বিদ্যাপতি
পদাবলী বলতে আমরা যা বুঝি তার প্রথম ব্যবহার জয়দেবের গীতগোবিন্দে। প্রাকচৈতন্য যুগের বৈষ্ণব পদ সাহিত্যের দুজন বিখ্যাত পদকর্তা হলেন বিদ্যাপতি ও চন্ডীদাস। ব্রজবুলি ভাষার শ্রেষ্ঠ কবি বিদ্যাপতি।
জন্মমৃত্যু : – বিদ্যাপতি ১৩৭০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে জন্মগ্রহণ করেন।সম্ভবত ১৪৬০ খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে পরলোক গমন করেন। ড. বিমানবিহারী মজুমদারের মতে, বিদ্যাপতি সম্ভবত ১৩৮০-১৪৬০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত জীবিত ছিলেন।
জন্মস্থান : – বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলার মধুবনী পরগণার অন্তর্গত বিসফী গ্রামে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা :– গনপতি ঠাকুর।
কৌলিক উপাধি :– ঠক্কুর, বংলায় ঠাকুর।
উপাসক – শৈব। কারও কারও মতে তিনি পঞ্চোপাসক (শিব, বিষ্ণু, দুর্গা, সূর্য, গনেশ) ছিলেন।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় বিদ্যাপতিকে “পঞ্চোপাসক হিন্দু” বলেছেন।
উপাধি : – মিথিলার কবি বিদ্যাপতি একাধিক উপাধিতে ভূষিত।
১। মৈথিল কোকিল (রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়)
২। কবি সার্বভৌম (শঙ্করীপ্রসাদ বসু)
৩। অভিনব জয়দেব (শিবসিংহ)
৪। খেলন কবি (‘কীর্তিলতা’ কাব্যে কবি নিজেকে বলেছেন)
🔵 বিদ্যাপতির পদ প্রথম আবিষ্কার করেন জর্জ গ্রীয়ার্সন।
🔵 পাশ্চাত্য কবি চসারের সঙ্গে বিদ্যাপতির তুলনা করা হয়।
🔵 রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় ১৯৭৫ সালে ‘বঙ্গদর্শন পত্রিকা’য় বিদ্যাপতিকে ‘মিথিলার কবি’ প্রথম প্রমাণ করেন বিদ্যাপতি রচনায়।
🔵 কবি বিদ্যাপতি ‘কামেশ্বর’ রাজবংশের সভাকবি ছিলেন এবং তিনি কামেশ্বর বংশের কীর্তিসিংহ থেকে ভৈরবসিংহ প্রায় ৬ জন রাজা এবং ১ জন রানীর পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন।
🔵 বিদ্যাপতি মাথুর, নিবেদন, প্রার্থনা এবং ভাবানুরাগ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কবি।
🔵 কবি বিদ্যাপতির শ্রেষ্ঠ ভাবশিষ্য ছিলেন – গোবিন্দদাস।
🔵 মহাপ্রভু চৈতন্যদেব বিদ্যাপতির পদ আস্বাদন করতেন। অদ্বৈতাচার্য বিদ্যাপতির পদ পাঠ করে মহাপ্রভু চৈতন্যদেবকে অভ্যর্থনা করেছিলেন।
🔵 কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত’ –এ কবি বিদ্যাপতির উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও ‘ক্ষণদাগীতচিন্তামনি’, ‘পদামৃতসমুদ্র’, ‘পদকল্পতরু’ প্রভৃতি পদসংগ্রহ গ্রন্থে বিদ্যাপতির বহু পদ ঠাঁই পেয়েছে।
🔵 দেব সিংহের অনুরোধে কবি বিদ্যাপতি কাব্য রচনা শুরু করেন।
🔵 শিবসিংহের রাজ সভায় থাকাকালীন বিদ্যাপতি তাঁর অধিকাংশ পদাবলী রচনা করেন।
