শ্রীকৃষ্ণকীর্তন|Srikrishnakirtan|100 important questions

 

🎯 শ্রীকৃষ্ণকীর্তন :

📒পুঁথি আবিষ্কার : 

১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে (১৩১৬ বঙ্গাব্দ) বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড় গ্রামের অধিবাসী বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর শহরের নিকটবর্তী কাকিল্যা গ্রামে দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়ালঘরের মাচা থেকে পুঁথিটি পান।


📒পুঁথির নামকরণ :

বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ মহাশয় ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ শিরোনামে গ্রন্থটি সম্পাদনা ও প্রকাশ করলেও, এই গ্রন্থের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামকরণ নিয়ে যথেষ্ট মতবিরোধ আছে। প্রাচীন পুঁথিগুলিতে সচরাচর প্রথম বা শেষ পাতায় পুথির নাম লেখা থাকে। কিন্তু ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ পুথির ক্ষেত্রে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পৃষ্ঠা পাওয়া যায়নি। ফলে পুথির নামও অজানাই থেকে যায়। এমনকি পরবর্তীকালের কোনও পুথিতেও বড়ু চণ্ডীদাস বা তাঁর গ্রন্থের কোনও উল্লেখ পাওয়া যায় না। বিদ্বদ্বল্লভ মহাশয় তাই নামকরণকালে পুথির কাহিনি বিচার করে লোকঐতিহ্যের অনুসারে এটি ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেন। 

  পুথির সঙ্গে যে চিরকুটটি পাওয়া যায়, তাতে ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ’’ বলে একটি কথা লিখিত আছে। অনেকে মনে করেন গ্রন্থের মূল নাম ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ’। 

বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ প্রদত্ত   ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামটিই সর্বজনগ্রাহ্য।

 বইটির মুখবন্ধ লিখেছিলেন –

আচার্য রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী। 


📒সম্পাদনা : 

১৯১৬ ক্রিস্টাব্দে(১৩২৩ বঙ্গাব্দে) কলকাতার “বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ” থেকে “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন” নামে সম্পাদনা করেন।


📒পুঁথি পরিচিতি :

 ১) পুঁথিটি দুভাঁজ করা তুলোট কাগজে লেখা—উভয় পৃষ্ঠায় লেখা।

২)পুঁথিটি খণ্ডিত।এর প্রথম দুটি পাতা, মাঝের কিছু পাতা এবং ২২৬-এর পর আর কোনো পাতা মেলেনি।৩-৮, ১০-১৫,১৭/২, ১৮, ১৯/২, ২০-৪০, ৪২-৮৭, ৮৮/১, ৮৯-৯২, ৯৩/১, ৯৪-৯৭, ৯৮/২, ৯৯-১০৩, ১১২-১৪৪, ১৫২-২২৬ পুঁথিটিতে এই পাতাগুলি আছে।আর যে পত্র/পৃষ্ঠাগুলি নেই সেগুলি হলো—-১, ২,৯,১৬, ১৭/১, ১৯/১, ৪১, ৮৮/২, ৯৩/২, ৯৮/১, ১০৪-১১১, ১৪৫-১৫১।

৩)প্রতিটি পৃষ্ঠায় সাধারণত ৭ টি করে লাইন।তবে ৩-১৫ পর্যন্ত, এই ১৩ টি পত্রে ৮ টি করে লাইন।

৪)পুঁথিটিতে মোট বাংলা গান বা পদ আছে—৪১৮টি। সংস্কৃত শ্লোক আছে ১৬১ টি।


📒শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের কবি :

বড়ুচন্ডীদাস। যদিও শ্রীকৃষ্ণকীর্তন-এর কবি সম্পর্কে আজও অন্ধকারেই আছি।কেননা কবির বিশাল পুঁথিতে কোথাও তাঁর আত্মপরিচয় নেই।তাঁর পরিচয়ের সূত্র তাঁর ব্যবহৃত ভনিতা—–

১)গাইল বড়ুচন্ডীদাস বাসলীগণ।

২)বাসলী শিরে বন্দি গাইল চন্ডীদাসে ।

৩)গাইল অনন্ত বড়ুচন্ডীদাসে দেবী বাসলীগণে।

কাব্যের প্রায় সব স্থানেই ভণিতা

মিলেছে বড়ুচন্ডীদাস নামে(২৯৮বার)।চন্ডীদাস মিলেছে বেশ কয়েকবার(১০৭বার)।আর মাত্র ৭ টি স্থানে অনন্ত বড়ুচন্ডীদাস ভনিতা আছে।

 বড়ু মানে বাড়ুজ্যে বা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 অধিকাংশ ভনিতাতেই ‘বাসলী’ নামক এক দেবীর নাম বা তাঁর বন্দনা আছে।তাই অনুমান করা হয় তাঁর উপাস্য দেবীর নাম বাসলী।

যদিও তাঁর প্রকৃত নাম,জন্মস্থান বা বাসস্থান নিয়ে মতভেদ বিস্তরশ্রীকৃষ্ণকীর্তন নাম নিয়েও সমস্যা গুরুতর।


