মঙ্গলকাব্য |mangalkabbo| সাহিত্যের ইতিহাস |BanglaSahayak.com


➺ বংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে বিশেষ এক শ্রেণির ধর্ম বিষয়ক অখ্যান কাব্যহ হলো – মঙ্গলকাব্য।
➺ প্রকৃতপক্ষে মঙ্গলকাব্যকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় – পৌরণিক ও লৌকিক।
➺ মঙ্গলকাব্যের উপজীব্য বিষয় – দেবদেবীর গুণগান।
➺ মধ্যযুগের অন্যতম সাহিত্য – মঙ্গলকাব্য।
➺ আদি মঙ্গলকাব্য হিসেবে পরিচিত – মনসামঙ্গল।
➺ একটি সম্পূর্ণ মঙ্গলকাব্যে সাধারণত – ৫ টি অংশ থাকে।
➺ মঙ্গল কাব্যের প্রধান ধারা –  মনসামঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল, ধর্মমঙ্গল।

🌼 মনসামঙ্গল 🌼

মঙ্গলকাব্য গুলির মধ্যে সর্বাধিক প্রাচীন হল মনসামঙ্গল কাব্য ধারা। মনসা দেবী অনার্য হলেও সাংস্কৃতিক ডামাডোলের যুগে তাঁর আর্যীকরণ করা হয়। যদিও তাতে বাংলার লোকজ কৃষ্টিকালচার পিছু ছাড়েনি। সেই সময়ের গ্রাম বাংলার আর্থসামাজিক রাজনৈতিক চিত্র জানতে এই কাব্যের গুরুত্ব আছে বৈকি।

# চাঁদসদাগর

মনসামঙ্গল কাব্য ধারা আরেকটি কারণেও পরিচিত সেটি হল চাঁদ সদাগরের চরিত্র অঙ্কন। ‘ভাঙবো তবু মচকাবো না’ এই ধনুকভাঙ্গা পণ করে তিনি একাই দেবশক্তির বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়েছিলেন। ফলে পরবর্তীতে এই চরিত্রের কত বার যে বাংলায় পূনর্নির্মান হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। শম্ভু মিত্রের নাটক ‘চাঁদ বণিকের পালা’র আমরা উল্লেখ করতে পারি। মধ্যযুগের অন্য কোনো চরিত্রের এতবার পূনর্নির্মাণ হয়নি বোধয় আর।

# আদি কবি :

মঙ্গলকাব্যের আদি কবি হলেন হরি দত্ত।
তাঁর উল্লেখ করেন কবি বিজয় গুপ্ত এবং কবি পুরুষোত্তম। তবে বিজয় গুপ্তের উল্লেখে কবিসুলভ সম্মান প্রদর্শন নেই।তাঁর কাব্যের নাম হল পদ্মার সর্পসজ্জা

বিজয় গুপ্ত :

পূর্ববঙ্গের ভীষণই জনপ্রিয় কবি।
জন্ম-বরিশালের গৈলা
গ্রন্থনাম- পদ্মাপূরাণ
পৃষ্ঠপোষক -হোসেন শাহ
সম্পাদনা- প্যারীমোহন দাশগুপ্ত

নারায়ণ দেব :

পূর্ববঙ্গীয় কবি।
গ্রন্থনাম- পদ্মাপুরাণ, সুকন্নানি
সম্পাদনা-ভৈরব চন্দ্র শর্মা
উপাধি- সুকবিবল্লভ,কবিসার্বভৌম

বিপ্রদাস পিপলাই :

পশ্চিমবঙ্গীয় কবি।
কাব্যনাম-মনসাবিজয়,মনসামঙ্গল, মনসাচরিত
কলকাতা সহ বিভিন্ন ঘাটের বর্ণনা বর্তমান কাব্যে।

কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ :

পশ্চিমবঙ্গীয় কবি।
কাব্যনাম- ক্ষেমানন্দী
সম্পাদনা-যতীন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য

তন্ত্রবিভূতি

উত্তরবঙ্গীয় কবি।

জগজ্জীবন ঘোষাল 


উত্তরবঙ্গীয়।

তন্ত্রবিভূতি ও জগজ্জীবনের কাব্যে মিল বর্তমান।

দ্বিজ বংশীদাস :

পূর্ববঙ্গীয়।
রামায়ণ অনুবাদক চন্দ্রাবতীর পিতা।
শাক্ত ও বৈষ্ণব প্রভাব বিদ্যমান।

জীবন মৈত্র :

কাব্য-পদ্মাপুরাণ
উপাধি-কবিভূষণ

বিষ্ণুপাল

কাব্য-অষ্টমঙ্গলা

ষষ্ঠীবর দত্ত

কাব্য-পদ্মাপুরাণ
উপাধি- গুণরাজ খাঁ
এনার কাব্যে ফারসির ব্যবহার আছে।

সীতারাম দাস

ধর্মমঙ্গলের প্রভাব বিদ্যমান তাঁর কাব্যে।
# রসিক_মিশ্র
কাব্য-জগতীমঙ্গল

মাণিক দত্ত

ধর্মমঙ্গলের প্রভাব আছে কাব্যে।

মনসামঙ্গল কোথায় কী নামে পরিচিত :

১.রাঢ়-ঝাপান
২.দক্ষিণবঙ্গ -ভাসান
৩.পূর্ববঙ্গ-রয়ানী
৪.উত্তরবঙ্গ- সাইটোল বিষহরীর গান বা ডগজিয়ানী পালা বা মড়াজিয়ানী পালা

বাইশা

সাধারণ ভাবে বাইশ কবির কবিতা সংকলন।
এর উল্লেখযোগ্য কবিঃ
নারায়ণ দেব,ষষ্ঠীবর দত্ত প্রমুখ
**প্রকাশক- আশুতোষ ভট্টাচার্য। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

ষট কবি

বাইশার মতোই। ছয় কবির সংকলন।

বারোমাস্যা

এটি মধ্যযুগের প্রায় সব কাব্য ধারাতেই পাওয়া যায়,এমনকি রোমান্স-উপাখ্যান ধারাতেও। কেবল পীর-সাহিত্যে ব্যতিক্রম লক্ষিত হয়।
বারোমাসের চিত্রাঙ্কন থাকে এখানে নায়িকার জীবনকে কেন্দ্র করে।

চৌতিশা

এটিও মধ্য যুগের কাব্যধারায় প্রায়শই লক্ষ করা যায়,এমনকি পুঁথিসাহিত্যও এর ব্যতিক্রম নয়।
এতে বাংলা বর্ণমালার ক্রমানুসারে চৌত্রিশটা বর্ণে মন্ত্রজপ করা হয় ইষ্টদেবতার নামে। কোথাও কোথাও আল্লাহর নামেও এইভাবে চৌতিশা তৈরি করতে দেখা যায়।

প্রশ্নোত্তরে মনসামঙ্গল :

