ফলা থাকলেও উচ্চারণে ব ধ্বনিটি অনুপস্থিত। রুক্ষ-এর উচ্চারণ
রুক্খো; বানানের নিয়ম অনুযায়ী ক্ষ যুক্তবর্ণটি ক ও ষ-এর যুক্তরূপ হলেও উচ্চারণ হয় ক্খ। বানান ও ধ্বনির এই অনিয়মও শিক্ষার্থীর জন্য যুক্তবর্ণের সঠিক ব্যবহারে একটি বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
নিচের যুক্তবর্ণের তালিকাটি বাংলা সঠিকভাবে লিখতে সহায়ক হতে পারে। এখানে বাংলায় ব্যবহৃত ২৮৫টি যুক্তবর্ণ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোন যুক্তবর্ণ সম্ভবত বাংলায় প্রচলিত নয়।

1. ক্ক = ক + ক; যেমন: আক্কেল, টেক্কা
2. ক্ট = ক + ট; যেমন: ডক্টর (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
3. ক্ট্র = ক + ট + র; যেমন: অক্ট্রয়
4. ক্ত = ক + ত; যেমন: রক্ত
5. ক্ত্র = ক + ত + র; যেমন: বক্ত্র
6. ক্ব = ক + ব; যেমন: পক্ব, ক্বণ
7. ক্ম = ক + ম; যেমন: রুক্মিণী
8. ক্য = ক + য; যেমন: বাক্য
9. ক্র = ক + র; যেমন: চক্র
10. ক্ল = ক + ল; যেমন: ক্লান্তি
11. ক্ষ = ক + ষ; যেমন: পক্ষ
12. ক্ষ্ণ = ক + ষ + ণ; যেমন: তীক্ষ্ণ
13. ক্ষ্ব = ক + ষ + ব; যেমন: ইক্ষ্বাকু
14. ক্ষ্ম = ক + ষ + ম; যেমন: লক্ষ্মী
15. ক্ষ্ম্য = ক + ষ + ম + য; যেমন: সৌক্ষ্ম্য
16. ক্ষ্য = ক + ষ + য; যেমন: লক্ষ্য
17. ক্স = ক + স; যেমন: বাক্স
18. খ্য = খ + য; যেমন: সখ্য
19. খ্র = খ+ র যেমন; যেমন: খ্রিস্টান
20. গ্ণ = গ + ণ; যেমন – রুগ্ণ
21. গ্ধ = গ + ধ; যেমন: মুগ্ধ
22. গ্ধ্য = গ + ধ + য; যেমন: বৈদগ্ধ্য
23. গ্ধ্র = গ + ধ + র; যেমন: দোগ্ধ্রী
24. গ্ন = গ + ন; যেমন: ভগ্ন
25. গ্ন্য = গ + ন + য; যেমন: অগ্ন্যাস্ত্র, অগ্ন্যুৎপাত, অগ্ন্যাশয়
26. গ্ব = গ + ব; যেমন: দিগ্বিজয়ী
27. গ্ম = গ + ম; যেমন: যুগ্ম
28. গ্য = গ + য; যেমন: ভাগ্য
29. গ্র = গ + র; যেমন: গ্রাম
30. গ্র্য = গ + র + য; যেমন: ঐকাগ্র্য, সামগ্র্য, গ্র্যাজুয়েট
31. গ্ল = গ + ল; যেমন: গ্লানি
32. ঘ্ন = ঘ + ন; যেমন: কৃতঘ্ন
33. ঘ্য = ঘ + য; যেমন: অশ্লাঘ্য
34. ঘ্র = ঘ + র; যেমন: ঘ্রাণ
35. ঙ্ক = ঙ + ক; যেমন: অঙ্ক
36. ঙ্ক্ত = ঙ + ক + ত; যেমন: পঙ্ক্তি
37. ঙ্ক্য = ঙ + ক + য; যেমন: অঙ্ক্য
38. ঙ্ক্ষ = ঙ + ক + ষ; যেমন: আকাঙ্ক্ষা
39. ঙ্খ = ঙ + খ; যেমন: শঙ্খ
40. ঙ্গ = ঙ + গ; যেমন: অঙ্গ
41. ঙ্গ্য = ঙ + গ + য; যেমন: ব্যঙ্গ্যার্থ, ব্যঙ্গ্যোক্তি
42. ঙ্ঘ = ঙ + ঘ; যেমন: সঙ্ঘ
43. ঙ্ঘ্য = ঙ + ঘ + য; যেমন: দুর্লঙ্ঘ্য
44. ঙ্ঘ্র = ঙ + ঘ + র; যেমন: অঙ্ঘ্রি
45. ঙ্ম = ঙ + ম; যেমন: বাঙ্ময়
46. চ্চ = চ + চ; যেমন: বাচ্চা
47. চ্ছ = চ + ছ; যেমন: ইচ্ছা
48. চ্ছ্ব = চ + ছ + ব; যেমন: জলোচ্ছ্বাস
49. চ্ছ্র = চ + ছ + র; যেমন: উচ্ছ্রায়
50. চ্ঞ = চ + ঞ; যেমন: যাচ্ঞা
51. চ্ব = চ + ব; যেমন: চ্বী
52. চ্য = চ + য; যেমন: প্রাচ্য
53. জ্জ = জ + জ; যেমন: বিপজ্জনক
54. জ্জ্ব = জ + জ + ব; যেমন: উজ্জ্বল
55. জ্ঝ = জ + ঝ; যেমন: কুজ্ঝটিকা
56. জ্ঞ = জ + ঞ; যেমন: জ্ঞান
57. জ্ব = জ + ব; যেমন: জ্বর
58. জ্য = জ + য; যেমন: রাজ্য
59. জ্র = জ + র; যেমন: বজ্র
60. ঞ্চ = ঞ + চ; যেমন: অঞ্চল
61. ঞ্ছ = ঞ + ছ; যেমন: লাঞ্ছনা
62. ঞ্জ = ঞ + জ; যেমন: কুঞ্জ
63. ঞ্ঝ = ঞ + ঝ; যেমন: ঝঞ্ঝা
64. ট্ট = ট + ট; যেমন: চট্টগ্রাম
65. ট্ব = ট + ব; যেমন: খট্বা
66. ট্ম = ট + ম; যেমন: কুট্মল
67. ট্য = ট + য; যেমন: নাট্য
68. ট্র = ট + র; যেমন: ট্রেন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
69. ড্ড = ড + ড; যেমন: আড্ডা
70. ড্ব = ড + ব; যেমন: অন্ড্বান
71. ড্য = ড + য; যেমন: জাড্য
72. ড্র = ড + র; যেমন: ড্রাইভার, ড্রাম (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
73. ড়্গ = ড় + গ; যেমন: খড়্গ
74. ঢ্য = ঢ + য; যেমন: ধনাঢ্য
75. ঢ্র = ঢ + র; যেমন: মেঢ্র (ত্বক) (মন্তব্য: অত্যন্ত বিরল)
76. ণ্ট = ণ + ট; যেমন: ঘণ্টা
77. ণ্ঠ = ণ + ঠ; যেমন: কণ্ঠ
78. ণ্ঠ্য = ণ + ঠ + য; যেমন: কণ্ঠ্য
79. ণ্ড = ণ + ড; যেমন: গণ্ডগোল
80. ণ্ড্য = ণ + ড + য; যেমন: পাণ্ড্য
81. ণ্ড্র = ণ + ড + র; যেমন: পুণ্ড্র
82. ণ্ঢ = ণ + ঢ; যেমন: ষণ্ঢ
83. ণ্ণ = ণ + ণ; যেমন: বিষণ্ণ
84. ণ্ব = ণ + ব; যেমন: স্হাণ্বীশ্বর
85. ণ্ম = ণ + ম; যেমন: চিণ্ময়
86. ণ্য = ণ + য; যেমন: পূণ্য
87. ত্ত = ত + ত; যেমন: উত্তর
88. ত্ত্র = ত + ত + র; যেমন: পুত্ত্র (মন্তব্য: যুক্তবর্ণটি সঠিক আকৃতিতে দেখা নাও যেতে পারে। এজন্য (ত + ্ + ত + ্ + র) সমর্থিত ফন্ট প্রয়োজন। যুক্তবর্ণটি বর্তমানে ব্যবহৃত না হলেও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও তৎকালীন লেখকেরা এই বানানটি ব্যবহার করেছেন৷)
89. ত্ত্ব = ত + ত + ব; যেমন: সত্ত্ব
90. ত্ত্য = ত + ত + য; যেমন: উত্ত্যক্ত
91. ত্থ = ত + থ; যেমন: অশ্বত্থ
92. ত্ন = ত + ন; যেমন: যত্ন
93. ত্ব = ত + ব; যেমন: রাজত্ব
94. ত্ম = ত + ম; যেমন: আত্মা
95. ত্ম্য = ত + ম + য; যেমন: দৌরাত্ম্য
96. ত্য = ত + য; যেমন: সত্য
97. ত্র = ত + র যেমন: ত্রিশ, ত্রাণ
98. ত্র্য = ত + র + য; যেমন: বৈচিত্র্য
99. ৎল = ত + ল; যেমন: কাৎলা
100. ৎস = ত + স; যেমন: বৎসর, উৎসব
101. থ্ব = থ + ব; যেমন: পৃথ্বী
102. থ্য = থ + য; যেমন: পথ্য
103. থ্র = থ + র; যেমন: থ্রি (three) (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
104. দ্গ = দ + গ; যেমন: উদ্গম
105. দ্ঘ = দ + ঘ; যেমন: উদ্ঘাটন
106. দ্দ = দ + দ; যেমন: উদ্দেশ্য
107. দ্দ্ব = দ + দ + ব; যেমন: তদ্দ্বারা
108. দ্ধ = দ + ধ; যেমন: রুদ্ধ
109. দ্ব = দ + ব; যেমন: বিদ্বান
110. দ্ভ = দ + ভ; যেমন: অদ্ভুত
111. দ্ভ্র = দ + ভ + র; যেমন: উদ্ভ্রান্ত
112. দ্ম = দ + ম; যেমন: ছদ্ম
113. দ্য = দ + য; যেমন: বাদ্য
114. দ্র = দ + র; যেমন: রুদ্র
115. দ্র্য = দ + র + য; যেমন: দারিদ্র্য
116. ধ্ন = ধ + ন; যেমন: অর্থগৃধ্নু
117. ধ্ব = ধ + ব; যেমন: ধ্বনি
118. ধ্ম = ধ + ম; যেমন: উদরাধ্মান
119. ধ্য = ধ + য; যেমন: আরাধ্য
120. ধ্র = ধ + র; যেমন: ধ্রুব
121. ন্ট = ন + ট; যেমন: প্যান্ট (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
122. ন্ট্র = ন + ট + র; যেমন: কন্ট্রোল (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
123. ন্ঠ = ন + ঠ; যেমন: লন্ঠন
124. ন্ড = ন + ড; যেমন: গন্ডার, পাউন্ড
125. ন্ড্র = ন + ড + র; যেমন: হান্ড্রেড
126. ন্ত = ন + ত; যেমন: জীবন্ত
127. ন্ত্ব = ন + ত + ব; যেমন: সান্ত্বনা
128. ন্ত্য = ন + ত + য; যেমন: অন্ত্য
129. ন্ত্র = ন + ত + র; যেমন: মন্ত্র
130. ন্ত্র্য = ন + ত + র + য; যেমন: স্বাতন্ত্র্য
131. ন্থ = ন + থ; যেমন: গ্রন্থ
132. ন্থ্র = ন + থ + র; যেমন: অ্যান্থ্রাক্স (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
133. ন্দ = ন + দ; যেমন: ছন্দ
134. ন্দ্য = ন + দ + য; যেমন: অনিন্দ্য
135. ন্দ্ব = ন + দ + ব; যেমন: দ্বন্দ্ব
136. ন্দ্র = ন + দ + র; যেমন: কেন্দ্র
137. ন্ধ = ন + ধ; যেমন: অন্ধ
138. ন্ধ্য = ন + ধ + য; যেমন: বিন্ধ্য
139. ন্ধ্র = ন + ধ + র; যেমন: রন্ধ্র
140. ন্ন = ন + ন; যেমন: নবান্ন
141. ন্ব = ন + ব; যেমন: ধন্বন্তরি
142. ন্ম = ন + ম; যেমন: চিন্ময়
143. ন্য = ন + য; যেমন: ধন্য