📒 রচনাকাল: 

শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের রচনাকাল নিয়েও বড় সমস্যা।তবে স্থির হয়েছে রচনাকাল—পঞ্চদশ শতাব্দী।

➺ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে এই কাব্যের রচনাকাল – ১৪০০ খ্রিষ্টাব্দ।


📒উৎস ও পশ্চাদপট : 

শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে পৌরাণিক ঐতিহ্যের মিশ্রণ ঘটেছে।তবে পৌরাণিক প্রভাব অল্প, লৌকিক প্রভাবই বেশি।আর আছে জয়দেবের প্রভাব।কাহিনী পরিকল্পনায় ও চরিত্র সৃষ্টিতে পূর্বসূরিদের প্রভাব বিলক্ষণ।পূরাণের সংক্ষিপ্ত কাঠামোর উপর বৃহৎ লৌকিক কাব্য।


📒চরিত্র :

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে প্রধান চরিত্র তিনটি—–রাধা, কৃষ্ণ এবং বড়ায়ি।

কৃষ্ণ :–

কংস বধের জন্যই কৃষ্ণের জন্ম।নারায়ণের একটি কালো চুল থেকেই কৃষ্ণের জন্ম।যা মানব সমাজে বসুদেবের ঘরে দেবকীর গর্ভে।আর অবতারী শিশু বলেই তার শরীরে বত্রিশ রাজলক্ষণ প্রকাশিত।

রাধা :–

সাগর গোয়ালার ঘরে তার জন্ম, পদুমা তার মা,বৃন্দাবনের গোপপল্লীতে তার বাস।সে অপরুপ লাবন্যময়ী ত্রিভূবনমোহিনী। নপুংসক আইহন ঘোষপর পত্নী।বয়স একাদশ।

বড়ায়ি :–

রাধার মায়ের পিসি,রাধা তার নাতনি,কৃষ্ণ তার নাতি।সে যেন বর ঘরের পিসি আর কনপর ঘরের মাসি।


📒ছন্দ : 

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যই প্রথম অক্ষরবৃত্ত রীতির বিচিত্র ছন্দবন্ধের বলিষ্ঠ প্রকাশ।


📒নাট্যগুন:

 শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নাট্যলক্ষনাক্রান্ত আখ্যানকাব্য। এই কাব্যে নাট্যগুন ও কাব্যগুনের সমন্বয় ঘটেছে। নাট্যোগীতপাঞ্চালিরুপে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের সার্থকতা স্বীকৃত।


📒খণ্ড : 

বড়ুচন্ডীদাসের “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন”  কাব্য বাংলা সাহিত্যের প্রথম আখ্যান কাব্য।প্রথম কাহিনী-কবিতা।এই কাহিনীটি মোট ১৩ খন্ডে বিভক্ত-   ১)জন্মখণ্ড, ২)তাম্বুলখণ্ড, ৩)দানখণ্ড, ৪)নৌকাখণ্ড, ৫)ভারখণ্ড, ৬)ছত্রখণ্ড, ৭)বৃন্দাবনখণ্ড, ৮)কালীয়াদমনখণ্ড, ৯)বস্ত্রহরণখণ্ড, ১০)হারখণ্ড, ১১)বাণখণ্ড,১২)বংশীখণ্ড  ও ১৩)রাধাবিরহ


📒কোন খণ্ডে কত পদ ও কত সংস্কৃত শ্লোক

জন্মখণ্ড

  পদ সংখ্যা  ৯

  সংস্কৃত শ্লোক  ৩

রাগরাগিনী ৫


তাম্বুল খণ্ড

পদ সংখ্যা ২৬

  সংস্কৃত শ্লোক ৭

রাগরাগিনী ৭


দানখণ্ড

পদ সংখ্যা ১১২

  সংস্কৃত শ্লোক ৪৬

রাগরাগিনী ২০


নৌকা খণ্ড

 পদ সংখ্যা ৩০

  সংস্কৃত শ্লোক ১৩

  রাগরাগিনী ১১


ভারখণ্ড

পদ সংখ্যা ২৮

সংস্কৃত শ্লোক  ১১

  রাগরাগিনী ১৬


ছত্রখণ্ড

পদ সংখ্যা ৯

  সংস্কৃত শ্লোক ৭

রাগরাগিনী  ৮


বৃন্দাবনখণ্ড

পদ সংখ্যা ৩০

 সংস্কৃত শ্লোক ১১

  রাগরাগিনী ১১


কালীয়দমন খণ্ড

পদ সংখ্যা ১০

 সংস্কৃত শ্লোক  ১

  রাগরাগিনী  ৭


বস্ত্রহরণখণ্ড

পদ সংখ্যা ২২

 সংস্কৃত শ্লোক ১১

রাগরাগিনী  ১১


হারখণ্ড

 পদ সংখ্যা  ৫

  সংস্কৃত শ্লোক ৩

  রাগরাগিনী  ৩


বাণখণ্ড 

  পদ সংখ্যা ২৭

  সংস্কৃত শ্লোক ৯

  রাগরাগিনী ১৪


   বংশীখণ্ড

  পদ সংখ্যা ৪১

 সংস্কৃত শ্লোক ১৯

  রাগরাগিনী ১৬


রাধাবিরহ

পদ সংখ্যা ৬৯

সংস্কৃত শ্লোক ২০

রাগরাগিনী  ২৩


📒 খণ্ডগুলির পরিচিত :