◆ বাংলা সাহিত্যে মঙ্গল কাব্যের প্রাচীনতম ধারা – মনসামঙ্গল।
◆ মঙ্গলকাব্যের আদি কবি – কানাহরি দত্ত।
◆ মনসামঙ্গলেরর একমাত্র পশ্চিমবঙ্গীয় কবির নাম – কতকাদাস ক্ষেমানন্দ।
◆ বিপ্রদাস পিপিলাই রচিত কাব্যের নাম – মনসাবিজয়।
◆ মনসা মঙ্গল রচিত – মনসা দেবীর কাহিনি নিয়ে রচিত।
◆ সাপের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মনসার অপর নাম – কেতকা ও পদ্মাবতী।
◆ মনসামঙ্গল কাব্যের অপর নাম – পদ্মপুরাণ।
◆ মনসামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা – কানাহরি দত্ত, নারায়ণদেব, বিজয়গুপ্ত, বিপ্রদাস পিপিলাই, দ্বিজ বংশীদাস, কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ।
◆ মনসামঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র – চাঁদ সওদাগর, বেহুলা, লোখিন্দর, মনসা।
১] জগজ্জীবন ঘোষালের কাব্য কটি খণ্ডে বিভক্ত ?
উঃ ২
২] বিজয় গুপ্তের কাব্য প্রথম কত সাল প্রকাশিত হয় ?
উঃ ১৮৯৬
৩] চাঁদ সদাগর এর পিতার নাম কি ছিল ?
উঃ বিজয়
৪] কোন কবির কাব্যে চৈতন্য বন্দনা আছে ?
উঃ কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের কাব্যে
৫] কেতকাদাসের প্রকৃত নাম কি ?
উঃ ক্ষেমানন্দ
৬] পূর্ববঙ্গে কার কাব্য ক্ষেমানন্দী নামে পরিচিত ?
উঃ কেতকাদাস
৭] মনসামঙ্গল কাব্যের আদি কবি কে ?
উঃ কানাহরি দত্ত
৮] বিপ্রদাস পিপলাই কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?
উঃ চব্বিশ পরগণা
৯] কেতকাদাসের কাব্যের কটি পালা ?
উঃ ৫ টি
১০] রঘুনাথ কার ছদ্মনাম ?
উঃ বিজয় গুপ্ত
১১] ফুল্লেশ্বর গ্রামের বর্তমান নাম কি?
উঃ গৈলা
১২] উনবিংশ শতাব্দীর মনসামঙ্গল কাব্যের দুজন কবির নাম ?
উঃ রঘুনাথ আর জগমোহন মিত্র
১৩] বিজয় গুপ্তের পিতার নাম ?
উঃ সনাতন
১১] মনসার সহচরীর নাম কি ?
উঃ নেতা ধোপানি
১২] নারায়ণ দেবের “পদ্মপুরাণ” কটি খণ্ডে বিভক্ত ?
উঃ ৩
১৩] মনসাকে জাঙ্গুলিতারা বলা হয়েছে কোন গ্রন্থে ?
উঃ সাধনমালা
১৪) ষটকবি মনসামঙ্গল কাকে বলে ?
উঃ ৬ জন কবির সঙ্কলিত গ্রন্থ
১৫] জগজ্জীবন ঘোষালের মায়ের নাম কি?
উঃ রেবতি
১৬] নারায়ণ দেবের উপাধি কি ছিল ?
উঃ সুকবিবল্লভ
১৭] বাণের পিতার নাম কি ?
উঃ বিরোচন
১৮] সুকুমার সেন এর মতে মনসামঙ্গলের সবচেয়ে প্রাচীন কবি কে?
উঃ বিপ্রদাস পিপলাই
১৯] বিজয় গুপ্তের মঙ্গলকাব্য কোন ছন্দে রচিত ?
উঃ পয়ার ও লাচার
২০] মনসামঙ্গলের প্রধান নারীচরিত্র কী ?
উঃ বেহুলা আর সনকা
২১] মনসার ছেলের নাম কি ?
উঃ আস্তিক
২২] জাগরণ পালা কার লেখা ?
উঃ দ্বিজ বংশীদাস
২৩] কার মনসামঙ্গল ‘অষ্টমঙ্গলা’ নামে পরিচিত ?
উঃ বিষ্ণপাল এর কাব্যে মনসা কার কল্পিত মনসা কণ্যা ?
২৪] কোন কবির কাব্য ‘বিদ্যাভূষণী মনসা’ নামে পরিচিত ?
উ: রামজীবন বিদ্যাভূষণ
২৫] “সনাতন তনয় রুক্মিনী গর্ভজাত” কোন কবি তাঁর সম্পর্কে এ কথা বলেছেন ?
উঃ বিজয় গুপ্ত
২৬] মনসামঙ্গল কাব্যের অষ্টাদশ শতাব্দীর কয়েক জন কবির নাম বল ?
উঃ জীবন মৈত্র, ষষ্ঠীবর দত্ত, বিষ্ণু পাল
২৭] মনসামঙ্গলের কোন কবির উপাধি ‘গুণরাজ খাঁ’ ?
উ: ষষ্ঠীবর দত্ত
২৮] মনসামঙ্গল কাব্যের ঐতিহাসিক গুরুত্ব কি ?
উঃ ১) আনার্য দেবীরা উচ্চত্বর স্থান পেল।
২) আর্য-আনার্য মিলন ঘটল।
৩) তৎকালীন সমাজ ও ইতিহাসের তথ্য পাওয়া যায়।
২৯] মনসার গান কোথায় ঝাপান নামে পরিচিত ?
উঃ রাঢ় বঙ্গে
৩০] “হরিদত্তের গীত যত লোপ পাইল কালে ” – কার রচনা ?
উঃ বিজয় গুপ্ত
আরো পড়ুন
৩১] দ্বিজ বংশীদাস কোথাকার কবি ?
উঃ পূর্ববাংলার
৩২] সবচেয়ে প্রাচীনতম মঙ্গলকাব্য কোনটি ?
উঃ মনসামঙ্গল
৩৩] কার কাছে মনসা দেবী পূজা আদায় করতে পারছিলেন না ?
উঃ চাঁদ
৩৪] বিজয়গুপ্তের মনসামঙ্গল কোথা থেকে কত সালে কার সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয় ?
উঃ বরিশাল থেকে ১৩০৩ সালে প্যারীমোহন দাসগুপ্তের সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয়।
৩৫] মনুষ্যেতর জীবের মধ্যে মনুষত্বের চেতনা আরোপিত হয়েছে কোন মনসামঙ্গল কাব্যে ?
উঃ কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের মনসামঙ্গলে মনসার সর্পসয্যা
৩৬] হরি দত্ত রচিত কাব্যের নাম কী ?
উঃ কালিকাপুরাণ
৩৭] কোন পর্বতে লখিন্দর – বেহুলার বাসরঘর ছিল ?
উঃ সাঁতালি বা সান্তালি পর্বত
৩৮] অন্য কবিরা মনসার জন্ম পদ্মপত্র থেকে হয়েছে বললেও ইনি বলেছেন মনসার জন্ম কেয়া পাতা থেকে। ইনি কোন কবি ?
উঃ কেতকাদাস
৩৯] মনসা পূজা কোন ভাষাভাষীর মানুষেরা প্রথম শুরু করেছিলেন ?
উঃ দ্রাবিড়
৪০] কেতকাদাসের কাব্যে বেহুলার ভাসান পথে কটি ঘাটের উল্লেখ আছে ?
উঃ ২২
৪১] “বিজয়গুপ্ত দেবতার মাহাত্ম্য রচনা করেন নাই, মানবেরই মঙ্গলগান গাহিয়াছেন” – একথা কে বলেছেন ?
উঃ আশুতোষ ভট্টাচার্য
৪২] “মূর্খে রচিলা গীত না জানে মাহাত্ম” – কে কার সম্পর্কে একথা বলেছেন ?
উঃ বিজয় গুপ্ত কানা হরিদত্ত সম্পর্কে
৪৩] মনসামঙ্গলের কবি হিসাবে নারায়ণ দেবের বিশিষ্টতা কি ছিল ?
উঃ তিনি পৌরাণিক কাহিনীর অসামান্য প্রয়োগ ঘটিয়েছেন
৪৪] লখিন্দরের শ্বশুর বাড়ি কোথায় ?
উঃ উজানী নগরে
৪৫] কেতকাদাসের কাব্যে কোন কবির প্রভাব আছে ?
উঃ মুকুন্দ চক্রবর্তীর ‘অভয়ামঙ্গল’ কাব্যের প্রভাব আছে
৪৬] কার কাব্যে চাঁদ সদাগরের বাণিজ্য পথের মধ্যে কলকাতার উল্লেখ আছে ?
উঃ বিপ্রদাস পিপলাই
৪৭] অস্ট্রিক দের ভাষাতে মনসা দেবীকে কি বলে ?
উঃ মনচঁআ মা
৪৮] ইতিহাস নিষ্ঠার সাথে ভৌগোলিক জ্ঞানের যথার্থ পরিচয় পাওয়া যায় কার কাব্যে ?
উঃ কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ এর কাব্যে
৪৯] মনসার স্বামীর নাম কি ?
উঃ জরুৎকারু মুনি
৫০] কে অন্যান্য মঙ্গল কবিদের মতো স্বপ্নাদেশ প্রাপ্তিতে মঙ্গল কাব্য রচনা করেননি ?
উঃ কেতকাদাস
৫১] মুচিনী বেশ নিয়ে মনসা কাকে কাব্য রচনার নির্দেশ দেয় ?
উঃ ক্ষেমানন্দ
৫২] কেতকাদাস কোন শতকের কবি ?
উঃ সপ্তদশ
৫৩] নারায়ণ দেবের কাব্যে চাঁদসদাগরের কাহিনী আছে কোন খণ্ডে ?
উঃ ৩
৫৪] পশ্চিম বঙ্গের কাব্য গুলি কি নামে পরিচিত
উঃ মনসা মঙ্গল
৫৫] কোন্ কবি নিজেকে সুকবিবল্লভ বলেছেন ?
উঃ নারায়ণ দেব
৫৬] কে নিজেকে নাটোরের রানি ভবানীর পুত্র রাজা রামকৃষ্ণের আশ্রিত বলে উল্লেখ করেছেন ?
উঃ জীবন মৈত্র
৫৭] মাঞ্চাম্মা কোথায় প্রচলিত ?
উঃ দক্ষিণ ভারত
৫৮] বিপ্রদাসের কাব্যের কি কি নাম পাওয়া যায় ?
উঃ মনসামঙ্গল, মনসাবিজয়, মনসাচরিত
৫৯] বিপ্রদাসের কাব্য কার রাজত্বকালে রচিত ?
উঃ হুসেন শাহ
৬০] মনসামঙ্গল কাব্যের কোন কবির কাব্যে আরবি ফারসি শব্দের প্রাধান্য লক্ষ করা য়ায ?
উঃ দ্বিজ বংশীদাস

 🌼 চণ্ডীমঙ্গল 🌼

🔵 মঙ্গলকাব্য ধারায় মনসামঙ্গলের পরেই চন্ডীমঙ্গলের নাম উল্লেখ করতে হয়। দেবী চণ্ডীর মাহাত্ম্য প্রচারমূলক কাব্যধারাই হলো চন্ডীমঙ্গল কাব্য।চণ্ডীমঙ্গল কাব্য রচিত  চণ্ডীদেবীর কাহিনি অবলম্বনে।


🔵 চণ্ডীমঙ্গল কাব্যধারার আদি কবি – মানিক দত্ত।

কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তী লিখেছেন-
“মানিক দত্তেরে আমি করিলুঁ এ বিনয়
যাহা হৈতে হৈল গীত পথ পরিচয়।”

🔵 চণ্ডীমঙ্গল কাব্যধারার কবি দ্বিজ মাধবকে বলা হয় – ‘স্বভাব কবি’।

🔵 চণ্ডীমঙ্গল ধারার প্রধান বা
শ্রেষ্ঠ কবি – মুকুন্দ চক্রবর্তী।

🔵 মুকুন্দ চক্রবর্তীর উপাধি — ‘কবিকঙ্কন’।


🔵 মুকুন্দ চক্রবর্তীকে ‘কবিকঙ্কন’ উপাধি দেন – জমিদার রঘুনাথ রায়।

🔵 চন্ডীমঙ্গলের কাহিনি – ২ টি।
ক) আখেটিক খন্ড – কালকেতু ও ফুল্লরার কাহিনি
খ) বনিক খন্ড – ধনপতি , শ্রীমন্ত ও খুল্লনার কাহিনি

🔵 চন্ডীমঙ্গল ধারার কবি  – মানিক দত্ত, দ্বিজ মাধব, মুকুন্দ চক্রবর্তী, দ্বিজরাম দেব, মুক্তারাম সেন, অকিঞ্চন চক্রবর্তী।

🔵 চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র – কালকেতু, ধনপতি, ভাড়ুদত্ত, মুরারী শীল।

🔵 কালকেতু , ফুল্লরা , শ্রীমন্ত , খুল্লনার পূর্ব পরিচয় —

কালকেতু – ইন্দ্রপুত্র নীলাম্বর
ফুল্লরা – নীলাম্বর পত্নী ছায়া
শ্রীমন্ত- মালাধর
খুল্লনা- রত্নমালা

🔵 বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঠগ চরিত্র – ভাড়ুদত্ত।

🔵 দেবী চন্ডীর উল্লেখ আছে 
— মার্কান্ডেয় পুরাণে ।

🔵 চন্ডীমঙ্গলের আরাধ্য দেবতা — দেবী চন্ডী।

🔵 দেবী চন্ডী ওঁরাও সম্প্রদায়ের দ্বারা পূজিত।

চণ্ডীমঙ্গল কাব্যধারার কবি :

মানিক দত্ত :  

🔵 আদি কবি

🔵 কবির জন্মস্থান :
 মালদহের ফুলবাড়ি।

🔵 কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তী ‘অভয়ামঙ্গল’ থেকে জানা যায়-
“মানিক দত্তেরে আমি করিলুঁ এ বিনয়
যাহা হৈতে হৈল গীত পথ পরিচয়।”

🔵 কবি প্রথম যৌবনে কালা ও খোঁড়া ছিলেন।


দ্বিজমাধব বা মাধবাচার্য  :

🔵 কবির কাব্যে প্রথম পূর্নাঙ্গ চন্ডীমঙ্গলের কাহিনি আছে।

🔵 কবির জন্মস্থান 
 সপ্তগ্রাম বা নবদ্বীপ

🔵 কবির পিতার 
পরাশর

🔵 কাব্যের নাম 
সারদাচরিত

🔵 রচনাকাল 
১৫০১ শকাব্দ অর্থাৎ ১৫৭৯ খ্রিস্টাব্দ।

🔵 কালজ্ঞাপক উক্তি
ইন্দু বিন্দু বাণ ধাতা শক নিয়োজিত।

🔵 কাব্যটির মৌলিকতা 
 গতানুগতিক হর-পার্বতির কাহিনির বদলে কবি মঙ্গলাসুর নামক বধের কাহিনীর সংযোজন ।

🔵 মঙ্গলচন্ডীর গীত 
 দ্বিজ মাধবের কাব্যটি মঙ্গলচন্ডীর গীত নামে পরিচিত।

🔵 মঙ্গলচন্ডীর গীত 
সম্পাদনা
সুধীভূষণ ভট্টাচার্যের সম্পদনায় প্রকাশিত।

🔵 জাগরন কী ? 
দ্বিজমাধবের সারদাচরিত চট্টগ্রামে জাগরন নামে পরিচিত।
আটদিন ধরে রাত জেগে লোকে মঙ্গলচন্ডীর গীত শুনত বলে এরূপ নামকরণ।


মুকুন্দ চক্রবর্তী :

🔵 চন্ডীমঙ্গল কাব্যধারার শ্রেষ্ঠ কবি।

🔵 কবির জন্মস্থান 
বর্ধমান জেলার রায়না থানার অধীন দামুন্যা গ্রামে।

🔵 কবির পিতা 
হৃদয় মিশ্র

🔵 কবির মাতা
 দৈবকী

🔵 কবি স্বগ্রাম ত্যাগ করছিলেন কারণ – 
 ডিহিদার মাহমুদ বা মামুদ শরিফের অত্যাচারের জন্য।

🔵 কবি স্বগ্রাম থেকে উৎখাত হয়ে যান মেদিনীপুরের আড়রা গ্রামের জমিদার বাঁকুড়া রায়ের আশ্রয়ে।

🔵 কবি কাব্য রচনা করেন –
 বাঁকুড়া রায়ের পুত্র  রঘুনাথ রায়ের নির্দেশে ।

🔵 কাব্যের নাম 
 অভয়ামঙ্গল , অম্বিকামঙ্গল , চন্ডীকামঙ্গল।

🔵 কাব্যটি 
৩ টি  খন্ডে বিভক্ত।
ক) দেবখন্ড
খ) আখেটিক খন্ড
গ) বনিক খন্ড

🔵 মুকুন্দ চক্রবর্তী দুঃখবাদী কবি নামে পরিচিত।
 
🔵 কাব্যের রচনাকাল
মতভেদ আছে । কারো মতে ১৫৪৪-৪৫ খ্রিস্টাব্দ । আবার কারো মতে ১৫৭৭ খ্রিস্টাব্দ ।