144. প্ট = প + ট; যেমন: পাটি-সাপ্টা, ক্যাপ্টেন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
145. প্ত = প + ত; যেমন: সুপ্ত
146. প্ন = প + ন; যেমন: স্বপ্ন
147. প্প = প + প; যেমন: ধাপ্পা
148. প্য = প + য; যেমন: প্রাপ্য
149. প্র = প + র; যেমন: ক্ষিপ্র
150. প্র্য = প + র + য; যেমন: প্র্যাকটিস (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
151. প্ল = প + ল; যেমন:আপ্লুত
152. প্স = প + স; যেমন: লিপ্সা
153. ফ্র = ফ + র; যেমন: ফ্রক, ফ্রিজ, আফ্রিকা, রেফ্রিজারেটর (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
154. ফ্ল = ফ + ল; যেমন: ফ্লেভার (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
155. ব্জ = ব + জ; যেমন: ন্যুব্জ
156. ব্দ = ব + দ; যেমন: জব্দ
157. ব্ধ = ব + ধ; যেমন: লব্ধ
158. ব্ব = ব + ব; যেমন: ডাব্বা
159. ব্য = ব + য; যেমন: দাতব্য
160. ব্র = ব + র; যেমন: ব্রাহ্মণ
161. ব্ল = ব + ল; যেমন: ব্লাউজ
162. ভ্ব =ভ + ব; যেমন: ভ্বা
163. ভ্য = ভ + য; যেমন: সভ্য
164. ভ্র = ভ + র; যেমন: শুভ্র
165. ম্ন = ম + ন; যেমন: নিম্ন
166. ম্প = ম + প; যেমন: কম্প
167. ম্প্র = ম + প + র; যেমন: সম্প্রতি
168. ম্ফ = ম + ফ; যেমন: লম্ফ
169. ম্ব = ম + ব; যেমন: প্রতিবিম্ব
170. ম্ব্র = ম + ব + র; যেমন: মেম্ব্রেন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
171. ম্ভ = ম + ভ; যেমন: দম্ভ
172. ম্ভ্র = ম + ভ + র; যেমন: সম্ভ্রম
173. ম্ম = ম + ম; যেমন: সম্মান
174. ম্য = ম + য; যেমন: গ্রাম্য
175. ম্র = ম + র; যেমন: নম্র
176. ম্ল = ম + ল; যেমন: অম্ল
177. য্য = য + য; যেমন: ন্যায্য
178. র্ক = র + ক; যেমন – তর্ক
179. র্ক্য = র + ক + য; যেমন: অতর্ক্য (তর্ক দিয়ে যার সমাধান হয় না)
180. র্গ্য = র + গ + য; যেমন – বর্গ্য (বর্গসম্বন্ধীয়)
181. র্ঘ্য = র + ঘ + য; যেমন: দৈর্ঘ্য
182. র্চ্য = র + চ + য; যেমন: অর্চ্য (পূজনীয়)
183. র্জ্য = র + জ + য; যেমন: বর্জ্য
184. র্ণ্য = র + ণ + য; যেমন: বৈবর্ণ্য (বিবর্ণতা)
185. র্ত্য = র + ত + য; যেমন: মর্ত্য
186. র্থ্য = র + থ + য; যেমন: সামর্থ্য
187. র্ব্য = র + ব + য; যেমন: নৈর্ব্যক্তিক
188. র্ম্য = র + ম + য; যেমন: নৈষ্কর্ম্য
189. র্শ্য = র + শ + য; যেমন: অস্পর্শ্য
190. র্ষ্য = র + ষ + য; যেমন: ঔৎকর্ষ্য
191. র্হ্য = র + হ + য; যেমন: গর্হ্য
192. র্খ = র + খ; যেমন: মূর্খ
193. র্গ = র + গ; যেমন: দুর্গ
194. র্গ্র = র + গ + র; যেমন: দুর্গ্রহ, নির্গ্রন্হ
195. র্ঘ = র + ঘ; যেমন: দীর্ঘ
196. র্চ = র + চ; যেমন: অর্চনা
197. র্ছ = র + ছ; যেমন: মূর্ছনা
198. র্জ = র + জ; যেমন: অর্জন
199. র্ঝ = র + ঝ; যেমন: নির্ঝর
200. র্ট = র + ট; যেমন: আর্ট, কোর্ট, কম্ফর্টার, শার্ট, কার্টিজ, আর্টিস্ট, পোর্টম্যানটো, সার্টিফিকেট, কনসার্ট, কার্টুন, কোয়ার্টার (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
201. র্ড = র + ড; যেমন: অর্ডার, লর্ড, বর্ডার, কার্ড (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
202. র্ণ = র + ণ; যেমন: বর্ণ
203. র্ত = র + ত; যেমন: ক্ষুধার্ত
204. র্ত্র = র + ত + র; যেমন: কর্ত্রী
205. র্থ = র + থ; যেমন: অর্থ
206. র্দ = র + দ; যেমন: নির্দয়
207. র্দ্ব = র + দ + ব; যেমন: নির্দ্বিধা
208. র্দ্র = র + দ + র; যেমন: আর্দ্র
209. র্ধ = র + ধ; যেমন: গোলার্ধ
210. র্ধ্ব = র + ধ + ব; যেমন: ঊর্ধ্ব
211. র্ন = র + ন; যেমন: দুর্নাম
212. র্প = র + প; যেমন: দর্প
213. র্ফ = র + ফ; যেমন: স্কার্ফ (মন্তব্য: মূলত ইংরেজি ও আরবী-ফার্সি কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
214. র্ভ = র + ভ; যেমন: গর্ভ
215. র্ম = র + ম; যেমন: ধর্ম
216. র্য = র + য; যেমন: আর্য (মন্তব্য দেখুন)
217. র্ল = র + ল; যেমন: দুর্লভ
218. র্শ = র + শ; যেমন: স্পর্শ
219. র্শ্ব = র+ শ + ব; যেমন: পার্শ্ব
220. র্ষ = র + ষ; যেমন: ঘর্ষণ
221. র্স = র + স; যেমন: জার্সি, নার্স, পার্সেল, কুর্সি (মন্তব্য: মূলত ইংরেজি ও আরবী-ফার্সি কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
222. র্হ = র + হ; যেমন: গার্হস্থ্য
223. র্ঢ্য = র + ঢ + য; যেমন: দার্ঢ্য (অর্থাৎ দৃঢ়তা)
224. ল্ক = ল + ক; যেমন: শুল্ক
225. ল্ক্য = ল + ক + য; যেমন: যাজ্ঞবল্ক্য
226. ল্গ = ল + গ; যেমন: বল্গা
227. ল্ট = ল + ট; যেমন: উল্টো
228. ল্ড = ল + ড; যেমন: ফিল্ডিং (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
229. ল্প = ল + প; যেমন: বিকল্প
230. ল্ফ = ল + ফ; যেমন: গল্ফ (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
231. ল্ব = ল + ব; যেমন: বিল্ব, বাল্ব
232. ল্ভ = ল + ভ; যেমন: প্রগল্ভ
233. ল্ম = ল + ম; যেমন: গুল্ম
234. ল্য = ল + য; যেমন: তারল্য
235. ল্ল = ল + ল; যেমন: উল্লাস
236. শ্চ = শ + চ; যেমন: পুনশ্চ
237. শ্ছ = শ + ছ; যেমন: শিরশ্ছেদ
238. শ্ন = শ + ন; যেমন: প্রশ্ন
239. শ্ব = শ + ব; যেমন: বিশ্ব
240. শ্ম = শ + ম; যেমন: জীবাশ্ম
241. শ্য = শ + য; যেমন: অবশ্য
242. শ্র = শ + র; যেমন: মিশ্র
243. শ্ল = শ + ল; যেমন: অশ্লীল
244. ষ্ক = ষ + ক; যেমন: শুষ্ক
245. ষ্ক্র = ষ + ক + র; যেমন: নিষ্ক্রিয়
246. ষ্ট = ষ + ট; যেমন: কষ্ট
247. ষ্ট্য = ষ + ট + য; যেমন: বৈশিষ্ট্য
248. ষ্ট্র = ষ + ট + র; যেমন: রাষ্ট্র
249. ষ্ঠ = ষ + ঠ; যেমন: শ্রেষ্ঠ
250. ষ্ঠ্য = ষ + ঠ + য; যেমন: নিষ্ঠ্যূত
251. ষ্ণ = ষ + ণ; যেমন: কৃষ্ণ
252. ষ্প = ষ + প; যেমন: নিষ্পাপ
253. ষ্প্র = ষ + প + র; যেমন: নিষ্প্রয়োজন
254. ষ্ফ = ষ + ফ; যেমন: নিষ্ফল
255. ষ্ব = ষ + ব; যেমন: মাতৃষ্বসা
256. ষ্ম = ষ + ম; যেমন: উষ্ম
257. ষ্য = ষ + য; যেমন: শিষ্য
258. স্ক = স + ক; যেমন: মনোস্কামনা
259. স্ক্র = স + ক্র; যেমন: ইস্ক্রু (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
260. স্খ = স + খ; যেমন: স্খলন
261. স্ট = স + ট; যেমন: স্টেশন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
262. স্ট্র = স + ট্র; যেমন: স্ট্রাইক (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
263. স্ত = স + ত; যেমন: ব্যস্ত
264. স্ত্ব = স + ত + ব; যেমন: বহিস্ত্বক
265. স্ত্য = স + ত + য; যেমন:অস্ত্যর্থ
266. স্ত্র = স + ত + র; যেমন: স্ত্রী
267. স্থ = স + থ; যেমন: দুঃস্থ
268. স্থ্য = স + থ + য; যেমন: স্বাস্থ্য
269. স্ন = স + ন; যেমন: স্নান
270. স্প = স + প; যেমন: আস্পর্ধা
271. স্প্র = স + প +র; যেমন: স্প্রিং (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
272. স্প্ল = স + প + ল; যেমন: স্প্লিন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
273. স্ফ = স + ফ; যেমন: আস্ফালন
274. স্ব = স + ব; যেমন: স্বর
275. স্ম = স + ম; যেমন: স্মরণ
276. স্য = স + য; যেমন: শস্য
277. স্র = স + র; যেমন: অজস্র
278. স্ল = স + ল; যেমন: স্লোগান
279. হ্ণ = হ + ণ; যেমন: অপরাহ্ণ
280. হ্ন = হ + ন; যেমন: চিহ্ন
281. হ্ব = হ + ব; যেমন: আহ্বান
282. হ্ম = হ + ম; যেমন: ব্রাহ্মণ
283. হ্য = হ + য; যেমন: বাহ্য
284. হ্র = হ + র; যেমন: হ্রদ
285. হ্ল = হ + ল; যেমন: আহ্লাদ