🔵 জন্মখণ্ড :

১] এই খণ্ডে কৃষ্ণ ও হলধর(বলরাম) এর জন্মের কথা রয়েছে।

২] কৃষ্ণ:–

রোহিনী নক্ষত্রে অষ্ঠমী তিথিতে এক অন্ধকার বর্ষার রাতে জন্ম।সেই রাতে পিতা বসুদেব গোকুলে যশোদার কাছে রেখে আসে।

কৃষ্ণের পরনে পীতবস্ত্র ও হাতে বাঁশী,বত্রিশ রাজলক্ষণযুক্ত।

৩] রাধা:–

শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে রাধার মা পদুমা বা পদ্মা,পিতা সাগর।

🔵 তাম্বুলখণ্ড :

১) এখানে পাহাড়ীআ রাগের পদ বেশী।

২) এই খণ্ড রাধা বড়ায়ির কাছ থেকে হারিয়ে যায়।

৩) এই খণ্ডে রাধার নাম চন্দ্রাবলী পাওয়া যায়।

৪) এই খণ্ডে প্রথম যমুনা নদীর নাম পাওয়া যায়।

৫) এই খণ্ডে বড়ায়ির হাতে কৃষ্ণ কর্পূরবাসিত তাম্বুল ও চাঁপা নাগেশ্বর ফুল পাঠায়।

৬) এই খণ্ডে রাধা বড়ায়িকে চড় মেরেছে।

৭) এই খণ্ডে কৃষ্ণ ও বড়ায়ির মধ্যে কথা হয়েছিল যে কৃষ্ণ মহাদানী হয়ে কদমের তলে যমুনার তীরে বসে থাকবে।

————————-

🔵 দানখণ্ড :

১) এই খণ্ডে কৃষ্ণ মাহাদানী রূপে

ষোল পন দাবী করে রাধার কাছে।

২) এই খণ্ডেই প্রথম রাধার বয়স ১১ বছর বলা হয়েছে।

৩) এই খণ্ড রাধার কাছে কৃষ্ণের

নয় লক্ষ কড়ি এবং বারো বছরের মহাদান বাকী আছে বলেছে।

৪) এই খণ্ডে কৃষ্ণ নিজেকে

অসুরবিনাশী কালীয়দমনকারী শ্রীকৃষ্ণ রূপে পরিচায়িত করেছে।

৫) এই খণ্ডে রাধা কৃষ্ণকে মামা-ভাগ্নীর কথা বললেও প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গের জন্য দুই কোটি মুদ্রা দান চেয়ে বসে কৃষ্ণ।

৬) এই খণ্ডেই প্রথম নিরুপায় রাধা বৃন্দাবনের মাঝে মিলন কৃষ্ণের সাথে মিলন ঘটায়।

—————-

🔵 নৌকাখণ্ড :

১) এই খণ্ডে কৃষ্ণ ঘাটোয়াল সেজে রাধার কাছে সাতেসরী হার,সরস বচন,এবং আলিঙ্গন চেয়েছে।

২) এই খণ্ডে রাধার শাশুড়ির অনুমতি নিয়ে ষোলোশো গোপিনীর সঙ্গে মথুরার হাটে গেছে।

৩) শেষ পর্যন্ত এই খণ্ডে রাধা কৃষ্ণকে দ্বিতীয় বার দেহদান করে।

৪) এই খণ্ডেই প্রথম রাধার মনে মদন জাগে।

৫) এই খণ্ডে কৃষ্ণ রাধাকে যমুনা নদীতে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছে একথা বড়ায়ির কাছে স্বীকার করেছে।

—————–


🔵 ভারখণ্ড :

১) এই খণ্ডে চামড় গাছের ডাল কাটার কথা আছে।

২) এই খণ্ডে প্রথম শরৎকালের কথা আছে।

৩) এই খণ্ডে কৃষ্ণ মজুরিয়া সেজেছে।

৪) এই খণ্ডে কৃষ্ণকে রতি দেবে বলে রাধা সমস্ত ভার বহন করিয়েছে।

৫) এই খণ্ড রাধা যমুনা নদী ভালোভাবে পার হতে পেরেছে।

৬) একটি বিশেষ লাইন-“উলটি উলটি রাধা কাহ্নপানে চাহে”।

————

🔵 ছত্রখণ্ড :

১) খণ্ডটি শুরু– অথ ভারখণ্ডান্তর্গত ছত্রখণ্ড:’