🔵 কালজ্ঞাপক উক্তি 
“শাকে রস রস বেদ শশাঙ্ক গনিতা
কত দিনে দিলা গীত হরের বনিতা ।”

🔵 ১৮২৩-২৪ খ্রিস্টাব্দে রামজয় বিদ্যাসাগরের সম্পাদনায় কাব্যটি প্রথম প্রকাশিত হয় ।

দ্বিজ রামদেব :

🔵 চট্টগ্রামের কবি।

🔵  সপ্তদশ শতকের কবি।

🔵 কবির পিতার নাম  কবিচন্দ্র

🔵 কাব্যের নাম — অভয়ামঙ্গল।

🔵 কাব্যটি 
আশুতোষ দাসের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।




প্রশ্নোত্তরে চণ্ডীমঙ্গল :

১) চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আদি কবির নাম কী ?
উঃ মানিক দত্ত।

২) চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের কটি কাহিনি ?
উঃ দুটি। আখেটিক খণ্ড ও বণিক খণ্ড।

৩) কালকেতু আসলে কে ?
উঃ ইন্দ্রপুত্র নীলাম্বর।

৪) কালকেতুর পিতার নাম কী ?
উঃ ধর্মকেতু।

৫) নীলাম্বরের স্ত্রীর নাম কী ?
উঃ ছায়া।

৬) ছায়া মর্ত্যে কার ঘরে কী নামে জন্মগ্রহণ করে ?
উঃ ফুল্লরা নামে সঞ্জয়কেতুর ঘরে জন্মায়।

৭) কালকেতুর পুত্রের নাম কী ?
উঃ পুষ্পকেতু।

৮) উজানী নগরের শ্রেষ্ঠ বণিক কে ?
উঃ ধনপতি সওদাগর।

৯) ধনপতি সওদাগর কার উপাসক ছিলেন ?
উঃ শিবের উপাসক ছিলেন অর্থাৎ শৈব।

১০) ধনপতি সওদাগরের প্রথম স্ত্রীর নাম কী ?
উঃ লহনা।

১১) ধনপতি সওদাগরের দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম কী ?
উঃ খুল্লনা।

১২)খুল্লনা আসলে কে ?
উঃ শাপভ্রষ্ট স্বর্গের নর্তকী রত্নমালা।

১৩) চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে যে সিংহল রাজার পরিচয় পাওয়া যায় তার নাম কী ?
উঃ শালিবাহন।

১৪) খুল্লনার গর্ভে কার জন্ম হয়?
উঃ স্বর্গের গন্ধর্ব মালাধর শাপভ্রষ্ট হয়ে জন্ম নেয় শ্রীমন্ত নামে।

১৫) দেবী চণ্ডী শ্রীমন্তকে কী মূর্তি দেখান?
উঃ কমলেকামিনী।

১৬)সিংহল রাজকণ্যার নাম কী ?
উঃ সুশীলা।

১৭)চৈতন্য যুগের একজন সার্থক চণ্ডীমঙ্গল রচয়িতার নাম লেখ।
উঃ দ্বিজমাধব বা মাধব আচার্য।

১৮)দ্বিজমাধবের কাব্যের নাম কী?
উঃ সারদামঙ্গল বা সারদাচরিত।

১৯)দ্বিজমাধবের কাব্যের রচনাকাল কত?
উঃ ১৫০১ শকাব্দ বা ১৫৭৯ খ্রিস্টাব্দ।
 
২০)দ্বিজমাধবের পরিচয় দাও।
উঃ কবির দেওয়া আত্মপরিচয় থেকে জানা যায়, তিনি ব্রাহ্মণ বংশে জাত। ত্রিবেণীর কাছে সপ্তগ্রামে তার বাড়ি।

২১) চণ্ডীমঙ্গলকাব্যের শ্রেষ্ঠ কবির নাম কী?
উঃ কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তী।

২২) মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গলকাব্যের আসল নাম কী?
উঃ অভয়ামঙ্গল।

২৩) মুকুন্দরামকে কবিকঙ্কণ উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উঃ কবির আশ্রয়দাতা রঘুনাথ রায়।

২৪) মুকুন্দরামের পিতা ও মাতার নাম কী?
উঃ হৃদয় মিশ্র ও দেবকী।

২৫) কবির পূর্বপুরুষ মাধব ওঝার নিবাস কোথায় ছিল?
উঃ কর্ণপুরে।

২৬) কর্ণপুরে থেকে তারা কোথায় বসতি স্থাপন করেন?
উঃ বর্ধমান জেলার রায়না থানার অধীন দামুন্যা গ্রাম।

২৭) কবিকঙ্কণের পিতামহের নাম জগন্নাথ মিশ্র;মিশ্র হলেও তাঁদের আসল উপাধি কী ছিল?
উঃ চক্রবর্তী ;রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণ, কোয়ারি গাঁঞি।

২৮)কবির জন্মসাল কত?
উঃ আনুমানিক ১৫৪৭ খ্রীঃ।

২৯) মুকুন্দরামের চণ্ডীমঙ্গলকাব্য কার সম্পাদনায় প্রথম মুদ্রিত হয়?
উঃ ১৮২৩ খ্রীঃ, রামজয় বিদ্যাসাগরের সম্পাদনায়।

৩০) অভয়ামঙ্গল কাব্যের রচনাকাল সম্পর্কে কী জানা যায়?
উঃ ‘শাকে রস রস বেদ শশাঙ্ক গণিতা।
কত দিনে দিলা গীত হরের বনিতা।।’
অর্থাৎ রস=৬,রস=৬,বেদ=৪,শশাঙ্ক =১।অঙ্কস্য বামাগতি নিয়মানুযায়ী ১৪৬৬শকে বা ১৪৬৬+৭৮=১৫৪৪ খ্রীঃ।

৩১)দীনেশচন্দ্র সেনের মতে মুকুন্দরামের চণ্ডীমঙ্গলকাব্যের রচনাকাল -১৫৭৭ খ্রি:।

৩২) অষ্টাদশ শতাব্দীর চণ্ডীমঙ্গল কাব্যধারার কয়েকজন কবির নাম লেখো।
উত্তর : জয়নারায়ণ সেন, মুক্তারাম সেন, অকিঞ্চন চক্রবর্তী।

৩৩) ‘বাসুলীমঙ্গল’ নামে চন্ডীমঙ্গল কাব্য কে রচনা করেন ?
উত্তর : মুকুন্দ মিশ্র

৩৪) মুকুন্দ চক্রবর্তী চন্ডীমঙ্গল কাব্যে কার বন্দনা করেননি ?
উত্তর : চণ্ডীর

৩৫) চণ্ডী কোন ভাষার শব্দ বলে অনুমান করা হয় ?
উত্তর : দ্রাবিড় 

৩৬) কবিকঙ্কণের নামে আর একটি গ্রন্থ পাওয়া যায় তার নাম -জগন্নাথমঙ্গল।

৩৮) ‘এযুগে জন্মগ্রহণ করিলে মুকুন্দরাম কবি না হইয়া ঔপন্যাসিক হইতেন’ -মুকুন্দরামের সম্পর্কে এ কথা কে বলেছিলেন?
উ: অধ্যাপক শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলেন।

৩৯)’এই চরিত্রটি যেন মসৃণ চিক্কন,কাঁঠাল গাছটির মত’ কালকেতু সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই মন্তব্য করেছিলেন।

৪০) সমালোচকরা মুকুন্দরামকে ‘দুঃখবাদী’কবি হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

৪১) অষ্টাদশ শতকের চণ্ডীমঙ্গলকাব্যের দুজন কবির নাম -অকিঞ্চন মিশ্র ও শ্রীকৃষ্ণজীবন দাস।

৪২) শ্রীকৃষ্ণজীবন দাসের কাব্যের নাম -অম্বিকামঙ্গল।

৪৩) জয়নারায়ণ রায় রচিত চণ্ডীমঙ্গলকাব্যের নাম -চণ্ডিকামঙ্গল।

৪৪) রামশঙ্কর দের চণ্ডীমঙ্গলের নাম -অভয়ামঙ্গল।

৪৫) ভবানীশঙ্কর দাসের চণ্ডীমঙ্গলকাব্যের নাম-মঙ্গলচণ্ডী পাঞ্চালিকা।

৪৬) রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের লেখা চণ্ডীমঙ্গলকাব্যের নাম-দুর্গামঙ্গল।

৪৭)চণ্ডীমঙ্গলের উল্লিখিত ফুল্লরার বারো মাসের দুঃখ-দুর্দশা বর্ণনাজ্ঞাপক চিত্রকেই বারমাস্যা বলে।

৪৮) চণ্ডীমঙ্গলের দুজন শঠ চরিত্র -ভাড়ু দত্ত ও মুরারী শীল।

৪৯) “পিপিড়ার শাখা উঠে মরিবার তরে
       কাহার ষোড়শী কন্যা আনিয়াছ ঘরে।” –এটি কার রচনা ?
উত্তর : মুকুন্দ চক্রবর্তী।

৫০) ভাড়ুদত্তের পিতার নাম কী ?
উত্তর : হরিদত্ত


🌼 ধর্মমঙ্গল 🌼

◆ ধর্মঠাকুরের মহত্ম্য প্রচারের জন্য সূত্রপাত হয়েছে – ধর্মমঙ্গল কাব্যের।
◆ ধর্মমঙ্গল কাব্যধারার প্রথম কবি – ময়ূর ভট্ট।
◆ ধর্মমঙ্গল কাব্যধারার প্রধান কবি – রূপরাম চক্রবর্তী ও ঘনরাম চক্রবর্তী।
◆ ধর্মমঙ্গল কাব্য দুটি পালায় বিভক্ত – রাজা হরিশচন্দ্রের গল্প ও লাউসেনের গল্প।
১। ধর্মমঙ্গলের কটি কাহিনী ও কি কি ?
উঃ -২ টি ।ক। রাজা হরিশচন্দ্রের কাহিনী খ। লাউসেনের কাহিনী
২। কে বলেছেন প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ দেবতা ?
উঃ –হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
৩। কার মতে ধর্মঠাকুর সূর্য দেবতা ?
উঃ – ক্ষিতীশ প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
৪। ধর্মঠাকুরের কিসের দেবতা ?
উঃ –সন্তান লাভ , কুষ্ঠ নিবারন , আর সেই সাথে ফসল উৎপাদনের দেবতা ।
৫। ধর্মের পূজো কোন কোন সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ?
উঃ – ডোম , জেলে , নাপিত ইত্যাদি
৬। ধর্মমঙ্গলেরের প্রাচীন কাহিনী কোনটি ?
উঃ – হরিশচন্দ্রের কাহিনী
৭। ধর্মমঙ্গলে কোন যুগের ইতিহাস পাই ?
উঃ – পাল যুগের
৮। ধর্মমঙ্গলে ধর্ম কোন কোন দেবতার সংমিশ্রণে ঘটেছে ?
উঃ – ডোম জাতির দেবতা সূর্য , বৌদ্ধ নিরঞ্জন ও পৌরাণিক বিষ্ণুর ।
৯। কোন মঙ্গল কাব্যের দেবতার নির্দিষ্ট আকৃতি নেই ?
উঃ –ধর্মমঙ্গল
১০। ধর্মমঙ্গলের কাহিনী কটি পালায় বিভক্ত ?
উঃ – ১২ টি পালায়
১১। লাউসেনের কাহিনী কটি সর্গে বিভক্ত ?
উঃ – ২৪ টি
১২। ধর্মমঙ্গলের কোন চরিত্রটি ঐতিহাসিক চরিত্র ?
উঃ – ইছাই ঘোষ
১৩। ধর্মমঙ্গলের আদি পুরোহিত কে ?
উঃ – রামাই পণ্ডিত
১৪। শূন্যপুরাণ – কে রচনা করেন ?
উঃ – রামাই পণ্ডিত
১৫। ধর্মমঙ্গলের আদি কবি কে ? গ্রন্থের নাম কি ? গ্রন্থটির আসল নাম কি ?
উঃ –ময়ূরভট্ট , শ্রীধর্মপুরাণ , আসল নাম হাকন্দপুরান
১৬। ধর্মমঙ্গলের একটি খল চরিত্র ?
উঃ –মহামদ
১৭। খেলারাম চক্রবর্তীর কাব্যের নাম কি ? রচনাকাল কত ?
উঃ – গৌঢ় কাব্য
১৮। রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য ধর্মমঙ্গল – কে বলেছেন ?
উঃ – সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
১৯। ঘনরাম চক্রবর্তীর কাব্যের নাম কি ? রচনাকাল কত ?
উঃ – অনাদিমঙ্গল , ১৭১১ খ্রিষ্টাব্দ
২০। কোন ধর্মমঙ্গল প্রথম মুদ্রণ সৌভাগ্য লাভ করে ?
উঃ – ঘনরাম চক্রবর্তীর অনাদিমঙ্গল
২১। সর্বাধিক প্রচারিত ধর্মমঙ্গলের নাম কি ?
উঃ — ঘনরাম চক্রবর্তীর অনাদিমঙ্গল
২২। রামদাস আদকের ধর্মমঙ্গলের নাম কি ?
উঃ – অনাদিমঙ্গল
২৩। ধর্মমঙ্গলের উপাস্য দেবতা কে ?
উঃ – ধর্ম দেবতা
২৪। সুকুমার সেনের মতে ধর্মমঙ্গলের প্রথম কবি কে ?
উঃ – রূপরাম চক্রবর্তী
২৫। গদ্যের দৃষ্টান্ত বর্তমান কোন গ্রন্থে ?
উঃ – শূন্যপুরাণ
২৬। ময়ূরভট্টের গ্রন্থ কে প্রকাশ করেন ?
উঃ – বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়
২৭। শূন্যপূরাণের আবিষ্কর্তা কে ?
উঃ – নগেন্দ্রনাথ বসু
২৮। শূন্যপুরাণ ছাড়া রামাই পণ্ডিতের অপর একটি গ্রন্থের নাম কি ?
উঃ – ধর্মপূজা বিধান
২৯। শূন্যপূরাণের আসল নাম কি ?
উঃ – আগম পুরাণ বা রামাই পণ্ডিতের পদ্ধতি
৩০। এ যাবৎ কতজন ধর্মমঙ্গলের কবির কথা জানা যায় ?
উঃ – ১৮ জন