১. দূরত্ব বোঝায় না এরূপ শব্দে উ-কার যোগে ‘দুর’ (‘দুর’ উপসর্গ) বা ‘দু+রেফ’ হবে। যেমন— দুরবস্থা, দুরন্ত, দুরাকাঙ্ক্ষা, দুরারোগ্য, দুরূহ, দুর্গা, দুর্গতি, দুর্গ, দুর্দান্ত, দুর্নীতি, দুর্যোগ, দুর্ঘটনা, দুর্নাম, দুর্ভোগ, দুর্দিন, দুর্বল, দুর্জয় ইত্যাদি।


২. দূরত্ব বোঝায় এমন শব্দে ঊ-কার যোগে ‘দূর’ হবে। যেমন— দূর, দূরবর্তী, দূর-দূরান্ত, দূরীকরণ, অদূর, দূরত্ব, দূরবীক্ষণ ইত্যাদি।


৩. পদের শেষে ‘-জীবী’ ঈ-কার হবে। যেমন— চাকরিজীবী, পেশাজীবী, শ্রমজীবী, কৃষিজীবী, আইনজীবী ইত্যাদি।

৪. পদের শেষে ‘-বলি’ (আবলি) ই-কার হবে। যেমন— কার্যাবলি, শর্তাবলি, ব্যাখ্যাবলি, নিয়মাবলি, তথ্যাবলি ইত্যাদি।


৫. ‘স্ট’ এবং ‘ষ্ট’ ব্যবহার: বিদেশি শব্দে ‘স্ট’ ব্যবহার হবে। বিশেষ করে ইংরেজি st যোগে শব্দগুলোতে ‘স্ট’ ব্যবহার হবে। যেমন— পোস্ট, স্টার, স্টাফ, স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, স্ট্যাটাস, মাস্টার, ডাস্টার, পোস্টার, স্টুডিও, ফাস্ট, লাস্ট, বেস্ট ইত্যাদি। ষত্ব-বিধান অনুযায়ী বাংলা বানানে ট-বর্গীয় বর্ণে ‘ষ্ট’ ব্যবহার হবে। যেমন— বৃষ্টি, কৃষ্টি, সৃষ্টি, দৃষ্টি, মিষ্টি, নষ্ট, কষ্ট, তুষ্ট, সন্তুষ্ট ইত্যাদি।


৬. ‘পূর্ণ’ এবং ‘পুন’ (পুনঃ/পুন+রেফ/পুনরায়) ব্যবহার : ‘পূর্ণ’ (ইংরেজিতে Full/Complete অর্থে) শব্দটিতে ঊ-কার এবং র্ণ যোগে ব্যবহার হবে। যেমন— পূর্ণরূপ, পূর্ণমান, সম্পূর্ণ, পরিপূর্ণ ইত্যাদি। ‘পুন’ (পুনঃ/পুন+রেফ/পুনরায়— ইংরেজিতে Re- অর্থে) শব্দটিতে উ-কার হবে এবং অন্য শব্দটির সাথে যুক্ত হয়ে ব্যবহার হবে। যেমন— পুনঃপ্রকাশ, পুনঃপরীক্ষা, পুনঃপ্রবেশ, পুনঃপ্রতিষ্ঠা, পুনঃপুন, পুনর্জীবিত, পুনর্নিয়োগ, পুনর্নির্মাণ, পুনর্মিলন, পুনর্লাভ, পুনর্মুদ্রিত, পুনরুদ্ধার, পুনর্বিচার, পুনর্বিবেচনা, পুনর্গঠন, পুনর্বাসন ইত্যাদি।


৭. পদের শেষে’-গ্রস্থ’ নয় ‘-গ্রস্ত’ হবে। যেমন— বাধাগ্রস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ইত্যাদি।


৮. অঞ্জলি দ্বারা গঠিত সকল শব্দে ই-কার হবে। যেমন— অঞ্জলি, গীতাঞ্জলি, শ্রদ্ধাঞ্জলি ইত্যাদি।


৯. ‘কে’ এবং ‘-কে’ ব্যবহার: প্রশ্নবোধক অর্থে ‘কে’ (ইংরেজিতে Who অর্থে) আলাদা ব্যবহার হয়। যেমন— হৃদয় কে? প্রশ্ন করা বোঝায় না এমন শব্দে ‘-কে’ এক সাথে ব্যবহার হবে। যেমন— হৃদয়কে আসতে বলো।


১০. বিদেশি শব্দে ণ, ছ, ষ ব্যবহার হবে না। যেমন— হর্ন, কর্নার, সমিল (করাতকল), স্টার, আস্‌সালামু আলাইকুম, ইনসান, বাসস্ট্যান্ড ইত্যাদি।


১১. অ্যা, এ ব্যবহার: বিদেশি বাঁকা শব্দের উচ্চারণে ‘অ্যা’ ব্যবহার হয়। যেমন— অ্যাণ্ড (And), অ্যাড (Ad/Add), অ্যাকাউন্ট (Account), অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance), অ্যাসিস্ট্যান্ট (Assistant), অ্যাডভোকেট (Advocate), অ্যাকাডেমিক (Academic), অ্যাডভোকেসি (Advocacy) ইত্যাদি। অবিকৃত বা সরলভাবে উচ্চারণে ‘এ’ হয়। যেমন— এন্টার (Enter), এন্ড (End), এডিট (Edit) ইত্যাদি।


১২. ইংরেজি বর্ণ S-এর বাংলা প্রতিবর্ণ হবে ‘স’ এবং sh, -sion, -tion শব্দগুচ্ছে ‘শ’ হবে। যেমন— সিট (Seat/Sit), শিট, (Sheet), রেজিস্ট্রেশন (Registration), মিশন (Mission) ইত্যাদি।


১৩. কি ও কী এর ব্যবহার :

যে প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ বা না হবে সেখানে কি।
যে প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ বা না হবে না নির্দিষ্ট একটা উত্তর থাকবে সেখানে কী।


১৪. শ ষ স : তৎসম শব্দে ষ ব্যবহার হবে। খাঁটি বাংলা ও বিদেশি শব্দে ষ ব্যবহার হবে না। বাংলা বানানে ‘ষ’ ব্যবহারের জন্য অবশ্যই ষত্ব-বিধান, উপসর্গ, সন্ধি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। বাংলায় অধিকাংশ শব্দের উচ্চারণে ‘শ’ বিদ্যমান। এমনকি ‘স’ দিয়ে গঠিত শব্দেও ‘শ’ উচ্চারণ হয়। ‘স’-এর স্বতন্ত্র উচ্চারণ বাংলায় খুবই কম। ‘স’-এর স্বতন্ত্র উচ্চারণ হচ্ছে— সমীর, সাফ, সাফাই। যুক্ত বর্ণ, ঋ-কার ও র-ফলা যোগে যুক্তধ্বনিতে ‘স’-এর উচ্চারণ পাওয়া যায়। যেমন— সৃষ্টি, স্মৃতি, স্পর্শ, স্রোত, শ্রী, আশ্রম ইত্যাদি।


১৫. সমাসবদ্ধ পদ ও বহুবচন রূপী শব্দগুলোর মাঝে ফাঁক রাখা যাবে না। যেমন— চিঠিপত্র, আবেদনপত্র, ছাড়পত্র (পত্র), বিপদগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত (গ্রস্ত), গ্রামগুলি/গ্রামগুলো (গুলি/গুলো), রচনামূলক (মূলক), সেবাসমূহ (সমূহ), যত্নসহ, পরিমাপসহ (সহ), ত্রুটিজনিত, (জনিত), আশঙ্কাজনক, বিপজ্জনক (জনক), অনুগ্রহপূর্বক, উল্লেখপূর্বক (পূর্বক), প্রতিষ্ঠানভুক্ত, এমপিওভুক্ত, এমপিওভুক্তি (ভুক্ত/ভুক্তি), গ্রামভিত্তিক, এলাকাভিত্তিক, রোলভিত্তিক (ভিত্তিক), অন্তর্ভুক্তকারণ, এমপিওভুক্তকরণ, প্রতিবর্ণীকরণ (করণ), আমদানিকারক, রফতানিকারক (কারক), কষ্টদায়ক, আরামদায়ক (দায়ক), স্ত্রীবাচক (বাচক), দেশবাসী, গ্রামবাসী, এলাকাবাসী (বাসী), সুন্দরভাবে, ভালোভাবে (ভাবে), চাকরিজীবী, শ্রমজীবী (জীবী), সদস্যগণ (গণ), সহকারী, আবেদনকারী, ছিনতাইকারী (কারী), সন্ধ্যাকালীন, শীতকালীন (কালীন), জ্ঞানহীন (হীন), দিনব্যাপী, মাসব্যাপী, বছরব্যাপী (ব্যাপী) ইত্যাদি। এ ছাড়া যথাবিহিত, যথাসময়, যথাযথ, যথাক্রমে, পুনঃপুন, পুনঃপ্রকাশ, পুনঃপরীক্ষা, পুনঃপ্রবেশ, পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বহিঃপ্রকাশ শব্দগুলো একত্রে ব্যবহার হয়।