২) এই খণ্ডটি হাট থেকে বাড়ি ফিরবার ঘটনা।

৩) এই খণ্ডে রাধা-কৃষ্ণের তর্কাতর্কি হয়েছে।

৪) এই খণ্ডে কৃষ্ণ রাধার মাথায় ছাতা ধরলে তাকে কুঞ্জবনে সুরতি দেবে বলেছে।….. কিন্তু খণ্ডিত বলে রতি দিয়েছিল কিনা জানা যায় নি।

—————-

🔵 বৃন্দাবন খণ্ড :

১) এই খণ্ডে রাধার ব্রতের ফুল তুলবার জন্য বৃন্দাবন যাওয়ার কথা আছে।

২) এই খণ্ডে কালিন্দীর তীরে ধীর বায়ু বইছে উল্লেখ আছে।

৩) এই খণ্ডে কৃষ্ণ ষোলোশো গোপীকে তুষ্ট করতে বহুমূর্তি হয়ে তাদের বিলাস করিয়েছে।

৪) এই খণ্ডে কৃষ্ণ রাধার চরণযুগল হৃদয়ে ধারণ করার কথা আছে।

৫) এইখানে চুম্বকোল কথাটি ব্যবহৃত হয়েছে।

৬) এই খণ্ডেই তৃতীয় বার প্রথম দুই জনের ইচ্ছাতেই মিলন হয়েছে।

৭) এই খণ্ডের অনেক কবিতার সঙ্গে বৈষ্ণব পদাবলীর অনেক পদের মিল দপখা যায়।

৮) এই খণ্ডে জয়দেবেরর প্রভাব আছে।

—————-

🔵 কালীয়দমন খণ্ড :

▶কবি প্রদত্ত নাম–যমুনাখণ্ডান্তর্গত কালীয়দমন খণ্ড।

১) এই খণ্ডটি সম্পূর্ণ পাওয়া গেছে।

২) এই খণ্ডে বৃন্দাবনে যমুনানদীতে কালীদহ নামে একটা গভীর হ্রদের কথা আছে।

৩) এই হ্রদে কালীয় নামে একটি সাপ আছে। এবং কালীয়নাগ ও তার সর্পকুল কৃষ্ণকে দংশন করেছিল এবং কৃষ্ণ জ্ঞান হারিয়েছিল।বলভদ্র কৃষ্ণের জ্ঞান আওড়ালেন।

৪) এখানে নন্দ-যশোদার উল্লেখ আছে।

৫) এই খণ্ডে কালীয়নাগদের সপরিবারে দক্ষিন সাগরে পাঠানোর কথা আছে।

১০) কালীয়দমন খণ্ডের প্রধান ঘটনা কালীয়নাগ দমন।

————–

🔵 বস্ত্রহরণ খণ্ড : 

▶এটি কাব্যের নবম খণ্ড।

১) প্রাপ্ত পুঁথিতে এই খণ্ডের কোনো নাম পাওয়া যায় নি। সম্পাদক নিজে বিবেচনা করে নাম দিয়েছেন যমুনাখণ্ড।

২) কোনো কোনো গবেষক এর নাম দিয়েছেন–যমুনান্তর্গত বস্ত্রহরণ খণ্ড।

তাঁদের মতে কালীয়দমন খণ্ড,বস্ত্রহরণ খণ্ড ও হার খণ্ড মিলিয়ে সম্পূর্ণ যমুনা খণ্ড। কারণ এই তিনটি খণ্ডের বিষয়বস্তুই যমুনার পটভূমিতে সৃষ্ট।

৩) এটি সম্পূর্ণ খণ্ড । সম্পূর্ণের দিক থেকে এটি তৃতীয় খণ্ড।

৪) কাব্যটি শুরু–‘অথ যমুনান্তর্গত বস্ত্রহরণ খণ্ড’।

৫) এই খণ্ডে কৃষ্ণ রাধাকে সোনার কিঙ্কিনী,দীর্ঘ পট্টবস্ত্র, রতন খচিত মাথার মুকুট ইত্যাদির প্রলোভন দেখিয়েছিল।

৬) এই খণ্ডে রাধাকে কাছে ডেকে তার গালে একটা চুম্বন দিয়ে বসে।

৭) এই খণ্ডে কৃষ্ণ পদ্মাবনে লুকিয়ে পড়েছিল।

৮) এই খণ্ডে পরের দিন ভোরে কৃষ্ণ যমুনা তীরে কদম গাছে উঠে বসে ছিল। এই খন্ডে কৃষ্ণ রাধা ও গোপীদের বস্ত্রগুলি নিয়েছিল।

১০) এই খণ্ডে শেষপর্যন্ত রাধা অর্ধজলমগ্ন অবস্থায় ডানহাতে বুক ঢাকা দিয়ে ডাঙায় উঠে হাত জোড় করলে কৃষ্ণ বস্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিল কিন্তু হারটি দেয় নি।