১] কত সালে ঘনরাম চক্রবর্তী ধর্মমঙ্গল কাব্য রচনা করেন ?
উঃ ১৭১১ খ্রিঃ
২] কবিরত্ন উপাধি কে পান ?
উঃ ঘনরাম
৩] ঘনরামের ধর্মমঙ্গলে কয়টি শ্লোক আছে ?
উঃ ৯১৪৭ টি
৪] ঘনরামের পিতার মাতার নাম কি ?
উঃ গৌরীকান্ত, সীতা
৫] রামদাস আদকের কাব্যের নাম কি?
উঃ আনাদিমঙ্গল
৬] অনাদিমঙ্গল কার লেখা ?
উঃ রূপরাম চক্রবর্তী
৭] শ্যাম পণ্ডিত কে ছিলেন ?
উঃ ধর্মমঙ্গলের অন্যতম কবি
৮) যদুনাথ রায় কোন কাব্যের কবি ?
উ৮] ধর্মমঙ্গল
৯] রামদাস আদক পেশায় কি ছিলেন ?
উঃ চাষী
১০] ঘনরাম কার আদেশে কাব্য রচনা করেন ?
উঃ বর্ধমানের রাজা কীর্তিচন্দ্র
১১] ঘনরামের রচিত অন্য একটি গ্রন্থের নাম কি ?
উঃ সত্যনারায়ণ পাঁচালি
১২] খেলরাম চক্রবর্তী কে ছিলেন ? তার কাব্যের নাম কি ?
উঃ ধর্মমঙ্গলের কবি। গৌড়কাব্য
১৩] ইছাই ঘোষ কে ছিলেন ?
উঃ ঢেকুর গড়ের বিদ্রোহী সামন্ত রাজা
১৪] অনিলপুরাণ কার লেখা ?
উঃ অনিলকুমার চক্রবর্তী
১৫] আধুনিক কালে ধর্মমঙ্গলের কোন কবিকে “ভৌতিক কবি” বলা হয় ?
উঃ ময়ূরভট্ট
১৬] কৃষকদের ওপর অত্যাচারের বর্ণনা দিয়ে কে ধর্মমঙ্গল রচনা করেন ?
উঃ অরিন্দম নন্দী
১৭] ধর্মমঙ্গল কাব্যে মোট কয়টি কাহিনী আছে ?
উঃ দুটি। ১. রাজা হরিশ্চন্দ্রের কাহিনী, ২. লাউসেনের কাহিনী।
১৮] কতজন কবি ধর্মমঙ্গল কাব্য রচনা করেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়?
উঃ ২০ জন।
১৯] ধর্মমঙ্গল কাব্যের উল্লেখযোগ্য কবি কারা?
উঃ ১. ময়ূরভট্ট ২. আদি রূপরাম ৩. খেলারাম চক্রবর্তী ৪. মানিকরাম ৫. রূপরাম চক্রবর্তী ৬. শ্যাম পণ্ডিত ৭. সীতারাম দাস ৮. রাজারাম দাস ৯. রামদাস আদক ১০. দ্বিজ প্রভুরাম ১১. ঘনরাম চক্রবর্তী ১২. রামচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ১৩. সহদেব চক্রবর্তী ১৪. নরসিংহ বসু, ১৫. হৃদয়রাম সাউ প্রমুখ।
২০] ধর্মমঙ্গল কাব্যের আদি কবি কে ?
উঃ ময়ূরভট্ট।
২১] ময়ূরভট্টের কাব্যের নাম কি ?
উঃ হাকন্দপুরাণ (শ্রীধর্মমঙ্গল কাব্য)।
২২] রূপরামের সময় বাংলার সুবাদার কে ছিলেন ?
উঃ শাহসুজা
২৩] ‘অনাদিমঙ্গল’ কাব্যের রচিয়তা কে?
উঃ রামদাস আদক।
২৪] শ্যাম পণ্ডিত কে ?
উঃ ধর্মমঙ্গল কাব্যের অন্যতম কবি। তাঁর কাব্যের নাম নিরঞ্জনমঙ্গল।
২৫] বাংলা সাহিত্যর মধ্যযুগের অপ্রধানমঙ্গল কাব্যগুলো কি কি ?
উঃ অপ্রধান মঙ্গলকাব্য — ১. শীতলামঙ্গল কাব্য ২. ষষ্ঠীমঙ্গল কাব্য ৩. সারাদামঙ্গল কাব্য ৪. গৌরীমঙ্গল কাব্য ৫. গঙ্গামঙ্গল কাব্য ৬. রায়মঙ্গল কাব্য ৭. পঞ্চাননমঙ্গল কাব্য।
আরো পড়ুন
২৬] সারদামঙ্গল কাব্যের বিষয়বস্তু কি ?
উঃ বিদ্যা ও চারুকলার অধিষ্ঠিত্রী দেবী সারদা ও সরস্বতীর কাহিনী অবলম্বনে সারদামঙ্গল কাব্য রচিত।
২৭] শীতলামঙ্গল কাব্যের আদি কবি কে ?
উঃ নিত্যানন্দ চক্রবর্তী।
২৮] মানিকরাম গাঙ্গুলী কোন কাব্যের কবি ?
উঃ শীতলামঙ্গল কাব্যের।
২৯] কৃষ্ণরাম রচিত কাব্যের নাম কি ?
উঃ রায়মঙ্গল।
৩০] গৌরীমঙ্গল কাব্যের অন্যতম রচয়িতা কে ?
উঃ পৃথ্বীরাজ।
৩১] দুর্গামঙ্গল কী অনুসরণে রচিত ?
উঃ পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে।
৩২] ঘনরামের কাব্য অনুসারে কত নম্বর পালায় লাউসেন লোহার গণ্ডার দ্বিখণ্ডিত করেন ?
উঃ ১৭ নং পালা
৩৩] কে কোন গ্রন্থে ধর্মঠাকুর কে বৌদ্ধদেবতা আখ্যায়িত করেন ?
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তাঁর ”ডিসকভারী অফ লিভিং বুদ্ধিজম অফ বেংগল” নিবন্ধে ধর্মঠাকুরকে বৌদ্ধ দেবতা আখ্যায়িত করেছেন।
৩৪] রামদাস আদক কোন শতাব্দীর কবি ? তিনি জাতিতে ও পেশায় কি ছিলেন ?
উঃ সপ্তদশ শতাব্দীর কবি। কবি জাতিতে কৈবর্ত হলেও পেশায় ছিলেন কৃষিজীবী।
৩৫] রঞ্জাবতী কোন নদীর তীরে ধর্মের আরাধনা করেন ?
উঃ বল্লুকা
৩৬] কার আদেশে চোরেরা লাউসেনকে চুরি করে? এবং তাকে কে উদ্ধার করেন ?
উঃ মাহুদ্যা
৩৭] ঘনারামের উপাধি কী ছিল এবং কে এই উপাধি দিয়েছিল ?
উঃ কবিরত্ন, গুরু রামদাস
৩৮] কানাড়া কোন রাজার কন্যা ?
উঃ শিমুলরাজ হরিপালের রাজকন্যা
৩৯] ‘ধর্ম’ শব্দটি কোন শব্দের রূপ ?
উঃ দড়ম
৪০] ঘনরাম চক্রবর্তীর সমসাময়িক বিখ্যাত ধর্মমঙ্গলের কবির নাম কি ? তাঁর কাব্যের নাম কি ? তাঁর অন্য একটি বিখ্যাত কাব্যের নাম লেখ ?
উঃ মানিক গাঙ্গুলী। তাঁর কাব্য হল শ্রীধর্মমঙ্গল বা বার্মাতি। অন্য একটি বিখ্যাত কাব্য হল শীতলামঙ্গল।
৪১] রূপরামের কবিকর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন কে ?
উঃ গণেশ রায়
৪২] ঘনরাম চক্রবর্তীর কাব্যে কতগুলো পালা আছে
উঃ ২৪
৪৩] সীতারাম দাস কার উৎসাহে কাব্য রচনা করেন
উঃ ইন্দাস গ্রামের পুরোহিত নারায়ণ পণ্ডিতের উৎসাহে।
৪৪] আরামবাগের হয়াৎপুর গ্রামে কোন কবি জন্মগ্রহন করেন ?
উঃ রামদাস আদক
৪৫] কে ঘনরাম চক্রবর্ত্রীর পৃষ্টপোষক ছিলেন ?
উঃ বর্ধমানের রাজা কীর্তিচন্দ্র
৪৬] ধর্মমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে ? তাঁর কাব্যের নাম কী ? কবির উপাধি কী ছিল ?
উঃ কবি ঘনরাম চক্রবর্তী। কাব্যের নাম শ্রীধর্মমঙ্গল। উপাধি কবিরত্ন
৪৭] ঘনরাম চক্রবর্তী কোন রাজার সমসাময়িক ছিলেন ?
উঃ বর্ধমানরাজ কীর্তিচন্দ্রের সমসাময়িক
৪৮] রঞ্জাবতীর গুরুর নাম কী ?
উঃ রামাই পণ্ডিত
৪৯] ধর্মদাস বণিকের ধর্মমঙ্গলের উপর কাজ করে কে ডক্টরেট ডিগ্রী পান ?
উঃ সুমিত্রা কুন্ডু।
৫০]
“ধর্মমঙ্গল” কাব্যকে ‘রাতের জাতীয় কাব্য’ বা ‘রাঢ়ের মহাকাব্য’ কে বলেছেন?
উঃ ড: সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়
৫১] ঘনরাম চক্রবর্তীর লেখা কতগুলি বৈষ্ণবপদ কোথায় সঙ্কলিত হয়েছে ?
উঃ ঘনরাম চক্রবর্তীর লেখা ১৫টি বৈষ্ণবপদ ‘পদকল্পতরু’তে সঙ্কলিত হয়েছে।
৫২] ধর্মমঙ্গল কাব্য রচনার প্রধান উদ্দেশ্য কী ছিল ?
উঃ এই কাব্য রচনার প্রধান উদ্দেশ্য দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলার লৌকিক অনার্য দেবতা ধর্মঠাকুরের মাহাত্ম্য প্রচার।
৫৩] “চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের ঐশ্বর্য যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি যেমন মুকুন্দরাম, ঘনরামও তেমনি ধর্মমঙ্গল কাব্যের ঐশ্বর্যযুগের শ্রেষ্ঠ কবি।” – মন্তব্যটি কার ?
উঃ আশুতোষ ভট্টাচার্য
৫৪] রামদাস আদক জাতিতে কি ছিলেন ?
উঃ কৈবর্ত
৫৫] ধর্মমঙ্গল কাব্যে কোন্ যুগের ইতিহাস বর্ণিত ?
উঃ পাল যুগের
৫৬] ঘনরামের কাব্যের ত্রুটি কোথায় ?
উঃ অলৌকিক অবাস্তব ঘটনা । শাস্ত্র নির্ভরতা
৫৭] লাউসেনকে Semi mithycal hero কে বলেছেন ?
উঃ ও ‘ম্যালি সাহেব ।
৫৮] “ঘনরামের কাব্যের প্রধান গুণ স্বচ্ছন্দতা ও গ্রাম্যতাহীনতা” কোন্ সমালোচকের অভিমত ?
উঃ সুকুমার সেন
৫৯] মহামদ কোন রোগে আক্রান্ত হয় ?
উঃ কুষ্ঠ
৬০] অষ্টাদশ শতাব্দীর কজন ধর্মমঙ্গল অপ্রধান কবির নাম বল ?
উঃ গোবিন্দরাম বন্দ্যোপাধ্যায়, রামাকান্ত, রামনারায়ণ, নরসিংহ বসু
৬১] সংস্কৃত ভাষার কাব্য ‘সূর্যশতক’ কে রচনা করেন ?
উঃ ময়ূরভট্ট
৬২] ‘ধর্মমঙ্গল’ এ কোন নদীর কথা আছে ?
উঃ অজয়
৬৩] যদুনাথ পন্ডিতের কাব্য কে কোথা থেকে উদ্ধার করেন ? আর কি নাম দিয়ে কোথা থেকে প্রকাশ করেন ?
উঃ ড. পঞ্চানন মন্ডল, এক তাঁতির বাড়ি থেকে, ‘ধর্মপুরাণ’ নামে বিশ্বভারতী থেকে প্রকাশিত হয়।
৬৪] ময়ূরভট্টে বন্দিব আদ্যকবি – কে লিখেছেন ?
উঃ ঘনরাম চক্রবর্তী
৬৫] কর্ণসেনের সাথে লাউসেনের সম্পর্ক কি ?
উঃ পিতা ও পুত্র
৬৬] ধর্মঠাকুরের পূজার উপকরণ কী ?
উঃ মদের পুস্কার্ণ দিল পিটারে জাঙ্গাল
৬৭] রাজা হরিশ্চন্দ্রের স্ত্রীর নাম কী ?
উঃ মদনা
৬৮] ধর্মঠাকুরকে কে ‘প্রাগার্য সূর্য দেবতা’ বলেছেন
উঃ আশুতোষ ভট্টাচার্য
৬৯] ময়ূরভট্ট রচিত ‘শ্রীধর্মপুরাণ’ কার সম্পাদনায় কোথা থেকে প্রকাশিত হয়?
উঃ বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে
৭০] ধর্মঠাকুরকে কে প্রথম ‘বৌদ্ধ দেবতা’ বলেছেন
উঃ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
৭১] এই কাব্যের মধ্যে কোন কবির পুঁথি প্রাচীন ?
উঃ প্রাপ্ত পুথির মধ্যে রূপরাম চক্রবর্তীর পুঁথি প্রাচীন।
৭২] ধর্মমঙ্গলের প্রথম পর্বের গ্রন্থগুলিতে পাঁচ জন ধর্মদ্বারপালের নাম পাওয়া যায়, এঁদের নাম কী কী ?
উঃ সেতাই পন্ডিত, নীলাই পন্ডিত, কংসাই পন্ডিত, রামাই পন্ডিত ও গোঁসাই পন্ডিত
৭৩] ধর্মমঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্রগুলোর নাম কী কী ?
উঃ এ কাব্যের মূল চরিত্রগুলো হলো – হরিশ্চন্দ্র, মদনা, লুইচন্দ্র, কর্ণসেন, গৌড়েশ্বর, লাউসেন।
৭৪] নরসিংহ বসুর কাব্যের উপর কাজ করে কে কী ডিগ্রী পান ?
উঃ সুকুমার মাইতি
৭৫] ঘনরাম তাঁর কাব্য সূচনায় কোন কোন দেব-দেবীর বন্দনা করেছেন ?
উঃ গণেশ, সরস্বতী, ধর্মদেবতার।
আরো পড়ুন
৭৬] ঘনরাম তাঁর কাব্যের নাম ‘অনাদিমঙ্গল’ ছাড়া আর কি নাম ব্যবহার করেছেন ?
উঃ ‘শ্রীধর্মসঙ্গীত’, ‘মধুরভারতী’
৭৭] ঘনরাম তাঁর কাব্য সূচনায় কোন কোন দেব-দেবীর বন্দনা করেছেন ?
উঃ আখড়া পালায়
৭৮] শ্যাম পন্ডিতের রচনার নাম কি ? তিনি কাদের পুরহিত ছিলেন ?
উঃ নিরঞ্জনমঙ্গল। ডোম
৭৯] বিশ্বভারতী থেকে কে কি নামে ধর্মসংক্রান্ত পুঁথি প্রকাশ করেন?
উঃ পঞ্চানন মন্ডল। অনাদ্যের পুঁথি
৮০] রামাই পন্ডিত এর শূণ্যপূরাণ কে আবিস্কার করেন ? নিরঞ্জনের উষ্মা কী ? ময়ূর ভট্টের শ্রীধর্মপুরাণ কে জাল বলে প্রমাণ করেন ?
উঃ নগেন্দ্রনাথ বসু। কতকগুলি অদ্ভুত ছড়া। যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি।
৮১] “অনিলপুরাণ” নামে ধর্মমঙ্গলকাব্য কে রচনা করেন ?
উঃ সহদেব চক্রবর্তী
৮২] ধর্মমঙ্গল কাব্যের নায়ক কে ?
উঃ লাউসন
৮৩] ঘনরাম চক্রবর্তী রচিত অনাদিমঙ্গলের রচনাকাল জ্ঞাপক শ্লোকটির কি ?
উঃ শক লিখে রাম গুন রস সুধাকর
৮৪] ধর্মমঙ্গল কাব্যের পূর্ণাঙ্গ পুঁথি কে রচনা করেন ?
উঃ রূপরাম চক্রবর্তী
৮৫] ময়ূরভট্ট ধর্মমঙ্গল ছাড়া আর কোন গ্রন্থ রচনা করেন ?
উঃ সূর্যশতক
৮৬] ধর্মমঙ্গল কে কোন অঞ্চলের কাব্য বলা হয় ?
উঃ রাঢ়
৮৭] ধর্ম ঠাকুর কোন অঞ্চলে মোহন রায় নামে পরিচিত ?
উঃ বরুন গ্রাম
৮৮] ধর্মমঙ্গল কাব্য কোন শ্রেণীর মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল
উঃ মুসলমান কৃষিজীবী সম্প্রদায়
৮৯] সীতারাম কোন দেবতার দ্বারা আদিষ্ট হয়ে কাব্য রচনা করেন?
উঃ গজলক্ষী
৯০] ঘনরাম চক্রবর্তীর কাব্যের ছন্দ কি ?
উঃ মিশ্রকলাবৃও
৯১] ধর্ম ঠাকুরের পূজারীদের উপাধি কী ?
উঃ পণ্ডিত
৯২] লাউসেনের কাহিনীতে মহিলা কবি কে ছিলেন ?
উঃ কলিঙ্গা ও কানাড়া
৯৩] লাউসেনের প্রথম স্ত্রীর নাম কী ?
উঃ কানাড়া
৯৪] ঘনরাম চক্রবর্তীর ‘অনাদিমঙ্গল’ কাব্যের আর কী কী নাম পাওয়া যায়?
উঃ মধুরভারতী, শ্রীধরমসঙীত, অনাদিমঙ্গল
৯৫] ‘তিন বনে চারি যুগে বেদে যত রয় /শাকে সনে জড় হৈলে কত শক হয় / রসের উপরে রস তাহে রস দেহ / এই শকে গীত হৈল লেখা কইরা লেহ’―কার গ্রন্থ রচনাকাল সম্পর্কিত শ্লোক ?
উঃ রূপরাম চক্রবর্তী
৯৬] ধর্মঠাকুরের পূজা কোথায় প্রচলিত ছিল ?
উঃ সাধারণত, ডোম-সমাজেই এই দেবতার পূজা প্রচলিত ছিল, এখনো আছে। ধর্মঠাকুর নিরঞ্জন নিরাকার আদ্য দেবতা। ধর্মঠাকুরের উদ্ভবের মূলে কেউ বৌদ্ধ ধর্মের ত্রিরতের, কেউ বা বৈদিক সূর্যদেবতার, কেউ বা আর্যের প্রভাব অনুসন্ধান করেন।
৯৭] ধর্মমঙ্গল কাব্যের দুটি ঐতিহাসিক চরিত্রের নাম লেখ ?
উঃ ধর্মপাল ও ইছাই ঘোষ।
৯৮] ঘনরাম চক্রবর্তী কার কাছ থেকে কবিরত্ন উপাধি পান ?
উঃ কবিগুরু শ্রীরাম দাসের কাছ থেকে।
৯৯] দলু রায় কোন অঞ্চলের নাম ?
উঃ শ্যামবাজার
১০০) লাউসেনের স্বর্গীয় পরিচয় কী ?
উঃ কশ্যম মুনির পুত্র