🔵 বিদ্যাপতি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছিলেন জয়দেবের ‘গীতগোবিন্দ’ কাব্যের দ্বারা। “গীতগোবিন্দ” কাব্যের ভাষা, ভাব, ছন্দ বিদ্যাপতি তাঁর পদগুলিতে যেমন আত্মীকরণ করেছেন ঠিক তেমনি তাঁর পদে সুললিত পদমাধুর্য এবং ধ্বনি ঝংকারও শোনা যায় তাঁর পদগুলিতে। তাই কবি বিদ্যাপতিকে ‘অভিনব জয়দেব’ আখ্যায় ভূষিত করা হয়।
🔵 ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দে ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় প্রকাশিত রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় –এর ‘বিদ্যাপতি’ প্রবন্ধ টি বাংলা সাহিত্যে প্রথম গবেষণামূলক প্রবন্ধ। এবং এই প্রবন্ধে রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় প্রথম প্রমাণ করেন ‘বিদ্যাপতি বাঙালী কবি নন’।
🔵 বিদ্যাপতি অবহট্ট ভাষায় – ‘কীর্তিলতা’ এবং ‘কীর্তিপতাকা’ গ্রন্থ দুটি রচনা করেন, বৈষ্ণব পদগুলি রচনা করেন মৈথিলী ভাষায়।
🔵 বিদ্যাপতি রচিত সংস্কৃতে স্মৃতিশাস্ত্র বিষয়ক ২ টি গ্রন্থ – ‘বিভাগসার’ এবং ‘দানবাক্যাবলী’।
🔵 জগবন্ধু ভদ্র ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যাপতির পদাবলী সংকলন ‘মহাজন পদাবলী’ প্রকাশ করেন।
🔵 ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে সারদাচরণ মিত্র বিদ্যাপতির পদাবলী প্রকাশ করেন ।
🔵 বিদ্যাপতির সংস্কৃত ভাষায় লেখা ২ টি নাটক – ‘গোরক্ষবিজয়’ এবং ‘মণিমঞ্জরী’।
🔵 বিদ্যাপতি রচিত হর-পার্বতী বিষয়ক পদগুলি ‘মহেশবাণী’ নামে প্রচারিত ছিল।
বিদ্যাপতির গ্রন্থসমূহ :
১। ভূ-পরিক্রমা
রচনাকাল : (আনুমানিক- ১৪০০ খ্রিঃ)
পৃষ্ঠপোষক রাজা : দেবসিংহ
ভাষা : সংস্কৃত
বিষয় : ভৌগোলিক বিবরণ। এটি ভূগোল বিষয়ক বই
২। কীর্তিলতা
রচনাকাল : ১৪০২ থেকে ১৪০৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত।
পৃষ্ঠপোষক রাজা : কীর্তিসিংহ
ভাষা : অবহটঠ
বিষয় : এই গ্রন্থে রাজা কীর্তিসিংহের বীরত্বের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।চম্পু জাতীয় কাব্য (গদ্য ও পদ্য মিশ্রিত)
এই গ্রন্থে কবি নিজেকে ‘খেলন কবি’ বা ‘খেলুড়ে কবি’ বলেছেন।
৩। কীর্তিপতাকা
রচনাকাল : আনুমানিক- ১৪০০ খ্রিঃ
পৃষ্ঠপোষক রাজা : শিবসিংহ
ভাষা : অবহটঠ
বিষয় : তুর্কি অত্যাচারের কাহিনি
৪। পুরুষ পরীক্ষা
রচনাকাল : ১৪১০ থেকে ১৪১৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে গ্রন্থটি রচনা করেন।
পৃষ্ঠপোষক রাজা : শিবসিংহ
ভাষা : সংস্কৃত
বিষয় : মণীষাও শিল্পকৃতির সমন্বয় রূপ কথাসাহিত্য
৫। দানবাক্যাবলী
রচনাকাল : ১৪৪০-১৪৬০ খ্রিঃ
পৃষ্ঠপোষক রাজা : নরসিংহ ও ধীরমতি দেবী
ভাষা :
বিষয় : পাণ্ডিত্যবিচার সমন্বিত স্মৃতিগ্রন্থ
৬। লিখনবলী
রচনাকাল : ১৪১৮ খ্রিস্টাব্দ
পৃষ্ঠপোষক রাজা : পুরাদিত্য
ভাষা : সংস্কৃত
বিষয় : সংস্কৃত আলংকারিক বিষয়ক গ্রন্থ।
৭। শৈবসর্বস্বহার
রচনাকাল :
পৃষ্ঠপোষক রাজা : পদ্মিনী ও বিশ্বাস দেবী
ভাষা : সংস্কৃত
বিষয় : এটি উপসনা বিষয়ক গ্রন্থ।