১৬. বিদেশি শব্দে ই-কার ব্যবহার হবে। যেমন— আইসক্রিম, স্টিমার, জানুয়ারি, ফ্রেরুয়ারি, ডিগ্রি, চিফ, শিট, শিপ, নমিনি, কিডনি, ফ্রি, ফি, ফিস, স্কিন, স্ক্রিন, স্কলারশিপ, পার্টনারশিপ, ফ্রেন্ডশিপ, স্টেশনারি, নোটারি, লটারি, সেক্রেটারি, টেরিটরি, ক্যাটাগরি, ট্রেজারি, ব্রিজ, প্রাইমারি, মার্কশিট, গ্রেডশিট ইত্যাদি।


১৭. উঁয়ো (ঙ) ব্যবহার যোগে কিছু শব্দ। এক্ষেত্রে অনুস্বার (ং) ব্যবহার করা যাবে না। যেমন— অঙ্ক, অঙ্কন, অঙ্কিত, অঙ্কুর, অঙ্গ, অঙ্গন, আকাঙ্ক্ষা, আঙ্গুল/আঙুল, আশঙ্কা, ইঙ্গিত, উলঙ্গ, কঙ্কর, কঙ্কাল, গঙ্গা, চোঙ্গা/চোঙা, টাঙ্গা, ঠোঙ্গা/ঠোঙা, দাঙ্গা, পঙ্‌ক্তি, পঙ্কজ, পতঙ্গ, প্রাঙ্গণ, প্রসঙ্গ, বঙ্গ, বাঙালি/বাঙ্গালি, ভঙ্গ, ভঙ্গুর, ভাঙ্গা/ভাঙা, মঙ্গল, রঙ্গিন/রঙিন, লঙ্কা, লঙ্গরখানা, লঙ্ঘন, লিঙ্গ, শঙ্কা, শঙ্ক, শঙ্খ, শশাঙ্ক, শৃঙ্খল, শৃঙ্গ, সঙ্গ, সঙ্গী, সঙ্ঘাত, সঙ্গে, হাঙ্গামা, হুঙ্কার।


১৮. অনুস্বার (ং) ব্যবহার যোগে কিছু শব্দ। এক্ষেত্রে উঁয়ো (ঙ) ব্যবহার করা যাবে না। যেমন— কিংবদন্তী, সংজ্ঞা, সংক্রামণ, সংক্রান্ত, সংক্ষিপ্ত, সংখ্যা, সংগঠন, সংগ্রাম, সংগ্রহ, সংগৃহীত।


১৯. ‘কোণ, কোন ও কোনো’-এর ব্যবহার: কোণ : ইংরেজিতে Angle/Corner (∠) অর্থে।
কোন : উচ্চারণ হবে কোন্। বিশেষত প্রশ্নবোধক অর্থে ব্যবহার করা হয়। যেমন— তুমি কোন দিকে যাবে?
কোনো : ও-কার যোগে উচ্চারণ হবে। যেমন— যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও।


২০. বাংলা ভাষায় চন্দ্রবিন্দু একটি গুরুত্বপূর্ণ বর্ণ। চন্দ্রবিন্দু যোগে শব্দগুলোতে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার করতে হবে; না করলে ভুল হবে। অনেক ক্ষেত্রে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার না করলে শব্দে অর্থের পরিবর্তন ঘটে। এ ছাড়া চন্দ্রবিন্দু সম্মানসূচক বর্ণ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। যেমন— তাহাকে>তাঁহাকে, তাকে>তাঁকে ইত্যাদি।


২১. ও-কার: অনুজ্ঞাবাচক ক্রিয়া পদ এবং বিশেষণ ও অব্যয় পদ বা অন্য শব্দ যার শেষে ও-কার যুক্ত না করলে অর্থ অনুধাবনে ভ্রান্তি বা বিলম্ব সৃষ্টি হতে পারে এমন শব্দে ও-কার ব্যবহার হবে। যেমন— মতো, হতো, হলো, কেনো (ক্রয় করো), ভালো, কালো, আলো ইত্যাদি। বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া ও-কার ব্যবহার করা যাবে না। যেমন— ছিল, করল, যেন, কেন (কী জন্য), আছ, হইল, রইল, গেল, শত, যত, তত, কত, এত ইত্যাদি।


২২. বিশেষণবাচক আলি প্রত্যয়যুক্ত শব্দে ই-কার হবে। যেমন— সোনালি, রুপালি, বর্ণালি, হেঁয়ালি, খেয়ালি, মিতালি ইত্যাদি।


২৩. জীব, -জীবী, জীবিত, জীবিকা ব্যবহার। যেমন— সজীব, রাজীব, নির্জীব, চাকরিজীবী, পেশাজীবী, জীবিত, জীবিকা।


২৪. অদ্ভুত, ভুতুড়ে বানানে উ-কার হবে। এ ছাড়া সকল ভূতে ঊ-কার হবে। যেমন— ভূত, ভস্মীভূত, বহির্ভূত, ভূতপূর্ব ইত্যাদি।


২৫. হীরা ও নীল অর্থে সকল বানানে ঈ-কার হবে। যেমন— হীরা, হীরক, নীল, সুনীল, নীলক, নীলিমা ইত্যাদি।


২৬. নঞর্থক পদগুলো (নাই, নেই, না, নি) আলাদা করে লিখতে হবে। যেমন— বলে নাই, বলে নি, আমার ভয় নাই, আমার ভয় নেই, হবে না, যাবে না।


২৭. অ-তৎসম অর্থাৎ তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র শব্দে ই-কার ব্যবহার হবে। যেমন— সরকারি, তরকারি, গাড়ি, বাড়ি, দাড়ি, শাড়ি, চুরি, চাকরি, মাস্টারি, মালি, পাগলামি, পাগলি, বোমাবাজি, দাবি, হাতি, বেশি, খুশি, হিজরি, আরবি, ফারসি, ফরাসি, ইংরেজি, জাপানি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, সিন্ধি, ফিরিঙ্গি, সিঙ্গি, ছুরি, টুপি, দিঘি, কেরামতি, রেশমি, পশমি, পাখি, ফরিয়াদি, আসামি, বেআইনি, কুমির, নানি, দাদি, বিবি, চাচি, মাসি, পিসি, দিদি, বুড়ি, নিচু।


২৮. ত্ব, তা, নী, ণী, সভা, পরিষদ, জগৎ, বিদ্যা, তত্ত্ব শব্দের শেষে যোগ হলে ই-কার হবে। যেমন— দায়িত্ব (দায়ী), প্রতিদ্বন্দ্বিতা (প্রতিদ্বন্দ্বী), প্রার্থিতা (প্রার্থী), দুঃখিনী (দুঃখী), অধিকারিণী (অধিকারী), সহযোগিতা (সহযোগী), মন্ত্রিত্ব, মন্ত্রিসভা, মন্ত্রিপরিষদ (মন্ত্রী), প্রাণিবিদ্যা, প্রাণিতত্ত্ব, প্রাণিজগৎ, প্রাণিসম্পদ (প্রাণী) ইত্যাদি।


২৯. ঈ, ঈয়, অনীয় প্রত্যয় যোগ ঈ-কার হবে। যেমন— জাতীয় (জাতি), দেশীয় (দেশি ), পানীয় (পানি), জলীয়, স্থানীয়, স্মরণীয়, বরণীয়, গোপনীয়, ভারতীয়, মাননীয়, বায়বীয়, প্রয়োজনীয়, পালনীয়, তুলনীয়, শোচনীয়, রাজকীয়, লক্ষণীয়, করণীয়।


৩০. রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না৷ যেমন— অর্চনা, অর্জন, অর্থ, অর্ধ, কর্দম, কর্তন, কর্ম, কার্য, গর্জন, মূর্ছা, কার্তিক, বার্ধক্য, বার্তা, সূর্য৷


৩১. ভাষা ও জাতিতে ই-কার হবে। যেমন— বাঙালি/বাঙ্গালি, জাপানি, ইংরেজি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, আরবি, ফারসি ইত্যাদি।


৩২. ব্যক্তির ‘-কারী’-তে (আরী) ঈ-কার হবে। যেমন— সহকারী, আবেদনকারী, ছিনতাইকারী, পথচারী, কর্মচারী ইত্যাদি। ব্যক্তির ‘-কারী’ নয়, এমন শব্দে ই-কার হবে। যেমন— সরকারি, দরকারি ইত্যাদি।


৩৩. প্রমিত বানানে শব্দের শেষে ঈ-কার থাকলে –গণ যোগে ই-কার হয়। যেমন— সহকারী>সহকারিগণ, কর্মচারী>কর্মচারিগণ, কর্মী>কর্মিগণ, আবেদনকারী>আবেদনকারিগণ ইত্যাদি।


৩৪. ‘বেশি’ এবং ‘-বেশী’ ব্যবহার: ‘বহু’, ‘অনেক’ অর্থে ব্যবহার হবে ‘বেশি’। শব্দের শেষে যেমন— ছদ্মবেশী, প্রতিবেশী অর্থে ‘-বেশী’ ব্যবহার হবে।


৩৫. ‘ৎ’-এর সাথে স্বরচিহ্ন যোগ হলে ‘ত’ হবে। যেমন— জগৎ>জগতে জাগতিক, বিদ্যুৎ>বিদ্যুতে বৈদ্যুতিক, ভবিষ্যৎ>ভবিষ্যতে,আত্মসাৎ>আত্মসাতে,  সাক্ষাৎ>সাক্ষাতে ইত্যাদি।


৩৬. ইক প্রত্যয় যুক্ত হলে যদি শব্দের প্রথমে অ-কার থাকে তা পরিবর্তন হয়ে আ-কার হবে। যেমন— অঙ্গ>আঙ্গিক, বর্ষ>বার্ষিক, পরস্পর>পারস্পরিক, সংস্কৃত>সাংস্কৃতিক, অর্থ>আর্থিক, পরলোক>পারলৌকিক, প্রকৃত>প্রাকৃতিক, প্রসঙ্গ>প্রাসঙ্গিক, সংসার>সাংসারিক, সপ্তাহ>সাপ্তাহিক, সময়>সাময়িক, সংবাদ>সাংবাদিক, প্রদেশ>প্রাদেশিক, সম্প্রদায়>সাম্প্রদায়িক ইত্যাদি।