🌼 অন্নদামঙ্গল  🌼

প্রথমেই বলেনি যে কারোর পোস্ট ভবিষ্যতেও দেখতে চাইলে অবশ্যই তাতে লাইক কমেন্ট শেয়ার ইত্যাদি করবেন। নইলে সেই ব্যক্তির পোস্ট আপনা থেকেই আপনার কাছে পৌঁছোনো কমে যাবে। এটা মনগড়া কথা নয়, এটা ফেসবুক পলেসি।
এ নিয়ে প্রথম পর্যায়ের পোস্টের পর এটা আজ দ্বিতীয় কিস্তি।

** অন্নদামঙ্গল কী?

দেবী অন্নদা বা অন্নপূর্ণা কে নিয়ে লেখা মঙ্গলপাঁচালিই হল অন্নদামঙ্গল।

আদি কবি

এই ধারায় আদি কবি ভারতচন্দ্র।

অন্যান্য কবি

# দুর্গাদাস_মুখোপাধ্যায়
গ্রন্থঃ গঙ্গামঙ্গল
# পৃথ্বীচন্দ্র
গ্রন্থঃ গৌরীমঙ্গল
# রামচন্দ্র_মুখোঃ
গ্রন্থঃ দুর্গামঙ্গল
# ভবানীপ্রসাদ_রায়
গ্রন্থঃ দুর্গামঙ্গল
প্রমুখ।