৮। দুর্গাভক্তিতরঙ্গিনী
রচনাকাল : ১৪৪০-৬০ খ্রিঃ
পৃষ্ঠপোষক রাজা : ভৈরব সিংহ
ভাষা : সংস্কৃত
বিষয় : দুর্গাপূজার পদ্ধতি ও স্মৃতিশাস্ত্র বিষয়ক বিচার
৮। গঙ্গাবাক্যাবলী
রচনাকাল : ১৪৩০-৪০ খ্রিঃ
পৃষ্ঠপোষক রাজা : পদ্মসিংহ ও বিশ্বাস দেবী
ভাষা : সংস্কৃত
বিষয় : পৌরাণিক হিন্দুর পূজা ও সাধন পদ্ধতি
১০। বিভাগসার : আত্মজীবনীমূলক গ্ৰন্থ
কবি বিদ্যাপতি সম্পর্কে মন্তব্য : –
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
“বিদ্যাপতি সুখের কবি”।
বিদ্যাপতির চিত্রিত রাধা সম্পর্কে বলেছেন-
“বিদ্যাপতির রাধা নবীনা, নবস্ফুটা”।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
“দূরগামিনী বেগবতী তরঙ্গসঙ্কুলা নদী”।
“বিদ্যাপতির কবিতা স্বর্ণহার এবং চন্ডীদাসের কবিতা রুদ্রাক্ষমালা”।
শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
বিদ্যাপতির পদ বিশ্লেষণ করে সমালোচক শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বিদ্যাপতিকে “Cosmic Imagination” –এর অধিকারী বলেছেন।
আচার্য দীনেশ চন্দ্র
আচার্য দীনেশ চন্দ্র সেন তাঁর “বঙ্গভাষা ও সাহিত্য” গ্রন্থে বিদ্যাপতি সম্পর্কে বলেছেন –
“বাঙালী বিদ্যাপতির পাগড়ী খুলিয়া লইয়া ধুতি চাদর পড়াইয়া দিয়াছে”।
বিদ্যাপতির কিছু পদ ও তার পর্যায়
(১) নহাই উঠল তীরে রাই কমলমুখী (পূর্বরাগ)
(২) হাথক দরপণ মাথক ফুল (পূর্বরাগ)
(৩) সখি হে আজ জায়ব মোয়ী (অভিসার)
(৪) অব মথুরাপুর মাধব গেল (মাথুর)
(৫) হরি গেও মধুপুর হাম কুলবালা (মাথুর)
(৬) চির চন্দন উড়ে হার না দেলা (মাথুর)
(৭) এ সখি হামারি দুখের নাহি ওর (মাথুর)
(৮) প্রেম অঙ্কুর জাত আত ভেল (মাথুর)
(৯) অঙ্কুর তপন তাপে যদি জারব (মাথুর)
(১০) পিয়া যব আয়ব এ মঝু গেহে (ভাবোল্লাস)
(১১) আজু রজনী হাম ভাগে পোহায়লু (ভাবোল্লাস)
(১২) কি কহব রে সখি আনন্দ ওর (ভাবোল্লাস)
(১৩) মাধব বহুত মিনতি করি তোয় (প্রার্থনা)
(১৪) তাতল সৈকত বারিবিন্দু সম (প্রার্থনা)
বিদ্যাপতিকে নিয়ে লেখা গ্রন্থ :
১। “বিদ্যাপতি ও জয়দেব” (প্রবন্ধ) – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
২। “চন্ডীদাস ও বিদ্যাপতি” (প্রবন্ধ) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৩। “বিদ্যাপতি গোষ্ঠী” – সুকুমার সেন।
৪। “বিদ্যাপতি বিচার” – সতীশচন্দ্র রায়।
৫। “কবি বিদ্যাপতি” – তারাপদ মুখোপাধ্যায়।
বিদ্যাপতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর :-
__________________________________
১) কার অনুরোধে বিদ্যাপতি কাব্যচর্চা শুরু করেন?
উঃ দেবসিংহ।
২)বিদ্যাপতি তার অধিকাংশ পদাবলী কোন রাজার রাজ সভায় থাকাকালীন রচনা করেন?
উঃ শিবসিংহ।
৩) বিদ্যাপতি মিথিলার কোন রাজবংশের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন ?
উঃ কামেশ্বর।
৪) বিদ্যাপতি রচিত প্রথম গ্রন্থ কী ?