৩৭. সাধু থেকে চলিত রূপের শব্দসমূহ যথাক্রমে দেখানো হলো: আঙ্গিনা>আঙিনা, আঙ্গুল>আঙুল, ভাঙ্গা>ভাঙা, রাঙ্গা>রাঙা, রঙ্গিন>রঙিন, বাঙ্গালি>বাঙালি, লাঙ্গল>লাঙল, হউক>হোক, যাউক>যাক, থাউক>থাক, লিখ>লেখ, গুলি>গুলো, শুন>শোন, শুকনা>শুকনো, ভিজা>ভেজা, ভিতর>ভেতর, দিয়া>দিয়ে, গিয়া>গিয়ে, হইল>হলো, হইত>হতো, খাইয়া>খেয়ে, থাকিয়া>থেকে, উল্টা>উল্টো, বুঝা>বোঝা, পূজা>পুজো, বুড়া>বুড়ো, সুতা>সুতো, তুলা>তুলো, নাই>নেই, নহে>নয়, নিয়া>নিয়ে, ইচ্ছা>ইচ্ছে ইত্যাদি।


৩৮. হয়তো, নয়তো বাদে সকল তো আলাদা হবে। যেমন— আমি তো যাই নি, সে তো আসে নি ইত্যাদি। [দ্রষ্টব্য: মূল শব্দের শেষে আলাদা তো ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে।]


৩৯. ঙ, ঞ, ণ, ন, ং বর্ণের পূর্বে ঁ হবে না। যেমন— খান (খাঁ), চান, চন্দ (চাঁদ), পঞ্চ, পঞ্চাশ (পাঁচ) ইত্যাদি।


৪০. -এর, -এ ব্যবহার: => চিহ্নিত শব্দ/বাক্য বা উক্তির সাথে সমাসবদ্ধ রূপ। যেমন— গুলিস্তান ‘ভাসানী হকি ষ্টেডিয়াম’-এর সাইনবোর্ডে স্টেডিয়াম বানানটি ভুল। => শব্দের পরে যেকোনো প্রতীকের সাথে সমাসবদ্ধ রূপ। যেমন— বিসর্গ (ঃ )-এর সঙ্গে স্বরধ্বনি কিংবা ব্যঞ্জনধ্বনির যে সন্ধি হয়, তাকে বিসর্গসন্ধি বলে। => বিদেশি শব্দ অর্থাৎ বাংলায় প্রতিবর্ণীকরণ নয় এমন শব্দের সাথে সমাসবদ্ধ রূপ। যেমন— SMS-এর মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হবে। => গাণিতিক শব্দের সাথে সমাসবদ্ধ রূপ। যেমন— ৫-এর চেয়ে ২ কম। => সংক্ষিপ্ত শব্দের সাথে সমাসবদ্ধ রূপ। যেমন— অ্যাগ্রো কোম্পানি লি.-এর সাথে চুক্তি। এ ছাড়া পৃথক রূপে ব্যবহার করা যাবে না। যেমন— বাংলাদেশ-এর না লিখে বাংলাদেশের, কোম্পানি-এর না লিখে কোম্পানির, শিক্ষক-এর না লিখে শিক্ষকের, স্টেডিয়াম-এ না লিখে স্টেডিয়ামে, অফিস-এ না লিখে অফিসে লিখতে হবে।


ম-ফলা ও ব-ফলার উচ্চারণ :

ম-ফলার উচ্চারণ: ক. পদের প্রমে ম-ফলা থাকলে সে বর্ণের উচ্চারণে কিছুটা ঝোঁক পড়ে এবং সামান্য নাসিক্যস্বর হয়। যেমন— শ্মশান ( শঁশান্), স্মরণ (শঁরোন্)। কখনো কখনো ‘ম’ অনুচ্চারিত থাকতে ও পারে। যেমন— স্মৃতি (সৃতি বা সৃঁতি)।

খ. পদের মধ্যে বা শেষে ম-ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণে সে বর্ণের দ্বিত্ব হয় এবং সামান্য নাসিক্যস্বর হয়। যেমন— আত্মীয় (আত্‌তিঁয়), পদ্ম (পদ্‌দোঁ), বিস্ময় (বিশ্‌শঁয়), ভস্মস্তূপ (ভশ্‌শোঁস্‌তুপ্‌), ভস্ম (ভশ্‌শোঁ), রশ্মি (রোশ্‌শিঁ)।

গ. গ, ঙ, ট, ণ, ন, বা ল বর্ণের সঙ্গে ম-ফলা যুক্ত হলে, ম-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যুক্ত ব্যঞ্জনের প্রথম বর্ণের স্বর লুপ্ত হয়। যেমন— বাগ্মী (বাগ্‌মি), যুগ্ম (যুগ্‌মো), মৃন্ময় (মৃন্‌ময়), জন্ম (জন্‌মো), গুল্ম (গুল্‌মো)।


ব-ফলার উচ্চারণ:
ক. শব্দের প্রমে ব-ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণে শুধু সে বর্ণের উপর অতিরিক্ত ঝোঁক পড়ে। যেমন— ক্বচিৎ (কোচিৎ), দ্বিত্ব (দিত্‌তো), শ্বাস (শাশ্), স্বজন (শজোন), দ্বন্দ্ব (দন্‌দো)।
খ. শব্দের মধ্যে বা শেষে ব-ফলা যুক্ত হলে যুক্ত ব্যঞ্জনটির দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন— বিশ্বাস (বিশ্‌শাশ্), পক্ব (পক্‌কো), অশ্ব (অশ্‌শো)।

গ. সন্ধিজাত শব্দে যুক্ত ব-ফলায় ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যেমন— দিগ্বিজয় (দিগ্‌বিজয়), দিগ্বলয় (দিগ্‌বলয়)।

ঘ. শব্দের মধ্যে বা শেষে ‘ব’ বা ‘ম’-এর সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যেমন— তিব্বত (তিব্‌বত). লম্ব (লম্‌বো)।

ঙ. উৎ উপসর্গের সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বহাল থাকে। যেমন— উদ্বাস্তু (উদ্‌বাস্‌তু), উদ্বেল (উদ্‌বেল্‌)।


প্রয়োজনীয় কিছু শুদ্ধ বানানঃ

  ১. উজ্জ্বল, জ্বলজ্বলে, জ্বলন্ত, জ্বালানি, প্রাঞ্জল, অঞ্জলি, শ্রদ্ধাঞ্জলি,গীতাঞ্জলি


২. পেশাজীবী, কর্মজীবী, ক্ষণজীবী, দীর্ঘজীবী, বুদ্ধিজীবী, অভিমানী, প্রতিদ্বন্দ্বী, প্রতিযোগী,মেধাবী, প্রতিরোধী একাকী, দোষী, বৈরী, মনীষী, সঙ্গী।


৩.উন্নয়নশীল,দানশীল,উৎপাদনশীল,ক্ষমাশীল, নির্ভরশীল,দায়িত্বশীল, সুশীল, ধৈর্যশীল।


৪. অধ্যক্ষ, প্রতীক, ব্যাখ্যা,আকস্মিক, মূর্ছা,ক্ষীণ, মুখমণ্ডল, অনুরণন,হাস্যাস্পদ, সালিস, সত্বর, উচ্ছ্বসিত, স্বেচ্ছাচারী, কর্মচারী,বিচি, বাণী শ্বশুর,শাশুড়ি ।


৫. ইতোমধ্যে, পরিপক্ব, লজ্জাকর, ভাস্কর,দুষ্কর ,সুষমা, নিষিদ্ধ ষোড়শ, নিষ্পাপ, কলুষিত, বিষণ্ন, ওষ্ঠ, সম্মুখ, সম্মান, সংজ্ঞা, ব্যাখ্যা, আনুষঙ্গিক, রূদ্ধশ্বাস, দুর্নাম, অন্তঃস্থল,নগণ্য, আতঙ্ক, জটিল, গগণ, তিথি, অতিথি


চাকরি, সাক্ষী, সাক্ষ্য, এতদ্দ্বারা, এতদসংক্রান্ত, উপর্যুক্ত/উপরিউক্ত, উল্লিখিত, ইতোমধ্যে, ইতঃপূর্বে, পথিমধ্যে, সুষ্ঠু, অদ্যাবধি, যথাবিহিত, আকাঙ্ক্ষা, কাঙ্ক্ষিত, দাবি, জারি, সেবা, পরিষেবা, স্বচ্ছ, সচ্ছল, দ্বন্দ্ব, 

দূর, দূর-দূরান্ত, দূরবর্তী দূরীকরণ, অদূর, দূরত্ব, দূরবীক্ষণ, দূরবিন, দূষিত, দূষণ, দূষণীয়, দুর্গা, দুর্গ, দুর্দান্ত, দুরবস্থা, দুরন্ত, দুর্নীতি, দুর্যোগ, দুর্ঘটনা, দুর্নাম, দুর্ভোগ, দুরাকাঙ্ক্ষা, দুর্দিন, দুর্বল, দুর্জয়, দুরারোগ্য, দুরূহ, 

ভুবন, ভূমি, অদ্ভুত, ভুতুড়ে, ভস্মীভূত, ভূত, বহির্ভূত, ভূতপূর্ব, ভূমিকা, ভূমিষ্ঠ, ভূয়সী, ভুক্ত, ভুক্তি, ভুল, ভুয়া, মুহূর্ত, মুমূর্ষু,

 বিদ্যা, বিদ্বান, উচিত, ফেরত, ফেরতযোগ্য, জগৎ, জগতে, বিদ্যুৎ, বিদ্যুতে, ভবিষ্যৎ, ভবিষ্যতে, আত্মসাৎ, আত্মসাতে, যাবৎ, সাক্ষাৎ, সাক্ষাৎকার, সাক্ষাতে, পাইকারি, সরকারি, দরকারি, তরকারি, মস্কারি, 

সহকারী, আবেদনকারী, সাহায্যকারী, পরিবেশনকারী, দর্শনকারী, তদারককারী, দুষ্কৃতকারী, অনিষ্টকারী, অনুসারী, কর্মচারী, প্রতীকী, যাত্রী, ছাত্রী, ধনী, মীমাংসা, মনীষী, সীমা, সীমাহীন, ইদানীং, তদানীং, সমীচীন, সর্বাঙ্গীণ, গোষ্ঠী, ঋণগ্রহীতা, লক্ষ্মী, হীরা, হীরক, নীল, সুনীল, নীলা, নীলক, নীলিমা, সজীব, রাজীব, রবীন্দ্র, 

নারায়ণ, যক্ষ্মা, পৈতৃক, অমাবস্যা, ধরন, ধারণ দরুন, দারুণ, ঊর্ধ্ব, ঊর্ধ্বতন, স্তূপ, অত্যন্ত, অত্যধিক, অধ্যয়ন, ব্যাকরণ, গগন, প্রাঙ্গণ, সান্ত্বনা, সর্বস্বান্ত, শীতার্ত, সদ্যোজাত, অগ্রিম,