ভারতচন্দ্র

# জন্মস্থান- হাওড়ার ভুরশুট পরগণার পেঁড়ো গ্রাম।
# জীবনকাল – আনুমানিক ১৭০৫ খ্রি- ১৭৬০ খ্রি
# পদবীঃ মুখোপাধ্যায়
# আশ্রয়দাতাঃ রাজা কৃষ্ণচন্দ্র
# ফার্সি_শিক্ষকঃ রামচন্দ্র মুনশি
# হাজতবাস
কবিকে জমিসংক্রান্ত প্রতিহিংসায় বর্ধমানরাজ জেলবন্দী করেন । পরে তিনি ছাড়া পান । বলা হয়ে থাকে এই অত্যাচারের প্রতিশোধ তিনি তোলেন বিদ্যাসুন্দর কাব্যে বর্ধমান রাজের নাককেটে । যদিও এর ঐতিহাসিক সত্যতা নিয়ে বিতর্ক আছে ।
# বহুভাষাবিদ_কবি
ভারতচন্দ্র ছোট বেলাতে প্রথমে সংস্কৃত শেখেন কিন্তু ততদিনে সেইভাষা দিয়ে নেহাতই কিছু ব্রাহ্মণ করেকম্মে খেত, তাতে ভারতচন্দ্রর আশ মেটার কথা নয়।তাছাড়া তার পরিবার পরিজন সবাই এ নিয়ে ব্যঙ্গ করতে শুরু করে । তারপর তিনি তৎকালীন রাজভাষা ফারসি শেখেন, তাতে চাকরি পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা তখন। একইসঙ্গে বাংলা ভাষায় তাঁর অগাধ জ্ঞান। (বাংলাকে তখন নাক উঁচু পণ্ডিতেরা কেবলই ‘ভাষা’ বলতেন)। তার সঙ্গে হিন্দি এবং আরবিও তাঁর করায়ত্ত ছিল। যার পরিচয় তাঁর কাব্যে স্পষ্ট।
# যাবনী_মিশাল
এই শব্দবন্ধটি ভারতচন্দ্রের হাত ধরেই পরবর্তীতে পরিচিত। বার কতক তাঁর কাব্যমধ্যে তিনি এটি ব্যবহার করেন।
যাবনী মিশাল কথার অর্থ হল আরবি ও ফারসি মিশ্রিত ভাষা।
# ভবঘুরে_জীবন
কবির পরিবার বর্ধমান রাজের অত্যাচারে নিঃস্ব হয়।কবি কম বয়সেই বিয়ে করেন কিন্তু অচিরেই সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। আবার সন্যাস ত্যাগও করেন ক’বছরেই। এরইমধ্যে তিনি ভূ-ভারত ঘুরে দেখেন। ধর্ম ব্যবসাকেও খুব কাছ থেকে পরখ করেন। তাঁর কাব্যে এসবের পরিচয় বর্তমান।
# পতিনিন্দা তাঁর কাব্যে একটি চমৎকার অধ্যায় আছে(সব মঙ্গলকাব্যেই থাকে) যেখানে প্রত্যেক স্ত্রী তাঁর পতিনিন্দা করছে। কিন্তু এখানে ব্যতিক্রম হল তাঁর স্ত্রীর মুখ দিয়ে তিনি নিজেরও নিন্দা করিয়েছেন, যদিও তা সমধুর। বাকি পতিনিন্দার বিবরণে কিন্তু তৎকালীন পুরুষতন্ত্র দাঁতনখ বেড় করে আছে। শোনা যায় কৃষ্ণচন্দ্র একবার ভারতচন্দ্রকে ঠকাবার জন্যে সুন্দরী মেয়ে পাঠিয়েছিলেন কিন্তু কবিকে পটাতে পারেননি সেই সুন্দরী। কারণ তিনি তাঁর একমাত্র স্ত্রীতেই ছিলেন পরিপূর্ণ। অথচ সেই সময়ে মেয়েদের নিয়ে চিরকালের মতোন ছিনিমিনি খেলা হত।

গ্রন্থঃ

১.সত্যপীরের পাঁচালী< এটি একটি সর্বধর্ম সমন্বয় প্রয়াসী কাব্য।
২.রসমঞ্জরী>প্রকীর্ণ কবিতা।
৩.নাগাষ্টক < গঙ্গামঙ্গল ধর্মী গ্রন্থ।
৪.গঙ্গাষ্টক < গঙ্গাকে নিয়ে লেখা।
৫.চণ্ডীনাটক> অসমাপ্ত নাটক।
৬.অন্নদামঙ্গল । এর তিনটি ভাগ যথাঃ
ক।অন্নদামঙ্গল – বিশুদ্ধ অন্নদামঙ্গল এটিই।
খ।কালিকামঙ্গল বা বিদ্যাসুন্দর- এটি আসলে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রেমকাহিনী।(এই নিয়ে পরবর্তী পোস্ট হবে)
গ।অন্নপূর্ণা মঙ্গল বা মানসিংহ- এর মধ্যে কিছুটা ইতিহাসের ছোঁয়া আছে। আছে ভারতপতি জাহাঙ্গীরকে দিয়ে দেবীর পূজা করানো, একইসঙ্গে ইসলামের তত্ত্বগত ভালো দিক গুলিরও প্রশংসা।

প্রথম গ্রন্থ

সত্যপীরের পাঁচালী

শেষ গ্রন্থ


চণ্ডী নাটক

জীবনদর্শন

বাংলা কাব্যধারায় ব্রাহ্মণ কর্তৃক বৌদ্ধদের অত্যাচারের নমুণা পাওয়া যায় আবার তারাও এর তীব্র বিরোধিতা করেন। বৈষ্ণবরা মনসামঙ্গলের কবিদের গালি দিতে ছাড়েননা , তেমনি তারাও ছাড়েননা। বৈষ্ণবেরা শাক্তদের, শাক্তরা বৈষ্ণবদের যা নয় তা ঝাড়েন। আবার এক ধর্মের সঙ্গে অন্য ধর্মেরও একইরকম সাপেনেউলে সম্পর্ক। এইসব কলহ ভারতচন্দ্র চাক্ষুষ করেছেন। সঙ্গে সেই বাবুসংস্কৃতি ঢুকে পড়ছে এমন সমাজ যেখানে মানুষ কেবলই ভোগবাদী। এগুলো সব তাঁর পরখ করা। এসবের ফলেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন সামগ্রিক ধর্মচর্চার বিরোধী, যদিও ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাসে তাঁর আপত্তি ছিলনা। আর তা করতে গিয়েই তিনি দেবতাদের পরিণত করেছেন ভাঁড়ে। আবার বিশুদ্ধ যৌনতার কাব্যও লিখেছেন। তিনি একইসঙ্গে ধর্মসমন্বয়েরও স্বপ্ন দেখতেন, ইসলাম হিন্দু সবকে মেলাতে চেয়েছিলেন এমনকি খ্রিস্টানকেও। ভালোবাসতেন বাংলা ভাষাকে।

# ভারতচন্দ্র_মুকুন্দরাম
মধ্যযুগের কাব্যে কে শ্রেষ্ঠ এ নিয়ে বিরাট তর্ক।
যারা ভারতচন্দ্রকে শ্রেষ্ঠ বলেছেন< হরচন্দ্র দত্ত, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রমথনাথ বিশী, প্রমথ চৌধুরী।
অপরদিকে #ভারতচন্দ্র বিরোধী গোষ্ঠীতে বর্তমানঃ
রাজনারায়ণ বসু, রমেশচন্দ্র দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র, অক্ষয়কুমার সরকার মায় রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত।
এঁরা ভারতচন্দ্রের ধর্ম নিয়ে রঙ্গব্যঙ্গ এবং যৌনতাকে নিয়ে কাব্যপ্রয়াসের যথেষ্ট অস্বস্তি বোধ করতেন। যদিও রবি ঠাকুর চিত্রাঙ্গদা লেখেন এবং একইদায়ে দোষী পরিগণিত হন।

প্রথম সচিত্র প্রকাশ :

অন্নদামঙ্গল এর প্রথম সচিত্র সংস্করণ প্রকাশ করেন গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য।
সন- ১৮১৬।
# প্রামাণিক_সংস্করণ (প্রথম)
ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
# প্রথম_সমালোচক_ভারতচন্দ্রের
লেবেদেফ।
# বাংলায়_প্রথম_সমালোচক
কালীপ্রসাদ ঘোষ
মতান্তরে রাধামোহন ঠাকুর
# ইংরেজি_অনুবাদক
প্রথম – হালহেড।
প্রথম বাঙালি- কাশীপ্রসাদ ঘোষ
গদ্যানুবাদ- গৌরদাস বৈরাগী
# রুশ_অনুবাদক (প্রথম)
লেবেদেফ

অভিধা

ভারতচন্দ্রের নানা আখ্যা জুটেছে। তার কিছু আগের পোস্টে জানানো হয়েছিল।
বাংলার হোরেস< রেভারেন্ড লঙ
বাংলার বার্নস < ঐ
বাংলার ড্রাইডেন < নলিনীনাথ চট্টো
বঙ্গকবিচূড়া< রাজকৃষ্ণ রায়
রায়গুণাকর< কৃষ্ণচন্দ্র

চরিত্র

অন্নদামঙ্গল – ঈশ্বরী পাটনি, হরিহোড়, ভবানন্দ, অন্নদা…
বিদ্যাসুন্দর- হীরা মালিনী, বিদ্যা, সুন্দর..
মানসিংহ- মানসিংহ, দাসু-বাসু, প্রতাপাদিত্য, জাহাঙ্গীর..

#হীরা_মালিনী
ভারতচন্দ্রের সেরা চরিত্র এটি। বঙ্কিমচন্দ্র নিজে ভারতচন্দ্রের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হলেও এই চরিত্র দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন।

ছন্দ অলঙ্কার প্রবাদ :

তাঁর কাব্যে শতাধিক প্রবাদ ব্যবহৃত, আর কত যে প্রবচন…(এখানে উল্লেখ করার জায়গা নেই) অপরদিকে ছন্দ ও অলঙ্কারের দিক দিয়ে তিনি সৈয়দ আলাওলের মতোন শিল্পী কবি। যদিও এসবের মাত্রাছাড়া ব্যবহারও করেছেন কবি। অনুপ্রাস, শ্লেষ, বিরোধাভাস, ব্যাজস্তুতি এসব অলঙ্কার সহজলভ্য তাঁর কাব্যে। তিনি সংস্কৃত ও আরবি-ফারসিতে প্রাজ্ঞ হওয়ায় এসবে শিল্পসফল।

◆ কড়িতে বাঘের দুধ মেলে।
◆ জন্মভূমি জননী স্বর্গের গরিয়সী।
◆ বড়র পিরীতি বালির বাঁধ।
◆ মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পতন।
◆ নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়।

ভারতচন্দ্র কে নিয়ে লেখা বিখ্যাত গ্রন্থ :

১.কবিবর ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের জীবনবৃত্তান্ত – ঈশ্বর গুপ্ত
২.কবি ভারতচন্দ্র- শঙ্করীপ্রসাদ বসু
৩.ভারতচন্দ্র- মদনমোহন গোস্বামী
৪।অমাবস্যার গান- নারায়ণ গঙ্গোঃ
৫.মুকুন্দরাম ও ভারতচন্দ্র- জিতেন্দ্রলাল বসু
৬.কবিজীবনী- ভবতোষ দত্ত
৭.ভারতচন্দ্র ও রামপ্রসাদ – শিবপ্রসাদ ভট্টাচার্য
এছাড়া প্রচুর প্রবন্ধ বাংলায় ও ইংরেজিতে ।

পূর্বসূরির প্রভাব :

মুকুন্দরাম,আলাওল, রামেশ্বর এনাদের দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন ভারতচন্দ্র।