১১) বৈষ্ণব সমাজে এই খণ্ডটি সাড়া ফেলেছিল। স্বয়ং চৈতন্যদেব বস্ত্রহরণ খন্ড অভিনয় করেছিলেন।

১২) এখানে যে হারটির কথা বলা হয়েছে তা হল রাধার গলার গজমতি হার।

——–

🔵 হার খণ্ড :

▶এটি কাব্যের দশম খণ্ড।

১) এটি খণ্ডিত খণ্ড।

২) খণ্ডের প্রথমেই পুঁথিতে আছে যমুনান্তর্গত হারখণ্ড। কিন্তু শেষে নাম আছে ইতি যমুনাখণ্ড।

৩) এখানে কৃষ্ণের নামে যশোদার কাছে অভিযোগ করলে কৃষ্ণ মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে।

৪) এখানে বড়ায়ি আইহনকে রাধার হার হারানোর কথা বলেছেন।

৫) এখানে দামাল বলদের কথা উল্লেখ আছে।

————

🔵 বাণখণ্ড :

▶এটি কাব্যের একাদশ খণ্ড।

১) এটি সম্পূর্ণ খণ্ড। সম্পূর্ণের দিক থেকে চতুর্থ।

১) এই খণ্ডে বড়ায়ি কৃষ্ণকে বলেছে যে তুমি রাধাকে পুষ্পবাণ মারো। পাঁচ বাণে তার প্রাণ নাও।

২) এই খণ্ডে রাধা বড়ায়ির পায়ে ধরে নিজেকে রক্ষার জন্য লক্ষমুদ্রার আংটি উপহার দিতে চেয়েছিল।

৩) এই খণ্ডে রাধার বুকে বাণ মেরেছিল।

৪) এখানে তালপাতার পাখার বাতাসের কথা আছে।

৫) এই খণ্ডে কৃষ্ণ বৃন্দাবনে লুকিয়ে পড়ে এবং পরে কুঞ্জবনে দেখা পেলে রাধা-কৃষ্ণের মিলন হয়।

৬) এই খণ্ডেই প্রথম বড়ায়ি কৃষ্ণকে দোষারোপ করে।

———

🔵 বংশীখণ্ড :

▶ এটি কাব্যের দ্বাদশ খণ্ড।

১) এটি সম্পূর্ণ খণ্ড।সম্পূর্ণের দিক থেকে পঞ্চম।

২) সম্পূর্ণ হলেও ৬নং কবিতার আটটি অক্ষর পড়া যায় নি।

৩) এই খণ্ডে কৃষ্ণ মোহন বাঁশী নির্মান করে।তাতে সাতটি সুন্দর ছিদ্র, তা সোনার সামি লাগানো ও হীরের কারুকার্য যুক্ত।

৪) এখানে বসন্তের কথা উল্লেখ আছে।

৫) এই খণ্ডে রাধা বড়ায়ির কাছে কৃষ্ণকে আনার প্রার্থনা করেছে।

৬) এই খণ্ডে বড়ায়ির নির্দেশে রাধা কৃষ্ণের বাঁশী চুরি করে কলসীতে ভরে বাড়ি নিয়ে গেছে।

৭) এই খণ্ডে কৃষ্ণকে নিদ্রাচ্ছন্ন করেছিল বড়ায়ি।

৮) এখানে বাঁশী চুরির উদ্দেশ্য ছিল কৃষ্ণ বাঁশী বাজিয়ে রাধাকে যেভাবে আকুল করেছিল তা থেকে রক্ষা পাওয়া।

———-

🔵 রাধাবিরহ :

▶ এটি কাব্যের তেরোতম ও শেষ খণ্ড।

১) পুঁথিতে খণ্ড নামটি নেই, পুঁথিতে আছে অথ রাধাবিরহ।

২) এই খণ্ডে চৈত্র মাসের কথা আছে।কোকিলের ডাক।

৩) এই খণ্ড রাধা একরাত্রে কৃষ্ণ মিলনের স্বপ্ন দেখেছিল।

৪) এই খণ্ডে রাধা যোগিনী বেশে দেশত্যাগী হতে চেয়েছে।

৫) রাধা বড়ায়িকে কৃষ্ণের সন্ধানে শতপল সোনা,কর্পূর বাসিত পান সুপ

৬) এই খণ্ডে রাধা বৃন্দাবনের কদমতলায় মোহিনী বেশ ধারণ করেছে।

৭) এই খণ্ডে রাধা কৃষ্ণের কাছে পূর্বের অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে।

৮) এই খণ্ডে কৃষ্ণ শর্ত দিয়েছিল যে রাধা মনোহর বেশে আসুক,মধুর সম্ভাষণ করুক তাহলে কৃষ্ণ তাকে সাদরে গ্রহণ করবে।

৯) এখানে রাধা-কৃষ্ণের মিলন ঘটেছে।

১০) এখানেও বসন্তের উল্লেখ আছে।

১৪) এই খণ্ডে কৃষ্ণ বলেছে– আমি ধন-ঐশ্বর্য ত্যাগ করতে পারি কিন্তু বাক্যজ্বালা সহ্য করতে পরি না।

১৫) এই খণ্ডে রাধারই একমাত্র ভুমিকা এবং পুরোটায় তার কৃষ্ণকে হারিয়ে মর্মযন্ত্রনার কথা প্রকাশিত।


📒  ১০০ টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর :

১] ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যটি কত সালে আবিষ্কৃত ?

