শিকার” – কবি জীবনানন্দ দাশ।
মূলগ্রন্থ — বনলতা সেন।
সঠিক বিকল্পটি নির্বাচন করো :
১. “একটা অদ্ভুত শব্দ”- ‘অদ্ভুত’ শব্দটি কীসের?
(ক) গাড়ির হর্নের শব্দ
(খ) মানুষের কান্নার শব্দ
(গ) পাতার মর্মর শব্দ
(ঘ) বন্দুক থেকে গুলি ছোড়ার শব্দ
উত্তর : (ঘ) বন্দুক থেকে গুলি ছোড়ার শব্দ
২. “একটি তারা এখন আকাশে রয়েছে” – একটি তারা’-র সঙ্গে কবি তুলনা করেছেন।
(ক) একটি ফুলের (খ) একটি মেয়ের (গ) একটি নদীর (ঘ) একটি গানের
উত্তর : (খ) একটি মেয়ের
৩. “সুন্দরী বাদামী হরিণ”– কার হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়েছে?
(ক) চিতাবাঘিনীর হাত থেকে
(খ) মিশরের মানুষীর হাত থেকে
(গ) দেশোয়ালিদের হাত থেকে
(ঘ) মানুষের হাত থেকে
উত্তর : (ক) চিতাবাঘিনীর হাত থেকে
৪. “নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামল”– এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
(ক) চিতাবাঘিনীর কথা
(খ) সুন্দরী বাদামি হরিণের কথা
(গ) রোগা শালিকের কথা
(ঘ) দেশোয়ালিদের কথা
উত্তর : (খ) সুন্দরী বাদামি হরিণের কথা
৫. “সূর্যের আলোয় তার রং কুকুমের মতো নেই আর” – তার রং কীসের মতো হয়ে গেছে?
(ক) শুকনো পাতার ধূসর ইচ্ছার মতো (খ) কচি বাতাবি লেবুর মতো সবুজ
(গ) রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো
(ঘ) নীল আকাশের মরা চাদের আলোর মতো
উত্তর : (গ) রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো
৬. সবুজ সুগন্ধি ঘাসকে তুলনা করা হয়েছে—
(ক) পাকা বাতাবি লেবুর সঙ্গে
(খ) কচি বাতাবি লেবুর সঙ্গে
(গ) দারুচিনির পাতার সঙ্গে
(ঘ) কমলালেবুর সঙ্গে
উত্তর : (খ) কচি বাতাবি লেবুর সঙ্গে
৭. নীল মদের গেলাসে কী রাখা হয়েছিল?
(ক) রুপো (খ) সোনা
(গ) প্রবাল (ঘ) মুক্তা
উত্তর : (ঘ) মুক্তা
৮. “সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে”—কারা আগুন জ্বেলেছে ?
(ক) প্রবাসীরা (খ) অতিথিবৃন্দ
(গ) দেশোয়ালিরা (ঘ) বনবাসীরা
উত্তর : (গ) দেশোয়ালিরা
একইরকমভাবে
১) “শিকার” কবিতায় ভোরবেলার আকাশের রং-কে কবি যার সঙ্গে তুলনা করেছেন – —ঘাসফড়িঙের দেহ।
২) “টিয়ার পালকের মতো সবুজ” ছিল – পেয়ারা ও নোনার গাছ।
৩) “….এখনও আকাশে রয়েছে” – যার কথা বলা হয়েছে – একটি তারা।
৪) “শিকার” কবিতায় যে মেয়েটিকে কবি পাড়াগাঁয়ে লক্ষ করেছিলেন সে ছিল – গোধূলিমদির।
৫) “গোধূলিমদির” মেয়েটি ছিল – পাড়াগাঁর বাসরঘরে।
৬) “….মানুষী তার বুকের থেকে যে মুক্তা আমার নীল মদের / গেলাসে রেখেছিল..” – মিশরের।
৭) “….সারারাত মাঠে / আগুন জ্বেলেছে..” — কারা আগুন জ্বেলেছে? উত্তর – দেশোয়ালিরা।
৮) সারারাত মাঠে যে আগুন জ্বলেছিল তা ছিল – –মোরগফুলের মতো।
৮) “সূর্যের আলোয় তার রং…. মতো নেই আর..।” — কুঙ্কুমের।
৯) ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছিল — চারিদিকের বন ও আকাশ।
১০) সারারাত হরিণ নিজেকে বাঁচিয়েছিল যার হাত থেকে — চিতাবাঘিনির।
১১) সারারাত হরিণটি ঘুরেছিল – –অর্জুন-সুন্দরীর বনে।
১২) সুন্দর বাদামি হরিণ যার জন্য অপেক্ষা করেছিল — ভোরের জন্য।
১৩) “শিকার” কবিতায় প্রথমবার আগুন জ্বলেছিল যে কারণে — হিমের রাতে শরীরকে উম রাখার জন্য।
১৪) “শিকার” কবিতায় দ্বিতীয়বার আগুন জ্বলেছিল যে কারণে– – হরিণের মাংস তৈরি করার জন্য।
১৫) যে মানুষগুলোকে ঘাসের বিছানায় দেখা গিয়েছিল তারা ছিল — টেরিকাটা।
১৬) “নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়” যা হয়েছিল — অনেক পুরোনো শিশিরভেজা গল্প।
১৭) “শিকার” কবিতাটি শুরু হয়েছে যে শব্দ দিয়ে — “ভোর”।
১৮) “হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার” সঙ্গে যার যোগ – –রোগা শালিক।
১৯) নদীর ঢেউয়ে হরিণটি নেমেছিল — স্রোতের মতো আবেশ পাওয়ার জন্য।
২০) হরিণটি জেগে উঠতে চেয়েছিল – –সূর্যের সোনার বর্শার মতো।
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলি [ মান ১ ]
১. “একটা অদ্ভুত শব্দ’– শব্দকে ‘অদ্ভুত’ বলার কারণ কী ?