উঃ ভূপরিক্রমা।
৫) বিদ্যাপতির পদে উল্লিখিত মুসলমান রাজার নাম কী ?
উঃ নুসরৎ শাহ।
৬) বিদ্যাপতির কোন সংস্কৃত গ্রন্থের প্রভাব আজও বর্তমান ?
উঃ দুর্গাভক্তিতরঙ্গিনী।
৭) ‘বিদ্যাপতিগোষ্ঠী’ এই বইটি কার লেখা?
উঃ সুকুমার সেন।
৮) বিদ্যাপতিকে ‘মৈথিল কোকিল’ আখ্যায়িত করেন কে ?
উঃ রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়।
৯)‘বিদ্যাপতি মিথিলার কবি’— একথা কে প্রচার করেন?
উঃ জন বীমস।
১০) বিদ্যাপতি কত জন রাজার পৃষ্ঠপোষকতা পান?
উঃ ৬ জন রাজা ও এক জন রানীর। মোট ৭ জনের।
১১) বিদ্যাপতির ভাষাকে বিকৃত মৈথিলী কে বলেন?
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১২) বিদ্যাপতিকে ‘অভিনব জয়দেব’ কে আখ্যা দেন?
উঃ শিব সিংহ।
১৩) কার মতে বিদ্যাপতির আসল নাম ‘বসন্তরায়’?
উঃ জন বীমস।
১৪) কোন পুঁথিতে বিদ্যাপতি কে ‘সপ্রতিষ্ঠ সদুপাধ্যায় ঠক্কুর শ্রীবিদ্যাপতিনামাঞ্জয়া’ বলা হয়েছে??
উঃ শ্রীধরের ‘কাব্যপ্রকাশ বিবেক’পুঁথিতে।
১৫) “বিদ্যাপতি ভক্ত নহেন, কবি – গোবিন্দদাস যতবড় কবি, ততোধিক ভক্ত” – মন্তব্যটি কার?
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৬) বিদ্যাপতি কে ‘ পঞ্চোপাসক হিন্দু’ বলে কে প্রচার করেন?
উঃ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
১৭) ‘বিদ্যাপতি বিচার’ গ্রন্থটি কার লেখা?
উঃ সতীশচন্দ্র রায়।
১৮) বিদ্যাপতির পদ প্রথম কে সংগ্ৰহ করেন?
উঃ জর্জ গীয়ার্সন।
১৯) ‘মহাজন পদাবলী’ পদসংকলনটি কার ?কে কবে প্রকাশ করেন?
উঃ বিদ্যাপতির রচনা ।জগবন্ধু ভদ্র,১৮৭৪ খ্রি: প্রকাশ করেন।
২০) ‘রসিকসভাভূষন সুখকন্দ’ কার উপাধি?
উঃ বিদ্যাপতি।
২১) বিদ্যাপতির জীবন নিয়ে তৈরি সিনেমাটি কত সালে অভিনীত হয়?
উঃ সিনেমার নাম ‘বিদ্যাপতি’, ১৯৩৭ খ্রি. তৈরি হয়। পরিচালক – দেবকী বসু। পাহাড়ী সান্যাল বিদ্যাপতি চরিত্রে অভিনয় করেন।
২২) বিদ্যাপতি বাঙালী নন একথা কে প্রমাণ বলেন?
উঃ রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়।
২৩) ‘নব কবি শেখর’ উপাধিটি কার?
উঃ বিদ্যাপতির।
২৪) বিদ্যাপতি তাঁর কোন গ্রন্থে নিজেকে ‘খেলন কবি’ বলেছেন?
উঃ ‘কীর্তিলতা’ কাব্যে।
২৫) বিদ্যাপতির পদকে ‘Cosmic imagination’ কে বলেছেন ?
উঃ শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর ‘বাংলা সাহিত্যের বিকাশের ধারা’ গ্রন্থে।
২৬) বিদ্যাপতির পদসংকলনের নাম কী ?
উঃ মহাজন পদাবলী।
২৭) “বাঙ্গালী বিদ্যাপতির পাগড়ী খুলিয়া ধুতি চাদর পড়াইয়া দিয়াছে”- কে বলেছেন?
উঃ দীনেশচন্দ্র সেন।
২৮) ” বিদ্যাপতি যে মৈথিল লোকে তাহা একরুপ ভুলিয়াই গেল । বিদ্যাপতি অনেকের কাছে বাঙালি হইয়া দাঁড়াইলেন।” – মন্তব্যটি কার?
