Addressing the Needs of Children with Learning Difficulties, impairment
বিশেষ অক্ষমতাসম্পন্ন শিক্ষার্থী (Students with Learning Disabilities) বলতে বোঝায় শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো বিশেষ সমস্যার কারণে যথাযথভাবে শিক্ষা গ্রহণ বা দক্ষতা অর্জনে অক্ষম শিক্ষার্থীদের, যারা পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেকটাই সীমাবদ্ধ। শিক্ষণ অক্ষমতার জন্য শিখন বিশৃঙ্খলা (Learning disorder) এবং শিখন সমস্যা (Learning difficulty ) -কে কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
শিখন অক্ষমতা সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে-
পঠনগত অক্ষমতা (Dyslexia) :
একটি বিশেষ ধরনের শিখন অক্ষমতা হল ডিসলেক্সিয়া। পঠন এবং ভাষাগত শিখন প্রতিবন্ধকতাকে বলা হয় ডিসলেক্সিয়া। প্রাথমিক স্তরে ২ থেকে ৮ শতাংশ শিশুর মধ্যেই এই অক্ষমতা দেখা যায়।
কারণ :
১. স্নায়ুতন্ত্রের দুর্বলাজনিত সমস্যা
২. কোনো আবেগের দ্বারা তাড়িত হওয়া
৩. প্রেষণার অভাব
৪. দুর্বল চিন্তন
৫. দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা ও শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা
বৈশিষ্ট্য :
১. বিশৃঙ্খলা ও ভুল পঠন
২. দুর্বল স্মৃতিশক্তি
৩. সঠিক এবং দ্রুত শব্দ চিনতে না পারা
৪. শুদ্ধ বানান লেখার অক্ষমতা
৫. সঠিক ভাব প্রকাশ করতে না পারা
৬. নিয়মিত পঠনে অসুবিধা
৭. সমধর্মী বর্ণগুলিকে সঠিকভাবে চিনতে না পারা। যেমন ইংরেজি b এবং d
৮. দ্রুত পঠনের সময় একটি শব্দের মধ্যে এক বা একাধিক বর্ণ বাদ দিয়ে পড়া
৯. ধারাবাহিকতা রাখার অক্ষমতা
১০. পূর্বে লেখা শব্দকে পুনরায় চিনতে অসুবিধা
শিক্ষকের ভূমিকা :
Dyslexia বা পঠন অক্ষমতা দূর করার জন্য শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ শিক্ষাদান পদ্ধতির উপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
১. শিক্ষক প্রথমে এসব শিশুদের চিহ্নিত করে তাদের বোধগম্যতার ক্ষমতাকে উৎসাহিত করবেন।
২. বিভিন্ন শিখন সহায়ক প্রযুক্তিবিদ্যা যেমন- কম্পিউটার, টেপরেকর্ডার ইত্যাদি ব্যবহার করবেন।
৩. কোনো বিষয়ের বিশেষ বিশেষ অংশগুলির নির্দেশ করে পাঠনে উৎসাহিত করবেন।
৪. প্রয়োজনে মৌখিক এবং লিখিত উভয় প্রকারেই তাদের নির্দেশ দেবেন।
৫. পুরস্কার বা সামান্য শাস্তি দানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ফিডব্যাক দেবেন।
৬. ছোটো ছোটো ট দলে ভাগ করে পাঠের অভ্যাস তৈরি করবেন।
৭. বিশেষ শিক্ষামূলক প্রদীপন ব্যবহার করবেন।
গাণিতিক অক্ষমতা (Dyscalculia) :
Dyscalculia হলো এক ধরনের শিখন অক্ষমতা যা শিক্ষার্থীর গাণিতিক দক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। গাণিতিক হিসেব ও চিন্তার ক্ষেত্রে জীবনের দীর্ঘ সময়ব্যাপী যে বিশৃঙ্খলা শিক্ষার্থীর মধ্যে দেখা যায় তাই হল ডিসক্যালকুলিয়া।
কারণ :
১. ভাষাগত সমস্যা থাকলে
২. ঘটনা ও তথ্য মনে রাখতে না পারলে এবং সঠিক পর্যায়ক্রমে সাজাতে না পারলে
৩. গাণিতিক ভিত প্রথম থেকেই দুর্বল হলে
বৈশিষ্ট্য :
১. বিভিন্ন ধরনের গাণিতিক সাংকেতিক চিহ্ন বুঝতে পারেনা
২. মনে মনে হিসাব করার অক্ষমতা
শিক্ষকের ভূমিকা :
১. শিক্ষক এ ধরনের শিশুদের দুর্বলতা অনুসন্ধান করতে সাহায্য করবেন
২. শ্রেণিকক্ষ বা শ্রেণিকক্ষের বাইরে নির্দিষ্ট ধারণার ব্যবহারিক প্রয়োগ করে বিষয়গুলোকে সহজ করে তুলবেন।
৩. কাগজ-কলমে জটিল ভাবে ধারণার বিকাশ না ঘটিয়ে লেখচিত্র ব্যবহার করবেন।
৫. গাণিতিক সমস্যার সমাধান করার জন্য নিয়মিত অনুশীলনে উৎসাহিত করবেন।
লিখন অক্ষমতা (Dysgraphia) :
শিখনের ক্ষেত্রে লিখন অক্ষমতাকে বলা হয় ডিসগ্রাফিয়া। সাধারণত পঠন অক্ষমতার কারণেই শিশুদের মধ্যে লিখন অক্ষমতা দেখা যায়।
কারণ :
১. পেশী, নার্ভ ও অস্থির মূল চালক মস্তিষ্ক বা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের দুর্বলতা জনিত সমস্যা।
২. অসামঞ্জস্যপূর্ণ শারীরিক গঠন
বৈশিষ্ট্য :
১. শব্দ, সংখ্যা, বাক্য লেখার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়।
২. কোনো কোনো শব্দ বা বাক্য সম্পূর্ণ করতে পারেনা
৩. বর্ণ গঠনের ক্ষেত্রে দর্শনজনিত অসুবিধা প্রদর্শন করে
৪. কোনো কিছু দেখে লিখতে যথেষ্ট সময় নেই
৫. একইসঙ্গে ভাবতে ও লিখতে অসুবিধা বোধ করে।
শিক্ষকের ভূমিকা :
১. কলমের পরিবর্তে পেন্সিল ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া।
২. লিখিত পরীক্ষার চেয়ে মৌখিক পরীক্ষার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া।
▶মৌখিক অসাঞ্জস্যতা (Oral Disability) — Aphasia.