উত্তর : প্রাকৃতিক অরণ্য পরিবেশে বিসদৃশ বেমানান বন্দুকের গুলির শব্দকে এখানে ‘অদ্ভুত’ বলা হয়েছে। বনের মধ্যে বন্যেরাই যেখানে সুন্দর সেখানে বন্দুকের গুলির শব্দ নৃশংসতার পরিচয়বাহী বলেই তা অদ্ভুত।
২.“আগুন জ্বলল আবার”– কেমন আগুন, কখন জ্বলেছিল ?
উত্তর : শিকার কবিতায় হিমের রাতে শরীর ‘উম’ রাখবার জন্য দেশোয়ালিরা সারা রাত আগুন জ্বালিয়েছিল। সে আগুন ছিল মোরগফুলের মতো লাল।
৩. “রোগা শালিকের হদয়ের বিবর্ণ” ইচ্ছা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : দেশোয়ালিদের প্রজ্বলিত আগুন ভোরের আলোয় ক্রমশ বিবর্ণ হয়ে আসছে। মুমূর্ষ ও অসুস্থ শালিক পাখির শীর্ণকায় চেহারা এবং তার নৈরাশ্যের মতোই বিবর্ণ।
৪. “নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামল”– সে কেন নেমেছিল ?
উত্তর : সুন্দর বাদামি হরিণ ঘুমহীন ক্লান্ত শরীরকে আবেশ দেওয়ার জন্য নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে নেমেছিল।
৫. “এখনও আগুন জ্বলছে তাদের ;” কারা, কেন আগুন জ্বালিয়েছে?
উত্তর : দেশোয়ালিরা শীতের রাতে শরীর উষ্ণ রাখার জন্য সারারাত মাঠে আগুন জ্বালিয়েছে।
৬. “এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল!” কে, কেন ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল?
উত্তর : সুন্দর বাদামি হরিণ অরণ্য প্রকৃতিতে চিতাবাঘিনীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভোরের অপেক্ষায় ছিল।
৭. “তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও।” একটি তারা আকাশে কীসের মতো জ্বলছে?
উত্তর : হাজার হাজার বছর আগে এক রাতে মিশরের মানুষী তার বুকের থেকে যে মুক্তা কবির নীল মদের গ্লাসে রেখেছিল, ঠিক সেভাবে একটি তারা এখনো আকাশে জ্বলছে।
৮. “সোনার বর্ষার মতো জেগে ওঠে”– জেগে উঠে কে, কী করতে চেয়েছিল?
উত্তর : ভোরের নতুন সূর্যের আলোয় হরিণটা সোনার বর্ষার মতো জেগে ওঠে ‘সাহসে সাধে সৌন্দর্যে একের পর এক হরিণীকে চমক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল।
৯. “নদীর জল মচকা ফুলের পাপড়ির মতো লাল। “– এরকম হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : সুন্দর বাদামি হরিণটি যখন শৌখিন শিকারীর বন্দুকের গুলিতে বিদ্ধ হয়, তখন নদীর জল মচকা ফুলের পাপড়ির মতো রঙিন হয়ে ওঠে।
১০. ” এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে “– কে, কী কারণে ভোরের আলোয় নেমে এসেছিল?
উত্তর : ‘শিকার’ কবিতায় বর্ণিত সারারাত ধরে চিতাবাঘিনীর তাড়া খাওয়া বাদামি হরিণটি জীবনকে ভালোবেসে মুক্তির উল্লাসে ভোরের আলোয় নেমে এসেছে।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর [ মান ৫ ]
১. ” এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল “–কে এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল? এই অপেক্ষার পরিণতি কী হয়ছিল?
২. ‘শিকার’ কবিতার নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো ।
৩.শিকার ‘ কবিতায় ভিন্ন আবেদনে দুটি ভোরের যে চিত্ররূপ প্রকাশিত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করো ।
৪. “একটা অদ্ভুত শব্দ। নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল।” কবি শব্দটাকে অদ্ভুত বলেছেন কেন? নদীর জল লাল হওয়ার কারণ কী?
৫. ‘আগুন জ্বললো আবার’ – কোথায় কেন আগুন জ্বললো ? এখানে ‘আবার’ বলা হচ্ছে কেন ?
৬. জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় চিত্রিত হয়েছে একটি নিরীহ হরিণের প্রাণ বাঁচানোর প্রচেষ্টা, অন্যদিকে হৃদয়হীন মানুষের রসনাপ্রিয় মানসিকতা – কবিতা অনুসরণে তার পরিচয় দাও।