“মহুয়ার দেশ” – সমর সেন।
মূলগ্রন্থ — “কয়েকটি কবিতা ”
সঠিক বিকল্পটি নির্বাচন করো :
১. . “অলস সূর্য দেয় এঁকে”– অলস সূর্য কী এঁকে দেয়?
(ক) প্রকৃতির ছবি
(খ) মানুষের ছবি
(গ) নিজের ছবি
(ঘ) জলস্রোতে গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ
উত্তর : (ঘ) জলস্রোতে গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ
২.“আমার ক্লান্তির ওপর ঝরুক”…….
(ক) মহুয়ার গন্ধ (খ) মহুয়ার ফুল
(গ) মহুয়ার দেশ (ঘ) মহুয়া
উত্তর : (খ) মহুয়ার ফুল
৩. মহুয়ার দেশে রাত্রির নির্জনতাকে কে আলোড়িত করে?
(ক) দেবদারুর ছায়া (খ) সমুদ্রের গর্জন (গ) মহুয়ার গন্ধ (ঘ) সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস
উত্তর : (ঘ) সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস
৪. ‘মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ’ কোথায় আছে?
(ক) অনেক অনেক দূরে
(খ) খুব খুব কাছে
(গ) পথের দু’ধারে
(ঘ) নির্জন অরণ্যে
উত্তর : (ক) অনেক অনেক দূরে
৫. “অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি”– কবি কী দেখেন?
(ক) ধুলোর কলঙ্ক (খ) আঘাতের চিহ্ন (গ) রক্তের দাগ (ঘ) কাদার চিহ্ন
উত্তর : (ক) ধুলোর কলঙ্ক
৬. “ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয়।” -কী হানা দেয়?
(ক) ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন (খ) কয়লাখনির শব্দ (গ) নিবিড় অন্ধকার (ঘ) সূর্যের আলো
উত্তর : (ক) ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন
৭. সমস্তক্ষণ মহুয়ার দেশে পথের দু’ধারে কে ছায়া ফেলে ?
(ক) মহুয়া (খ) দেবদারু
(গ) নিঃসঙ্গতা (ঘ) ক্লান্তি
উত্তর :(খ) দেবদারু
৮. ধোঁয়ার বঙ্কিম নিশ্বাস ঘুরে-ফিরে আসে —শীতের দুঃস্বপ্নের মতো।
৯. “….কয়লার খনির / গভীর, বিশাল শব্দ” হয় —- মহুয়া বনের ধারে।
১০. মহুয়া বনের ধারে আছে – —- কয়লাখনি।
১১. “আমার ক্লান্তির উপরে ঝরুক… ” – মহুয়ার ফুল। নামুক — মহুয়ার গন্ধ।
১২. “মাঝে মাঝে শুনি”। –কবি মাঝে মাঝে কি শোনেন? উত্তর – কয়লাখনির শব্দ।
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর [মান ১]
১. “ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয় কীসের ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন”– কাদের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : আলোচ্য অংশে মহুয়ার দেশের অধিবাসী অবসন্ন মানুষদের কথা বলা হয়েছে।
২. “ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে ঘরে আসে”— বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস’ বলতে স্বপ্নময় প্রকৃতি-প্রধান ‘মহুয়ার দেশ’-এর বিপরীতে কয়লাখনি থেকে উঠে আসা নাগরিক সভ্যতার বিষবাষ্পের কথাই বোঝানো হয়েছে।
৪. “অলস সূর্য দেয় এঁকে”–‘অলস সুর্য’ কী আঁকে, সূর্যকে অলস’ বলার কারণ কী ?
উত্তর : ‘অলস সূর্য’ সন্ধ্যার জলস্রোতে গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ এঁকে দেয়। অস্তগামী সূর্যের দীপ্তি স্তিমিত বলেই সন্ধ্যার সূর্যকে ‘অলস’ বলা হয়েছে।
৫. মহুয়ার দেশ’ কবিতায় অবসন্ন মানুষদের শরীরে কী দেখা যায় ?
উত্তর : কবি সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় অবসন্ন মানুষদের শরীরে ধুলোর কলঙ্ক দেখা যায়।
৬. “আমার ক্লান্তির ওপর ঝরুক মহুয়া-ফুল”—এখানে ‘মহুয়ার ফুল’ কীসের প্রতীক?
উত্তর : আলোচ্য পঙক্তিতে উল্লিখিত ‘মহুয়া ফুল’ রোমান্টিক উপাদানের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে যে রোমান্টিক উপাদান কবির জীবনের ক্লান্তি দূর করতে পারবে।
৭. মহুয়ার দেশের মানুষদের ঘুমহীন চোখে কী দেখা যায় ?
উত্তর : মহুয়ার দেশের মানুষদের ঘুমহীন চোখে দেখা যায় ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন।
৮. “ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস” কীভাবে কবির কাছে আসে ?
উত্তর : দরিদ্র আশ্রয়হীন মানুষের কাছে তীব্র শীতের দুঃস্বপ্নের মতো ‘ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস’ কবির কাছে আসে।
৯. “নিবিড় অন্ধকারে মাঝে মাঝে শুনি”– কী শোনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : কবি সমর সেন রচিত ‘ মহুয়ার দেশ’ কবিতার আলোচ্য অংশে কয়লাখনির বিশাল শব্দের কথা বলা হয়েছে।
১০. সন্ধ্যার জলস্রোতে উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ কে এঁকে দেয?
উত্তর : সন্ধ্যার জলস্রোতে অস্তগামী সূর্য উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ এঁকে দেয়।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর [মান ৫]
১) “অনেক, অনেক দূরে আছে মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ”– মহুয়ার দেশ’-এর কী বর্ণনা কবি দিয়েছেন? এই ‘মহুয়ার দেশ’ কীভাবে কবির চেতনাকে প্রভাবিত করেছে, তা নিজের ভাষায় লেখো।
২) ” ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয়/কীসের ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন।”–কাদের কথা বলা হয়েছে ? তাদের ঘুমহীন চোখে ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন হানা দেয় কেন ?
৩) ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় কবির আশা ও আশাভঙ্গের কাহিনি কীভাবে ব্যক্ত হয়েছে- তা সংক্ষেপে লেখো।
৪) ” আমার ক্লান্তির উপরে ঝরুক মহুয়া ফুল/ নামুক মহুয়ার গন্ধ।”–কবি কেন এমন কামনা করেছেন লেখো।
মাঝে মাঝে সন্ধ্যার জলশ্রুতে কি ঘটে