উঃ  ১৯০৯ সালে

২] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের প্রকাশকাল কত ?

উঃ ১৯১৬ সাল

৩] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কত সালে কোথা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয় ?

উঃ  ১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে।

৪] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে যে চিরকুট পাওয়া গেছে তাতে কী নাম ছিল ?

উঃ শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ

৫] ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের ভূমিকা কে লেখেন ?

উঃ রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী

৬] বাংলা সাহিত্যের প্রথম একক কবির কাব্য কোনটি ?

উঃ ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’

৭] ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের ভাষা কোন যুগের ?

উঃ আদি মধ্য যুগ

৮] ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের খণ্ড সংখ্যা কত ?

উঃ ১৩

৯] ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের মোট পদ কত ?

উঃ ৪১৮

১০]   ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যে কতগুলি রাগরাগিণী আছে ?

উঃ ৩২ টি

১১] ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’  কাব্যে সবচেয়ে ব্যবহৃত রাগের নাম কী ?

উঃ পাহাড়িআ

১২] ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ ও চর্যাপদে আছে এমন রাগের নাম কী ?

উঃ পটমঞ্জরী

১৩] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন এর সংস্কৃত শ্লোক সংখ্যা কত ?

উঃ  ১৬১টি

১৪] কাব্যের বৃহত্তম খন্ডের নাম কী ?

উঃ দান

১৫] সবচেয়ে কম পদ আছে কোন খণ্ডে ?

উঃ হার খণ্ড

১৬] বড়ু চন্ডীদাস ভনিতা কত বার আছে ?

উঃ ৪৩

১৭] “রাধাবিরহ” অংশটিকে প্রক্ষিপ্ত বলেছেন কে ?

উঃ বিমানবিহারী মজুমদার

১৮] ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ বাংলা সাহিত্যের কততম গ্ৰন্থ ?

উঃ দ্বিতীয় 

১৯] শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে রাধা কার অবতার ?

উ: লক্ষ্মী

২০] ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যটি কীসের উপর লেখা ?

উঃ তুলোট কাগজ

২১] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে কোন গানের লক্ষণ আছে ?

উঃ ঝুমুর

২২] রাধার বাবা কে ?

উঃ সাগর

২৩] ছত্র ধর কাহ্নাঞিঁ দিবোঁ সুরতি” কত সংখ্যক পদ?

উঃ ২০৯

২৪] ‘ললাট লিখিত খন্ডন না জাএ’ – কোন খণ্ডের অংশ ?

উঃ দান খণ্ড

২৫] মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন কোনটি ?

উঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তনকাব্য

২৬] বড়ু চন্ডীদাস কোথাকার বাসিন্দা ?

উঃ বাঁকুড়ার ছাতনা

২৭] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যোর পুঁথির সঙ্গে প্রাপ্ত চিরকুটে কার নাম ও কত সনের উল্লেখ রয়েছে ?

উঃ  পঞ্চানন, ১০৮৯ সন

২৮] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটির নাম রাধাকৃষ্ণের ধামালী রাখার প্রস্তাব কে করেন ?

উঃ বিমানবিহারী মজুমদার

২৯] “দেখিল কোকিল বেল গাছের উপরে। আর তিল কাক তাক ভখিতেঁ না পারে।। – কোন খণ্ডের অংশ ?

উঃ দান খণ্ড

৩০] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে অনন্ত চন্ডীদাস ভনিতা কত বার আছে ?

উঃ  ৭

৩১] ‘হরিণ নিজের মাংসের জন্য নিজেই নিজের শত্রু’ – এই অর্থবোধক প্রবাদটি কতবার ব্যবহৃত হয়েছে ?

উঃ  ৩

৩২] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন প্রকাশের পর সম্পাদক এক খণ্ড বই কাকে উপহার দিয়েছিলেন ? এবং বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠায় স্বহস্তে কী লিখেছিলেন ?

উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে। লিখেছিলেন –”কবিকুল-রবি শ্রীযুক্ত স্যার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে টি, ডি এন্ আই টি মহাশয়ের শ্রীকরকমলে — শ্রীবসন্ত রায়।”

৩৩] ভাগবতের রাস কোন খণ্ডকে বলা হয় ?

উঃ বৃন্দবন খণ্ড

৩৪] গাইল বড়ু চণ্ডীদাস – ভণিতা কত বার আছে ?

উঃ ২৯৮

৩৫] কাব্যটি কোথা থেকে পাওয়া যায় ?

উঃ কাকিল্যা গ্রামে দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এর বাড়ি থেকে

৩৬] শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ গ্রন্থটির রচয়িতা কে ?