উঃ খগেন্দ্র নাথ মিত্র।
২৯) বিদ্যাপতির হর-পার্বতী বিষয়ক পদগুলি কী নামে প্রচলিত?
উঃ মহেশবাণী।
৩০) পদকল্পতরু – তে বিদ্যাপতির কটি পদ আছে?
উঃ ৮ টি।
৩১) বিদ্যাপতির লেখা কোন গ্রন্থে হর-পার্বতীর কথা রয়েছে ?
উঃ শৈবসর্বস্বসার।
৩২) বিদ্যাপতির পদাবলীর বৃহত্তম সংস্করণ কে প্রকাশ করেন?
উঃ দীনেশচন্দ্র সেন।
৩৩) বিদ্যাপতির রচিত নাটক কোনটি?
উঃ গোরক্ষবিজয়।
৩৪) ‘কীর্তি পতাকা’ কার পৃষ্ঠপোষকতায় রচনা করেন?
উঃ শিব সিংহের।
৩৫) ‘কীর্তিলতা’ কার পৃষ্ঠপোষকতায় রচনা করেন?
উঃ কীর্তি সিংহের।
৩৬) বিদ্যাপতির স্মৃতিশাস্ত্র মূলক রচনা কোনটি?
উঃ দুর্গাভক্তিতরঙ্গিনী।
৩৭) বিদ্যাপতির পদে গৌড়ীয় বৈষ্ণব প্রভাব নেই কেন?
উঃ তিনি চৈতন্য পূর্ববর্তী কবি হওয়ার দরুন এই প্রভাবের প্রশ্নই আসে না।
৩৮) লিখনাবলী গ্ৰন্থ কোন রাজার আমলে রচিত?
উঃ পুরাদিত্যের আমলে।
৩৯) লিখনবলীর বিষয়বস্তু কী ?
উঃ এই রচনায় পত্র লেখার নিয়ম রীতি আলোচিত হয়েছে।
৪০) বিদ্যাপতিকে কোন বিদেশী কবির সাথে তুলনা করা হয়?
উঃ চসার।
৪১) বিদ্যাপতি কার আমলে রাজপন্ডিত হিসাবে নিযুক্ত হন?
উঃ কীর্তিসিংহ।
৪২) বিদ্যাপতির রচনার প্রধান রস কী?
উঃ শৃঙ্গার রস।
৪৩) “বিদ্যাপতির কবিতা দূরগামিনী বেগবতী তরঙ্গসঙ্কুলা নদী” – এটি কার উক্তি ?
উঃ বঙ্কিমচন্দ্রের।
৪৪) বিদ্যাপতি মোট কটি সংস্কৃত নাটক লিখেছিলেন ?
উঃ দুটি। যথা – গোরক্ষবিজয় ও মণিমঞ্জুরী।
৪৫) “বিদ্যাপতির কবিখ্যাতিকে বাঙালী পবিত্র হোমাগ্নির মতো রক্ষা করেছে”- কে বলেছেন একথা?
উঃ অসিত কুমার বন্দোপাধ্যায়।
৪৬) বিদ্যাপতি কোন গ্রন্থে নিজেকে ‘খেলন কবি’ বলেছেন?
উঃ ‘কীর্তিলতা’ গ্রন্থে।
৪৭) বিদ্যাপতির পদের সংখ্যা কত?
উঃ প্রায় ৯০০ টির মত।
৪৮) বিদ্যাপতির আত্মজীবনীমূলক গ্ৰন্থ কোনটি?
উঃ বিভাগসার।
৪৯) বিদ্যাপতির লেখা ইতিহাস গ্রন্থ কোনটি?
উঃ কীর্তিলতা’ ও ‘ কীর্তিপতাকা’ (অবহট্ট ভাষায় রচনা )।
৫০) বিদ্যাপতি কোন কোন ভাষায় কাব্য রচনা করেন?
উঃ সংস্কৃত, অবহট্ট, মৈথিলি ।
বিহারীলাল চক্রবর্তী রচিত 'সারদামঙ্গল 'কাব্যের আখ্যাপত্রে যে সংস্কৃত শ্লোকটি আছে সেটি কার লেখা কোন গ্রন্থে আছে?
অসাধারণ সুন্দর