গুরুত্ব

১.তাঁর রচনা নূতন মঙ্গল
২. মানবতাবোধে উদ্বুদ্ধ
৩.ধর্মীয় আচার সর্বস্বতার চাঁচাছোলা বিরোধিতা
৪.বহু ভাষার ব্যবহার, একইসঙ্গে খাঁটি বাংলায় শক্তিপ্রদর্শন।
৫.বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে নিয়ে খড়্গহস্ত হলেও ভারতচন্দ্রের চনমনে ভাষাব্যবহার দ্বারা প্রভাবিত।
৬.মধুকবি তাঁকে অস্বীকার করেননি বরং জানিয়ে দেন ভারতচন্দ্রকে দাঁড় করিয়েই তাঁর অমিত্রাক্ষরযাত্রা,এবং তাতে তিনি সফলও।
৭.ঈশ্বরচন্দ্র কলেজে ভারতচন্দ্রের খেউর পড়াতে খুব অস্বচ্ছন্দ বোধ করতেন কিন্তু তাঁর গদ্যশৈলী গড়ে উঠেছে ভারতচন্দ্রেরই ভাষাশৈলীকে অনুসরণ করে।
৮.বাঙালির শ্রেষ্ঠকবি হিসাবে একসময়ে তাঁর দাপট ছিল।

প্রশ্নোত্তরে অন্নদামঙ্গল :

◆ দেবী অন্নদার বন্দনা আছে – অন্নদামঙ্গল কাব্যে।
◆ অন্নদামঙ্গল ধারার প্রধান কবি – ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
◆ বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি – ভারতচন্দ্র।
◆ ভারচন্দ্রের উপাধি – রায়গুণাকর।
◆ মঙ্গলযুগের শেষ কবি – ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
◆ অন্নদামঙ্গল কাব্য বিভক্ত – তিন ভাগে।
◆ অন্নদামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা – ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
◆ অন্নদামঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র – ঈশ্বরী পাটনী, হীরামালিনী।
◆ ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ – ঈশ্বরী পাটনী, অন্নদামঙ্গল।

১।ভারতচন্দ্রের দেবী অন্নদার পরিচয় দাও।
উঃ- দেবী অন্যদা এখানে সরলা , স্নেহময়ি মাতা । কাশীতে যার অধিষ্ঠান । হরিহরের গৃহের নিত্য কলহে অতিষ্ট হয়ে শান্তিপ্রিয় দেবী গেছে ভবানন্দ মজুমদারের বাড়ি ।
২। ভারতচন্দ্রের কাব্যে দেবী অন্নদা তার দৈবী মহিমা হারিয়ে সাধারণ গৃহস্থ ঘরের কুলবধুতে পরিণত হয়েছে।
৩। কবি ভারতচন্দ্রের আবির্ভাব ও তিরোধান কাল লেখ।
উঃ- 1713—1760
ঈশ্বর গুপ্তের মতে ১৭১৩ খ্রী–আর মৃত্যু ১৭৬০ খ্রী:।:। অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে ১৭০৫-১৭১১ খ্রী: মধ্যে।
৪।- কোন সাহিত্যিক তার কোন বিশেষ প্রবন্ধে ভারতচন্দ্রকে “”ফাদার অফ মর্ডান বেংগলি”” বলেছেন ??
উঃ- বংকিমচন্দ্র তার “BENGALI LITERATURE” প্রবন্ধ
৫। ভারতচন্দ্র তার কাব্যে কি কি ছন্দের ব্যবহার করেছেন ??
উঃ- প্রধান ছন্দ পয়ার ত্রিপদী
৬। কোন কবির জীবনাবসানের সাথে মধ্যযুগের সমাপ্তি ঘটে ?
উঃ – কবি ভারতচন্দ্রের জীবন অবসানের মাধ্যমে।
৭। ভারতচন্দ্রের জন্মস্থান কোথায় ?
উ- হুগলীর ভুরশুট পরগনার পেড়ো গ্রাম ।
৮। ভারতচন্দ্রের রচিত মঙ্গলকাব্যের নাম কি ?
উঃ -অন্নদামঙ্গল কাব্য ।
৯। ভারচন্দ্র কার সভাকবি ছিলেন ?
উ- ভারতচন্দ্র ফরাসডাঙ্গার দেওয়ান ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর মধস্থতায় রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি হন।
১০। ভারতচন্দ্রকে কে রায়গুণাকর উপাধি দেন ?
উঃ- কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ।
১১। মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবির নাম কি ?
উঃ- ভারতচন্দ্র
১২। ভারতচন্দ্র কেন মুনিগোঁসাই নামে পরিচিত ?
উঃ- বৈষ্ণব বেশবাশ ধারনের জন্য।
১৩। ভারত চন্দ্রের বার্ধক্যের বারানসী কোন জায়গা ?
উঃ- মুলিজোড়
১৪। কে যুগসন্ধির কবি নামে পরিচিত ?
উঃ- ভারতচন্দ্র
১৫। ভারতচন্দ্রের পিতা মাতার নাম কি ?
উঃ- নরেন্দ্র রায় ও ভবানী দেবী।
১৬। ভারতচন্দ্র রচিত কয়েকটি কাব্যের নাম কি ?
উঃ- ক) সত্যপীরের পাঁচালী (১৭৩৮)
খ) রসমঞ্জরী (১৭৪৯)
গ) নাগাষ্টক (১৭৫০)…
১৭। ভারতচন্দ্রের স্ত্রীর নাম কি ?
উঃ- রাধা
১৮। ভারতচন্দ্রের পুত্রদের নাম কি কি ?
উঃ- ৩ জন , পরীক্ষিত ,রামতনু, ভগবান
১৯। ভারতচন্দ্র এই কাব্যে কি কি অলংকার ব্যাবহার করেছেন ?
উঃ – অনুপ্রাস , যমক , ব্যতিরেক
২০। কাব্যটি রচনার জন্য কি কবি দেবির স্বপ্নাদেশ পান ?
উঃ- না
২১। এই কাব্যে কবি কোন ভাষা ব্যবহার করেছেন
উঃ- সংস্কৃত, অসংস্কৃত, আরবি,ফারসি ইত্যাদি, এই মিশ্রভাষা ভঙ্গীকে কবি “যাবনী মিশাল ” বলেছেন।
এছাড়াও কবি তৎসম ,তদ্ভব , দেশী শব্দ ব্যবহার করেছেন
২২। ভারতচন্দ্রের প্রথম রচনা কোনটি ?
উঃ- সত্যপীরের পাঁচালী
২৩। কার নির্দেশে রচনা করেন?
উঃ- রাজা কৃষ্ণচন্দ্র
২৪। কৃষ্ণচন্দ্র কবিকে কত টাকা মাসিক বেতনে সভাকবি পদে নিযুক্ত করেন ?
উঃ- মাসিক চল্লিশ টাকা
২৫। অন্নদামঙ্গল কতগুলো পালায় বিভক্ত ?
উঃ- ৮ টি
২৬। “ভারতচন্দ্রের কাব্য ভাষার তাজমহল” কে বলেছেন
উঃ- দীনেশচন্দ্র সেন
২৭। অন্নদামঙ্গলে কতগুলি উপকাহিনী আছে ?
২৮। কে ভারতচন্দ্রকে যুগসন্ধির কবি বলেছেন ?
উঃ- ঈশ্বর গুপ্ত
২৯। অন্নদামঙ্গল কাব্যের নায়ক ও নায়িকা কারা ?
ঊ- বিদ্যা ও সুন্দর
৩০ । ভারতচন্দ্রকে কার সঙ্গে তুলনা করা হয় ?
উঃ- টমাস হার্ডির সঙ্গে
দীনেশচন্দ্র সেন জয়দেবের সাথে তুলনা করেছেন ।
৩১। ভারতচন্দ্রকে সাহিত্যের চরম কারু শিল্প কে বলেছেন ?
উঃ- প্রমথ চৌধুরী
৩২। ভারতচন্দ্রের একটি নাটকের নাম কি
উঃ- চণ্ডীনাটক (১৭৫০-৬০)
৩৩। কাঠের সেঁউতি আমার হইল অষ্টাপদ – সেঁউতি ও অষ্টাপদ কি
উঃ- সেঁউতি – নৌকার জল সেঁচার পাত্র । অষ্টাপদ – সোনা
৩৪। ভারতচন্দ্র কোন বিষয়ের পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন ?
উঃ- সংস্কৃত
৩৫।ভারতচন্দ্র ছাড়া সত্যপীরের পাঁচালি করেছেন কারা ?
উঃ- শেখ ফৈজূল্লা , রামেশ্বর ভট্টাচার্য
৩৬। ভারতচন্দ্রকে কে “man of elegant genius” কে বলেছেন ?
৩৭। মধুসূদন দত্ত
৩৮। বিনাদোষে কার দ্বারা কবি কারারুদ্ধ হন ?
উঃ- বর্ধমান রাজার
৩৯। দরবারী ভাষা কি ?
উঃ- আরবি –ফারসি মিশ্রিত বাংলা ভাষা
৪০। এই কাব্যের কয়েকটি প্রবাদ বাক্য কি ?
ক।নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়
খ।.সে কহে বিস্তর মিছা যে কহে বিস্তর।
গ। .হাভাতে যদ্যপি চায়,সাগর শুকায়ে যায়।
৪১। কবিবর ভারত চন্দ্র রায়গুনাকর জীবন বৃত্তান্ত “-গ্রন্থের লেখক কে?
উঃ- ঈশ্বর গুপ্ত .
৪২। অন্নপূর্ণা মঙ্গলের অপর নাম কি ?
উঃ- শিবায়ণ
৪৩। বঙ্কিমচন্দ্র ভারতচন্দ্রের কোন কাব্যটিকে বাংলা সাহিত্যের সার্থক গীতিকাব্য বলেছেন ?
উঃ- রসমঞ্জরী
৪৪ হরিহর কোন গ্রামে বাস করত ?
উঃ- বড়গাছি
৪৫। অন্নদামঙ্গলের কোন অংশে মঙ্গল কাব্যের রীতি অনুসারী হয়নি ?
উঃ- বিদ্যাসুন্দর বা কালিকামঙ্গল
৪৬। ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গলকে ‘কথার তাজমহল’ কে বলেছেন?
উঃ- নলিনীনাথ চট্টোপাধ্যায়
৪৭। বিবিধ কবিতাবলির কয়েকটি কবিতার নাম লেখ ।
উঃ- বৃন্দাবনীর উক্তি , বলী রাজার উক্তি , বসন্ত বর্ণনা ,বর্ষা বন্দনা
৪৮। ব্যাসদেবের পিতার নাম কি ?
উঃ- পরাশর
৪৯। ভারতচন্দ্রের “সত্যপীরের পাঁচালী কোন ছন্দে লেখা?
উঃ- চৌপদী
৫০। অন্নদামঙ্গলের কাব্যের গীতিরূপ কে দেন
উঃ- নীলমণি সমাদ্দার
৫১। ভারতচন্দ্রকে ফরাসী ভাষা শেখেন কার কাছ থেকে ?
উঃ- রামচন্দ্র মুন্সী
৫২। বাংলা সাহিত্যের নাগরিক কবি কে ?
উঃ- ভারতচন্দ্র
৫৩। বিদ্যা ও সুন্দরের পূর্ব পরিচয় কি?
উঃ- ভৈরব ও ভৈরবী , ণাম ছিল জগদানন্দ ও জগতবতী
৫৪। অন্নদামঙ্গল কাব্যের প্রথম গায়েন কে?
উঃ- নীলমণি সমাদ্দার
৫৫। “বিদ্যাসুন্দর খেলনা হলেও রাজার বিলাসভবনের পাঞ্চালিকা –সুবর্ণে গঠিত, সুগঠিত এবং মনিমুক্তায় অলংকৃত “——- কে বলেছেন
উঃ- প্রমথ চৌধুরী “ বীরবলের হালখাতায়”
৫৬। বিদ্যাসাগরের সম্পাদনায় কবে অন্নদামঙ্গল প্রকাশিত হয় ?
৫৭। “একা দেখি কূলবধু কে বট আপনি “— কূলবধুটি কে? :
উঃ- দেবী অন্নপূর্ণা
৫৮। পদ্মিনী কে?
উঃ- হরিহোড়ের মা
৫৯। বিদ্যাসুন্দর কাব্যটির উৎস কি ?
উঃ- বিলহণের “চৌরপঞ্চাশিকা”
৬০। বিদ্যাসুন্দর কাব্যটিকে কে ‘রোমান্টিক স্যাটায়ার’ বলেছেন?
৬১। . বিদ্যাসুন্দর এর ইংরেজি অনুবাদ কে করেন
উঃ- ১৮৯০ , – গৌরদাস বৈরাগী
৬২। । অন্নদামঙ্গল গ্রন্থাকারে কে প্রকাশ করেন ?
উঃ – গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য 1816
৬৩। মঙ্গলকাব্য ধারায় ভারতচন্দ্রের দেবী অন্নদার স্বাতন্ত্র্য কি ?
উঃ- তিনি কোপনস্বভাবা নন।
৬৪। এই কাব্যের নায়ক কে?
৬৫। ভারতচন্দ্র তাঁর কাব্যে ব্যাসদেব চরিত্রকে কীভাবে উপস্থাপিত করেছেন ?
উঃ- বৈষ্ণববেশী ভাঁড় হিসেবে
৬৬। কবির মিস্র ভাষায় রচিত গ্রন্থের নাম কি ?
৬৭। ভারতচন্দ্রের ধারায় কে কে আধুনিককালে কাব্য রচনা করেছেন ?
৬৮। ভারতচন্দ্রের কোন কাব্যটি সংস্কৃতে রচিত?
উঃ—রসমঞ্জরী
৬৯।-অন্নদামঙ্গলের সচিত্র সংস্করণ প্রথম কে প্রকাশ করেন?
-উঃ- গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য
৭০। )-ভারতচন্দ্রকে কৃস্নচন্দ্র কত টাকা ও কোন গ্রাম দান করেন?
উঃ- ১০০টাকা, মূলাজোড় গ্রাম
৭১। কোন কোন প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থ অবলম্বনে বাংলা সাহিত্যে বিদ্যাসুন্দর কাহিনীর সুত্রপাত?…
উঃ- -বিলহনের চৌরপঞ্চাসিকা এবং বররুচির বিদ্যাসুন্দরম নাটক।…
৭২। কার বাড়িতে ভারতচন্দ্রের বিদ্যাসুন্দরের প্রথম অভিনয় হয়?
ঊ-। নবীন চন্দ্র বসুর বাড়ির থিয়েটার এ