উঃ  শ্রীজীব গোস্বামী

৩৭] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে পৌরাণিক চরিত্র কে কে ?

উঃ  মহাদেব সুগ্রীব গোডুর পান্ডু যুধিষ্ঠির

৩৮] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের প্রকৃত নাম কী ?

উঃ  শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ

৩৯] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে যে আঞ্চলিক উপভাষার বৈশিষ্ট্য সর্বাধিক প্রাধান্য পেয়েছে?

উ: ঝাড়খণ্ডি।

৪০] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে কোন রসের প্রভাব দেখা যায় ?

উঃ শৃঙ্গার রস

৪১] কাব্যে উল্লেখিত কয়েকটি ফুলের নাম কী ?

উঃ  মালতী, বাসক, করবী, চাঁপা, ছাতিম, পিপলি, বাতকী, শিরিষ

৪২] ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কী জাতীয় রচনা ?

উ: নাট্যগীতি জাতীয় 

৪৩] প্রথম পৃথিবীর কথা বলা আছে কোন কাব্যে ?

উঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে

৪৪] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য নামটি কে দিয়েছেন ?

উ: বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ

৪৫] কোন কোন খণ্ডে রাধাকৃষ্ণ মিলন সংঘটিত হয় ?

উঃ ৫ টি। দান, নৌকা, বৃন্দাবন, বাণ ও রাধা বিরহ

৪৬] কাব্য কাহিনীর শুরু হয় কোন ঋতুতে ?

উঃ  বসন্ত

৪৭] কোন ঋতুতে কাব্যের সমাপ্তি হয় ?

উঃ শরৎ

৪৮] রামগিরী রাগে কতগুলি পদ রচিত ?

উঃ ৫৪

৪৯] এই কাব্যে কয়টি খণ্ড আছে ?

উঃ  ১৩

৫০] ‘রাধিকা থাকিলি বসি আপনার ঘরে’ – কার উক্তি ?

উঃ বড়াই

৫১] তাম্বুলখন্ডে রাধার বয়স কত ?

উঃ ১১ বছর

৫২] রাধা কীসের প্রতীক ?

উঃ জীবাত্মার

৫৩] কে কোন গ্রন্থে প্রথম প্রমাণ করেন যে, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য মধ্যযুগের বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন ?

উঃ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়। ODBL গ্রন্থে।

৫৪] প্রাচীন কোন গ্রন্থে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের উল্লেখ আছে ?

উঃ  বৈষ্ণবতোষিণী

৫৫] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের সঙ্গে লোকগীতের কোন ধারার নৈকট্য বর্তমান ?

উঃ  ঝুমুর

৫৬] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে ব্যবহার করা হয়েছে এমন ৩ টি তালের নাম লেখ ?

উঃ একতালা, যতি, আঠতালা

৫৭] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে ব্যবহার করা হয়েছে এমন ৪ টি রাগের নাম উল্লেখ কর।

উঃ কেদার, মল্লার, ভৈরবী, বসন্ত প্রভৃতি।

৫৮] এই কাব্যকে শ্রীকৃষ্ণধামালী কে নাম দেন ?

উঃ  বিমানবিহারী

৫৯] ‘মাকড়ের যোগ্য কভোঁ নহে গজুমতী’ – প্রবচনটি কোন খন্ডের ?

উঃ  দান খন্ড ১৩০ সংখ্যক পদ

৬০] কৃষ্ণ ও রাধার স্বর্গীয় নাম কী কী ?

উঃ  বিষ্ণু ও লক্ষ্মী

৬১] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে ভাগবতের প্রভাব আছে কোন খণ্ডে ?

উঃ বৃন্দাবন খণ্ড

৬২] কাব্যে কৃষ্ণ ও রাধার পারস্পরিক কথোপকথনের সূচনা হয় কোন্ খণ্ড থেকে ?

উঃ  দান

৬৩] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের মূল উৎস রূপে কোন গ্রন্থগুলিকে নির্দেশ করা হয় ?

উঃ  ভাগবত, বিষ্ণুপুরান, হরিবংশ, ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ

৬৪] বন পোড়ে আগ বড়ায়ি জগজনে জাণী 

      মোর মন পোড়ে যেহ্ন কুম্ভারের পণী। – কোন্ খন্ডে কত সংখ্যক পদে আছে ?

উঃ বংশী খন্ড ১৩০ সংখ্যক পদে আছে

৬৫] মধ্যযুগে মোট কতজন চন্ডীদাসের অস্তিত্বের কথা জানা যায় ?

উঃ ৪

৬৬] কাব্যে ব্যবহৃত দুটি ব্রজবুলি শব্দ কী কী ?

উঃ পুনমী, জানল।

৬৭] কাব্যে রাধার বয়স কত জানা যায়?

উঃ ১১

৬৮] কাব্যটির পুঁথিতে কত রকমের হস্তাক্ষর আছে ?