 নিখুঁত, ব্যাহত, অব্যাহত, অব্যাহতি, একমুখী, দ্বিমুখী, ত্রিমুখী, বহুমুখী, মুখোমুখি, পায়রা, যাবজ্জীবন, উজ্জীবিত, গরিব, রুপা, রুপালি, রূপ, রূপান্তর, রূপান্তরিত, স্বরূপ, রূপসী,

 কার্যাবলি, শর্তাবলি, ব্যাখ্যাবলি, নিয়মাবলি, তথ্যাবলি, জরুরি, বদলি, মেয়াদি, মঞ্জুরি, মজুরি, কারিগরি, আমদানি, রফতানি/রপ্তানি, জ্বালানি, নতুন, নূতন, পুনঃপ্রকাশ, পুনঃপরীক্ষা, পুনঃপ্রবেশ, পুনঃপ্রতিষ্ঠা, পুনর্জীবিত, পুনর্নিয়োগ, পুনর্নির্মাণ, পুনর্মিলন, পুনর্লাভ, পুনর্মুদ্রিত, পুনর্বিচার, পুনর্বিবেচনা, পুনর্গঠন, পুনর্বাসন, পুনরুদ্ধার, পুনরাবৃত্তি, পুনরুক্তি,

 মুখ্য,  মূর্খ, খাস, অগ্রহায়ণ, পুষ্করিণী, শাশ্বত, শ্বশুর, শাশুড়ি, মনোযোগ, শিরশ্ছেদ, অঞ্জলি, গীতাঞ্জলি, শ্রদ্ধাঞ্জলি, রাত্রি, অপরাহ্ণ (ণ), পূর্বাহ্ণ (ণ), মধ্যাহ্ন (ন), সায়াহ্ন (ন), চিহ্ন , চিরচিহ্ন,  অভ্যস্ত, আশ্বস্ত, স্বস্তি, অস্বস্তি, বাধাগ্রস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত, নিকটস্থ, দ্বারস্থ, মুখস্থ, কণ্ঠস্থ, মঞ্চস্থ, পদস্থ, অপদস্থ, সুস্থ, দুস্থ, 

পুরস্কার, পুরস্কৃত, তিরস্কার, নমস্কার, ভাস্কর, আবিষ্কার, দুষ্কর, বহিষ্কৃত, বহিষ্কার, নিষ্কাশন, নিষ্পাপ, নিষ্পত্তি, মস্তিষ্ক,

 সরকারি, বেসরকারি, বাড়ি, গাড়ি, শাড়ি, আসামি, আইনি, বেআইনি, ইরানি, জাপানি, ইংরেজি, হিন্দি, পাঞ্জাবি, কাশ্মিরি, আরবি, ফারসি, হিজরি, মালি, পাগলামি, ফরিয়াদি, দিঘি, নানি, দাদি, মামি, চাচি, মাসি, দিদি, রেশমি, পশমি, সূচি, সূচিপত্র, কর্মসূচি, সরণি, পদবি, পঞ্জি, 

অঙ্ক, অঙ্কন, অঙ্কিত, অঙ্কুর, অঙ্গ, অঙ্গন, আকাঙ্ক্ষা, আঙ্গুল/আঙুল, আশঙ্কা, ইঙ্গিত, উলঙ্গ, কঙ্কর, কঙ্কাল, কুঙ্কুম, গঙ্গা, চোঙ্গা/চোঙা, টাঙ্গা, ঠোঙ্গা/ঠোঙা, দাঙ্গা, পঙ্‌ক্তি, পঙ্কজ, পঙ্ক, পতঙ্গ, প্রাঙ্গণ, প্রসঙ্গ, বঙ্গ, বাঙালি/বাঙ্গালি, ভঙ্গ, ভঙ্গুর, ভাঙ্গা/ভাঙা, মঙ্গল, রঙ্গিন/রঙিন, লঙ্কা, লঙ্গরখানা, লঙ্ঘন, লিঙ্গ, শঙ্কা, শঙ্ক, শঙ্খ, শশঙ্ক, শৃঙ্খল, শৃঙ্গ, সঙ্গ, সঙ্গী, সঙ্ঘাত, সঙ্গে, হাঙ্গামা, হুঙ্কার, স্বাতন্ত্র্য/স্বতন্ত্র/স্বতন্ত্রতা, দারিদ্র্য/দরিদ্র/দরিদ্রতা, বাল্মীকি, ত্রিনয়ন, প্রণয়ন, উচ্ছ্বাস, সত্বর, চত্বর, তত্ত্বাবধায়ক, তত্ত্বাবধান, আয়ত্ত, তত্ত্ব, উপাত্ত, সত্তা, ব্যক্তিসত্তা, জাতিসত্তা, মানবসত্তা, অন্তঃসত্ত্বা, সত্ত্বেও, স্বত্বাধিকার, স্বার্থান্বেষী, বাগ্বিতণ্ডা, শরণার্থী, শরণাপন্ন, একাকী, একাকিত্ব, শাড়ি, লুঙ্গি, উচ্ছৃঙ্খল, মনোনীত, কীর্তন, রজনী, ব্যতীত, ব্যতিক্রম, ব্যতিরেকে, চাকরিজীবী, পেশাজীবী, কর্মজীবী, আইনজীবী, শ্রমজীবী, জীবিকা, জীবিত, মন্ত্রী, মন্ত্রিত্ব, মন্ত্রিসভা, মন্ত্রিপরিষদ, শ্রেণিকক্ষ, প্রাণী, প্রাণিবিদ্যা, প্রাণিতত্ত্ব, প্রাণিজগৎ, প্রাণিসম্পদ, মহৎ, মহত্ত্ব, মনুষ্যত্ব, পশুত্ব, দেবত্ব, ধর্মত, কার্যত, ন্যায়ত, করত, বস্তুত, ক্রমশ, প্রায়শ, হতভম্ব, মুরব্বি, ভিড়, পচা, পঞ্চাশ, পাঁচ, পঁচিশ, পঁয়ত্রিশ, সাঁইত্রিশ, পঁয়তাল্লিশ, পঁয়ষট্টি, পঁচাত্তর, পঁচাশি, পঁচানব্বই, আঁকাবাঁকা, রেস্তোরাঁ, চাঁদ, ছোঁয়া, দাঁত, ঠোঁট, ফাঁক, শুঁড়, কাঁকরোল, আঁতুর, ঝাঁকুনি, ফাঁদ, ইঁদুর, ঢেঁড়স, তেঁতুল, পুঁইশাক, পেঁপে, কুঁজ, পুঁজ, স্যাঁতস্যাঁতে, ধাঁধা, ষাঁড়, উঁচু, বাঁশ, কাঁঠাল, কাঁচা, আঁশ, গুঁড়া, আঁধার, বাঁধাই, দুঃসহ, দুঃসময়, দুর্বিষহ, মৌসুমি, আভিজাত্য, আলস্য, সামর্থ্য, আতিথ্য, আধিক্য, কৌলীন্য, শৈথিল্য, বৈশিষ্ট্য, দৈর্ঘ্য, অর্ঘ্য, শৌর্য, সৌন্দর্য, কার্য, সূর্য, আশ্চর্য, হীনম্মন্যতা, মারপ্যাঁচ/মারপেঁচ, মনোমালিন্য, মরূদ্যান, ভূগোল, ভৌগোলিক, ভবিষ্যদ্বাণী, গৃহিণী, সদ্ব্যবহার, এক্ষুনি, ইসলামি, ইদ,  ক্লাস, গ্লাস, গ্রিন, গ্রিক, গ্রিস, ব্রিটিশ, ব্রিটেন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, রিকশা, অটোরিকশা, ক্রাইস্ট, খ্রিস্ট, খ্রিস্টীয়, যিশুখ্রিস্ট, খ্রিস্টাব্দ, খ্রিস্টান, মোটরসাইকেল, ডিগ্রি, চিফ, শিট, শিপ, নমিনি, কিডনি, ফ্রি, স্কিন, স্ক্রিন, স্কলারশিপ, পার্টনারশিপ, ফ্রেণ্ডশিপ ,সুপারিনটেনডেন্ট, শেক্‌সপিয়র, স্টেশনারি, নোটারি, লটারি, সেক্রেটারি, টেরিটরি, ক্যাটাগরি, ট্রেজারি, ব্রিজ, প্রাইমারি, মার্কশিট, গ্রেডশিট, কি-বোর্ড, গিয়ার, লিডার, লিড, লিপ-ইয়ার, লিজ, নিট, রিড, রিডার, সিট, সি-বিচ, ড্রিম, স্পিকার, টিয়ার, ডিন, সিল, টিচার, টি, বিউটি, প্লিজ, রিলিজ, টিম, ক্রিম, আইসক্রিম, স্টিমার, জানুয়ারি, ফ্রেব্রুয়ারি, সমিল (করাতকল), প্রিন্ট, স্টোর, স্টাফ, স্টার, ইনস্টিটিউট, বাসস্ট্যান্ড, ফটোস্ট্যাট, হর্ন, কর্নার, পর্নো, পর্নোগ্রাফি, মডার্ন, এশিয়ান, এশীয়, ইউরোপিয়ান, ইউরোপীয়, ইটালিয়ান, ইতালীয়, কোরিয়ান, কোরীয়, স্পেনিশ, স্পেনীয়, মিসরীয় ইত্যাদি। => যেসব বানান ভেঙে দেওয়া হয়েছে— মাদ্রাসা>মাদরাসা, ফর্ম> ফরম, কর্পোরেশন>করপোরেশন, পেন্সিল>পেনসিল, আব্দুল>আবদুল, আব্দুস> আবদুস, আব্দুর>আবদুর ইত্যাদি। => সামাজিক যোগাযোগভিত্তিক সাইটগুলোতে ব্যবহৃত কিছু শুদ্ধ বানান— ব্লগিং, ব্লগীয়, পেজ, ফেসবুক, পোস্ট, স্টিক, রি-পোস্ট, ট্যাগ, মিস ইত্যাদি।


☆ কয়েকটি শুদ্ধ বানান ব্যাখ্যা :