 🌼 কলিকামঙ্গল 🌼

◆ দেবী কালীর মহত্ম্য বর্ণনামূলক গ্রন্থ – কলিকামঙ্গল।
◆ কলিকামঙ্গল ধারার অাদি কবি – কবি কঙ্ক।
◆ কলিকামঙ্গল নামক অভিহিত কাব্যধারাকে বলা হয় – বিদ্যাসুন্দর।
◆ বিদ্যাসুন্দর কাব্যের অন্যতম কবি – রামপদ সেন, সাবিরিদ সেন।
◆ কলিকামঙ্গলেরর বিশিষ্ট কবি – রামপ্রসাদ সেন।
◆ রামপ্রসাদের কাব্যগ্রন্থের নাম – কবিরঞ্জন।
১। ভবানীমঙ্গল কার লেখা ?
উঃ- দ্বিজ গঙ্গানারায়ণ
২। সারদামঙ্গল কার লেখা ?
উঃ- দয়ারাম দাস
৩। সারদামঙ্গলের আদি কবি কে ?
উঃ- নিত্যানন্দ চক্রবর্তী
৪। মানিকরাম গাঙ্গুলি কোন কাব্যের কবি উঃ- শীতলামঙ্গল
৫।দুর্গামঙ্গলের ২ জন কবির নাম লিখুন কাব্যসহ , কোন শতকের কবি ?
উঃ- দ্বিজ কমললোচন – চণ্ডিকা বিজয়
ভবানিপ্রসাদ রায় –দুর্গামঙ্গল , সপ্তদশ শতক
৬।কৃষ্ণরাম রচিত কাব্যের নাম কি কি ?
ক। রায়মঙ্গল
খ। ষষ্ঠষষ্ঠীমঙ্গল গ। শীতলামঙ্গল
ঘ। কমলামঙ্গল ঙ । কালিকামঙ্গল বা বিদ্যাসুন্দর
৭। গৌরীমঙ্গল কাব্যের অন্যতম কবি কে
উঃ- পৃথ্বীরাজ আচার্য শিবচরণ
৮। দুর্গামঙ্গল কি অনুসরণে লিখিত ?
উঃ-মাকর্ন্ডেয় পূরানের দেবী চন্ডীর কাহিনি নিয়ে রচিত ।
৯। মঙ্গল কাব্যের কোন কবি জন্মান্ধ ?
উঃ ভবানীপ্রসাদ রায়
১০। বাসুলীমঙ্গল কার লেখা ?
উঃ- দ্বিজ মুকুন্দ
১১। সূর্যমঙ্গলের কয়েকজন কবির ও কাব্য নাম লিখুন
উঃ- রামজীবন – আদিত্যচরিত । মালাধর বসু- অষ্টলোকপাল কথা , এছাড়া
দ্বিজ কালিদাস – সূর্যের পাঁচালি
১২। দক্ষিণ রায় কিসের দেবতা? এই নামের কারন কি?
উঃ- বাঘের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করার দেবতা । এই দেবতার বাহন ব্যঘ্র । আর ইনি পূজিত দক্ষিন বঙ্গে । তাই এমন নাম ।
১৩। কৃষ্ণজীবনের কাব্য নাম কি ?
উঃ- অভয়ামঙ্গল বা অম্বিকামঙ্গল
১৪। তীর্থমঙ্গল কার লেখা?
উঃ- বিজয়রাম সেন
১৫।অকিঞ্চন চক্রবর্তীর কাব্যের নাম কি ?
উঃ- গঙ্গামঙ্গল। এছাড়া চণ্ডীমঙ্গল।
১৭। কৃষ্ণরাম দাসের কালিকামঙ্গল কখন রচিত ?
১৮। উঃ- ১৬৬৪ খ্রিঃ
১৯। ষষ্ঠী কীসের দেবতা ?
উঃ- শিশুর রক্ষক
২০। ক। দ্বিজ শ্রীধরের কাব্যটি কে আবিষ্কার করেন ?
উঃ- মুন্সি আব্দুল করিম
খ। কত খ্রিষ্টাব্দে রচিত ?
উঃ- ১৫৩২ খ্রী
২১। সুন্দরবন অঞ্চলের অপ্রধান মঙ্গলকাব্য কোনটি ?
উঃ- রায়মঙ্গল
২২। রামপ্রসাদ ও ভারতচন্দ্র ছাড়া চারজন বিদ্যাসুন্দরের কবির নাম বলুন ?
উঃ- ক। সাবিরিদ খা, খ। কৃষ্ণরাম দাস, গ। কঙ্ক,
ঘ। শ্রীধর
২৩। বাঘের ও কুমিরের দেবতা কে কে ?
উঃ- বাঘের দেবতা – দক্ষিন রায় । এবং কুমিরের দেবতা কালু রায়
সত্যপীর আসলে কোন ধরণের দেবতা ২৪।
উঃ- মিশ্রদেবতা
২৫। ক। চণ্ডিকা বিজয় কার লেখা ?
উঃ- দ্বিজ কমললোচন
খ। কোথা থেকে কত খ্রিষ্টাব্দে কার সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয় ?
উঃ – ১৩১৬ বঙ্গাব্দে রংপুর সাহিত্য পরিষদ থেকে পঞ্চানন সরকারের সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয় ?
গ। কাহিনীর বিষয় কি অবলম্বনে রচিত ?
উঃ- মার্কন্ডেয় পুরাণের দুর্গাসপ্তসতী
২৬। ক। সারদামঙ্গলের পুঁথি কে কোথা থেকে কত খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশ করেন ?
উঃ- মুক্তিরাম সেন , ১৩২৪ বঙ্গাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে , রচনা- ১৭৪৭ খ্রিষ্টাব্দে
খ। সারদামঙ্গল কত খণ্ডে বিভক্ত ?
উঃ- ২ টি
২৭। সারদামঙ্গলের আর একটি নাম কি ?
উঃ- সারদাচরিত।
উঃ- বিদ্যা ও সুন্দর ।
২৯। সুন্দর কোথাকার রাজকুমার এবং কোন দেবীর ভক্ত ছিলেন ?
উঃ- কাঞ্চীর । কালিকার ।
৩০। বিদ্যা কোথাকার রাজকুমারী ছিলেন ?
উঃ- বর্ধমানের
৩১। কৃষ্ণরামের সর্বশেষ কাব্য কোনটি ?
উঃ- কমলামঙ্গল ।
৩২। চণ্ডিকাবিজয় কত অধ্যায়ে বিভক্ত ?
উঃ- ১৪৬ টি
৩৩। ক। কৃষ্ণরামের রায়মঙ্গল কি জাতীয় রচনা ?
উঃ- অপ্রধান মঙ্গলকাব্য
খ। -কাব্যটি কত খ্রিষ্টাব্দে সম্পন্ন হয় ?
উঃ- ১৬৮৬ খ্রিষ্টাব্দে
গ। -এতে দেবতার নাম কি ?
উঃ- দক্ষিণ রায় , মুসলিম প্রধান অঞ্চলে বড় খাঁ গাজি, উত্তরবঙ্গে সোনা রায়
৪। এতে কটি আখ্যান ?
উঃ- ২ টি
৩৪। মানিকপীর কীসের দেবতা?
উঃ- পশুরক্ষার
৩৫। ক। কৃষ্ণরামের কত নম্বর কাব্য ষষ্ঠীমঙ্গল ?
উঃ- ৩ নম্বর কাব্য
খ। -রচনাকাল কত ?
উঃ- ১৬৭৯-৮০ খ্রিষ্টাব্দ
৩৬। গাজী কালু ও চম্পাবতী এ দুটি কাব্যের রচয়িতা কে
উঃ- শেখ খোদা বখশ
৩৭। রায়মঙ্গল কত সালে রচিত ?
উঃ- 1686
৩৮। -কৃষ্ণরামের বাড়ি কোথায় ছিল ?
উঃ- -নিমিতা
খ। পিতার নাম কি ? .
গ। . ভগবতী দাস
ঘ। জাতি কি ?-
উঃ- . কায়স্থ
ঙ কত বছর বয়সে তিনি কালিকামঙ্গল রচনা করেন ?
উঃ- ২০ বছর
চ। তখন বাংলার সুবাদার কে ছিলেন ?
৫। শায়েস্তা খাঁ
ছ। তিনি কটি কাব্য রচনা করেন ও কি কি ?
কাব্য ৫ টি।
১. কালিকামঙ্গল
২। রায়মঙ্গল
৩। ষষ্ঠীমঙ্গল
৪। শীতলা মঙ্গল
৫। কমলামঙ্গল
৩৯। গঙ্গাভক্তিতরঙ্গিণী কার লেখা?
উঃ- দুর্গাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
৪০। মহেশবানী কি ?
উঃ- বিদ্যাপতির লেখা হরপার্বতী বিষয়ক পদ
৪১। শিবমঙ্গল কার রচনা ? এটি কয়টি পালায় বিভক্ত ?
উঃ- রামকৃষ্ণ রায় , ২৬ টি
৪২। লক্ষ্মীমঙ্গল কার রচনা ?
উঃ- শিবানন্দ কর
৪৩। পঞ্চাননমঙ্গল কার রচনা ?
উঃ- দ্বিজ রঘুনন্দন
৪৪। ক। মঙ্গলচণ্ডীর পাঞ্চালিকার রচয়িতা কে ?
উঃ- ভবানীশঙ্কর দাস
খ। কাব্যের পুঁথি কে সংগ্রহ করেন ?
উঃ- রামচন্দ্র দত্ত
গ। কোথা থেকে প্রকাশ করেন ? কত সালে ?
উঃ- বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ১৩২৩ বঙ্গাব্দে ।




4 thoughts on “মঙ্গলকাব্য |mangalkabbo| সাহিত্যের ইতিহাস |BanglaSahayak.com”

  1. এই সব তথ্যগুলো আমার জন্য খুব দরকারী ছিল। ধন্যবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top