Lev Vygotsky :
Social Constructivism Theory
সামাজিক নির্মিতিবাদ তত্ত্ব :
🔵 Lev Vygotsky রাশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
🔵 তাঁর তত্ত্ব সামাজিক নির্মিতিবাদ নামে পরিচিত ।
🔵 তিনি মনে করেন জ্ঞানের বিকাশের ক্ষেত্রে বয়স নয়, সামাজিক পরিবেশ, সংস্কৃতি এবং ভাষা বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।
🔵 ব্যক্তি সামাজিক পরিবেশে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রজ্ঞা গঠন করে।
সামাজিক নির্মিতিবাদ তত্ত্বের মূলনীতি :
1. Social interaction
2. Culture
3. Language
1. Social interaction :
ভাইগটস্কির মতে , শিশুর সামাজিক সাংস্কৃতিক বিকাশ দুটি ধাপে হয়।
এক) সামাজিক স্তর
দুই) ব্যক্তিগত স্তর
এক) সামাজিক স্তর :
ভাইগটস্কির মতে,শিশুর ভাবনা-চিন্তা সামাজিক স্তরে শুরু হয় ।আপনি ছোটো বাচ্চাদের কী বলেন, কীভাবে বলেন তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে তাদের বিকাশের ক্ষেত্রে।
দুই) ব্যক্তিগত স্তর :
অহং কেন্দ্রিক ভাষা(Ego-centric Speech) : এই পর্যায়ে (আনুমানিক তিন থেকে সাত বছর) শিশুরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে কিছু করে। যেমন শিশু খেলা করার সময় নিজেই আপন-মনে জোরে জোরে কথা বলতে বলতে খেলা করতে থাকে। এইভাবে সে খেলাটাকে নিয়ন্ত্রণ করে। একইরকমভাবে পড়ার সময় জোরে জোরে পড়ে।
ইনার স্পিচ(Inner Speech ): Ego-centric Speech পরে Inner Speech-এ রূপান্তরিত হয়। এটি মানুষের অভ্যন্তরীণ বক্তব্য বা চিন্তা । এই স্তরে ব্যক্তি তার চিন্তা-ভাবনাকে নিয়ন্ত্রণ করে নীরব ভাষার মাধ্যমে। এই স্তরে মানুষ উচ্চতর ভাবনা এবং আরো জটিল ধরনের চিন্তা করতে সক্ষম হয় ।
2. Culture (সংস্কৃতি):
Internalisation:
আমাদের সমাজে, সংস্কৃতিতে অনেক জ্ঞান রয়েছে, সেই জ্ঞান যেভাবে আছে সেইভাবেই গ্রহন করার প্রক্রিয়াকে ভাইগটস্কি Internalisation বলেছেন ।
3. Language (ভাষা)
ভাইগটস্কির মতে, শিশুরা শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগের জন্য ভাষা ব্যবহার করে না, ভাষার মাধ্যমে আচরণ ও চিন্তা প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। ভাইগটস্কি শিখনের ক্ষেত্রে ভাষার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর মতে –
“Speech is a very powerful psychological tool…”
ভাষা ও চিন্তন প্রথমে পৃথক ও স্বাধীনভাবে হয়ে থাকে এবং পরবর্তীতে এই দুটির বিকাশ সম্মিলিতভাবে হয়।
ভাইগটস্কির মতে ভাষার ধরণ ৩ টি।
1. Social Speech : ২ বছর বয়স থেকে শুরু হয়। শিশু অন্যের সঙ্গে কথা বলে।
2. Private Speech : ৩ বছরের পর থেকে শুরু হয়। শিশু নিজে নিজেই কথা বলে। একে আত্মকথন বলে।
3. Silent Inner Speech : ৭ বছরের পর থেকে শুরু হয়। নিজের মনে মনে কথা বলে।
Socio-Cultural Theory of Vygotsky
ZPD (Zone of Proximal Development)
নৈকট্য বিকাশের সীমা :
ভাইগটস্কির মতে, ZPD হলো শিক্ষার্থীর প্রকৃত বিকাশ(Actual Development) এবং বিকাশের বাইরের (Beyond Development) মধ্যকার অংশবিশেষ।
Actual Development বা প্রকৃত বিকাশ বলতে বোঝায় যখন শিক্ষার্থী কোনো সমস্যা কারো সাহায্য ছাড়া নিজেই সমস্যার সমাধান করতে পারে।
Beyond Development বা বিকাশের বাইরের অঞ্চল বলতে বোঝায় যেখানে শিক্ষার্থীদের অন্যদের বা বড়োদের সাহায্য নিয়েও কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে না।
ZPD : যে অঞ্চলে সমস্যা শিশুকে দিলে শিশু নিজে থেকে সমস্যা সমাধান করতে পারে না কিন্তু তাকে সাহায্য(help), নির্দেশনা(guide), নির্দেশ(instruction), clue বা উদাহরণ দিলে সমাধান করতে পারে তাকে ভাইগটস্কি বলেছেন ZPD.