উঃ ৩

৬৯] বসন্তরঞ্জন তাঁর জীবদ্দশায় এই কাব্যের কটি সংস্করন প্রকাশ করেন ?

উওর ৪

৭০] কাব্যে কত প্রকার পয়ার আছে?

উওর ৭

৭১] এই গ্রন্থের মূল্য নিরুপণ যথাযথভাবে হয়েছে বলে মনে হয় না, হলে এর আরো অনেক বেশি সমাদর হয় আমাদের দেশে। এ গ্রন্থটি কী কাব্য, কী সংগীত, কী গীতিনাট্য সবদিক থেকেই রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের প্রাচীন সংগীতকলার অত্যুৎকৃষ্ট প্রচেষ্টার পরিচায়ক— কথাটি কার?

উঃ রাজেশ্বর মিত্র

৭২] বলরাম কৃষ্ণের পূর্বজন্মের কথা বলেছিলেন কোন খণ্ডে ?

উঃ কালীয়দমন খণ্ডে

৭৩] শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামটি কে গ্রহন করতে চান ?

উঃ অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

৭৪] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের কাহিনীর বিস্তৃতি কত দূর পর্যন্ত ?

উঃ মথুরা গমন

৭৫] শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের ভূমিকা কে লেখেন ?

উঃ রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী

৭৬] রাধাবিরহ “খণ্ড” না হয়ে “অংশ “নামাঙ্কিত কেন ?

উঃ প্রক্ষিপ্ত

৭৭] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে ব্যবহৃত “ঘড়ী” শব্দের রবীন্দ্রনাথ কোন অর্থ করেছিলেন ?

উঃ ঘট

৭৮]  ‘বড়ু চণ্ডীদাসের প্রকৃত নাম অনন্ত’ – কে একথা বলেছেন ?

উঃ সুখময় মুখোপাধ্যায়।


৭৯] শ্রীকৃষ্ণকীর্তনকে রাধাসর্বস্ব  কে বলেছেন ?

উ: শঙ্করীপ্রসাদ বসু।

৮০] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের মুখবন্ধ ও লিপিকাল কে রচনা করেন ?

উঃ  মুখবন্ধ – রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী। 

লিপিকাল – রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।

৮১] শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামটি প্রথম প্রস্তাব করেন কে ?

উঃ নলিনীনাথ দাশগুপ্ত

৮২] দানখণ্ড আর বাণখণ্ড কোথা থেকে নেওয়া ?

উঃ গীতগোবিন্দম্

৮৩] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের মূল ছন্দ কী ?

উঃ মিশ্রবৃত্ত

৮৪] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে পাহাড়ীআ রাগযুক্ত পদের সংখ্যা কত ?

উ: ৫৭ টি

৮৫] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পুঁথির লেখা কয়টি হাতের ?

উ: তিন হাতের লেখা

৮৬] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচনাকাল কত ?

উ: পঞ্চদশ শতাব্দী।

৮৭] বড়ু কবি ‘নেহা’ শব্দটিকে কাব্যে কোন অর্থে ব্যবহার করেছেন ?

উঃ প্রেম

৮৮] “যেখানে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য শেষ সেখানে বৈষ্ণব পদাবলী শুরু” উক্তিটি কার ?

উঃ প্রমথনাথ বিশী

৮৯] কৃষ্ণের পালিত মা কে ?

উঃ যশোদা

৯০] কাব্যের প্রথম পদে কাদের কথা আছে ?

উঃ রাধা ও বড়াই

৯১] বড়ু চন্ডীদাস নামটিতে ‘বড়ু’ কথাটির অর্থ কী ?

উঃ ব্রাহ্মণ

৯২] কাব্যে কী কী ছন্দ ব্যবহৃত হয়েছে ?

উঃ অনুষ্টুপ, পয়ার, ত্রিপদী, পজ্ঝটিকা, ও মিশ্রকলাবৃও

৯৩] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কীসের কাব্য ?

উঃ লৌকিক প্রেমের কাব্য

৯৪] ‘কান্ত পাহুন কাম দারুন’ – এখানে ‘পাহুন’ শব্দের অর্থ কী ?

উঃ ‘পাহুন’ কথার অর্থ ‘প্রবাসী’

৯৫] কৃষ্ণকে তাম্বুলের সাথে কী  ফুল পাঠিয়েছিল ?

উঃ চম্পা ও নাগকেশর

৯৬] দান খণ্ডে কৃষ্ণ কত পণ দান চেয়েছিলেন ?

উঃ ১৬

৯৭] কাব্যে কোন গাছের কথা বলা হয়েছে ?

উঃ  কদম

৯৮] কাব্যে রাধার স্বামীর নাম কী ?

উঃ অভিমন্যু

৯৯] কোন কোন খণ্ডের পুঁথি খণ্ডিত ?

উঃ জন্ম ও রাধাবিরহ

১০০] শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে কত বছরের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে?

উ: আড়াই বছরের।


মকটেস্ট দিতে নীচে ক্লিক করুন 👇

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top