ব্যাবহার √ ব্যবহার য-ফলার পরে কোনো আ-কার হবে না।
ব্যাথা √ ব্যথা য-ফলার পরে কোনো আ-কার হবে না
ব্যাকারন/ব্যকরন/ব্যাকারণ √ ব্যাকরণ ক -এর পর আ-কার নয়
মানষিক √ মানসিক দন্ত-স হবে।
সুত্র √ সূত্র স + ঊ-কার হবে।
ব্যাক্তি √ ব্যক্তি য-ফলার পরে কোনো আ-কার হবে না।
পুর্ন √ পূর্ণ প + ঊ-কার হবে।
ভূল √ ভুল ভ -এর পর উ-কার হবে। যন্ত্রনা √ যন্ত্রণা মূর্ধন্য-ন হবে।
অত্যান্ত √ অত্যন্ত ত + য-ফলা -এর পর আ-কার হবে না।
যথেস্ট/যথেষ্ঠ √ যথেষ্ট ষ -এর পর ট হবে, ঠ নয়।


★ শুদ্ধ ও অশুদ্ধ :


✔  শুদ্ধ       —–     ✖ অশুদ্ধ বা বর্জনীয়

✔ অকালপ্রয়াণ — –✖অকাল প্রয়াণ
✔ অগণিত — — — ✕অগনিত
✔ অগ্রসর — — —- ✕অগ্রসরমান
✔ অধীন — — — ✕অধীনস্থ
✔ অগ্রগণ্য — — — ✕অগ্রগন্য
✔ অঙ্ক [ঙ+ক] — — ✕অংক
✔ অঙ্কন [ঙ+ক]— —✕অংকন
✔ অঙ্গ [ঙ+গ] — — – ✕অংগ
✔ অতিথি — — —- ✕অতিথী
✔ অতিষ্ঠ — — —- ✕অতিষ্ট
✔ অত্যধিক — — –✕অত্যাধিক
✔ অধীনস্থ — — — ✕অধীনস্ত
✔ অধ্যবসায় — —- ✕অধ্যাবসায়
✔ অনন্যসাধারণ — ✕অনন্য সাধারণ
✔ অনিষ্ট — — —– ✕অনিষ্ঠ
✔ অনুকূল — — — ✕অনুকুল
✔ অনেককিছু — — ✕অনেক কিছু
✔ অন্তঃসত্ত্বা — — — ✕অন্তঃসত্তা
✔ অপ্রতুল — —- –✕অপ্রতুলতা
✔ অশ্রু — —- —- –✕অশ্রুজল
✔ অপদস্থ — — — ✕অপদস্ত
✔ অপেক্ষমাণ — — ✕অপেক্ষমান
✔ অভিভূত — — — ✕অভিভুত
✔ অমানুষিক — —- ✕অমানুসিক
✔ অস্বস্তি — — —- ✕অস্বস্থি
✔ অর্ধশিক্ষিত — — ✕অর্ধ শিক্ষিত
✔ অসাধারণ — —- ✕অসাধারন
✔ অসুখবিসুখ — — ✕অসুখ-বিসুখ
✔ আকস্মিক — — –✕আকষ্মিক
✔ আকাঙ্ক্ষা [ঙ+ক্ষ] -✕আকাংখা
✔ আকুল — — — ✕আকূল
✔ আক্রমণ — — — ✕আক্রমন
✔ আঙুল — — —- ✕আঙ্গুল
✔ আচরণ — — — ✕আচরন
✔ আণবিক — — — ✕আনবিক
✔ আতঙ্ক [ঙ+ক] —- ✕আতংক
✔ আত্মীয়স্বজন — ✕আত্মীয়-স্বজন
✔ আনুষঙ্গিক — — ✕আনুসাঙ্গিক
✔ আপস — — ✕আপোস/আপোষ
✔ আপাতত — — –✕আপাততঃ
✔ আবিষ্কার — — — ✕আবিস্কার
✔ আমদানি — — –✕আমদানী
✔ আমূল — — —- ✕আমুল
✔ আর্দ্র — — — —✕আদ্র
✔ আশঙ্কা [ঙ+ক] — ✕আশংকা
✔ আশ্বস্ত — — — –✕আশ্বস্থ
✔ ইঙ্গিত — — — — ✕ইংগিত
✔ ইচ্ছামতো — — -✕ইচ্ছা মতো
✔ ইতঃপূর্বে — — — ✕ইতিপূর্বে
✔ ইতোমধ্যে — — ✕ইতিমধ্যে
✔ ইদানীং — — — ✕ইদানিং
✔ ইপ্সিত — — — ✕ঈস্পিত
✔ ঈষৎ — — — – ✕ইষৎ


    উ ঋ এ ঐ ও ঔ

✔ উচিত — — — –✕উচিৎ
✔ উচ্ছৃঙ্খল — — -✕উছৃঙ্খল
✔ উজ্জ্বল — — — ✕উজ্জল
✔ উদ্বোধন — — -✕উদ্বোদন
✔ উত্ত্যক্ত — — —✕উত্যক্ত
✔ উদ্যোগ — — — ✕উদ্দ্যোগ
✔ উপকূল — — — ✕উপকুল
✔ উল্লিখিত — — –✕উল্লেখিত
✔ ঊর্ধ্ব — — — – ✕উর্ধ
✔ ঊহ্য — — — –✕উহ্য
✔ ঋণখেলাপী — -✕ঋণ খেলাপী
✔ ঋণগ্রহীতা — — -✕ঋণ গ্রহীতা
✔ এইসঙ্গে — — –✕এই সঙ্গে
✔ এক্ষুনি — — —-✕এক্ষুণি
✔ একতরফা — —✕এক তরফা
✔ এ ছাড়া — — — ✕এছাড়া
✔ একপ্রকার — — ✕এক প্রকার
✔ এজন্য — — — ✕এ জন্য
✔ একমাত্র— — — ✕এক মাত্র
✔ এতদ্দ্বারা — — –✕এতদ্বারা
✔ একরকম— — – ✕এক রকম
✔ এমনকি — — –✕এমন কি
✔ একাকিত্ব — —- ✕একাকীত্ব
✔ এল — — — — ✕আসল, আসলো
✔ ঐকতান— — – ✕ঐক্যতান
✔ ঐকমত্য — — ✕ঐক্যমত,ঐক্যমত্য
✔ একতা — — — ✕ঐক্যতা
✔ ওঁদের — —- — ✕উনাদের
✔ ওঁর — — — — ✕উনার
✔ ওঁরা — —- —– ✕উনারা


ক খ গ ঘ ঙ

✔ কঙ্কাল — — — –✕কংকাল
✔ কটূক্তি — — — ✕কটুক্তি
✔ কত —- — — — ✕কতো
✔ কথাবার্তা — — ✕কথা-বার্তা
✔ কদাচিৎ — — — ✕কদাচিত
✔ কন্যাপক্ষ — — ✕কন্যা পক্ষ
✔ কনিষ্ঠ — — — – ✕কনিষ্ট
✔ কয়েক বার — –✕কয়েকবার
✔ কর্তৃত্ব — — — –✕কতৃত্ত্ব
✔ কর্তৃপক্ষ — — – ✕কত্বপক্ষ
✔ কর্মকর্তৃবৃন্দ — — ✕কর্মকর্তাবৃন্দ
✔ কলঙ্ক [ঙ+ক]— – ✕কলংক
✔ কলকারখানা — – ✕কল কারখানা
✔ কাঙ্ক্ষিত [ঙ+ক্ষ]–✕কাংখিত
✔ কাজকর্ম — — — ✕কাজ কর্ম
✔ কিছুকিছু — — -✕কিছু কিছু
✔ কৃচ্ছ্র— — — — ✕কৃচ্ছ্রতা
✔ কার্পণ্য — — -✕কার্পণ্যতা
✔ কৃষিক্ষেত্রে — — ✕কৃষি ক্ষেত্রে
✔ কোনো-[কোনো লোক]-✕কোন
✔ কোনোক্রমে — — ✕কোনক্রমে
✔ খুঁটিনাটি — — –✕খুটিনাটি
✔ খুশি — — — — ✕খুশী
✔ খ্রিস্টাব্দ — — — ✕খৃষ্টাব্দ
✔ গণনা — — — –✕গননা
✔ গত্যন্তর — — –✕গত্যান্তর
✔ গবেষণা — — –✕গবেষনা
✔ গরিব — — — -✕গরীব
✔ গিয়ে — — — –✕যেয়ে
✔ গৃহিণী — — — ✕গৃহিনী
✔ গেল — — — — ✕গেলো
✔ গ্রামীণ — — — ✕গ্রামীন
✔ ঘরনি — — — – ✕ঘরণী
✔ ঘুরেফিরে — — ✕ঘুরে ফিরে
✔ ঘোরাঘুরি — —- ✕ঘুরাঘুরি
✔ ঘোষণা — — — ✕ঘোষনা


চ ছ জ ঝ

✔ চলৎ / চলন্ত – – – ✕চলমান
✔ চাকুরি — —- ✕চাকুরী
✔ চড়-থাপ্পড়— — ✕চড়-থাপ্পর
✔ চাকরানি — —- ✕চাকরানী
✔ চাকুরি — — — ✕চাকুরী
✔ চিৎকার — — — ✕চীৎকার
✔ চিত্রাঙ্কন — — ✕চিত্রাংকন
✔ চুপিচুপি — — — ✕চুপি চুপি
✔ ছাত্রজীবন— — ✕ছাত্র জীবন
✔ ছাত্রীনিবাস — – ✕ছাত্রীবাস
✔ ছোটোবড়ো — —✕ছোটবড়
✔ ছোটোগল্প — —- ✕ছোট গল্প
✔ ছোঁড়াছুঁড়ি — — ✕ছোড়াছুড়ি
✔ ছিল — —- — —✕ছিলো
✔ জঙ্গল— — — -✕জংগল
✔ জঘন্য — —- –✕জঘণ্য
✔ জটিল — — — ✕জঠিল
✔ জন্মদিন — — – ✕জন্ম দিন
✔ জরুরি — — — ✕জরুরী
✔ জাদুঘর — — — ✕যাদুঘর
✔ জানুয়ারি— — – ✕জানুয়ারী
✔ জিনিসপত্র — — ✕জিনিস পত্র
✔ জেলাপ্রশাসক –✕জেলা প্রশাসক
✔ জোরেশোরে —✕জোরেসোরে
✔ ঝুঁকিপূর্ণ— — – ✕ঝুকিপূর্ণ
✔ ঝোপঝাড় — — ✕ঝোঁপঝাড়


ট ঠ ড

✔ টাঙানো— — —✕টানানো
✔ টেকসই — —- ✕টেকশই
✔ ঠিকঠাক — — – ✕ঠিক ঠাক
✔ ডাকনাম — — – ✕ডাক নাম 