Scaffolding (প্রয়োজনীয় সাহায্য):
শিখন ও সমস্যা সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীকে যে ধরনের সাহায্য প্রদান করা হয় , সেই সাহায্যকেই বলে Scaffolding.
Scaffolding শিশুর শিখনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত । ভাইগটস্কির মতে শিশু শিখনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এবং অভিজ্ঞরা তার সহায়ক হিসেবে ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীর শিখনের ক্ষেত্রে শিক্ষক এই অস্থায়ী সমর্থন হিসেবে hints, clues, কোনো সমস্যাকে সহজভাবে বুঝিয়ে দেওয়া, উদাহরণ ইত্যাদি করতে পারেন । যা শিক্ষার্থীর শিখন দক্ষতা মজবুত করতে সহায়তা করে।
MKO (More Knowledgeable Other) অধিক জ্ঞানী কেহ :
ভাইগটস্কি শিখনের ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন সেটি হলো MKO বা অধিক জ্ঞানী কেহ। শিশুরা সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে শেখে যার মধ্যে সহযোগিতা এবং পারস্পরিক সংলাপ অন্তর্ভুক্ত । এই পারস্পরিক সহযোগিতা, সংলাপে বা সাহায্যে যারা ভূমিকা পালন করে তাদের ভাইগটস্কি MKO বা অধিক জ্ঞানী কেহ বা উচ্চতর দক্ষতার ব্যক্তি বলে অভিহিত করেছেন । শিক্ষক, অভিভাবক, বয়স্ক ব্যক্তি, এমনকি সহপাঠীও MKO হতে পারে ।
ভাইগটস্কির তত্ত্বের শিক্ষাগত তাৎপর্য :
১। শিক্ষাক্ষেত্রে ZPD-এর দিকে দৃষ্টি রেখে শিখন পরিচালন করা উচিত । এজন্য শিক্ষক শিক্ষার্থীর ZPD সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করতে হবে এবং সেই মতো শিখন পরিকল্পনা করতে হবে ।
২। শিক্ষার্থী যখন ZPD-র কাজ করার চেষ্টা করবে তখন অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে তার কোনো সাহায্যের প্রয়োজন কিনা । যদি প্রয়োজন হয় তবে অবশ্যই শিক্ষক সাহায্য প্রদান(Scaffolding) করবেন।
৩। শিক্ষক প্রয়োজন মতো একই শ্রেণীর দক্ষ শিক্ষার্থীকে এই সাহায্য প্রদানে লিপ্ত করতে পারবেন।
৪। শিক্ষক যূথবদ্ধ শিখনকে(collaborative) উৎসাহিত করবেন ।
৫। প্রজ্ঞার বিকাশে ভাষা একটি অন্যতম হাতিয়ার বা উপাদান। সুতরাং শিক্ষক শিক্ষার্থীর আত্মকথনে অবশ্যই উৎসাহিত করবেন।
৬। শিক্ষাকে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশকে বিচার করে শিক্ষক শিখন কার্য পরিচালনা করবেন।
খুব ভালো লিখেছেন উপকৃত হলাম
সংক্ষিপ্তসার হলেও স্পষ্ট এবং অনেক কিছুই পেলাম। খুব ভালো
ধন্যবাদ
অসংখ্য ধন্যবাদ
Thank information Bengali version pawer jonno
sigmund frued r kichu dile upokrito hobo
অনেক অনেক ধন্যবাদ
খুব ভালো লাগছে