ত থ দ ধ ন

✔ তক্ষুনি — — — — ✕তক্ষুণি
✔ তত — — — — ✕ততো
✔ তত্ত্বাবধায়ক— — ✕তত্তাবধায়ক
✔ তদনুসারে — –✕তদানুসারে
✔ তদ্রূপ — — — — ✕তদ্রুপ
✔ তফাত — — –✕তফাৎ
✔ তা ছাড়া — — —✕তাছাড়া
✔ তা হলে — —- ✕তাহলে
✔ থুতু — — — —- ✕থুথু
✔ দক্ষিণ — — — ✕দক্ষিন
✔ দরকারি — — — ✕দরকারী
✔ দলনিরপেক্ষ — ✕দল নিরপেক্ষ
✔ দশ জন [১০ ব্যক্তি]-✕দশজন
✔ দাদি — — —- ✕দাদী
✔ দাবি — — — — ✕দাবী
✔ দামি — — —- ✕দামী
✔ দারুণ — — — – ✕দারুন
✔ দিই — — — – ✕দেই
✔ দীর্ঘজীবী — — — ✕দীর্ঘজীবি
✔ দু’টি — — — — ✕দুটি
✔ দুরবস্থা — — — ✕দুরাবস্থা
✔ দূষণীয় — — — ✕দোষনীয়
✔ দৃষ্টিকোণ — — –✕দৃষ্টিকোন
✔ দেওয়া — — — ✕দেয়া
✔ দেওয়াল — — — ✕দেয়াল
✔ দেরি — — — — ✕দেরী
✔ দ্রব্যমূল্য — —- ✕দ্রব্য মূল্য
✔ দ্বন্দ্ব — — — — ✕দ্বন্দ
✔ দিই — — — – ✕দেই
✔ ধাঁধা — — — — ✕ধাঁধাঁ
✔ ধারণা — — — – ✕ধারনা
✔ ধ্যানধারণা — — ✕ধ্যান ধারণা
✔ নগণ্য — — — — ✕নগন্য
✔ নিই — — — — ✕নেই
✔ নিচে — — — — ✕নীচে
✔ নিরপরাধ – — — ✕নিরপরাধী
✔ নিরহংকার – — — ✕নিরহংকারী
✔ নিরীহ — — — – ✕নীরিহ
✔ নির্দোষ — — — ✕নির্দোষী
✔ নিস্তব্ধ — — — —✕নিস্তব্দ
✔ নূতন — — — – ✕নুতন
✔ নতুন — — — — ✕নতূন
✔ নেওয়া — — — -✕নেয়া
✔ ন্যূনতম — — — ✕নূন্যতম
✔ ন্যস্ত — — — — ✕ন্যস্থ


প ফ ব ভ

✔ শুদ্ধ — — ✕অশুদ্ধ বা বর্জনীয়
✔ শুদ্ধ —- —✕অশুদ্ধ বা বর্জনীয়
✔ পক্ষপাতিত্ব — — ✕পক্ষপাতীত্ব
✔ পঙক্তি— — — ✕পংক্তি
✔ পদবি — — — ✕পদবী
✔ পদে পদে — — -✕পদেপদে
✔ পরপর — — — ✕পর পর
✔ পরমাণু — — — ✕পরমানু
✔ কাপড় পরা — -✕কাপড় পড়া
✔ পরিণাম — — — ✕পরিনাম
✔ পরিবহণ — — ✕পরিবহন
✔ পরিবেশদূষণ– — ✕পরিবেশ দূষণ
✔ পরিমাণ — —-✕পরিমান
✔ পরিষ্কার—- — – ✕পরিস্কার
✔ পাখি — — —- ✕পাখী
✔ পাল্টাধাওয়া — – ✕পাল্টা ধাওয়া
✔ পীড়াপীড়ি — —✕পীড়াপিড়ি
✔ পৌর সভা — — – ✕পৌরসভা
✔ পুরস্কার — — –✕পুরষ্কার
✔ পূর্ণ — — — — — ✕পুর্ন
✔ পূর্বপ্রস্তুতি — —- ✕পূর্ব প্রস্তুতি
✔ প্রকৃতপক্ষে — — ✕প্রকৃত পক্ষে
✔ প্রণয়ন — — — ✕প্রণয়ণ
✔ প্রতিদ্বন্দ্বী — — – ✕প্রতিদ্বন্দ্বি
 ✔  প্রতিযোগী ——– প্রতিযোগি
✔ প্রতিযোগিতা —✕প্রতিযোগীতা
✔ সহযোগী ——– সহযোগি
✔  সহযোগিতা —— সহযোগীতা
✔ প্রধানমন্ত্রী — — -✕প্রধান মন্ত্রী
✔ প্রবীণ — — — ✕প্রবীন
✔ প্রবাসজীবন — — ✕প্রবাস জীবন
✔ প্রস্রাব — —- — ✕প্রশ্রাব
✔ প্রসঙ্গ — — — — ✕প্রসংগ
✔ প্রাণভরে — — – ✕প্রাণ ভরে
✔ ফলপ্রসূ — — — -✕ফলপ্রসু
✔ ফেব্রুয়ারি — — -✕ফেব্রুয়ারী
✔ বড়জোর — — — ✕বড় জোর
✔ বণ্টন — — — — ✕বন্টন
✔ বধূ — — — — — ✕বধু
✔ বন্দি — — — — ✕বন্দী
✔ বর্ণনা — — — — ✕বর্ননা
✔ বহিষ্কার — — — ✕বহিস্কার
✔ বাঁশি — — — — ✕বাঁশী
✔ বাগ্যুদ্ধ — — — ✕বাক্যুদ্ধ
✔ বাড়ি — — — — ✕বাড়ী
✔ বাণিজ্য — — — -✕বানিজ্য
✔ বাণী — — — — – ✕বানী
✔ বাধা [বাধা দেওয়া]  ✕ বাঁধা
✔ বাস্তবসন্মত — — ✕বাস্তব সন্মত
✔ বিদেশী — — — -✕বিদেশি
✔ বিপজ্জনক — — ✕বিপদজনক
✔ বন্দি — — — — ✕বন্দী
✔ বুদ্ধিজীবী — — — ✕বুদ্ধিজীবি
✔ বেশি — — — — ✕বেশী
✔ বেশিরভাগ — — -✕বেশির ভাগ
✔ বৌভাত — — — ✕বউভাত
✔ ব্যথা — — — — ✕ব্যাথা
✔ ব্যতীত — — — -✕ব্যাতীত
✔ ভঙ্গ — — — — – ✕ভংগ
✔ ভিখারি — — — –✕ভিখারী
✔ ভূরিভূরি –[প্রচুর] — ✕ভুরিভুরি
✔ ভুল — — — — — ✕ভূল
✔ ভ্রমণ — — — — – ✕ভ্রমন
✔ মতো — [সদৃশ] — ✕মত
✔ মধ্যস্থতা — — — -✕মধ্যস্ততা
✔ মনঃকষ্ট — — — ✕মনোকষ্ট
✔ মনঃপূত — — — –✕মনপূত
✔ মনোমালিন্য — —✕মনমালিন্য
✔ মাঝে মধ্যে — — – ✕মাঝেমধ্যে
✔ মাথাব্যথা — — –✕মাথা ব্যথা
✔ মুহূর্ত — — — – – – ✕মুহুর্ত
✔ মূর্খ — — — — — ✕মুর্খ
✔ মূল্যায়ন — — — ✕মুল্যায়ণ
✔ মৃত্যুদিবস — — -✕মৃত্যু দিবস
✔ মোহ্যমান —- —- ✕মুহ্যমান


য র ল শ ষ স

✔   যত — — — — ✕যতো
✔ যুক্তবিবৃতি — –✕যুক্ত বিবৃতি
✔ রমণী — — — — ✕রমনী
✔ রূপ — — — — ✕রুপ
✔ রেস্তোরাঁ — — — ✕রেস্তোঁরা
✔ লঙ্কাকাণ্ড — — ✕লঙ্কা কান্ড
✔ লক্ষ রাখা — — – ✕লক্ষ্য রাখা
✔ লক্ষ্যমাত্রা — — ✕লক্ষমাত্রা
✔ লজ্জাশরম — — ✕লজ্জা শরম
✔ লবণ — — — – ✕লবন
✔ লাইব্রেরি — — – ✕লাইব্রেরী
✔ লিঙ্ক — [ঙ+ক] — ✕লিংক
✔ শখ– — — — – ✕সখ
✔ শনাক্ত — —- — ✕সনাক্ত
✔ শাড়ি —- — — – ✕শাড়ী
✔ শারীরিক — — -✕শারীরীক
✔ শাশুড়ি — – — — ✕শাশুড়ী
✔ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান — ✕শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
✔ শুভাকাঙ্ক্ষী — — -✕শুভাকাংখী
✔ শূন্য — — — –✕শূণ্য
✔ শৌখিন — — — – ✕সৌখিন
✔ শ্রাবণ — —- — ✕শ্রাবন
✔ শ্রেষ্ঠ — — — —-✕শ্রেষ্ট
✔ শ্বশুর — — —- ✕শশুর
✔ সংবর্ধনা — — – -✕সম্বর্ধনা
✔ সকালবেলা — -✕সকাল বেলা
✔ সঙ্গে— — — — ✕সংগে
✔ সত্ত্বেও — — —✕সত্তেও
✔ সন্ধ্যা — — — —✕সন্ধা
✔ সন্ন্যাসী — —- –✕সন্যাসী
✔ সময়মতো —- — ✕সময় মতো
✔ সবকিছু — — – ✕সব কিছু
✔ সব সময় — — –✕সবসময়
✔ সমুদ্রসৈকত — –✕সমুদ্র সৈকত
✔ সম্মান — — — ✕সন্মান
✔ সরকারি — — — ✕সরকারী
✔ সর্বাঙ্গীণ — — —✕সর্বাঙ্গীন
✔ সাক্ষাৎ — — —✕সাক্ষাত
✔ সাধারণ — — — ✕সাধারন
✔ সান্ত্বনা — —- — ✕শান্তনা
✔ সামর্থ্য — — — ✕সামর্থ
✔ সারা জীবন — — ✕সারাজীবন
✔ সুষম — — — — ✕সুসম
✔ সুষ্ঠু — — — — ✕সুষ্ঠ
✔ সূক্ষ্ম — — — —✕সুক্ষ্ণ
✔ সূত্র — — — — -✕সুত্র
✔ সেইসঙ্গে — — – ✕সেই সঙ্গে
✔ সৌন্দর্য — — — ✕সৌন্দর্য্য
✔স্বাক্ষর –[দস্তখত] – ✕সাক্ষর
✔ হয়তো — — — ✕হয়ত
✔ হল — — — — — ✕হলো
✔ হাসিখুশি — — -✕হাসি খুশি

2 thoughts on “বাংলা বানান|বাংলা বানানের নিয়ম |bangla banan|BanglaSahayak.com”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top